আমরা সবাই জানি ভূগোল ও বিজ্ঞানে মুসলমানের অবদান অপরিসীম।কিন্ত আমরা অনেকেই জানি না কেন সেসময় মুসলমানদের ভূগোল সম্পর্কে এত আগ্রহ ছিল, কিভাবে ও কোন উপায়ে এ ভৌগলিক জ্ঞান অর্জন করে ছিল।
দামেস্কের উমাইয়াহ্ খেলাফত ৬৬০ থেকে ৭৫০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল এবং এর বিস্তৃতি ছিল পশ্চিমে স্পেন ও মরোক্ক থেকে পূর্বে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত। ৭৬২ সালে খলিফা আল মানসুর বাগদাদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাম্রাজ্যের সীমানা এশিয়ায় আরও বিস্তৃতিসহ পূর্বে চীন পর্যন্ত বর্ধিত করেন। আর এ বিশাল সাম্রাজ্য অতিদ্রুত সম্প্রসারন লাভ করে যা রোমানদের চেয়েও অধিক সমৃদ্ধ ও ব্যাপক ছিল। এসময় আরব বণিকেরা গ্রিক, রোমান, পারসিক, চৈনিক ও ভারতীয়সহ বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জনগোষ্ঠির সংস্পর্শে আসেন। রাষ্ট্রীয় ও বানিজ্যিক কাজে আরব দূত ও বণিকেরা রাশিয়া ও স্ক্যান্ডিনেভিয়াসহ বিভিন্ন নতুন নতুন এলাকা ভ্রমন করেন যা আরবদের ভৌগলিক ও বৈজ্ঞানীক জ্ঞানের প্রয়োজনিয়তা ও আগ্রহী করে তুলে।
উমাইয়াহ্ শাসনামলের পর ৭৫০ সালে আব্বাসীয় শাসনামল শুরু হলে সভ্যতা-সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। এ সময় বাগদাদে অনুবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয় যেখানে স্থাণীয় ও বিভিন্ন দেশ থেকে অভিজ্ঞ অনুবাদক এনে গ্রিক, পারসিক, ভারতীয় ও অন্যান্য সংস্কৃতি-সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞান আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। প্লেটো, সক্রেটিস, হোমার ও অ্যারোস্টোটলের মতো গ্রিক বিখ্যাত মনিষীদের রচনাবলিসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন-ভূবিজ্ঞান, মহাকাশীয় বিজ্ঞান, আবহাওয়া, খনিজ, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা ও দর্শনশাস্ত্রসহ জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা গুরুত্বসহ অধ্যয়ন করা হয়। কিন্ত আরবি মনীষীরা এসময় অ্যারোস্টেটলের বিজ্ঞানের বিষয়াবলির প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হয়ে পরেন।
বিশাল সাম্রাজ্যের প্রাশাসনিক, বানিজ্যক ও ধর্ম প্রচার কাজের স্বার্থে দূরদূরান্ত ভ্রমনের জন্য মুসলমানরা ভূগোল বিজ্ঞানে অধিকতর আগ্রহী হয়ে উঠেন। আর এভাবেই পরবর্তীতে মুসলমানদের হাত ধরেই ভূগোল বিজ্ঞান অধিকতর সমৃদ্ধি লাভ করে।
আমি ফজলুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 14 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
We share science, technology and idea.