Brian Greene এর বই The Elegant Universe এর একটি সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি।
জেনারেল থিউরি অফ রিলিভিটির জনক বিজ্ঞানী আইনিস্টাইন তার জীবনের শেষ তিন দশক কাটিয়েছিলেন এমন একটি সমীকরণরে দাড়া করাতে যা দিয়ে মহাবিশ্বের যেকোন কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব। সেটা যতই ক্ষুদ্র বা বড় হোক না কেন। গত দুইশত বছর ধরে আমরা যেসব থিউরি, সমীকরণ বা তথ্য পেয়েছি তা থেকে উপলব্ধি হয়, আমাদের এই আবিষ্কার শুধু মাত্র একটি নির্দির্ট দিকে আমাদের নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আর তা হলো Unification. আইনস্টাইন থেকে শুরু করে অনেকেই চেষ্টা করেছেন এমন একটি সমীকরণ দাড়া করাতে যার পর আমাদের আর কোন কিছু ব্যাখার ত্রুটি থাকবে না। আমরা মহাবিশ্বের সৃষ্টি থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সব কিছু ব্যাখা দিতে পারবো। আর গত তিন দশক ধরে মনে হচ্ছে আমাদের এই সমস্যার সমাধান শুধু দিতে পারে স্ট্রিং থিউরি।
ঘটনার শুরু ৩০০ বছর পূর্বে নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার গল্প থকে। নিউটন আবিষ্কার করেন যে গাছ থেকে আপেল পড়া আর সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর চক্রাকারে ঘুরা মূলত একই কারণে হয়। যার নাম দেন তিনি মহাকর্ষ, Gravity. এই প্রথম কোন বিজ্ঞানী দুটি আলাদা তত্ত্বকে একত্রিত করে। একটি সাধারণ সমীকরণে দাড়া করান। এটি ছিল Unification এর প্রথম সুচনা।
কিন্তু নিউটনের এই থিউরির পর মহাবিশ্বরে যে রূপটা ধরা পরে সমীকরণের মাধ্যমে তা নিয়ে আইনিস্টাইনই একটু নাখুশ ছিলেন। কারণ নিউটনের তত্ত্ব মতে মহাকর্ষ আসীম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং মহাকর্ষের বলের পরিবর্তনে অন্য অনেক দূরের বস্তুর উপর একই সময়ে অনুভূত হয়। প্রকৃতপক্ষে নিউটনের জানা ছিল না। মহাকর্ষ কিভাবে কাজ করে বা কার মাধ্যমে মহাবিশ্বে মহাকর্ষ বিস্তৃত হচ্ছে।
আইনস্টাইন ২০০ শতকে এসে প্রমাণ করেন। মহা বিশ্বের কোন বস্তুর গতি আলোর গতির উপরে হতে পারে না। আলোর গতি মহাবিশ্বের শেষ গতিসীমা। আর এই গতিসীমা নিউটনের সমীকরণ মানে না। তাই আইনিস্টাইন খুঁজতে থাকেন এমন কোন ব্যাখা যার দ্বারা প্রমাণ করা যাবে মহাবিশ্বরে প্রকৃত রূপ ও মিলবে মহাকর্ষের আসল পরিচয়।
দশ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আইনস্টাইন প্রকাশ করেন তার বিখ্যাত তত্ত জেনারেল থিউরি অফ রিলিটিভিটি যা মহাবিশ্বের চেহারা পাল্টে দেয়। এই থিউরি প্রমাণ করে মহাকর্ষ বল কিভাবে কাজ করে এবং এর গতিসীমা আলের গতির বেশি নয়।
নিউটের মতে মহাকর্ষ বল প্রত্যেক বস্তুর উপর শূণ্য সময়ে কাজ করে। সূর্যের যে ভরের জন্য পৃথিবীর তার চারপাশে ঘুরে। সেই ভর হতে উৎপন্ন মহাকর্ষ বল উঠিয়ে নিলে পৃথিবী তাৎক্ষণিকতার কক্ষপথ হতে বিচ্ছুরিত হয়ে নিউটনের প্রথম সূত্রের মত আচরন করবে। পৃথিবী অসীমের পথে চালিত হবে। কিন্তু আইনস্টাইন প্রমাণ করেন মহাকর্ষ বলের গতি আলোর গতির সমান। আর সূর্য থেকে পৃথিবীর আলো দেখতে সময় লাগে ৮ মিনিটের উপরে। তাহলে সূর্য যদি হঠাৎ ধ্বংস হয়ে যায় তবে তা আমরা জানতে পারব ৮ মিনিট পরে। তাহলে কথা হল মহাকর্ষ বল কীভাবে কাজ করে। আইনিস্টাইনের থিউরি সেই ব্যাখ্যা দেয় খুব সহজেই। তিনি চিন্তা করেন মহাবিশ্বের তিনটি সাধারণ মাত্র(থ্রি ডাইমেণশন) এবং সময় সহ ৪টি মাত্রার একটি জগৎ। আমরা যদি চিন্তা করি তিনটি সাধারণ মাত্রা ও সময় মিলে একটি ২ মাত্রার জগৎ তাহলে জিনিসটা আরো সহজ হয়
আমারা মনে করি মহাবিশ্বের সময়-স্থান একটি বিছানার চাদর, এখন এর কোন স্থানে আমরা যদি একটি ভারি বল রাখি তবে দেখা যাবে ঐ স্থানে চাদরটি ডেবে গিয়েছে এবং আশেপাশে বৃত্তকার একটি কার্ভের সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমরা যদি ছোট একটি বল এই কার্ভেচারে ছেড়ে দিই তখন তা ঐ কার্ভেচার বারবার ঘুরতে থাকবে ( যদিও ছোট বলটি ঘুরতে ঘুরতে বড় বলটির কাছে চলে আসবে এই ক্ষেত্রে কেন আসবে না তা পরে ব্যাখ্যা করব। ) তাহলে ভরের কারণে মহাবিশ্বের প্রতিটি স্থানে এভাবে ডেবে যাচ্ছে। আর এই চারপাশে ঘুরছে বাকি হালকা বস্তু গুলো।জেনারেল থিউরি অফ রিলিভিটির জনক বিজ্ঞানী আইনিস্টাইন তার জীবনের শেষ তিন দশক কাটিয়েছিলেন এমন একটি সমীকরণরে দাড়া করাত যা দিয়ে মহাবিশ্বের যেকোন কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
সেটা যতই ক্ষুদ্র বা বড় হোক না কেন। গত দুইশত বছর ধরে আমরা যেসব থিউরি, সমীকরণ বা তথ্য পেয়েছি তা থেকে উপলব্ধি হয়, আমাদের এই আবিষ্কার শুধু মাত্র একটি নির্দির্ট দিকে আমাদের নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আর তা হলো Unification. আইনস্টাইন থেকে শুরু করে অনেকেই চেষ্টা করেছেন এমন একটি সমীকরণ দাড়া করাতে যার পর আমাদের আর কোন কিছু ব্যাখার ত্রুটি থাকবে না। আমরা মহাবিশ্বের সৃষ্টি থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সব কিছু ব্যাখা দিতে পারবো। আর গত তিন দশক ধরে মনে হচ্ছে আমাদের এই সমস্যার সমাধান শুধু দিতে পারে স্ট্রিং থিউরি।
(চলবে)
আমি এস বি মেহদি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 36 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন জুতা চোর, প্রতি শুক্রবার আমি মসজিদ থেকে জুতা চোরি করি।
বিগ ব্যঙ থিওরি কিন্তু বিফল নয়। যদিও এখানে কিছু ফাক ফোকর আছে । আপনি Stefen Howkings এর The brief history of time বইটি পরলে আরো কিছু জানতে পারবেন।