মানবদেহের সকল অঙ্গই মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল। মস্তিষ্ক থেকে সংকেত দেয় বলেই ঠিকঠাক মতো কাজ করে দেহের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। আর তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই জরুরি। আর এর জন্য চাই বিশেষ যত্নের ও সাবধানতার।
যে ৮টি ভুলে প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার মস্তিষ্ক আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলোঃ
অপর্যাপ্ত ঘুম
---------------
যেকোনো মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এতে কম বয়সেই স্মৃতিশক্তি কমে যায়, দেখা দেয় নানা সমস্যা।
মাথা ঢেকে ঘুমানো
-------------------
আমরা অনেকেই ঘুমানোর সময় চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে ঘুমাই। এতে চাদরের নিচের বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
কথা বেশি বলা, কম বলা
-----------------------
অনেকেই আছেন যারা কথা বলেন খুব কম। যারা কথা বলেন কম, তারা এখন থেকে আরেকটু বেশি কথা বলুন। কারণ কম কথা বললে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। তবে যারা মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন- তাদের মস্তিষ্কের ভবিষ্যৎ মারাত্মক। ক্ষতিকারক রেডিয়েশনের প্রভাব তো আছেই, বরং কাজে অনিহা বাড়াতে মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথোপকথন বিশেষভাবে কাজ করে।
অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ
------------------------
অনেকেই অসুস্থ শরীরে অতিরিক্ত কাজ করেন থাকেন। অসুখ নিয়ে পড়াশোনা করা কিংবা মস্তিষ্কে চাপ তৈরি করে এমন কাজ করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। তাই অসুস্থতার সময় কাজ না করে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
ধূমপান ও মদ্যপান
-------------------
ধূমপানের নেশা ছাড়তে দিনক্ষণ ঠিক না করে, আজই, এ মুহূর্তে ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত ধূমপান মস্তিষ্কের, তথা সারা দেহের ক্ষতি করে। আর যারা অ্যালকোহলে আসক্ত ভবিষ্যতে তাদের মস্তিষ্ক দিনে দিনে কার্যকারিতা হায়, হ্রাস পায় স্মৃতিশক্তি।
বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার অভাব
----------------------
যারা প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ করার পর বেকার হয়ে বসে থাকেন, অথবা বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ কম করেন, তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে বাসা বাঁধে বিষণ্নতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাছাড়া উপস্থিত বুদ্ধি কমে যায় এবং সব কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া
-------------------------------
মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার নেশা আছে অনেকেরই। আর যাদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার নেশা আছে তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ
---------------------
বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণ এখন একটি প্রধান সমস্যা। আর এ দূষণের ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিক হলো মস্তিষ্কের ক্ষতি। বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া মস্তিষ্কের বারোটা বাজানোর জন্য শব্দ দূষণের জুরি নেই। যারা অতিরিক্ত শব্দময় স্থানে দিনের অধিকাংশ সময় কাটান, তাদের মেধা ও মানসিকতা- দুয়েরই ক্ষতি হয়।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই বিষয়গুলো মেনে চললে সবাই সুস্থ থাকবেন আশা করি 🙂 আজ এখানেই বিদায় জানাচ্ছি।
আমি প্রীতম চক্রবর্তী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 82 টি টিউন ও 155 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য ফ্রি লার্নিং প্ল্যাটফর্মঃ https://www.eduquarks.com
ধন্যবাদ, মানুষ এর ব্রেন কতটা তথ্য প্রতিদিন আদান প্রদান বা মনে রাখতে পারে? বা ব্রেন এর পাওয়ার কত, এটা নিয়ে একটা টিউন আশা করতে পারি,