সুপ্রিয় টেকটিউনসের ভাই ও বোনেরা,
আপনাদের সবাইকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ৬ষ্ঠ টিউন শুরু করছি। আপনারা সবাই ভাল আছেন আশা করি। অবশ্যই ভাল থাকার কথা। ১৬ তারিখের বাংলাদেশ আর আফগানের খেলা দেখার পর অনেকেরই হাসিমুখ দেখতে পেয়েছি। তবে আতঙ্কও কম ছিল না। সামনের ম্যাচ গুলো জিততে পারবে নাকি এই ধরনের আতঙ্ক। যা হোক সেটা পরে দেখা যাবে। আজও আমি ভিন্ন ধরণের টিউন করবো। Android নিয়ে নয়। একটু আলাদা ধরণের। যাই হোক কাজের কথায় আসা যাক।
আমরা এখন বলতে গেলে প্রযুক্তির অতল সাগরে ভেসে আছি। ভুল বললাম, বলতে গেলে ডুবেই আছি। এখন আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির অপার আশীর্বাদে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস হাতের মুঠোয় পাচ্ছি। এর সেবায় নিত্যদিন অনেক সহজ ও সুখকর হচ্ছে। আমরা এখন এক মুহূর্ত প্রযুক্তির অন্তর্গত জিনিস ছাড়া আমাদের কল্পনা করতে পারিনা। একবার ভাবুন তো, লাইট নাই, ফ্যান নাই, টিভি নাই, ইস্মার্টফোন নাই, নেট, পিসি, ল্যাপটপ ইত্যাদি এমনকি পড়নে কাপড়ও নাই। কোন মতে একখান ছাল পইড়া পাহাড়ে গিয়া গুহায় বাস করতে হবে। আপনি এক দিন দূরে রাখেন, আমার অটল বিশ্বাস আপনি এক ঘন্টাও থাকতে পারবেন না! ফাও প্যাঁচাল বেশি হয়ে গেল না? এবার মূল ঘটনা আলোকপাত করছি।
আসলে প্রযুক্তির এমন কিছু রহস্যময় দিকও আছে যা কিনা আধুনিক প্রযুক্তি অনেক চেষ্টা করেও বের করতে পারেনি। আমি প্রাচীন কালের কথা বলছি। সে সময়ে প্রযুক্তির ছোঁয়া ছিল না বললে ভুল হবে। সে সময়েও প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল, এমনকি সে সময়ের প্রযুক্তি, গবেষণা ইত্যাদি এখনকার ঝানু প্রযুক্তিবিদদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিয়েছে এবং দিচ্ছে।কিন্তু কোন সমাধান আজ পর্যন্ত বের হয়নি। চলুন এমন কিছু দৃষ্টান্ত দেখে আসি।
১৭ শতকের খুব বিখ্যাত ছিল Stradivari violins।আর এর নির্মাতা ছিল ইটালির Stradivari family।ভায়োলিন ছাড়াও গিটার ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রও বানাত তারা।এটা ছিল ১৬৫০-১৭৫০ সাল পর্যন্ত।তখনকার যুগে Stradivari Violins ছিল অনেক দামী এবং আভিজাত্যের প্রতীক।কারণ ঐ সময়ে পৃথিবীর অন্য কেউ এত সুন্দর সাউন্ড কোয়ালিটির ভায়োলিন বানাতে পারতনা।এক কথায় আনপ্যারারাল।এখন দুনিয়া জুড়ে ৬০০টির মত ভায়োলিন রয়েছে যা অমূল্য।কিনতে গেলে হয়ত নিলামে যেতে হবে।
Stradivari instruments বানানোর কৌশল ছিল Stradivari পরিবারের গোপন বিষয় যা একমাত্র জানত Antonio Stradivari এবং তার দুই ছেলে Omobono এবং Francesco... তারা তিনজন মারা গেলে বন্ধ হয়ে যায় সব উৎপাদন।অনেক বাদ্যযন্ত্র বিশারদ চেষ্টা করেছে নতুন করে Stradivari Violins বানাতে কিন্তু সবাই ব্যর্থ।কেউ পারেনি সেই Strdivari Violin এর ধারে কাছে যেতে।আজকের দিন পর্যন্ত Stradivari Violins বানানোর কৌশল এক রহস্যের আধার হয়ে আছে যা হারিয়ে গেছে Stradivari পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য মারা যাবার সাথে সাথে।
প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সাম্রাজ্য শিক্ষা,সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিতে ছিল অনেক এগিয়ে।তাদের অনেক কিছু ছিল ঈর্ষা করার মত।চিকিৎসা বিদ্যায়ও ছিল তাদের অনেক অগ্রগতি। প্রাচীন গ্রীক সাম্রাজ্যের একটি বিস্ময়কর ঔষধ ছিল Nepenthe,যাকে বলা হত anti-depressant বা “chase away sorrow.”যার উল্লেখ পাওয়া যায় হোমারের অডিসিতেও।অনেকে বলে এটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক বা fictional,কিন্তু ইতিহাসবিদদের কথা হল যে এটা সত্যি।মিসরেও এর প্রচলন ছিল, যাকে বলা হত “a drug of forgetfulness”. এখনকার দিনে যা opium বা laudanum এর মত কাজ করে। কিন্তু এটা মোটেই নেশা জাতীয় দ্রব্য ছিল না।
Nepenthe তৈরির কৌশল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু ঐ সময়ে কি উপাদন দিয়ে Nepenthe তৈরি করা হত তা এক অজানা রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।
আর্কেওলজির এক বিস্ময় হল The Antikythera Mechanism, এটি ব্রোঞ্জের তৈরি। উদ্ধার করা হয় ১৯০০ সালের দিকে গ্রীসের সমুদ্র উপকূল থেকে।এটি ৩০ টি গিয়ার,ডায়াল এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।একটি ডুবন্ত প্রাচীন জাহাজের মধ্যে পাওয়া যায় এটি।বিজ্ঞানীদের ধারনা এটির তৈরি করার সময়কাল ছিল 1st বা 2nd century BC তে।এটির কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা না পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীদের অনুমান করেন এটা এক ধরনের ঘড়ি জাতীয় যন্ত্র যা দিয়ে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান এবং আলোক-বর্ষ গণনা করা হত।
১৪ শতকের কিছু লেখায় এই The Antikythera Mechanism সম্পর্কে জানা যায়।কিন্তু কোথাও এর গঠন পক্রিয়া নিয়ে কিছু লেখা নেই।ফলে The Antikythera Mechanism থাকলেও বের করা যায়নি এর তৈরি রহস্য।
The Telharmonium ধরা হয় দুনিয়ার প্রথম ইলেক্ট্রনিক মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট। এর টোনহুইল দিয়ে সিন্তেথিক মিউজিক্যাল নোট তৈরি করা যেত যা তারের মাধ্যমে লাউডস্পিকারে শোনা যেত।১৮৯৭ সালে এটি তৈরি করেন Thaddeus Cahill, এটা ছিল তৎকালীন দুনিয়ার সব থেকে বড় বাদ্যযন্ত্র যার ওজন ছিল ২০০টন আর রাখার জন্য বড় রুমের দরকার হত।এটার ছিল একগাদা বাটন সহ কীবোর্ড এবং পায়ের প্যাডেল।প্রথম প্রদর্শনেই মানুষের মন জয় করে নেয় এর মনোমুগ্ধকর আওয়াজের জন্য।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় এর খরচ এবং আয়তনের জন্য।তাছাড়া এটি চালনায় মানুষের শক্তিও খরচ হতে থাকে অনেক।আর Thaddeus Cahillও কাউকে এর গঠন সম্পর্কে না জানিয়ে একাই চেষ্টা করতে থাকেন এর থেকে ভাল কিছু করার।মাত্র তিনটি Telharmonium ছিল তখন আর তাই এটার সম্পর্কে অনেক আগ্রহ থাকলেও কেউ জানতে পারেনি এটা বানানোর প্রযুক্তি।
1100-1700 AD পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে খুব শক্ত একধরনের ধাতু ব্যবহার করা হত।যা পরিচিত ছিল Damascus steel নামে।এটা দিয়ে মুলত ছুরি ও তলোয়ার বানানো হত। Damascus steel দিয়ে বানানো ছুরি বা তলোয়ার যেমন ছিল শক্ত তেমন ধারাল এবং সাথে সাথে নমনীয়।আর তাই এর খ্যাতি ছিল বিশ্বব্যাপী।
১৭৫০ সাল পর্যন্ত ছিল এই Damascus steel এর স্বর্নযুগ।কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নে তলোয়ার বা ছুরির ব্যবহার যেমন কমতে থাকে তেমনি কমতে থাকে ভারত এবং শ্রীলংকা থেকে এর কাচামালের যোগান।ফলে যারা এর বানানোর পদ্ধতি জানত তারা চলে যায় অন্য পেশায় ফলে তারাও কাউকে আর কোথাও লিপিবদ্ধ করে যায়নি এর তৈরি করার নিয়ম। আর এভাবে কোথাও লিপিবদ্ধ না থাকার কারনে কালের গর্ভে হারিয়ে যায় Damascus steel এর নির্মাণ প্রণালি অথচ অনেক গবেষণা হয়েছে তা উদ্ধারের জন্য।
আধুনিক কংক্রিট উন্নততর হয় ১৭০০ সালের দিকে,আর এখনতো সিমেন্ট,বালি,পানি আর ইটের টুকরা মিশালে কংক্রিট তৈরি হয়।কিন্তু এটা কংক্রিট তৈরির ইতিহাস নয়। প্রাচীন যুগে পারসিয়ান, মিশরীয় আর রোমানরা জানত কংক্রিট তৈরির ফর্মুলা।কিন্তু রোমানদের তৈরি কংক্রিট ছিল সারা দুনিয়ার বিখ্যাত।তারা burnt lime, পানি আর পাথর একসাথে মিশিয়ে তৈরি করত কংক্রিট যার গাঁথুনি ছিল খুবই মজবুত।আর তাই তারা নির্মাণ করেছিল the Pantheon, the Colosseum, the aqueducts, আর the Roman Baths.
সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল এই সিমেন্ট যারা বানাত কেউ লিখে রাখেনি এর প্রস্তুত প্রনালি,যারা জানত তারাও কালের গর্ভে হারিয়ে গেল। ফলে কোথাও জানা যায়নি সেই প্রযুক্তির কথা।ইতিহাসবিদদের সব থেকে বড় প্রশ্ন হল কেন হারিয়ে গেল এর উৎপাদন প্রক্রিয়া।আর এর হারিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রচলিত আছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
হারিয়ে যাওয়া প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম রহস্যময় বিষয় হল Greek Fire, যা ব্যবহার করত Byzantine Empire এর সৈনিকরা। এটা এমন এক “sticky fire” ছিল যা পানির মধ্যেও একটানা জ্বলত।এর সবথেকে বহুল ব্যবহার হয় ১১ শতকে। প্রথম দিকে এটি বড় জারের মধ্যে ঢুকিয়ে গ্রেনেডের মত শত্রুর দিকে ছুড়ে মারা হত, তারপর এটি ব্যবহার হয় যুদ্ধ জাহাজে। জাহাজের সামনে ব্রোঞ্জের পাইপ ফিট করে সেই পাইপের মধ্য দিয়ে শত্রুর জাহাজে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হত।
Byzantine Empireএর শাসন আমলের পর কমতে থাকে এর ব্যবহার।এক সময় তা হয়ে যায় ইতিহাস।কিন্তু পড়ে এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু আসলেই কি কি মিশিয়ে এটি তৈরি হত তা এখনও একটি বিস্ময়ের বিষয় হয়ে দাড়িয়ে আছে সবার কাছে।
এই জিনিসটার ব্যাপারে বিশদ বিবরণ লিখতে গেলে আপনারা আমারে জুতা নিয়ে মারতে আসবেন। আমি জানি। তাই এটা নিয়ে বিশদ কিছু লিখব না। পিরামিডের ব্যাপারে তো আপনারা জানেনই। যিশু খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরে গড়ে উঠেছিল এক অসাধারণ সভ্যতা। নীল নদের তীরে সভ্যতায় গড়ে উঠেছিল সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন রহস্যমণ্ডিত পিরামিড। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এত প্রাচীন হলেও সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র পিরামিডই এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।আজকের আধুনিক বিজ্ঞানীদের কাছেও পিরামিড এক অজানা রহস্য। যার কাঠামো আধুনিক বিজ্ঞানের সব শাখায়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আর্কিটেকচারাল হিসেবে এ ধরনের কাঠামো সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রতিরোধক এবং স্থায়ী হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেখা গেছে যে, পিরাপিড আসলে একটা রেশনাল স্ট্রাকচার। বিশাল সব পাথর কেমন করে শত শত ফুট ওপরে তোলা হয়েছিল জানে না কেউ। জানে না কেমন করে কাঁটা হয়েছিল পাথরগুলো। কারণ পাথরগুলোর ধার এতই মসৃণ যে, অতি উন্নত যন্ত্র ছাড়া যেটা সম্ভব নয়। এখানেই শেষ নয়, মৃতদেহকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় মমি করে রাখত। এ কাজে তারা বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করত। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা এখনো ধরতে পারেননি তাদের সেই পদ্ধতি।
এখনকার ঝানু ঝানু আর্কিটেক্টরা মাথা চুলকান যখন এই পিরামিড নিয়ে ভাবতে বসেন। পিরামিড শুধু মিশরে আছে তাই নয়। চীনের সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত রয়েছে ৪৫ ফুট লম্বা ৩১ ফুট উঁচু ৩৯ ফুট চওড়া একটি পিরামিড। আলপিছ নামক স্থানে পাওয়া গেছে একটি হিমবাহু কবর। সাইবেরিয়ার জমে থাকা তুষারের নিচে পাওয়া গেছে একটি হিমবাহু কবর। সাইবেরিয়াতে পাওয়া গেছে তুষারের মধ্যে কবর বা মামি জেরিকোতে রয়েছে পিরামিডের আদলে নির্মাণ করা ১০ হাজার বছর আগেকার কবর বা মামি। চীনের গোবি মরুভূমিতে পাওয়া গেছে অত্যধিক গরমে গলে যাওয়া কবর বা লাশ, যা প্রায় ১২ হাজার বছর আগের।আফ্রিকার নরিয়া লাপাতা মরুভূমি অঞ্চলে আবিষ্কার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পিরামিড, যা মিসরের পিরামিডের আদলে তৈরি করা। মধ্য আমেরিকাতে লাখ লাখ পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এদিকে আবার মেক্সিকোতে পাওয়া গেছে ১ লাখ পিরামিড। যার মধ্যে অনেক পিরামিড আছে, যা এখনও কেউ ধরেই দেখেনি।এই পিরামিডের বহর দেখলে মনে হয় তারা বিশ্বাস করতো যে এই মরা লাশ কোন না কোন দিন জেগে উঠবে। তাই তার সাথে দেয়া হত খাবার-দাবার, এমনকি সোনা-রুপা ইত্যাদি দিয়ে ভরিয়ে দেয়া হত। (যদি এখনকার সময় হইতো তাইলে তো পিসি, নেট, গ্যালাক্সি এস৫ দিয়া রাইখা দিত মনে হয়। একটু মজা নিলাম। মনে কিছু নিয়েন না।)
নিনজা হল এক ধরণের গুপ্তঘাতক। নিঞ্জাদের প্রচলন কবে থেকে শুরু হয় তা সঠিক করে কেউ বলতে পারেনি। কেউ কেউ বলেন ১৪শ-১৫শ শতাব্দীতে তাদের জাপানে দীক্ষা দেয়া হত এবং বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দেয়া হত। আবার কিছু কিছু উৎস বলে তাদের প্রচলন শুরু হয় ১২ শতকে প্রাচীন চীনে। অর্থাৎ, চীনের প্রাচীর বানানোর আগেই তাদের "Forbidden City" তে গুপ্তঘাতকের অথবা গুপ্তচরবৃত্তির কাজ দেয়া হত। কিন্তু এমন জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তাদের নিয়ে সঠিক কিছু কেউ বলতে পারেনি।
তারা অপরাজেয় নিঃশব্দ যোদ্ধা ছিল। যদিও তারা প্রকাশ্যে কারো কাছে ধরা দিত না। তাদের ক্ষমতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, নিঃশব্দে চলা, ছায়াতে মিলিয়ে যাওয়া, অনেক উঁচুতে লাফিয়ে পার হওয়া, পানিতে হাঁটা ইত্যাদি। আপনি যদি "Ninja Hattori" কার্টুনটি দেখে থাকেন তো বুঝবেন আমি কি বলছি। এবং কেউ এটা আজগুবি মনে করবেন না। আগের নিনজারা এমনটাই করতে পারতো। মুহূর্তে ছায়াতে গায়েব হয়ে যেতে পারতো। তারা অনেকটা প্যাঁচার মত ছিল। দিনের বেলা তারা নিষ্ক্রিয় থাকতো। তাদের সময় ছিল রাতে। রাতে তারা বের হত এবং হত্যাযজ্ঞ চালাত। অন্ধকারই তাদের প্রিয় ছিল। বিভিন্ন নেতা অথবা মাননীয় ব্যাক্তি যদি কাউকে খুন করতে চাইত তবে তারা নিনজা কে ভাড়া করত এবং কার্জউদ্ধার করত। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল নান-চাকু, কাটানা, মাকিবুশি, শুরিকেন, ইয়ুমি ইত্যাদি।
তাদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা ছিল তা হল কোন ভাবে যদি তারা আঘাত প্রাপ্ত হত তবে নিজেরা নিজেদের চিকিৎসা করতে পারতো। আপনি কোন নিনজা কে যদি পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তো সে ওখান থেকে সরে যাবে। ৫ মিনিট পরে আপনার সামনে আসলে আপনি দেখবেন সেই দাগ একদম গায়েব। আজব হলেও এটা সত্যি। আগের দিনে যারা নিনজা প্রশিক্ষন নিত তাদের অনেক গোপনে রাখা হত। সাধারণ মানুষের বাইরে। এবং তাদের এমন ভাবে তৈরি করা হত যাতে সাধারণ মানুষের কাছে তাদের তথ্য না যায়। তাই নিঞ্জাদের এমন অনেক রহস্য আছে যা আধুনিক প্রযুক্তি কিনারা করতে পারেনি।
পৃথিবী পুরোটাই রহস্যে ঘেরা এক চলমান দৃশ্য। সার্কাসে দর্শক সারিতে বসে আমরা অবাক হয়ে সার্কাস খেলা দেখি, তেমন এই পুরো পৃথিবীর দেখানো সার্কাসও আমাদের অবাক হয়েই দেখতে হবে। হয়তো প্রযুক্তির উন্নয়নে এক দিন না একদিন এর রহস্য কিনারা হয়ে যাবে। হয়তো আপনি বসে এটা পড়ছেন, আপনিও এই রহস্য বের করে ফেলবেন। তখন আশা করি অনেক অসাধ্য সাধন হবে।
আপনাদের কে মজার ছলে তথ্য দেয়াই আমার কাজ। আমার টিউনে যথেষ্ট পরিমান চেষ্টা থাকে আপনি যাতে বোর না হয়ে যান। যদি আপনি আমার এই সামান্য চেষ্টা থেকে কিঞ্চিত পরিমান আনন্দ উপভোগ করেন,সেটা আমার সৌভাগ্য মনে করবো। যদি টিউনে কোন ধরণের ভুল, বাজে কথা,অশালীন ভাষা আপনার মন ক্ষুণ্ণ করে তবে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মানুষ মাত্রই ভুল। আমিও মানুষ। তাই আমিও ভুল করতে পারি।
সবাইকে আজকের মত বিদায় জানিয়ে এখানে শেষ করছি। ভালো থাকবেন। নামাজ পড়বেন। আল্লাহকে ডাকবেন। অন্য ধর্মের লোকেরা তাদের ঈশ্বরকে ডাকবেন।
ফেসবুকে আমিঃ-এখানে আমি থাকি
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ- শুভ্র আকাশ ভাই। ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য। পোস্টের কিছুটা অংশ এখানে আগে প্রকাশিত হয়েছে।
আমি উদীয়মান লেখক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am a learner. I have some addiction in technology. I love when I use to think about IT. Although people understand me as a fool or something like that. But it is alright to me. I am what I am. And I think I am a good person.
অসাধারণ একটি পোস্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই । পরবর্তী বিস্তারিত পোস্টের তর সইছে না একেবারেই ।