সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব – Expanding Universe

 

আমার টিউন টি আমার বাবার লেখা আর্টিকেল থেকে নেয়া।আশাকরি ভালো লাগবে।

pic

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অধূনা নিশ্চিত করেছেন যেআমাদের মহাবিশ্ব কৃষ্ণশক্তি ও কৃষ্ণপদার্থে ভরপুর। এই কৃষ্ণশক্তির রয়েছে এক রহস্যময় বিকর্ষণী শক্তি। যার ধর্ম মহাকর্ষকে বিকর্ষণ করা; ফলে মহাশূণ্যে প্রবাহমান এই শক্তি মহাজাগতিক বস্তুনিলয়কে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে চারিদিকে। বিষয়টা এমন হতে পারে যে মহাশূণ্যের সকল স্থান জুড়ে রয়েছে এই কৃষ্ণশক্তি,তার মাঝে বুদবুদের ন্যায় যখনই কোন বস্তু সৃষ্টি হচ্ছে আর তার মাঝে জন্মনিচ্ছে মহাকর্ষ শক্তি-যা পদার্থেরই একটা বিশেষ ধর্ম,তখনই বিকর্ষিত হচ্ছে কৃষ্ণ শক্তির বিকর্ষণে। বলা যেতে পারে সমধর্মী শক্তি কিন্তু উৎপন্য হয় ভিন্ন প্রক্রিয়ায়; ফলে তাদের মধ্যে মিশ্রন ঘটেনা কিন্তু একে অপরকে বিকর্ষণ করে। বিজ্ঞান বলছে জাগতিক বস্তুনিলয়ের মধ্যে মহাকর্ষ শক্তিও এক প্রকার রহস্যময় শক্তি যা উৎপন্ন হয় মৌলিক কণা সৃষ্টিকারী তরঙ্গায়িত তন্তু থেকে, যাকে বলা হয় গ্রাভিটোনস্; যা প্রকারান্তরে কৃষ্ণ শক্তি থেকেই উদ্ভূত।আর এই শক্তি বিচ্ছুরণকারী জাগতিক পদার্থের পাশাপাশি অবস্থান করছে কৃষ্ণশক্তি, যার মধ্যেই রয়েছে ঐ মূল বিকর্ষণী ক্ষমতা, ফলে এই উভয়ের পাশাপাশি অবস্থান থেকে তৈরী হয় বিকর্ষণ, যা বস্তুনিলয়কে ক্রমান্বয়ে দূরে ঠেলতে থাকে।এই বিকর্ষণই আন্ত ছায়াপথীয় আকর্ষনকে অতিক্রম করে ছায়াপথগুলিকে ক্রমশঃ দূরে নিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করছেন সম্প্রসারণের এই গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। আবার এই ত্বরণ যে সকল বস্তুর মধ্যে সমভাবে হচ্ছে তাও নয়। এক একটি বস্তু বা বস্তুপুঞ্জের এক এক রকম  ত্বরণ হচ্ছে। ফলে দেখাযাচ্ছে যে ছায়াপথ ছায়াপথে সংঘর্ষ হচ্ছে আবার একই ছায়াপথে বস্থুগুলিরও চলন্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে্‌।এ সবই হচ্ছে অসম ত্বরণের কারণে। আর এই অসম ত্বরণ ঘটার কারণ হতে পারে বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে মধ্যাকর্ষনের প্রাবল্য কমবেশীর কারণে। আবার এই বস্তুগুলোর মধ্যকার দূরত্ব যত বাড়ছে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ ততই্ কমছে আর ত্বরণের প্রাবল্যও বাড়ছে। কিন্তু বিজ্ঞান জানেনা কোত্থেকে এল এই কৃষ্ণ শক্তি,বা এটি কি ধরনের বল, এর ঘণত্বইবা কত।তারপরেও বিজ্ঞান স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় মেনে নিয়েছে এর উপস্থিতি; সেই সাথে মেনে নিচ্ছে মহাবিশ্বের ত্বরাণ্বিত সম্প্রসারণ। মহাবিশ্বের এই সম্প্রসারণের ধারনা মহাবিশ্বে আলোড়ণ তুলেছে, বিজ্ঞানীগন নোবেল পুরস্কারে বিজয়ী হয়েছেন,অথচ এই তথ্য ১৪০০ বছর আগে আরবের এক বেদুইন মরুচারীর মুখে উচ্চারিত হয়েছিল সুমধুর ভাষায় পবিত্র কোরআনের আয়াত রূপে। ১৪০০ বছর পরের বিজ্ঞান যা নিজের তত্ত্ব রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে আজকের দুণিয়াতে। সূরা আয্বারিয়াতের ৪৭ নয় আয়াতে মহান আল্লাহ্ বলছেন.

وَالسَّمَاء بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ

51:47 আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।

ধরে নিলাম ভাষান্তরে শব্দ চয়ণের জটীলতায় ভিন্ন ভাষাভাসিরা বুঝতে সক্ষম হয়নি,কিন্তু আরবী পণ্ডিতগণেরতো বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় আরবী শব্দ لَمُوسِعُونَ এর অর্থ (are) surely (its) Expanders.বা অবশ্যই ইহার সম্প্রসারণকারী; উক্ত শব্দটির অর্থ কোন ক্রমেই ক্ষমতাশালী নয়। এর অর্থ সম্প্রসারণকারী। এ ক্ষেত্রে উক্ত আয়াতের তরজমা হতে পারে ‘আমি এই মহাবিশ্বকে সৃজন করিয়াছি শক্তির দ্বারা, নিশ্চই আমি ইহার সম্প্রসারণকারী। যেহেতু সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া চলমান তাই বলা যায়,‘নিশ্চই আমি উহা সম্প্রসারণ করিতেছি।’ এই পরিস্কার ধারণাটুকু কি বিজ্ঞ কোরআন গবেষক গণের চোখে একবারও ধরা পড়েনি? শুধু কি ধরা পড়েছে ধর্মীয় আদেশ নিশেদের বার্তা নরকের শাস্তি আর স্বর্গের সূখ। সামান্য খেয়ালের অভাবে কতবড় বৈজ্ঞানীক তথ্য পড়ে রইল ভাষার আড়ালে।

আমরা গোলাপ ফুলের পরিস্ফূটণ দেখেছি,দেখেছি কিবাবে পাপড়িগুলো কলি থেকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বাইরেরগুলি,পরে ভিতর থেকে আস্তে আস্তে ছড়াতে থাকে। ঠিক এমনিভাবে মহাবিশ্বের বস্তুপুঞ্জ জন্ম থেকে ছড়িয়ে পড়ছে। বাইরেরগুলো দূর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে পিছনে আসছে ভিতরের গুলো। ছুটে যাচ্ছে নিরন্তর অজানার পানে। মহান আল্লাহ এমনিতর একটা ধারণা দিয়েছেন আর রাহমান সূরার ৩৭ নং আয়াতে

فَإِذَا انشَقَّتِ السَّمَاء فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ

51:37 যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।

فَكَانَتْ, শব্দটিতে  فَ , একটি অব্যয় পদ,যার অর্থ ‘এবং’ আকী অংশটি  كَانَتْ ,একটি পুরাঘটিত একবচনীয় ক্রিয়া যার অর্থ ‘হয়েছে’। وَرْدَةً ,শব্দটি একটি নামপদ এর অর্থ গোলাপ বর্ণ।

[Quran 51.47] And the heaven, We built it with craftsmanship and We are still expanding.

image004

فَإِذَا انشَقَّتِ السَّمَاء فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ

[Quran 55.37] If the heaven ripped and it were a rose like paint…

[55:37] When the sky disintegrates, and turns rose colored like paint- Rashed Khalifa

55:37And when the heaven is split open and becomes rose-colored like oil – Noble Quran-shahi Int.

55:37 যখন আকাশ ফেটে যাবে, অতঃপর তখন তা লাল (চামড়ার) মত রক্ত বর্ণ হয়ে পড়বে।

55:37 যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে –মহউদ্দিন খান

55:37 যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।– ইসলামী কল সেন্টারসূধী পাঠক,লক্ষ্য করুন ৫৫:৩৭ আয়াতের তরজমা গুলো, এমনি রকম আরও অনেক প্রচলিত তরজমা রয়েছে। ইংরেজী তরজমায় বলা হয়েছে,যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে সেদিন গোলাপের বর্ণের মত বরণ ধারন করবে। বাংলা তরজমায় গোলাপ বর্ণের স্থানে রক্ত বর্ণে রঞ্জিত চামরার মত হয়ে যাবে।এবার আমরা আয়াতটির শব্দে শব্দে তরজমা দেখবো,

­ فَإِذَا Ñ তখন যখন, Then when    انشَقَّتِ Ñবিদীর্ণ হয় is split   السَّمَاء Ñআকাশ, the heaven,  فَكَانَتْ Ñএবং ইহা (আকাশ)হয়, and it becomes,    وَرْدَةً Ñগোলাপ বর্ণের, rose-colored  كَالدِّهَانِ Ñ কালচে লের মত,  like murky oil.

শাব্দিক তরজমা থেকে যে ভাবধারা ফুট উঠে তাতে পরিস্কার বুঝা যায় যে,আকাশ যখন বিদীর্ণ হয় তখন তা গোলাপী বর্ণ ধারণ করে যা ধীরে ধীরে হয় কালচে তেলের মত। এখন প্রশ্ন হল এই বিদীর্ণ হওয়া থেকে কি বুঝাচ্ছে? বিদীর্ণ হওয়া বলতে সাধারণতঃ আমরা বুঝি ছেড়া,ফাড়া,চিঢ় ধরা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্বংস হওয়া। তাহলে আকাশ প্রসঙ্গে এ ক্ষেত্রে দু’টি ভাবধার অনুমেয়,একটি হল মহাপ্রলয় আর আরেকটি হল মহাজাগতিক বস্তুনিলয়ের বিচ্ছিন হয়ে পড়া। সৃষ্টির আদিতে এরা ছিল তুলনামূলক কাছাকাছি,সময়ের পরিবর্তনে ক্রমশঃ দূরে সরে যাচ্ছে, যা গুচ্ছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বা বিদীর্ণ হওয়ারই সামিল। তাছাড়া আকাশ বিদীর্ণ হওয়ার আর কোন যোগসূত্র থাকেনা। মহাপ্রলয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আলাদা আলাদা আয়াত রয়েছে,আর এ বিষয়টি ভবিষ্যতের ব্যপার। অপরদিকে আয়াতে বর্ণীত ভাবধারাটির কাল সাধারন বর্তমান,বলাচলে চলতি ঘটনা। এমতাবস্তায় উক্ত আয়াতে বর্ণীত বিষয়টি মহাজাগতিকবস্তু নিলয়ের সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথাই বলা হয়েছে (আল্লাহই জানেন ভাল)। এবার দেখা যাক এ বিষয়ে আকাশের বাস্তবতা নিয়ে বিজ্ঞান ক বলছে?

আমরা জানি যখন কোন আলোর উৎস আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যায় বা কাছে আসে তখন আমাদের দৃষ্টিতে তার বর্ণের পরিবর্তন ঘটে। দূরবর্তী কোন আলোর উৎস যখন আমাদের কাছাকাছি আসে তখন এই বর্ণ পরিবর্তন হয় নীলাভ। আর যখন দূরে সরে যায় তখন হয় লালাভ। দূরত্ব যতই বাড়তে থাকে এই পরিবর্তণ ততই বাড়তে থাকে। একবার ভেবে দেখুন, লালবর্ণ বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে ঠেকবে: অবশ্যই তা কালচে বর্ণ ধারন করবে ও একসময় তা দৃষ্টি থেকে হারিয়ে যাবে। এখানে বাস্তবে কি ঘটে? আলোক উৎসটির রঙ প্রকৃতই পরিবর্তীত হয়না,এটি আমাদের দর্শনানুভূতির পরিবর্তন। প্রকৃতপক্ষে নাক্ষত্রিক আলোর উৎসগুলি নীলাভ,দূরত্বের কারণে তা সাদা হয়ে আসে এবং দূরত্বের ক্রমে তা লাল বর্ণ ও পরে কালচে হয়ে দৃষ্টি থেকে হারিয়ে যায়। আপনারা চাইলে প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় তা পর্যবেক্ষন করতে পারেন।আধুনিক বিজ্ঞান এই বর্ণ পরিবর্তন থেকে কোন তারার দূরত্ব নির্ণয় করে থাকে।

এবার পবিত্র কোরআনের সাথে মিলিয়ে নিন,দয়ময় বলছেন,যখন আকাশ বিদীর্ণ হয় অর্থাৎ সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় নক্ষত্র যখন দূরে সরে যায় তখন তার প্রকৃত রঙের পরিবর্তে তার বিচ্যুত রঙ অর্থাৎ দূরে সরে যাওয়ার কারণে লালাভ দেখতে থাকি এবং তা ক্রমান্বয়ে কালচে বর্ণ ধারণ করে ও এক সময় দৃষ্টি থেকে হারিয়ে যায়। হুবহু আজকের বিজ্ঞানের পরীক্ষা লব্ধ ফলাফল।

সূধী পাঠক,একবারও কি ভাবতে পারেন, যা আজকর বিজ্ঞানের বহু চেষ্টার ফলাফল তা এক অশিক্ষিত মরুচারী মধুর ভাষায় সুরেলা কণ্ঠে ধ্বণিত প্রতিধ্বণিত করে গেছেন।অথচ আমাদের কোরআন গবেষকদের শব্দের বিপাকে পড়ে কি বিষ্ময়কর তথ্যই না কালির অক্ষরে নির্বাক হয়ে আছে! যখন বিজ্ঞান এই রঙের পরিবর্তণ খুঁজে বের করলো ঠিক তখনই আমরাও লাফিয়ে উঠে বললাম এইতো কোরআনেই রয়েছে সে কথা।কি দূর্ভাগ্য আমাদের শুধুমাত্র ভেবে দেখার অভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার যাচ্ছে তাদেরই কাছে যারা একবারে নির্ভুল কোন তথ্য দিতে সক্ষম নয়।

আয়াত ৫১:৪৭ এর প্রচলিত তরজমায় বলা হয়েছে -আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী। And the heaven We constructed with strength, and indeed, We are [its] expander

এখানে আরবী শব্দ এর অর্থ কোনক্রমেই ক্ষমতাশালী নয়, একটা শব্দের অর্থ পরিবর্তীত হয়ে যাওয়ায় যুগের স্রেষ্ট বিজ্ঞানের আবিষ্কার কোরআনের পাতায় মুখথুবরে পড়ে রইল,শুধু তাই নয় বিজ্ঞানের প্রায় সকল আবিস্কারের চিহ্নই রয়েছে কোরআনের পাতায় কালির অক্ষরে,পতিভাত হচ্ছে আমাদের সুরেলা কণ্ঠে প্রতিদিনের মত। মানুষের মুখে মুখে প্রতিধ্বণিত এই বিষ্ময়কর তথ্য শুধুমাত্র একটু ভাবনা চিন্তার জন্যে আজকের বিশ্বসমাজেও উপস্থাপন করা যাচ্ছেনা। কি জবাব দেবেন তারা যাদেরকে দয়াময় পবিত্র কোরআনে ভাবুক সম্প্রদায়ের পরিচয় দিয়েছেন।একটু চিন্তাভাবনা করলেই যেখানে لَمُوسِعُونَ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় সম্প্রসারণকারী সেখানে কেন আমরা বিশ্ব মানবের কাছে বলতে পারলামনা আলোড়ণ কারী এই তথ্য। এ দায় কার? কে দেবে এর জবাব?

__________________________________________________________

চাইলে  ব্লগটি ঘুরে আসতে পারেন।

http://scienceinquran.tk

অথবা,

http://sciencewithquran.wordpress.com

________________________________________

 

আমি ফেসবুক এ ,

https:www.facebook.com/hridoy.khandakar1

Level 0

আমি হৃদয় খন্দকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 60 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

thanks 4 ur tune…