Digitalism/Digitalisation এক দিক থেকে আমাদের জন্য উপকারি, অন্যদিক থেকে খুব বেশি ক্ষতিকর। এর বাস্তব উদাহরণ আমি। পুরোটা পড়লেই বুঝা যাবে।
'শুরু' থেকেই শুরু করছি। সালটা ২০০৭। সবেমাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি। তখন প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাই। NOKIA 7610. ছোটবেলা থেকেই ইলেক্ট্রনিক্স এর ওপর আমার ঝোঁক ছিল বেশি। সাথের বন্ধুদের অনেকের হাতে Symbian OS এর মোবাইল দেখে বাসায় বায়না ধরি আমারও Symbian মোবাইল লাগবে। এখন যেমন Nexus, Galaxy SIII, Lumia 1020 সেটগুলো হাই-এন্ড ফোন, তখন Symbian S60 এর সেটগুলো ছিল হাই-এন্ড। অনেক শর্ত সাপেক্ষে শেষপর্যন্ত মোবাইল হাতে পেয়ে দারুন খুশি!
সেই থেকেই আমার Smartphone নেশার শুরু। সেই যে নেশা শুরু হল আর থামেনি। এখনও চলমান। যখনই দেখতাম নিজেরটার থেকে একটু ভাল মানের সেট আরেক বন্ধু ব্যাবহার করছে তখন সেই মডেল কেনার জন্য নেশা ধরে যেত। এখন অবশ্য বন্ধুদের দেখাদেখি না, বাজারের যে মডেলটি Configuration আর Design এর ভিত্তিতে পছন্দসই সেটিই কেনার জন্য উঠেপড়ে লাগি। না কেনা পর্যন্ত শান্তি মিলেনা। এসএসসি পর্যন্ত 7610 সেটটিই ব্যাবহার করি। অবশ্য পরীক্ষার দুই তিন মাস আগে নিজ থেকেই ফোনের ওপর রাগ করে ওইটা ভেঙে ফেলি। ফোন নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত থাকতাম যে পড়ার কথা ভুলেই যেতাম। ভুলেই যেতাম সামনে আমার পরীক্ষা। Apps Download, Theme download, Peperonity.com এ mobile site বানানো এসব নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে থাকতাম। সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি করি এটা বাসার সবার চোখে খারাপ লাগতো। অনেকসময় দেখা যেতো আম্মা খাওয়ার জন্য ডাকছেন আর আমি মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত আছি তো আছিই। ওদিকে আব্বু টেবিলে বসে সব দেখছেন আর রেগে যাচ্ছেন। তাঁরা হয়তো মনে মনে ভাবতেন মোবাইলে আর কি কাজ? হয়তো কোন মেয়ের সাথে এসএমএস বিনিময় হচ্ছে! এসবের জন্য বকাও খেয়েছি অনেকবার। তবুও আমার তাছির হয়নি। আরেকটা নেশা ছিল Mig33. তখন ফেসবুক অতটা জনপ্রিয় ছিলনা। চ্যাট এর জন্য Mig33 বেশ জনপ্রিয় ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট এ পড়ে থাকতাম। যাই হোক, এসএসসি পরীক্ষার সময় ফোন ছিলনা তাই পরীক্ষাটা ভালভাবেই দেই। কিন্তু আম্মুকে প্রমিস করিয়ে ছাড়ি যে A+ পেলে আমাকে নতুন N73 ফোন কিনে দিতে হবে। হলও তাই। তখন N73 এর দাম ছিল ২৯ হাজার টাকা। শেষপর্যন্ত Second hand একটা দিয়ে শান্ত করেছিলেন আমাকে। সেই N73 দিয়েই তখন ২০০৯ এ প্রথম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলি! N73 এর সাথে ক্ষতিকর আরেকটা জিনিস আমার হাতে চলে আসে! সেটা হল সেটের সাথের স্টেরিও হেডফোন। N73 Music Edition এর সাউন্ড কওয়ালিটি তখনকার সব ফোনের মাঝে সেরা ছিল। হেডফোন দিয়ে গান শুনতে চরম লাগতো। সারা রাতই ফুল ভলিউম দিয়ে গান শুনতাম। কানের ১২টা বাজা হয়তো তখন থেকেই শুরু। আমার আরেকটা অদ্ভুত ভাললাগার জিনিস ছিল চলন্ত গাড়িতে হেডফোন দিয়ে গান শোনা। মাঝে মাঝে বিনা কারনে বাসে উঠে মৌলভীবাজার হয়ে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে হবিগঞ্জ পর্যন্ত চলে যেতাম শুধুমাত্র চলন্ত গাড়িতে গান শুনার ইচ্ছা পূরণ করতে! সেখান থেকে আবার রিটার্ন বাসে সিলেট ফিরতাম। S60v3 এর সেট হওয়ায় সময় কাটানোর অনেক কিছুই ছিল এতে। বন্ধুদের অনেককেই হেল্প করতাম Unsigned App সাইন করতে। opda.cn এ তখন Symbian এর অবৈধ সার্টিফিকেট পাওয়া যেতো।
এমসি কলেজের হোস্টেলে থাকতাম। ছিলাম একদম ফ্রি। কোন কাজে বাঁধা দেওয়ার মত কেউ ছিলনা। যা ইচ্ছা তাই করতাম। পড়াশোনা যতটুকু দরকার ততটুকু করতাম না। একসময় পরীক্ষা আসলো। দুই একটা পরীক্ষা দিয়ে বুঝলাম আমার পড়াশোনার অবস্থা চরম খারাপ। কান্না চলে আসলো, দরজা লাগিয়ে কাঁদলাম। এতোটাই ডিপ্রেশন চলে আসলো যে পরের পরীক্ষাগুলো দিতেই পারলাম না। অবশ্য পড়াশোনা কম হওয়ার পেছনে মোবাইলই একমাত্র কারন ছিলনা। একা কখনো থাকিনি, তাই হোস্টেল লাইফ ভাল্লাগতো না। ঘন ঘন বাড়ি যেতাম তাই স্যার এর বাসায় পড়া মিস যেত। ফাঁক দিয়ে বন্ধুরা এগিয়ে যেত। আমি বুঝতে পারলাম বেশি মোবাইলের নেশা আমার ক্ষতির অন্যতম কারন। তবুও আমার নেশা কাটল না। কম্পিউটার কেনার কথা ভাবতাম না কারন এটাও বুঝতাম যে কম্পিউটার থাকলে ওটার প্রতি ঝুঁকে যাব। একসময় রাগে N73 ও ভাঙলাম। বুঝতাম, জিনিসটা আমার জন্য ক্ষতিকর। কয়েকদিন মোবাইল ছাড়া থেকে আমি যেন হাঁপিয়ে ওঠলাম। এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে কিনে ফেললাম N79. সেটা অনেকদিন ব্যাবহার করলাম। একসময় এটার নেশা কেটে গিয়ে ধরল Touchscreen ফোন কেনার নেশা। N79 বিক্রি করে কিনলাম 5530 Xpress Music. এটা কিছুদিন ইউস করে ভাল্লাগেনি কারন ওতে ছিল Resistive Touch. ওটা বিক্রি করে কিনলাম N82. মনে ধরল X6 এর নেশা। 5530 এর সব সুবিধা সহ এতে বাড়তি ছিল Capacitive Touch Screen, Gorilla Glass, 16GB Built in Memory আর 5MP Camera. এই সেট ইউস করলাম এইচ.এস.সি পরীক্ষা পর্যন্ত। এর মধ্যেই যা ঘটার ঘটে গেছে। আমার পড়াশোনার চরম ক্ষতি হয়ে গেছে ফলস্বরূপ পরীক্ষাও ভাল হয়নি। Result বের হল। কোন পরীক্ষার Result এর দিন এই প্রথম আমি কাঁদলাম। অনেক স্বপ্নই ভেঙে গেছিলো তখন। এর পর থেকেই পড়াশোনা থেকে অনেক দূরে সরে যাই, বন্ধুরা ভার্সিটি আর মেডিকেলের ভর্তির জন্য দিন রাত পড়তো আর আমি ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়াতাম। জানতাম, যতই পড়ি এই Result নিয়ে ভাল করা অনেক কঠিন।
এতকিছুর পরেও আমার নেশা আর থামল না। Symbian শেষ করে Android এর দিকে নজর পড়লো। বিশেষ করে Galaxy Ace চরম ভাললাগলো। কিনলাম একসময়। এসব করে করে অনেক টাকাও আজাইরা খরচ করেছি। মাঝে মাঝে ভাবতাম দামি সেট আর ইউজ করব না। কিন্তু অন্যের হাতে দেখলে নিজের ইচ্ছা দমিয়ে রাখতে পারতাম না। এইতো সেদিন Ace বিক্রি করে আরও টাকা Add করে কিনলাম Galaxy SII. আমার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হল দেশের বাইরে থেকে সেট পাঠাবার মত তেমন কেউ আমার নেই । যা কেনার হাতের টাকা খরচ করেই কিনতে হত। আম্মাকে জ্বালিয়েছিও বেশ। এখনও এই নেশা আমার কাটেনি। আজ খবর পেলাম Nokia নাকি Android বানাচ্ছে। একদিন হয়তো Nokia Android কেনার নেশা চড়ে বসবে মাথায়। লেখায় যে যে মোবাইলের কথা লিখেছি শুধু যে সেগুলোই ইউজ করেছি তা নয়। আমার হিসেব অনুযায়ী অন্তত ৪০-৪৫ টা মোবাইল ইউজ করেছি আমি। আর হ্যাঁ, এই নেশা যে শুধু আমার একার আছে তা না। দেশের এবং দেশের বাইরের হাজার হাজার তরুনের এই নেশা আছে। কারো কারো ক্ষেত্রে সেটা আমার থেকেও অনেক অনেক গুন বেশি।
এতক্ষণ তো গেল মোবাইল এর কথা। এখন কম্পিউটার এর কথায় আসি। HSC দেওয়ার পরপর Laptop কিনি। তখন কম্পিউটার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করায় কম্পিউটার এর ইউজ শিখতেও বেশিদিন লাগেনি। এই বস্তুটা আগে ব্যাবহার করিনি তাই এর মর্মও বুঝিনি। ক্রমেই আমার Smartphone এর নেশা ধিরে ধিরে কনভার্ট হয়ে কম্পিউটার এর দিকে মোড় নিতে লাগলো। তখন অতটা বুঝতাম না এই যন্ত্রগুলো আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। মানুষ দিনদিন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। রিয়ালিটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক আর ইন্টারনেট মুখি। আল্লাহর দুনিয়ার রুপ-রস, অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি এসব আর মানুষের ভাল্লাগেনা। ভাল্লাগে কৃত্রিমতার দেয়ালে ঘেরা ফেসবুকের দুনিয়া আর Touchscreen এ ঘেরা মায়াজাল। মাঝে মাঝে খুব বেশি অবাক লাগে যখন দেখি সিলেটী মেয়ে বা ছেলে ঢাকাইয়া ঘুঁটটি কিমবা ময়মনসিংহ এর ভাষায় স্ট্যাটাস আপডেট করে! বাংলা ভাষার বারোটা বেজে যাচ্ছে এই ফেসবুক এর মাধ্যমে। অনেক কম ছেলে মেয়ে দেখেছি যারা শুদ্ধ বাংলায় স্ট্যাটাস দেয়। বেশ কয়েকটা আঞ্চলিক ভাষা মিলে একটা মিশ্র ভাষা তৈরি হয়েছে যেটা তরুন সমাজে আজ বহুল প্রচলিত। 'ওই মামা কস কি? ওয় অইদিক দিয়া কই যায়? যামুগা মামা' এই টাইপ এর ভাষা। যাই হোক, ভাষাটা যদিও যার যার নিজস্ব ব্যাপার তবুও এটা বলবো যে, শুদ্ধ বাংলা অনেকাংশেই বিকৃত হচ্ছে ফেসবুক এর মাধ্যমে। কেউ কেউ আবার ফেসবুক এ সেলিব্রিটি বনে যাচ্ছে! সেদিন এক ছোট বোন চ্যাট এ বলল, " ভাইয়া, অমুক আপু আমাকে Accept করেছে!" আমি বললাম উনি কে? সে অবাক হয়ে জবাব দিল ভাইয়া তুমি উনাকে চেননা??? বুঝতে পারলাম সে আসলে ফেসবুক এর সেলিব্রিটি! তার মানে দাঁড়াচ্ছে মানুষ বাস্তবতা ভুলে গিয়ে অনলাইনে তাদের জগত তৈরি করছে। ফেসবুক এর ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এখন বুঝতে না পারলেও খুব শিঘ্রই হয়ত আমাদের চোখের সামনে এই অনলাইন নির্ভরশীলতার ক্ষতিকর দিকগুলো স্পষ্ট হয়ে ধরা দেবে। যা বলছিলাম, দিনে দিনে কম্পিউটার এর নেশা আমাকে জেঁকে ধরল। এখন Laptop ছাড়া একটা সপ্তাহ ভাবতেই পারিনা। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ছি। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা Laptop এর সামনে থাকি, কাজের কাজ কিছুই করিনা। যে দুইটা কাজ খুব বেশি করি, হয় ফেসবুক এ পড়ে থাকি অথবা মুভি দেখি। রাত জেগে মুভি দেখাটা আমার আরেকটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতের বেলা লাইট অফ করে কানে হেডফোন লাগিয়ে মুভি দেখার মজাটাই আলাদা। যত মজা তত সাজা! এখন ধিরে ধিরে সাজা টের পাচ্ছি! চোখের ভেতরে খুঁচায়, চোখের নিচে গর্ত হয়ে গেছে, রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। আরও অনেক সমস্যায় ভুগছি। স্বাস্থ্য দিনদিন ভেঙে যাচ্ছে, হেডফোন এ গান শোনা এবং মুভি দেখার ফলে কানে অল্প ব্যাথা হয়, ফোনে কথা বললে মাথার এক পাশে মৃদু ব্যাথা হয়। রাতে ঘুম হয়না বলে মাথা ফ্রেশ থাকেনা। ফলে পড়ায় মনোযোগ আসেনা, মাথায় চাপ থাকে, ঘাড় ব্যাথা করে। খাওয়ায় রুচি আমার অনেক দিন ধরেই নেই! তারপরেও Laptop এর সামনে বসে থাকতে ইচ্ছা করে! কেমন আজব এই মায়াজাল! আমার মত হাজার হাজার মানুষ এই ক্ষতির শিকার। দেশের অনেক তরুনই আমার মত রাতজাগা জীবন যাপন করে।
আগে যে বাসায় থাকতাম তার ছাদে এয়ারটেল এর টাওয়ার ছিল ঠিক আমার রুমের উপরে। এক মামা বকাঝকা করে আমাদের বাসা বদলানোর ব্যাবস্থা করেছেন। তখন বুঝতে পারিনি টাওয়ার আসলেই ক্ষতিকর। সম্প্রতি শুনতে পেলাম ওই বাসার মালিকের আট বছরের ছেলে মাঝে মাঝেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়। ডাক্তার বলছে টাওয়ার এর বিকিরনের কারনে এটি হতে পারে। সূর্যের আলো আমাদের জন্য উপকারি। আর কৃত্রিম আলো আমাদের অনেক অনেক ক্ষতিকর। আমাদের চারপাশেই তো আলো আর আলো। কৃত্রিম আলো। অফিসে সারা দিন বাল্ব জ্বলে, ঘরেও রাতের বেলা বাল্ব জ্বলে। কম্পিউটার, স্মার্টফোনের মনিটরেও আলো! কৃত্রিম আলো। চোখের বারোটা তো বাজবেই। সবচেয়ে কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে এসব ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি আমাদের জন্য জরুরি, কিন্তু ক্ষতিকর। এগুলো ছাড়া আমরা চলতে পারিনা, আসলে কৃত্রিম সবকিছুই ক্ষতিকর। কেউ কৃত্রিম এমন একটা জিনিষের কথা বলতে পারবেন যেটা আমাদের নিজেদের এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর না ? সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে প্রকৃতির মধ্য দিয়ে যা যা দিয়েছেন সবই আমাদের জন্য, সবই আমাদের উপকারের জন্য। মানবজাতি সৃষ্টির সময়ই তিনি বলেছেন মানবজাতি সৃষ্টির সেরা জাতি, সমগ্র সৃষ্টি তাঁদের উপকারের জন্য। আর আমরা! সৃষ্টিকর্তার ওপর বাড়াবাড়ি করে তৈরি করছি নিত্যনতুন পণ্য, নিজেদেরকে সেরা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে গেছি! আমরা অনেকেই ভাবিনা, যা আমাদের দ্বারা পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে, যেটা আমরা আমদের চলার সুবিধার্থে তৈরি করছি সেটাই আমাদেরকে ধংসের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে! Paul Walker এর মৃত্যু হয়তো সেটারই ইঙ্গিত দিয়ে গেল। যা তাঁকে পৃথিবীতে বিখ্যাত করেছিল সেটাই তাঁকে পৃথিবী থেকে নিয়ে গেল।
আমি শান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 62 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টিটি তে মজা পাইতেছি !! My Facebook: http://www.facebook.com/shawonsona
kharap lagolo pore…. 🙁