বায়োমেট্রিক মানে হল জৈবপদ্ধতি। বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে মানুষের শারীরিক কোন বিশেষ বৈশিষ্টকে নিরাপত্তা পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে অবশ্যই সেই বৈশিষ্টি প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা হবে মানে ইউনিক হতে হবে। যেমন আঙ্গুলের ছাপ , চোখের রেটিনা, আইরিস, ডিএনএ ইত্যাদি। এই ইউনিক তথ্যগুলো একটি ডাটাবেস এ জমা থাকে। প্রয়োজনের সময় সিস্টেম ঐ ডাটাবেস থেকে দরকারী তথ্যটি (বৈশিষ্ট) সংগ্রহ করে নেয়। উহো বলতে ভুলে গেছি যে বায়োমেট্রিক ডাটা সিস্টেম আর বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট মিলে তৈরি করে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি সিস্টেম। বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি সিস্টেম দিয়ে কোন কিছু লক (তালা বদ্ধ) করে রাখা হয় আর বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট সেই লকের চাবি হিসেবে কাজ করে।
বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট বাছাই করার জন্যে আপনাকে সাতটি বেসিক ক্রাইটেরিয়া (ক্রাইটেরিয়ার সঠিক বাংলা এখন স্মরণ করতে পারছি না। :P) অনুসরণ করতে হবে। এগুলো হলঃ একক বৈশিষ্ট (ইউনিকনেস), সার্বজনিনতা, স্থায়িত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, কার্যক্ষমতা, সংগ্রহযোগ্যতা এবং সর্বশেষ হলো ধোঁকা। সবগুলো বুজতে পারলেও নিশ্চয় শেষেরটি আপনাদেরকে একটু সন্দেহে ফেলে দিয়েছে তাই না। উল্লেখিত বৈশিষ্টগুলোর ব্যর্থতা যাচাই করাই হল এর কাজ ।
সধারনত নিম্নলিখিত বায়োমেট্রিক বৈশিষ্টগুলো ব্যবহার করা হয় ঃ
মুখের অভয়ব ঃ- বায়োমেট্রিক সিস্টেমে প্রকৃত লোককে বাছাই করার সবচেয়ে সহজ বৈশিষ্ট হল মানুষের মুখ ব্যবহার করা। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট মানুষের মুখের গঠন ডাটাবেস এ সেভ করে রাখা হয় ভবিষ্যতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। এটা মুখের পুরো গঠন যেমন চোখের সাইজ,চোখদ্বয়ের দূরত্ব, চোয়ালের অবস্থান, নাকের প্রস্থ, কান ইত্যাদি ধারন করে রাখে। এই পদ্ধতিটি জনপ্রিয় কারন এর জন্যে মানুষকে কোন ডিভাইসের স্পর্শে আসতে হয় না। শুধু মাত্র ক্যামেরা স্ক্যানই যথেষ্ট। কম্পিউটারের সিস্টেম ইউজার আইডি খুলতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিটির একটা নেগেটিভ দিক রয়েছে , বয়স বাড়ায় সাথে সাথে মানুষের মুখের অভয়ব পরিবর্তন ঘটে।
আঙ্গুলের ছাপঃ বর্তমানে ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি যথেষ্ট নিরাপদও বটে।আপনার হাতের আঙ্গুলের ছাপ কোন দিন পরিবর্তন হবে না। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে সবার ইউনিক ছাপ !! এই পদ্ধতিতে হাতের আঙ্গুলের উপরের খাঁজের ধরন, দুটি খাঁজের মাঝখানের গর্ত ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। আর হাতের ছাপ পড়ার জন্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার নামে একটা ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।
হাতের আকারঃ বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি হিসেবে মানুষের হাতের আকারও ব্যবহৃত হতে পারে। এখানে হাতের হাড়ের আকার নেওয়া হয়।
রেটিনা স্ক্যান ঃ এই পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত হয়। লাইফ টাইম মানুষের রেটিনা একরকম থাকে। এর জন্যে আপনাকে একটি আলাদা ডিভাইস ব্যবহৃত করতে হবে। যদিও নামটি জানা নাই। L
আইরিস স্ক্যানঃ এটি হচ্ছে সবচেয়ে সঠিক একটি পদ্ধতি। যদিও আপনাকে একটি আলাদা ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। এটি ব্যয়বহুলও বটে। তবে সহজেই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।শারীরিক কোন স্পর্শ এর দরকার হয় না। যদি আপনি চোখের আপারেশনও করেন তাহলে এটা চেঞ্জ হবে না !!
শিরা ঃ এই পদ্ধতিতে কারো হাতের শিরার অবস্থান লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। আপনাকে অবশ্যই একটি আলাদা যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে এই উদ্দেশ্যে। এটা অনেকটা একটি নিরাপদ পদ্ধতি।
কণ্ঠস্বর ঃ কণ্ঠস্বরের ধরন আর উচ্চারন বায়োমেট্রিক সিকিউরিটিতে ব্যবহৃত হয়। আপনি যতই কারো কণ্ঠস্বর নকলের চেষ্টা করেন না কেন পুরুপুরি কোন দিনই মিলাতে পারবেন না। এই ইউনিক জিনিসটি ব্যবহার করা হয় বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি ব্যবস্থায়।
সবশেষে বলা , গতপরশুদিন কোন এক জায়গায় পড়তে গিয়ে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি নামক শব্দটি পাই। বাংলায় গুগল মামারে জিজ্ঞেস করলে , মামা আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারে নি । তাই বেশ একটা সময় নিয়ে গুগল মামার সাথে পড়ে রইলাম, অবশেষে আমি যতটুকু বুজেছি তার কিছুটা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিছু কিছু জানা ছিল আর কিছু ছিল অজানা।
আমি মানজুরুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এখনও লিখা হই নাই। ফেসবুকে আমাকে পেতে ক্লিক করুন। :D
eto sundor kisu tother jonno dhonnobad