কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-১৯] :: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির রহস্যটা কি?

আসসালামুআলাইকুম শুভেচ্ছা সবাইকে 🙂 ।সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আশা করি।

কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-১৯] :: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির রহস্যটা কি?

ঐতিহাসিক পটভূমি-

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলে অবগত। যা স্কুলে গৎবাধাঁ একটা গল্পের মতো – নিউটন বাবাজী কোন এক কারনে আপেল গাছের নিচে বসে ধ্যান করছিলেন হটাৎ টুপ করে উপর থেকে আপেল ঝড়ে পড়লো, সে সাথে উনি ধ্যান ভঙ্গ  করে ভাবতে বসে গেলেন ফলটি উপরে কেন উঠে গেলনা? নিচে পড়ে গেল ব্যাপারটা কি? সাধারন মানুষ হলে তো সেটা নিয়ে ভ্রুক্ষেপ করতো না কিন্তু নিউটন বলে কথা, আমাদের মতো উনার মগজ হাটুঁতে না …তো সর্বশেষে উনি যোগ-বিয়োগ করে একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হলেন যে পৃথিবীর একটা নিম্নমুখী বল রয়েছে , পরবর্তীতে সেটা মধ্যাকর্ষন শক্তি নামে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই জানিনা কি কারনে এমনটি ঘটে উপর থেকে কোন বস্তু ছেড়ে দিলে কেন নিচে নেমে আসে সেটা উপরে যায়না কেন? প্রত্যেকেই জানতে চায় কোন জিনিসে আকর্ষণ সৃষ্টি করে? এই আকর্ষণের কারণ কি? মূল কোথায়?

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-

Geologist- গন একটি গবেষনায় প্রমান করেছেন যে পৃথিবীর অভ্যন্তরে রয়েছে অত্যধিক ভারী  বস্তুতে পরিপূর্ন যেমন নিকেল, লৌহ, হীরা আর অনেক ধরনের যৌগিক ওজনদার বস্তু। গবেষণার মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন যে আকর্ষণ বল অতীব শক্তিশালী হবার অন্যতম কারন হলো পৃথীবির আভ্যন্তরীক বস্তুগুলো ওজন । ওজন  যত ভারী হবে আর্কষন ক্ষমতা ততোধিক শক্তিশালী ও প্রবলতর হবে। তাদের গবেষনালব্ধ ফলাফল আমাদের বলে- আমরা যত মাটির নিচে নামছি ওজন তত বাড়ছে, বর্তমানে অতি কঠিন সব টেকনোলজী আমাদের নাগালে দিন দিন সহজলভ্য ও খোলসা হয়ে আসছে।  সম্প্রতি বিজ্ঞানীগন পৃথিবীর গভীরে (বলা যায় মাঝামাঝি পযার্য়ে ) এক ধরনের ভারী তরল পদার্থ পেয়েছেন যা সেখানে অবিরত পাক খেয়ে স্থান পরিবর্তন করে চলছে।  অভ্যন্তরে তার এই চলাচলটা একটা পথে পরিণত হয়েছে, যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় Magnetic running root অথবা চুম্বকপথ (মাটির উপরস্থিত হতে প্রায় কয়েক হাজার নিম্নে যার বসবাস) ।

 

সমস্ত প্রশংসার দাবীদার- সৃষ্টিকরতা যিনি   অত্যাশ্চর্য সিষ্টেম সৃষ্টি করেছেন-

আল্লাহপাক এ Magnetic- কে এমন পর্যায়ে ক্ষমতা দিয়েছেন যে আমাদের বায়ুমন্ডলের উপরে Van Aleen Belt (আগে আলোচনা হয়েছে)- কে কয়েক হাজার মাইল দুর হতে কন্ট্রোল করে । অথাৎ মাটির সুগভীর নীচ হতে আকাশের বহু উপরে (পৃথিবীর চারিদিক) অতীব শক্তিশালী এক চুম্বক কক্ষেত্রে সৃষ্টি করে। যেমন ঠিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে রক্ষাকারী ঢালের মতো যা ব্যতীত একজন যোদ্ধা যেমন বর্ম বা ঢাল বা protection shield ব্যতিত অসহায় । ঠিক আমাদের এ পৃথিবী অভ্যন্তরভাগ হতে সৃষ্টি চুম্বক ক্ষেত্রের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল কারন এ protection shield দিয়ে সে মহাশূন্য হতে আসা বিভিন্ন ভয়ঙ্কর ও অচিন্তনীয় যা আমরা বেশিরভাগ মানুষ ভাবতে পারিনা বা জানিনা এমন আক্রমন প্রতিহত করে চলছে।

 

হাতি ও  চিপস-

Ozon Layer- কর্ম পদ্বতি কিন্তু আভ্যন্তরীন বলয়েরই এক অনুরুপ  , এর ক্ষমতা আমরা বায়ুমন্ডলের শেষ সীমানায় পর্যন্ত দেখতে পাই (প্রায় 50-100 কিমি পর্যন্ত)। একটা হাতিকে যদি চিপসের উপর হাটতে বলা হয় তাহলে চিপসের যে করুন পরিনতি হবে ঠিক তেমনি Magnetic root অথবা চুম্বকপথ ছাড়া আমাদের অবস্থা হবে আরো শোচনীয় । উদাহরন স্বরুপ বলা যায় আমরা অনেকে সৌর ঝড়ের নাম শুনেছি, আসলে সৌর ঝড়ের প্রভাব কি পৃথিবীর মতো সাধারন কোন ঝড়ের ন্যায় ?….না তা নয় এমনটা ভাবলে ভূল হবে। একটা ছোটখাট সৌর ঝড় যদি আমাদের পৃথিবীর উপর দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বয়ে যায় আমাদের এ সাধের পৃথিবী হবে স্রেফ উনুনের জলন্ত কয়লার মতো। একটা মানুষ তো দুরের কথা ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে কিনা Geologist- গন সন্দেহ পোষন করেন।  প্রশ্ন হলো  যে Magnetic root পৃথীবীর অভ্যন্তরে থেকেও আকাশের সুউচ্চ সীমানায় যার চুম্বকের শক্তিশালী এক বলয় কাজ করে যাচ্ছে অদৃশ্য কারো আদেশে? কেউ যেন এই perfect  সিষ্টেমের কলকাঠি নাড়ছে। আর এই হচ্ছে ম্যাগ্নেটিস যা প্রত্যেক বস্ত্তকে টেনে নেয় বা আকর্ষণ করে। তারা আরও বর্ণনা করেছে যে  এই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকার কারণেই মানুষ পৃথিবীর উপর চলাফেরা করতে পারছে, বৃষ্টির পানি নিচে মাটিতে আসে, গাছের ফল জমিনে পড়ে, বাতাস পৃথিবীর সাথে লেগে থাকে। শুধু তাই নয় পৃথিবী হতে কোন বস্ত্তর দুরত্ব যতই বাড়তে থাকে ততই তার ওজন কমতে থাকে। আর যদি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা না করতেন তবে পৃথিবীর সব কিছু মহাশূন্যে হারিয়ে যেত, তা আর পাওয়া যেত না।

 

কুরআন কি আয়াত নির্দেশিত করছে?-

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

إذا زلزة الأرض زلزالها وأخرجة الأرض أثقالها ( سورة الزلزلة

( 1 )   যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,

( 2 )   যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।

( 3 )   এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ?

(সূরা যিলযাল ১-৩)  (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

এই আয়াত দুইটির ব্যাখ্যায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সেমিনারে মুসলিমদের সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন আমেরিকার অধিবাসী  John Satiklaz। তিনি বলেন:

পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভারী বোঝা রয়েছে। আর এই বোঝাগুলো অনতিবিলম্বে বেরিয়ে আসবে ও মধ্যাকর্ষন শক্তি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যখন সেগুলো বের হয়ে আসবে তখন অবস্থা কি হবে? আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলছেন:

وإذا الأرض مدت وألقت ما فيها وتخلت (سورة الإنشقاق

( ৩ )   এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে।

( ৪ )   এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।

(সূরা ইনসিকাক ৩-৪)  (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

 

ডা. হেমায়েত তাঁর গুরুত্বপূর্ন সমালোচনা-

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থাকবে না যখন গর্ভস্থিত সবকিছু  বের হয়ে যাবে , তখন আর তার এই মহা বিশ্বের সুন্দর আইন শৃঙ্খলা ও নিয়ম নীতি আর থাকবে না। এ সব কিছুই হবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে। ডা. হেমায়েত স্বীয় কিতাবে আরও বর্ণনা করেছেন: পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান না থাকলে অথবা কম হলে জলীয় বাষ্প উপরের দিকে চলেই যেত। আবার উপরে ঠান্ডা বাতাস জলীয় বাষ্পকে ঘনীভূত করতে না পারলে জলকণা তৈরি হত না। ফলে বৃষ্টিও হত না। তাহলে একদিন পৃথিবীর সব পানিই বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াত। আর ফিরে আসত না। ফলে পৃথিবীতে কোন পানিই খুঁজে পাওয়া যেত না। যার ফলে নিঃশেষ হয়ে যেত জীবনের অস্তিত্ব। তিনি আরও বলেন: পৃথিবী যদি চাঁদের মত ছোট অর্থাৎ বর্তমান আয়তনের চারভাগের একভাগ হত তবে এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হত বর্তমানে যা আছে তার ৬ ভাগের ১ ভাগ। তাহলে সূর্যের তাপে পানি বাষ্প হয়ে উপরের দিকে চলে গেলে আর ফিরে আসত না কোনদিন। মাধ্যাকর্ষণ কম হওয়ার কারণে চলে যেত তো চলেই যেত। ফলে দ্রুত শেষ হয়ে যেত পৃথিবীর সমুদয় পানি। আল্লাহ বলেন-

023.018 وَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ فَأَسْكَنَّاهُ فِي الأرْضِ وَإِنَّا عَلَى ذَهَابٍ بِهِ لَقَادِرُونَ

 ‘এবং আমি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; অতঃপর আমি উহা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি; আমি উহাকে অপসারিত করিতেও সক্ষম।’ (সূরা মুমিনূন ২৩: আয়াত ১৮)

 

চাঁদ সবসময় পৃথিবীর দিকে একদিক মুখ করে ঘুরে। চাঁদের মত পৃথিবীও যদি সূর্যের দিকে একদিকে হত তাহলে সেই দিক হতো তীব্র শীত, যার কারণে পানি বরফ হয়ে যেত আর অন্যদিকে প্রখর গরমের জন্য পানি বাষ্পীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকত।অতি গরম ও অতি শীত কোন অবস্থায়ই পানি পাওয়া সম্ভব হত না।

পৃথিবী যদি সূর্যের সমান বড় হত তবে এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হত বর্তমানের ১৫০ গুণ। যার কারণে বায়ুমন্ডলের উচ্চতা ৪ মাইলের চেয়েও কমে যেত। তাহলে পানি আর বাষ্পীভবন হত না। সারা পৃথিবী ডুবে যেত পানিতে।

সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যদি বর্তমানের দ্বিগুণ হত তাহলে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর তাপ কমে গিয়ে দাঁড়াত বর্তমানের ৪ ভাগের ১ ভাগে। তদুপরি কক্ষপথ বৃদ্ধির কারণেও শীতকালের পরিমাণ হত বর্তমানের চার গুণ। কাজেই সারা পৃথিবীর পানি বরফে পরিণত হয়ে যেত। এমনকি গ্রীষ্মকালেও মুক্ত পানি পাওয়া যেত না। তীব্র শীত ও মুক্ত পানির অভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত অতি সহজেই।

আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্য।

একটি উদ্যেগ আহবান:

আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। ইনশাআল্লাহ প্রথমে আমরা সহিহ বুখারীর হাদিস নিয়ে কাজ শুরু করবো। chm ফরমেটে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু প্রায় 5000 হাদিস নিয়ে সহিহ বুখারী এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(Degital Bangla Hadith team)। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান এ টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ-

1)যারা অংশ নেবেন Software Contribution- এ তাদের নাম ও প্রোফাইল লিংক থাকবে।

2) প্রত্যেককে pdf formate-এ হাদিস দেয়া হবে। সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।(সময় খুব বেশি হলে মাত্র তিন ঘন্টার একটা কাজ)

3) পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-এ টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়।

4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।

আশা করি আপনারা এ মহান কাজে অংশ গ্রহন করবেন।কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে DBHT সদস্য হয়ে যান। পিডিএফ হাদিসের জন্য যোগাযোগ করুন।

বিঃদ্রঃ:- কারও কাছে হাদিস সফট কপি থাকলে অনুরোধ থাকবে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।

শাহরিয়ার আজম

B.Sc.IT (S. M University,India),/ M.A & Ph.D (Paris University, France), DEW, Belgium

মেইল এড্রেস-  [email protected]

Mob-01714351057

DBHT-(Degital Bangla Hadith team)

http://www.facebook.com/pages/DBHT/603417713008497

http://www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931

http://muslim.zohosites.com/          http://www.quranic-science.blogspot.com

Level 0

আমি Sharear Azam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 365 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

thanks for very nice tunes

সত্যি ভাই আপনার জবাব নেই……… চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ

সত্যি ভাই আপনার জবাব নেই……… চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ

Level 0

অসাধারন । ইন্টারনটে যেমন একদিকে রাজত্ব করছে অইসলামিক , অশোভনীয় ,পর্ন সাইটগুলো । তাদের অনেক ভিজিটর। মানুষ সাময়িক সুখানুভুতির জন্য কীটের মত ঝাপ দিচ্ছে । তেমনি আপনাদের মত অসাধারন ব্যক্তিদের জন্য আমরা দিকভুলো মানুষগুলো খুজে পাচ্ছি এই অসাধারন টউনগুলো । ভাই বেহেস্তের সুখানুভুতির লোভ দেখিয়ে মানুষকে হেদায়েতের দিকে টানা কতটা যায় তা আমার মস্তিষ্কে আসেনা ।সবাইকে ঐ একই স্টাইলে দাওয়াত দিলে কতটা স্বার্থকতা আসবে তা আমার কাছে স্পষ্ট নয় ।অন্তত আমার ক্ষেত্রে আমি বলব হুরদের লোভে আমার নামাজ পড়তে ইচ্ছা করেনা । অথচ আপনার আর্টিকেল গুলো পড়ে হৃদয়ের গতিটাই যেন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে

Level 0

ভাই লিখুন লিখতেই থাকুন । আমরা যারা বাংলাভাষা ভাষী আছি তারা ত এভাবে ইসলামকে জানার সুযোগ পাইনি । এভাবে কোরআনকে জানার সুযোগ পাইনি। আর যারা কোরআনের হাফেজ মাওলানা তারা ত এসব বলেনা । হৃদয় অতৃপ্তই থেকে যায় তাদের কথা শুনে । তারা শুধু গদবাধা বুলি আওরায়ে সবাইকে দাওয়াত দিয়ে চলে । ভাই লিখুন লিখতেই থাকুন ।

Level 0

sumon70 ভাই এর সাথে আমি ও একমত হয়ে বলছি,আমরা আসলেই পবিত্র কোরআন মাজিদ এভাবে বুঝে বলতে কাউকে দেখি না। বরং আমাদের দেশে যারা ইসলাম প্রচারের কাজ করছেন তারা শুধু পরকালের কথা বা জান্নাতের লোভ দেখিয়ে ইসলামের দাওয়াত দেয় যা এই আধুনিক যুগের বিজ্ঞান মনষ্কা মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়। আপনার মত আমাদের মত আরো অনেককে এগিয়ে আসতে হবে।

    @<a href="#comment-3@Udoy:

    লেখক এখানে বুঝালেন টা কি ? উনি তো রীতিমতো গোজামিল দিয়ে গেছেন। কোরানের আয়াতগুলো ভাল করে পড়ুন আর দেখুন তো তার সাথে লেখকের বর্ণনার সত্যিকারে কোন মিল আছে কি না । আয়াতগুলোতে ভূমিকম্প, আগ্লেয়গিরির অগ্নুৎপাত, বৃষ্টিপাতের কথা বলছে সরল ভাবে। এসব তো মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে দেখে আসছে। উক্ত আয়াতগুলো ঠিক সেই ঘটনাগুলোর কথাই বলছে- এর থেকে মাধ্যাকর্ষন শক্তির রহস্য বের হলো কোথা থেকে ? লেখক পৃথিবীর বায়ূমন্ডল ও আভ্যন্তরীন গঠনের যে বিবরন দিয়েছেন সেসব কি কোনভাবে উক্ত আয়াতগুলো পড়ে বের করা যায় ? আধুনিক কালে বিজ্ঞানীরা সেসব আবিস্কার করেছে বলেই লেখক সেসব বর্ণনা করেছেন। তারা আবিষ্কার না করলে তো শুধুমাত্র কোরানের উক্ত আয়াত সমূহ পড়ে এসব বর্ণনা করা যেত ? সুতরাং লেখক কোরান বুঝিয়ে বললেন কোথায়? উনি তো রীতিমতো গোজামিল দিয়ে যা খুশী তাই বলে কোরানকে যেন তেনভাবে বিজ্ঞানময় প্রমান করতে গিয়ে প্রকারান্তরে কোরানকে হাস্যকর করে তুলেছেন।

      Level 0

      @Truthseeker: বুঝিলেনাতো 🙂 কি করে বুঝবেন Anti-Islamic environment-এ বসে ফুরুত ফুরুত চা খাইলে ‍কি বুঝবেন? হুনেন…ম্যাগনেটিক, আকরিক ডায়মন্ড নিকেল (এসবের নাম হুনছেন?) এসব যখন দিুনিয়ার অন্দর মহল হইতে বাইর হইয়া যাইব তখন আপনে ওজন স্তররে রিকোয়েষ্ট করলেও তো আপনার লাইগ্যা বান্দর ঝুলান দিবো না সাড়া দুনিয়ার ইষ্ট্রাকচার ভাইঙাগা পড়বো। আমি চিন্তা করি দোযখের অবিস্বাসী ওয়ালানো চেহারাডা হইব দেখবার মতো। কান খুইল্যা হুনেন আল্লা কি কয়-
      (6) যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।
      ( 7 ) যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে।
      ( 8 ) ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করবে। তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আগমন করেনি?
      ( 9 ) তারা বলবেঃ হ্যাঁ আমাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করেছিল, অতঃপর আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ তা’আলা কোন কিছু নাজিল করেননি। তোমরা মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ।
      ( 10 ) তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না।
      ( 11 ) অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। জাহান্নামীরা দূর হোক।
      ( 12 ) নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।

        @rushan:

        আপনি মনে হয় দোজখে ঘুরে এসেছেন। আর তাই এত ভীত হয়ে পড়েছেন । জানেন আল্লাহ আমার কাছে ওহী পাঠিয়েছে , সেটা নিম্নরূপ-

        আমি মানুষকে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছি। তাদের একটা সুপার কম্পিউটারের চাইতেও বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী মস্তিষ্ক দিয়েছি যাতে তারা প্রকৃতি রাজ্যের সব রহস্য অনুসন্ধান পূর্বক বুঝতে পারে। যেন অন্ধভাবে কোন কিছু বিশ্বাস না করে। যারাই তার জ্ঞান বুদ্ধি প্রয়োগ না করে শুধুমাত্র অন্ধভাবে সব কিছু বিশ্বাস করবে তাদেরকে আমি দোজখে অনন্তকাল পোড়াব, কারন তারা আমার দেয়া নেয়ামত ব্যবহার না করে প্রকারান্তরে আমাকেই অপমান করেছে। আমি এ অপমানের কঠিন প্রতিশোধ নেব।

        তাই ভাই , একটা সুপার কম্পিউটারের চাইতেও শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান মস্তিষ্ক থাকতেও অন্ধ বিশ্বাসী না হওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।

আপনি মানুষকে ভ্রান্ত পথে নিচ্ছেন কেনো?
আপনি বিজ্ঞানের কতটুকু জানেন আপনার কথা থেকে বুঝা যায়।

টিটিতো ধর্ম প্রচার করার যায়গা না। এটা তো সাম্প্রদায়িক স্থান না। আপনার বেশির ভাগ কথার সাথে বিজ্ঞানের মিল নেই।

আর কতদিন ধর্ম বাণিজ্য চালিয়ে যাবেন?

    @ProtibadiMan: thik kon jaigai mil nai specificly bolen ……manushke bivranto apni nije koiren na ……apni kon dhormer vai ….apnar poralekha kotokhani aitao bolen…….

      @sheikh nahid:

      তাজ্জব ব্যপার । এ নিবন্ধে লেখক পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ও তার আভ্যন্তরীন গঠনের সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞানীরা যদি সেসব আবিষ্কার না করত লেখকের উদ্ধৃত আয়াত সমূহ থেকে কি কেউ কোনদিন তা করতে পারত ? পেরেছে কোন ইসলামি বিজ্ঞানী গত ১৪০০ বছরে মধ্যে ? উদ্ধৃত আয়াত সমূহ তো শুধুমাত্র ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ও বৃষ্টি পাতের অতি সাধারন বর্ণনা করেছে। তো এসব ঘটনা কি ১৪০০ বছর আগের কোন মানুষ দেখেনি নাকি জানত না ? এখানে মাধ্যাকর্ষন শক্তির রহস্যটা কোথায় উক্ত আয়াত সমূহে? আপনি ভাল করে পড়ে দেখুন না , লেখকের দাবীর সাথে কোরানের আয়াতের কোন মিল আছে কি না ।

    @ProtibadiMan: এত গুলো টিউন করলাম নাস্তিকদের কোনো দেখা পেলামনা আমি যদি ভুল আপনি দেখয়া দেন সটিক কোনটি ? আপনি দয়া করে সঠিক পথের দিশারি হয়ে যান। টিটির পরিবেশ আমি নাস্তিকদের সাতে অহেতুক সময় নষ্ট করতে চাইনা, যদি আপনার এই টিউন ভালো লাগে পরবেন না তাদের জায়গা দিন দয়া করে . ধর্ম নিয়া বেবসা কোথায় করলাম? মডারেটরের আমার অনুরোদ আপনার মন্তব যাচাই করার জন্য।সুস্থ মন্তব্য করুন যদি সীক্ষিত

    Level 0

    @ProtibadiMan: ওরে আল্লা ও মাওলা…..কি হুনাইলেন পরিবর্তন ম্যান ছরি… পুরতিবাদ মেন বাই আপনের জ্ঞানের গাট্টিডা কই লুকায়ে রাখছেন ? টিটিতে একটা টুনটুন মারেন মানে ১টা টিউন মারেন ঝাইড়া কাশ মারবেন কিন্তু না হইলে বাকচিৎ কইরা অশান্তি। আর তা না হইলে ১টা ইস্মল পারপচোনাল রিকোয়েষ্ট আপনার লুকাইন্না আলট্রা মরডারেনের গাট্টির কুলি আমারেই বানইয়্যেন। পিলিছ।

ভাই , আপনি এখানে কোরানের মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির রহস্য বের করার প্রয়াস পেয়েছেন। কিন্তু আপনার উদ্ধৃত কোরানের আয়াতের মধ্যে সেসব রহস্য বিদ্যমান তা তো পরিস্কার হলো না। আপনার উদ্ধৃত আয়াত সমূহ নিম্নে একসাথে দেয়া হলো-

(1 ) যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,

( 2 ) যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।

( 3 ) এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? সূরা যিলযাল:১-৩

( ৩ ) এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে।

( ৪ ) এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।

(সূরা ইনসিকাক ৩-৪)

এবং আমি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; অতঃপর আমি উহা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি; আমি উহাকে অপসারিত করিতেও সক্ষম।’ (সূরা মু’মিনূন ২৩: আয়াত ১৮)

উক্ত আয়াত সমূহের মধ্যে বিজ্ঞান বা মাধ্যাকর্ষনের কি দেখলেন। উক্ত ঘটনাসমূহ তো নতুন কোন ঘটনা নয়। এ আয়াতগুলোতে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কথাই বলছে। আর বলছে বৃষ্টি পাতের কথা ও পানি মাটিতে শুষে নেয়ার কথা। তো এসব ঘটনা কি ১৪০০ বছর আগেকার মানুষ জানতো না ? আপনি যেভাবে এসব বিষয় বর্ণনা করলেন তাতে তো মনে হলো এসব অতি সাধারন প্রাকৃতিক ঘটনার কথা ১৪০০ বছর আগের কেউ জানতো না বা দেখেনি কোন দিন। আর আপনি যে পৃথিবীর বায়ূমন্ডল ও আভ্যন্তরীন গঠনের ব্যখ্যা দিলেন তার সাথে উক্ত আয়াতগুলির সম্পর্কটা কি ? আপনি যে বর্ণনা দিলেন চিত্র এঁকে তার কোন ইঙ্গিত কি আছে উল্লেখিত আয়াতের মধ্যে? অথবা উক্ত আয়াত গুলো পড়ে কি কোন ভাবে পৃথিবীর বায়ূমন্ডলের গঠন বা আভ্যন্তরীন গঠন জানা যায় , যদি না আধুনিক কালে বিজ্ঞানীরা সেসব আবিষ্কার না করত ? এভাবে গোজামিল দিয়ে কোরানকে বিজ্ঞানময় প্রমান করতে গিয়ে প্রকারান্তরে আপনি কোরানকে খাট করছেন, এটা কি আপনি বুঝতে পারছেন ?

    @Truthseeker: @Truthseeker: পবিত্র কোরানকে যদি আপনি বুজতে চান তাহলে কুরআনের টেলিগ্রাফিক মেসেজটি দেখতে হবে।আপনি যদি আশা করেন কুরআন আপনাকে খুলে খুলে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুত্র সহ প্রকাশ করবে তাহলে বিশাল সব ভলিউম পাঠাতে হত মানবজাতির জন্য ….
    (1 ) যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
    ( 2 ) যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
    ( 3 ) এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? সূরা যিলযাল:১-৩
    ( ৩ ) এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে।
    ( ৪ ) এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।
    (সূরা ইনসিকাক ৩-৪)
    এই আয়াতে আমি মধ্যাকর্ষন শক্তি বের করার তত্ব পাইনি কিন্তু বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন, আমার নিজের মন্তব্য হলে সেটা প্রকাশ করতাম না, আপনি বলছেন -“উক্ত আয়াত সমূহের মধ্যে বিজ্ঞান বা মাধ্যাকর্ষনের কি দেখলেন। উক্ত ঘটনাসমূহ তো নতুন কোন ঘটনা নয়। এ আয়াতগুলোতে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কথাই বলছে “—- আপনার সত্যি বলেছেন কোনো গরমিল নাই কিন্ত জানার আছে আরেকটু সেটা হলো –“Al most all of the world’s University of Geology বিভাগে সবচেয়ে কমন যে বইটি পড়ানো হয় সেটা হলো –”The Earth” ৩৭৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে হুবহু আপনার কাছে তুলে ধরছি—
    ”আগ্নেয়গিরি থেকে যখন অগ্নুৎপাত সংগঠিত হয় পৃথিবীর অভ্যন্তরের হেভি মেটালগুলো উপরে চলে আসে, অভ্যন্তর্ভাগ হয়ে পরে শুন্য, পৃথিবীর ভেতরের ওজনদার বস্তুগুলো ধরনীতলের মধ্যাকর্ষন শক্তির নিয়ামক বা নিয়ন্ত্রণ করছে।”
    তবে হ্যাঁ সাধারন অগ্ন্যৎপাতে এত ক্ষতি হয়না পৃথিবীর। উক্ত আয়াতে আল্লাহপাক সাধারন catastrophe- র কথা বলেননি , তিনি কেয়ামতের কথা উল্লেখ করেছেন যখন মুসলিম, অমুসলিম ও বিশেষ করে কুরআনের আয়াতে অবিশ্বাসী নাস্তিকদের বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে। এখন এ আয়াতে আসা যাক যদি ধরনীতলের ভারী বস্তুগুলো পৃথিবীর মধ্যস্থল হতে উপরে উঠে আসে এবং অর্থাৎ Inner Core- এ অনুপস্থিত তাকে তাহলে কে মধ্যাকর্র্ষনশক্তি নিয়ন্ত্রণ করবেন ? নিঃসন্দেহে আপনি নন।শুধু আপনি কেন নিউটন বাবজীরও সাধ্য নেই। ভান এলেন বেল্ট কি পুনরায় আপনি সৃষ্টি করবেন? ”
    আপনি বলছেন বৃষ্টি ইত্যাদি ব্যাপারে সৃষ্টির শুরুতে মানুষ জানত কিন্তু কোরান বলছে মেঘের ঠান্ডা বায়ুর সংস্পর্শের কথা , বজ্রপাত ও মেঘের ঘর্ষনের কথা এমন কি মেঘ বয়ে এনে অন্য স্থানে বৃষ্টিপাতের কথা! ডিটেলস উল্লেক আছে কুরআনে।–

    আর (আল্লাহ) যিনি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন পরিমিত পরিমাণে। অতঃপর আমি (আল্লাহ) তা দ্বারা পুনরুজ্জীবিত করি মৃত ভূভাগকে। তেমনিভাবেই তোমরা উত্থিত হবে। (যুখরুফ, ৪৩ : ১১)
    আর আমি তৈরি করেছি পানি থেকে প্রাণবন্ত সবকিছুকে। এরপরেও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (আম্বিয়া, ২১ : ৩০)
    সজীব বস্ত্তর মৌলিক রাসায়নিক উপাদান হল হাইড্রোজেনের সেতুবন্ধন, যাকে বলা হয় ‘হাইড্রোজেন বন্ড’। এই হাইড্রোজেন কেবল পানির আয়োনাইজেশানের মাধ্যমেই প্রতিস্থাপিত হতে পারে। এ কারণেই প্রাণের জন্যে পানি অপরিহার্য। একটি পানিশূন্য বস্ত্ত জমাট কঙ্কালের মত, যদিও তা তার জেনেটিক কোডসহ data সংরক্ষণ করে থাকে। এটি প্রয়োজন পরিমাণ হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করা ব্যতীত না পুনরুৎপাদন করতে পারে, আর না পারে য়িাশীল হতে। যখন পানি পৌঁছে এবং হাইড্রোজেন- আয়ন প্রদান করে, তখন প্রাণের জেনেটিক কোড সয়ি হয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে অতি সাধারণ ঘটনা। প্রায় ১০০ বছর পূর্বে এ তথ্য আবিষ্কৃত হয় যে, বিভিন্ন ধরনের প্রাণ সত্তা দ্বারা মাটি গঠিত। প্রায় চল্লিশ বছর পূর্বে আবিষ্কৃত হয়, মাটির ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গঠিত। তারা বৃষ্টির পানি পাওয়া মাত্রই প্রয়োজন পরিমাণ হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন পুনরুৎপাদনশীল কর্মতৎপরতা শুরু করে। বৃষ্টির পানি এভাবে মৃত ভূমিতে পুনরুজ্জীবন নিয়ে আসে। বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন সাম্প্রতিক সময়ে কুরআন মাজিদ তার বর্ণনা দিয়েছে বহু শতাব্দী পূর্বে।এসব তো আর আগে মানুষ জানত না, আপনি যদি সাইন্স এর স্টুডেন্ট হন তাহলে ১৬০০ শতাব্দিতে Hydrologist মেলিটাস-এর সম্বন্ধে জানবেন যিনি ঠান্ডা বায়ুর উপস্তিথির কথা জানতেন না , তারঁ দেয়া সূ্ত্রে সেটা সম্পূর্ন অুপস্থিত । আপনি জানেন সেটা? কিন্তু কুরানে সেটা উল্লেখ করেছে।
    আপনি বলছেনে এ আয়াতে বায়ুমন্ডলের কথা জানা যায় কিনা ? আমার আগের পোষ্ট করলে বেধ করি এমন বেরসিক মন্তব্য করতেন না। যাক…ভালো প্রশ্ন , যদিও নাস্তিকদের অন্যতম একটা গুন হলো- একটা আয়াত দিয়ে কোরান বিবেচনা করা যা অনেক ইসলাম বিদ্বেষী অমুসলিমরাও করে থাকেন , কুরআনের অনেক আয়াত আছে যেখানে বায়ুমন্ডল সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।১৪০০ বছর পূর্বে যখন আকাশকে একটি অখন্ড অংশ হিসেবে মনে করা হতো কোরআনে অলৌকিকভাবে তখনি বলা হলো যে এটি সাতটি ভিন্ন ভিন্ন স্তরে গঠিত। অন্য দিকে অতি সম্প্রতি আধুনিক বিজ্ঞান এ সত্যটি উদঘাটন করেছে যে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুমন্ডল সাতটি স্তর নিয়ে গঠিত। আমরা এই সূত্রে স্তরগুলোর সংখ্যা যদি হিসেব করে দেখি তবে দেখব যে, আয়াতে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে ঠিক তেমন করেই বায়ুমন্ডল সাতটি স্তর নিয়ে গঠিতঃ
    ১. ট্রপোস্ফিয়ার
    ২. স্ট্রাটোস্ফিয়ার
    ৩. ওযোনোস্ফিয়ার
    ৪. মেসোস্ফিয়ার
    ৫. থার্মোস্ফিয়ার
    ৬. আয়নোস্ফিয়ার
    ৭. এক্সোস্ফিয়ার

    মহাবিশ্ব সম্পর্কে কোরআনের তথ্যগুলোর একটি হলো যে, আকাশ সাতটি স্তর নিয়ে গঠিত।
    002.029 هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الأرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
    ”তিনি এমন যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের কল্যাণের জন্য পৃথিবীর সবকিছু। তারপর তিনি মনোযোগ দিলেন আকাশের প্রতি এবং বিণ্যস্ত করলেন তা সাত আসমানরূপে। আর তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত।”
    Al-Qur’an, 002.029 (Al-Baqara [The Cow])
    অনেক কিছূ লিখলাম …আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমা প্রার্থী । আল্লাহ আপনাকে বোঝার শক্তি দিয়েছেন। মাথা খাটান কোনো মন্তব্য করার আগে ভাবুন ফেসে যাবেন নাতো?
    ,

      @Sharear Azam:

      দারুন প্রচেষ্টা আপনার। কিন্তু আপনি আবারও বিশাল ব্যখ্যা হাজির করলেন যার ছিটে ফোটাও কিন্তু কোরানের বানী থেকে পাওয়া যায় না। দেখুন নিচের আয়াত-
      (1 ) যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
      ( 2 ) যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
      এটা আগ্নেয় গিরির অগ্নুৎপাত ও ভূমিকম্পের কথা বলছে। তো প্রশ্ন হলো- ১৪০০ বছর আগের মানুষ কি কোনদিন আগ্নেয় গিরির অগ্নুৎপাত ও ভূমিকম্প দেখেনি ? নাকি এটা প্রথম কোরানেই পাওয়া যায়? হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ এসব প্রাকৃতিক ঘটনাসমুহ দেখেছে আর তাকে ভয় পেয়েছে। এটা কোরানের মধ্যে থাকাতে কি এমন মহার্ঘ্য হয়ে পড়ল ? কোরানের আগেও বহু মানুষ বহু জায়গায় এসব ঘটনার বর্ণনা করে গেছে। এখন একই ঘটনা কোরানে লেখা থাকাতে সেটা মাধ্যাকর্ষনের বিশাল রহস্য উন্মোচন করে দিল কিভাবে ?

      আর (আল্লাহ) যিনি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন পরিমিত পরিমাণে। অতঃপর আমি (আল্লাহ) তা দ্বারা পুনরুজ্জীবিত করি মৃত ভূভাগকে। তেমনিভাবেই তোমরা উত্থিত হবে। (যুখরুফ, ৪৩ : ১১

      আকাশ থেকে বারি বর্ষনের ঘটনা কি কোরান আবির্ভূত হওয়ার আগে মানুষ জানত না ? বৃষ্টি পড়ার পর মরুভূমির উপর ছোট ছোট গাছ জন্মায় বৃষ্টির পানির কারনে। এটা সেই আরব দেশের সবাই কোরান আবির্ভাবের বহু শত বা হাজার বছর পূর্বেও মানুষ দেখত ও জানত। এটা অতি সাধারন এক প্রাকৃতিক ঘটনা যা মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে দেখত ও জানত। আপনি জিওগ্রাফিক বা ডিসকভারি চ্যনেল দেখলেই তা দেখতে পাবেন। তাহলে কোরান এখানে নতুন কি বলল যা আগে মানুষ জানত না বা দেখেনি ?

      আপনি কোরানের সাতটি আকাশকে বায়ূমন্ডলের ৭ টি স্তরের সাথে তুলনা করেছেন। হা হা হা ।
      আপনি কি জানেন , কোরানেই বলছে এই ৭টি আকাশের সর্বনিম্ন আকাশের( আপনার মতে স্তরের) নীচে চাঁদ , সূর্য ও যাবতীয় নক্ষত্র দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে? তার মানে কি ট্রপোস্ফিয়ার যার উচ্চতা ভূপৃষ্ঠ থোকে মাত্র ৩০/৩৪ কি. মি . এর মত সেখানে এই সব চাঁদ সূর্য নক্ষত্র বিরাজমান ? দেখুন কোরানে কি বলছে-

      আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি। সূরা আল মূলক- ৬৭: ৫
      নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। সূরা- ৩৭:৬

      আশা করি আল্লাহ আপনাকেও বোঝার শক্তি দিয়েছেন আর সব কিছু পরিস্কার বুঝতে পারছেন। মাথা খাটান, কোরানে বিজ্ঞান আবিষ্কার করে নিজে ফেসে যাবেন না তো ?

      Level 0

      @Sharear Azam: মাটির ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গঠিত!শুনে আশ্চর্য হলাম।আপনার টিউন নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা।কারন এই বিষয়ে আমি বেশি জানি না।কিন্তু মাটির ৮০ ভাগ ব্যাকটেরিয়া কথাটা ১০০% মিথ্যা(আমার বিষয় অণুজীববিদ্যা,তাই বললাম )। গড়ে মাটিতে উপস্তিত মোট অণুজীব এর ৩৫ % এর বেশি actinomycetes.পবিত্র কোরানকে বুজতে কুরআনের টেলিগ্রাফিক মেসেজটি দেখতে হবে,তেমনি বিজ্ঞান এর কোন বিসয়ে জানতে সেই বিসয় ভালো ভাবে বুজতে হবে। আর নেট এ ১ জন বিজ্ঞানীর মতামত বা ১ টা site এর নাম দিলেই তা সত্য হয়না।সেটা বিজ্ঞান বিষয়ক international সংস্থা থেকে আনুমদন পেতে হয়।আশা করি তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সচেতন হবেন।আমার জানায় ভুল হতে পারে।আপনি সঠিক হলে reference দিবেন।

সাপুরে, জ্যোতিষ, যাদুকরের ভাষা বুঝেন? নিচে কিছু উদাহরন দিলাম
– এক সপ্তাহের মাঝে তোর ক্ষতি হবে।
– তোর অনেক টাকা পয়সা হবে।
– তোর ঘরে শত্রু লুকিয়ে আছে।
– মনে মনে তুই একজনকে ভালবাসিস।
– শুভ সময় সামনে অপেক্ষা করছে।

কথা গোলোর মাঝে কিছু মিল আছে। সেগোলো হলো ০১. কথাগোলো নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, যে কোন বিষয়ে খাটানো যায়। ০২. মানুষের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার কারনে এই সব কথা মানুষ বিশ্বাস করে। ০৩. একই কথার অনেক ব্যাখ্যা করা যায়।

এই ধরনের কথাকে বলে Ambiguous Statement. যে কোন Ambiguous Statement হলো নিন্ম মানের ভাষা। নিন্ম মানের কর্ম। আপনার উদ্দেশ্য যদি সঠিক হয় তাহলে আপনার কথা হবে স্পষ্ট, গুছানো, সরল, বোধগম্য।

এবার আসি বিজ্ঞান্ময় কোরানের বিজ্ঞান বহির্ভূত দিক নিয়ে। কয়েকশত বিষয়ের সাথে কোরানের বিজ্ঞান যায় না।
যেমন
০১. কোরানে South American মানুষ সম্পরকে কিছু বলা নাই। এতো গোলো মানুষকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞান হয় কেমনে?
০২. নরওয়ে এবং এরকম ২১ টা এলাকার মানুষ কিভাবে রোজা নামাজ পড়বে।
০৩. পৃথিবীর আকার আয়তন সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা নাই । জমি, বিছানা, খাট, পেরেক দিয়ে তো আর পৃথিবীর আকার আয়তন ব্যাখ্যা করা যায় না।

এই বিষয়ে লিখতে গেলে আপনার মতো ১০০ পর্বের টিউন করতে হবে। মাফ চাই।

টিটিতে কোন সাম্প্রাদিক পোস্ট আর না ।

    @ProtibadiMan: আপনি বলেছেন…০১. কোরানে South American মানুষ সম্পরকে কিছু বলা নাই। এতো গোলো মানুষকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞান হয় কেমনে?

    আমার প্রশ্ন—South American মানুষ সম্পর্কে কুরআন না বললে কি আপনি কুরআনের আয়াতকে ভূল বলতে পারবেন?আদম (আঃ) পৃথিবীর ১ম মানুষ এটার ব্যাখ্যা এখনো বিজ্ঞান দিতে পারেনি, এখনো এ ব্যাপারে মানুষ অন্ধকারে রয়েছে সেখানে South American, North pole reside, Appendage era মানুষ সম্পর্কে কুরআন কি বলে না বলে সেটা বিবেচনার বিষয়ে আসা নিরর্থক। পবিত্র কোরানকে যদি আপনি বুজতে চান তাহলে কুরআনের টেলিগ্রাফিক মেসেজটি দেখতে হবে।আপনি যদি আশা করেন কুরআন আপনাকে খুলে খুলে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুত্র সহ প্রকাশ করবে তাহলে বিশাল সব ভলিউম পাঠাতে হত মানবজাতির জন্য …specially নাস্তিকধারার দুপেয়ে (হোমোসপিয়েণ্স) মানুষের জন্য।

    ০২. নরওয়ে এবং এরকম ২১ টা এলাকার মানুষ কিভাবে রোজা নামাজ পড়বে।

    উত্তর-আপনি যদি bmw কারে বসে accident করেন দোষ নিশ্চয় গাড়ির নয় দোষ হল আনাড়ি ড্রাইভারের এটা বলার উদ্দেশ্য হল ইসলাম সম্পর্কে যদি আপনি না জানেন দোষ আপনার দয়া করে আপনার অজ্ঞতার জন্য ইসলামের উপর নিন্দা চাপাবেননা ।ইসলামের ফিকহ বা হাদিস কাউন্সিল থেকে অনেক আগে আপনার উত্তর দেয়া হয়েছে ….কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনারা অন্ধকারে থেকে আলোকিত মানুষকে সেথায় টেনে নিতে চান। ইসলামের ফতোয়া সম্পর্কে জানতে হলে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন ডিনি জানেন tom, dic ,Harry- কে জিজ্ঞেস করলে এভাবে বেপথে যেতে হবে, অবিবেচক হবেননা। আপনি http://www.islamqa.info check করতে পারেন।

    ০৩. পৃথিবীর আকার আয়তন সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা নাই । জমি, বিছানা, খাট, পেরেক দিয়ে তো আর পৃথিবীর আকার আয়তন ব্যাখ্যা করা যায় না।

    উত্তর- আগেই বলেছি আপনি যদি আশা করেন কুরআন আপনাকে খুলে খুলে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুত্র সহ প্রকাশ করবে তাহলে বিশাল সব ভলিউম পাঠাতে হত মানবজাতির জন্য। specially নাস্তিকধারার দুপেয়ে (হোমোসপিয়েণ্স) মানুষের জন্য। একটু মাথা ঝেড়ে বুঝে নিন, জ্ঞানের চোখটা খুলূন (যদি সেটা এখনো থাকে)–
    তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। (আরাফ, ০৭ : ৫১)

    তিনিই (আল্লাহ) রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয় যে কওম চিন্তা-ভাবনা করে তাদের জন্য এতে নিদর্শনাবলি রয়েছে। (রা’দ, ১৩ : ০৩)

    আর রাত তাদের জন্য একটি নিদর্শন। আমি তা থেকে দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। (ইয়াসিন, ৩৬ : ৩৭)

    তিনি রাতকে দিনের ওপর এবং দিনকে রাতের ওপর জড়িয়ে দিয়েছেন। (ফাতির, ৩৯ : ০৫)

    মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখন জানেন, পৃথিবীর দু’ধরনের গতি রয়েছে। একটি হল সূর্যের চারদিকে তার বার্ষিক গতি, যা জলবায়ু ও ঋতুর পরিবর্তন ঘটায়। অন্যটি হল আপন অক্ষে তার আহ্নিক গতি, যা দিন-রাতের পবির্তন ঘটায়। কুরআন মাজিদ এই উভয় গতিকে স্বতন্ত্র ও পৃথকভাবে উল্লেখ করেছে। সুরা ‘নাম্ল’ এর ৮৮তম আয়াত, যা ইতোপূর্বে উল্লিখিত হয়েছে, পৃথিবীর বার্ষিক গতি নির্দেশ করে। উপরোল্লিখিত আয়াতসমূহ দিন-রাতের বর্ণনা দেয়। এভাবে এই আয়াতগুলো পৃথিবীর তার অক্ষ বরাবর আহ্নিক গতির নির্দেশ করে। পৃথিবীর অক্ষ তার সমতল কক্ষপথের দিকে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলানো। এই পরিবর্তনের ফলে যখন পৃথিবীর অর্ধেক অংশ সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, অন্য অংশ থাকে অন্ধকারে। এটি ২৪ ঘন্টার আবর্তনে দিন-রাতের পরিবর্তন নিয়ে আসে। এমন বাস্তব ঘটনায়- যেমনটি কুরআন মাজিদে বর্ণিত হয়েছে- তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে যারা চিন্তা-ভাবনা করে। অতএব এই বাণীর আলোকে প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা করে দেখা উচিত যে, কুরআন মাজিদ কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সংকলিত, না সর্বজ্ঞ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।

      @Sharear Azam:

      কোরানের কোন আয়াতই আহ্নিক গতি বা বার্ষিক গতি সম্পর্কে ধারনা দেয় না। ওটা আপনাদের সাম্প্রতিক আবিষ্কার।

      তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। (আরাফ, ০৭ : ৫১)

      তিনিই (আল্লাহ) রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয় যে কওম চিন্তা-ভাবনা করে তাদের জন্য এতে নিদর্শনাবলি রয়েছে। (রা’দ, ১৩ : ০৩)

      আর রাত তাদের জন্য একটি নিদর্শন। আমি তা থেকে দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। (ইয়াসিন, ৩৬ : ৩৭)

      তিনি রাতকে দিনের ওপর এবং দিনকে রাতের ওপর জড়িয়ে দিয়েছেন। (ফাতির, ৩৯ : ০৫)

      রাতকে দিনের ওপর বা দিনকে রাতের ওপর জড়িয়ে দেয়া বলতে রাতের পর দিন এবং দিনের পর রাত আসাকে বুঝায়। তো এটা কি মানুষ কোরান থেকে সর্বপ্রথম জানল নাকি ? যে কোন মূর্খ মানুষও সেই প্রাগৈতিহাসিক কালেও সেটা সাদা চোখে দেখত ও জানত। দিনের পর রাত ও রাতের পর দিন আসে – এ কথা কোরানে বলাতে সেটা আহ্নিক গতির ব্যখ্যা হয়ে গেল? এ ঘটনা যে আহ্নিক গতির কারনে ঘটে সেটা মানুষ জেনেছে আধুনিক কালে এসে। তার অর্থ মানুষ ঘটনাটা জানত কিন্তু আগে তার কারন জানত না। কোরান সেই ঘটনাটাকেই সাদা মাটা ভাবে প্রকাশ করেছে, কারনটা প্রকাশ করল কোথায় ? এতই যদি আল্লাহ কোরানে আহ্নিক ও বার্ষিক গতির কথা প্রকাশ করত তাহলে এত রহস্য না করে সরাসরি সে বলত-

      আমি পৃথিবীকে আহ্নিক ও বার্ষিক গতি প্রদান করেছি যে কারনে রাত ও দিন হয় এবং ঋতুর পরিবর্তন ঘটে।

      ১৪০০ বছর আগে হয়ত মানুষজন এ কথার অর্থ বুঝত না। আর তাই বর্তমান কালে এসে মানুষ এটা আবিষ্কার করলে মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেত যে এটা সেই ১৪০০ বছর আগে কোরানে কিভাবে এল? আর তাই সবাই বিশ্বাস করতে বাধ্য হতো কোরান অবশ্যই ঐশী কিতাব।

      আপনি ঘটনা ও কারনকে এক করে ফেলছেন যা আপনার যুক্তি বোধের অভাব প্রকাশ করছে।

      মানুষ আদি কাল থেকে বহু প্রাকৃতিক ঘটনা জানত কিন্তু তার কারন জানত না। কোরান সেই ধরনের কিছু ঘটনা প্রকাশ করেছে যা মানুষ আদিম কাল থেকেই জানত। কোরান উক্ত ঘটনাসমুহের কোন কারন প্রকাশ করেনি, কারন সেই ১৪০০ বছর আগে সেই কারনগুলো কেউ জানত না। কোরান সেগুলোর কারন উল্লেখ করতে ব্যর্থ হওয়াতে এটা নিশ্চিত কোরান কোন ঐশী কিতাব নয়।

      আমি আবারও বলছি- দিনের পর রাত আসে, রাতের পর দিন- এটা একটা ঘটনা কারন নয় আর এটা আদিম কাল থেকেই সবাই জানত ও দেখত। আর এর কারন হলো আাহ্নিক গতি। কোরান ঘটনার কথা প্রকাশ করেছে, কারন সম্পর্কে কিছুই বলেনি , যার মধ্যে কোন নতুনত্ব নেই। আপনি যে অপচেষ্টা করছেন তা হলো – ঘটনা ও কারন কে এক হিসাবে দেখিয়ে সাধারন ধর্মপ্রান বিশ্বাসী মানুষের বাহবা নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু ফাকা মাঠে এভাবে তো গোল দেয়া যাবে না এত সহজে।

    @ProtibadiMan: আপনি বলেছেন…০১. কোরানে South American মানুষ সম্পরকে কিছু বলা নাই। এতো গোলো মানুষকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞান হয় কেমনে?

    আমার প্রশ্ন—South American মানুষ সম্পর্কে কুরআন না বললে কি আপনি কুরআনের আয়াতকে ভূল বলতে পারবেন?আদম (আঃ) পৃথিবীর ১ম মানুষ এটার ব্যাখ্যা এখনো বিজ্ঞান দিতে পারেনি, এখনো এ ব্যাপারে মানুষ অন্ধকারে রয়েছে সেখানে South American, North pole reside, Appendage era মানুষ সম্পর্কে কুরআন কি বলে না বলে সেটা বিবেচনার বিষয়ে আসা নিরর্থক। পবিত্র কোরানকে যদি আপনি বুজতে চান তাহলে কুরআনের টেলিগ্রাফিক মেসেজটি দেখতে হবে।আপনি যদি আশা করেন কুরআন আপনাকে খুলে খুলে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুত্র সহ প্রকাশ করবে তাহলে বিশাল সব ভলিউম পাঠাতে হত মানবজাতির জন্য …specially নাস্তিকধারার দুপেয়ে (হোমোসপিয়েণ্স) মানুষের জন্য।

    ০২. নরওয়ে এবং এরকম ২১ টা এলাকার মানুষ কিভাবে রোজা নামাজ পড়বে।

    উত্তর-আপনি যদি bmw কারে বসে accident করেন দোষ নিশ্চয় গাড়ির নয় দোষ হল আনাড়ি ড্রাইভারের এটা বলার উদ্দেশ্য হল ইসলাম সম্পর্কে যদি আপনি না জানেন দোষ আপনার দয়া করে আপনার অজ্ঞতার জন্য ইসলামের উপর নিন্দা চাপাবেননা ।ইসলামের ফিকহ বা হাদিস কাউন্সিল থেকে অনেক আগে আপনার উত্তর দেয়া হয়েছে ….@ProtibadiMan: কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনারা অন্ধকারে থেকে আলোকিত মানুষকে সেথায় টেনে নিতে চান। ইসলামের ফতোয়া সম্পর্কে জানতে হলে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন ডিনি জানেন tom, dic ,Harry- কে জিজ্ঞেস করলে এভাবে বেপথে যেতে হবে, অবিবেচক হবেননা। আপনি http://www.islamqa.info check করতে পারেন।

    ০৩. পৃথিবীর আকার আয়তন সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা নাই । জমি, বিছানা, খাট, পেরেক দিয়ে তো আর পৃথিবীর আকার আয়তন ব্যাখ্যা করা যায় না।

    উত্তর- আগেই বলেছি আপনি যদি আশা করেন কুরআন আপনাকে খুলে খুলে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুত্র সহ প্রকাশ করবে তাহলে বিশাল সব ভলিউম পাঠাতে হত মানবজাতির জন্য। specially নাস্তিকধারার দুপেয়ে (হোমোসপিয়েণ্স) মানুষের জন্য। একটু মাথা ঝেড়ে বুঝে নিন, জ্ঞানের চোখটা খুলূন (যদি সেটা এখনো থাকে)–
    তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। (আরাফ, ০৭ : ৫১)

    তিনিই (আল্লাহ) রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয় যে কওম চিন্তা-ভাবনা করে তাদের জন্য এতে নিদর্শনাবলি রয়েছে। (রা’দ, ১৩ : ০৩)

    আর রাত তাদের জন্য একটি নিদর্শন। আমি তা থেকে দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। (ইয়াসিন, ৩৬ : ৩৭)

    তিনি রাতকে দিনের ওপর এবং দিনকে রাতের ওপর জড়িয়ে দিয়েছেন। (ফাতির, ৩৯ : ০৫)

    মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখন জানেন, পৃথিবীর দু’ধরনের গতি রয়েছে। একটি হল সূর্যের চারদিকে তার বার্ষিক গতি, যা জলবায়ু ও ঋতুর পরিবর্তন ঘটায়। অন্যটি হল আপন অক্ষে তার আহ্নিক গতি, যা দিন-রাতের পবির্তন ঘটায়। কুরআন মাজিদ এই উভয় গতিকে স্বতন্ত্র ও পৃথকভাবে উল্লেখ করেছে। সুরা ‘নাম্ল’ এর ৮৮তম আয়াত, যা ইতোপূর্বে উল্লিখিত হয়েছে, পৃথিবীর বার্ষিক গতি নির্দেশ করে। উপরোল্লিখিত আয়াতসমূহ দিন-রাতের বর্ণনা দেয়। এভাবে এই আয়াতগুলো পৃথিবীর তার অক্ষ বরাবর আহ্নিক গতির নির্দেশ করে। পৃথিবীর অক্ষ তার সমতল কক্ষপথের দিকে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলানো। এই পরিবর্তনের ফলে যখন পৃথিবীর অর্ধেক অংশ সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, অন্য অংশ থাকে অন্ধকারে। এটি ২৪ ঘন্টার আবর্তনে দিন-রাতের পরিবর্তন নিয়ে আসে। এমন বাস্তব ঘটনায়- যেমনটি কুরআন মাজিদে বর্ণিত হয়েছে- তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে যারা চিন্তা-ভাবনা করে। অতএব এই বাণীর আলোকে প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা করে দেখা উচিত যে, কুরআন মাজিদ কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সংকলিত, না সর্বজ্ঞ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।

      @Sharear Azam:

      আমাদের মহানবীর আহ্নিক ও বার্ষিক গতির জ্ঞান সম্পর্কে সবচাইতে ভাল তথ্য পাওয়া যাবে নিচের হাদিসে-
      আবু দার বর্ণিত- মসজিদের মধ্যে একদা আমি নবীর কাছে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “ আবু দার, তুমি কি জান সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সে কোথায় যায় ? আমি উত্তর করলাম-“ আল্লাহ ও তার রসুল ভাল জানেন”। তিনি বললেন-“ এটা আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বিশ্রাম করতে থাকে ও প্রার্থনা করতে থাকে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য। পরে তাকে আল্লাহ অনুমতি দিলে সে পূনরায় পূর্ব দিকে উদিত হয় যা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন তার বানী ৩৬:৩৮ আয়াতে(সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।) ”। সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬ (http://bukharishareef.blogspot.com/2008/03/translation-of-sahih-bukhari-book-82.html)

Level 0

যারা পবিত্র কোরানএর নাম শুনলেই ভয় পায় বা কোরানের নাম শুনলেই শরীর জলে উঠে তারাই কোরানের কথা শুনলেই সাম্প্রদায়িক বলে চালিয়ে দেয়। যে যা জানে তা আপনার সামনে তুলে ধরছে এখন আপনি মানবেন কি না মানবেন সেটা সম্পুর্ন আপনার নিজের ব্যাপার।

Level 0

@Truthseeker
ভাই আপনি একটু বোঝার চেষ্টা করেন, তাইলেই বুঝতে পারবেন।

    @kader6508:

    আমি কোরান হাদিস ভালমতো পড়ে যা বুঝেছি তার ভিত্তিতেই মন্তব্য প্রতি মন্তব্য করছি। আমি কি কোথাও বানিয়ে বানিয়ে মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছি? বরং যারা কোরানে কঠিন কঠিন সব বিজ্ঞান খুজে পাচ্ছে তারাই তো বানিয়ে বানিয়ে নিজেদের মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, নানা রকম আজগুবি ও অপ্রাসঙ্গিক কথা মালা রচনা করছে। তাই অনুরোধ করি, আমাকে না , বরং যারা এমন কোরানে বিজ্ঞান খোজার নামে এমন মনগড়া বক্তব্য প্রচার করছে এবং সাধারন ধর্ম প্রান মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করছে, তাদেরকে তা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করুন।

    @kader6508:

    আমাদের মহানবীর আহ্নিক ও বার্ষিক গতির জ্ঞান সম্পর্কে সবচাইতে ভাল তথ্য পাওয়া যাবে নিচের হাদিসে-

    আবু দার বর্ণিত- মসজিদের মধ্যে একদা আমি নবীর কাছে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “ আবু দার, তুমি কি জান সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সে কোথায় যায় ? আমি উত্তর করলাম-“ আল্লাহ ও তার রসুল ভাল জানেন”। তিনি বললেন-“ এটা আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বিশ্রাম করতে থাকে ও প্রার্থনা করতে থাকে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য। পরে তাকে আল্লাহ অনুমতি দিলে সে পূনরায় পূর্ব দিকে উদিত হয় যা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন তার বানী ৩৬:৩৮ আয়াতে(সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।) ”। সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬ (http://bukharishareef.blogspot.com/2008/03/translation-of-sahih-bukhari-book-82.html)

আমি আপনাকে Challange ছুড়ে দিতে পারি ” আপনি যদি বিজ্ঞান বুঝেন এবং কোরান পুরাটা অর্থ বুঝে পরেন, সাথে বুখারি ও মুসলিম হাদিস, আপনি আর জীবনেও কোরানকে বিজ্ঞান বলে চালাতে পারবেন না, আপনার মুখ দিয়ে বের হবে না, টাকা দিলেও করতে পারবেন না”

আপনি আমার উদাহরণ এর প্রতিব্যাখ্যা দিয়েছেন তার সাথে ঘটনার মিল নাই-

০১. কোরানে South American মানুষ সম্পরকে কিছু বলা নাইঃ- কোরানে জান্নাত সম্পর্কে যা আছে টা হলো সুপেয় পানি, বাগান ইত্যাদি ইত্যাদি। সুপেয় পানির অভাব শুধু Middle East এ, মরুভূমির মাঝে বাগানের অভাব ও সেখানে। কোরানের বিজ্ঞান জানতই না যে দক্ষিণ আমেরিকাতে মানুষ বসবাস করে। সর্বশক্তিমান নিজে ই জানেন না তার সৃষ্টি সম্পর্কে, অবাক হই।

০২. নরওয়ে এবং এরকম ২১ টা এলাকার মানুষ কিভাবে রোজা নামাজ পড়বেঃ- সৌদি আরবের Islamic Foundation এবং নরওয়ে Islamic Foundation মিলে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। সূর্য যেখানে ডুবেনা, সেখানে রোজা নামাজ করবে কিভাবে? মিশর এই সমস্যায় বড় দিনে রোজা এক ঘনটা কমিয়ে পালন করে। যেখানে ২২/২৩ ঘনটায় দিন সেখানে মানুষ তো রোজা রেখে সোজা হয়ে যাবে, মাগরিব, তারাবি, ইফতার, ফজর নামাজ পড়বে কখন? আর যেখানে মাত্র ২/৩ ঘনটায় দিন সেখানে তো রোজার মহত্ত্বই থাকল না।

০৩. পৃথিবীর আকার আয়তন সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা নাইঃ- পৃথিবী যে কমলা লেবুর আকৃতি, স্পষ্ট করে বললে ই তো হতো। বাইবেলে তো আয়তাকার পৃথিবী ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কোরানের বক্তব্য সেই আয়তাকার পৃথিবীকে সমর্থন আছে। জমি, পেরেক, খাট, বিছানা দিয়ে কি কমলা লেবুর আকৃতি ব্যাখ্যা করা যায়?

আপনি যে ধরনের ব্যাখ্যা দেন তা কোন যুক্তি না, তা হল প্যাঁচাল। দিনের পরে রাত আর রাতের পরে দিন। এই কথা দিয়ে পৃথিবীর আকার, আয়তন ব্যাখ্যা করা যায় না।

দয়া করে ধর্ম বাণিজ্য বন্ধ করেন।

আর যদি চান তবে ধারাবাহিক ১০০ পর্বের টিউন করতে রাজি আছি “কোরান কেনো বিজ্ঞান না ? ” শিরোনামে

Level 0

যে সব বিষয়ে র্তকের ঝড় তুলছেন সেব বিষয়ের সব উত্তর ডঃ মরিস বুকাইলের বাইবেল, কোরআন ও বিজ্ঞান, বইটি পড়ে দেখুন সব উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি। আর ডা: জাকির নায়েকের কোরআন ও বিজ্ঞান বইটি পড়ুন তারপর র্তকের ঝড় তুলুন…………………….

    @Noor:

    হ্যা, মরিস বুকাইলি ও জাকির নায়েক সব উত্তর দিয়েছেন তবে তাদের মত করে,. যেমন করে এ নিবন্ধের লেখক অবান্তর ভাবে কোরানের আয়াতের মধ্য থেকে বিজ্ঞানের মহা সব সূত্র আবিষ্কার করে চলেছেন। মরিস বুকাইলি ও জাকির নায়েক আগে এসব নিয়ে মাঠ বেশ গরম করেছিলেন তখন মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ কেউ ছিল না। কারন এসব তুচ্ছ ব্যপার নিয়ে কেউ মাথা ঘামাত না। বর্তমানে তারা মাত্রা ছাড়িয়ে যেতেই অনেক মানুষই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে ও কোরান হাদিস পড়তে থাকে আর তখনই আসল গোমর ফাক হয়ে যেতে থাকে, যা এখন এই আপনারা এখানে আমাদের মন্তব্যে দেখতে পাচ্ছেন। আশা করি বুঝতে পারছেন। পরিশেষে, মরিস বুকাইলি ও জাকির নায়েক বস্তুত: কোরানে বিজ্ঞান আবিস্কারের নামে ইসলামেরই বারোটা বাজাচ্ছে। এই সাধারন জ্ঞান টুকু আপনার আছে ধারনা করি।

মরিস বুকাইলি ও জাকির নায়েক দিয়ে তো আর বিজ্ঞান চলে না, ছাগল দিয়ে তো আর হাল চাষ করা যায় না।

নিজে কোরান পড়ুন এবং এই সব আজে বাজে পোস্ট ছাড়ুন। http://www.quran.gov.bd থেকে ও অর্থ সহ পড়তে পারেন। সব যুক্তি বন্ধ হয়ে যাবে।

হাজার হাজার ভুল নিয়ে একটা ১৪০০ বছরের আগের বই কিভাবে বিজ্ঞান হয় ?

আমার মতো লক্ষ লক্ষ হাজার হাজার মানুষ নামাজ পড়ে কিন্তু কোরানকে বিজ্ঞান মানে না । কারন বাপ ভাই যে ধর্ম পালন করে, আমাদেরকে ও তাই করতে হয়।

Level 2

আমি নাস্তিক বলে নাস্তিক শব্দটাকে আর লজ্জা দিতে চাইনা । আরে পবিত্র কোরআন কে তোরা বই বলিশ কন সাহসে, এই মূর্খরা কোনও যুক্তি না কোনও তর্ক না আমার আল্লাহ্‌ এক, আমার রাসুল মহান আল্লাহতালার প্রেরিত রাসুল, কোরআন আমদের শেষ আসমানি কিতাব । সব চাইতে বড় বিজ্ঞানী আমার আল্লহতালা । আজ পর্যন্ত কোনও মানুষ ও জীন কেউ কোরআনের কোনও ভুল ধরতে পারেনি । তারপর কিছু নাস্তিক নয় কিছু জারজ কোরআনের ভুল ধরার মিসে চেষ্টা করসে । আরে বেটা কোরআন কে বিজ্ঞান মানিস না তোর বাবাদের বিজ্ঞান ত কোরআন গোপনে গবেষণা করে অনেক কিছু আবিষ্কার করছে, তুই জানিস সভ্য জগত সাধারণ পিঁপড়া, মৌমাছি সম্পর্কে জানতোনা যা কিনা ১৪০০ বছর আগেই কোরআনে সুন্দর ভাবে দেউয়া আছে । এই ব্যাটা বাপ ভাইএর ধর্ম পালন করে ত হিন্দুরা, মুসলমানেরা ত ইসলাম ধর্ম পালন করে তোর মত বাপ ভাই এর ধর্ম না । আমি মোডারেটর দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা যদি মুসলমান হন তবে টিউনটা পুরো পরে নাস্তিক লোকগুলাকে আইডি ব্যান করুন । নয়তো মৃত্যুর পরে আপনাকে ইনশাল্লাহ আল্লাহ্‌ ছারবেন্না । নাস্তিকদের কথা যে কি মারাত্মক হয় তা এখানে দেখলাম । এক জন মানুষ কোরআনের মহিমা তুলে ধরছেন আর ক একজন তাকে ভিবভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ছি ছি ছি ছি ……………।

    @yasin: ধন্যবাদ নাস্তিকরা কখনো সহজ ব্যাপারকে গ্রহন করতে রাজি নয় বনী ইসরালের মতো অবস্থা তাদর। প্রত্যেক যুগে ইসলামের শত্রু ছিল আছে ও থাকবে।

Level 0

তাদের প্রোফাইল পিকচার টা দেখলেই মনে হয় ইহুদী দেখলেও থুতু দিতে ইচ্ছে করে।