সুপ্রিয় টেকটিউনস এর বন্ধুগণ।
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’
- কেমন আছেন সবাই,আসা করি ভাল…সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করে আজকের টিউন।দৈহিক সুস্থতার জন্যে প্রয়োজন সুষম খাবার গ্রহণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম। কিন্তু পরিশ্রম পরিকল্পিত না হলে দৈহিক সৌন্দর্য ও সুস্থতা নিশ্চিত হয় না। দেহের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিমিত সঞ্চালন ও সক্রিয়তা না হলে দেহবিন্যাস সুষম ও সুগঠিত হতে পারে না। এজন্যেই দেহের জন্য দরকার হয়ে পড়ে পরিকল্পিত শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের।কষ্ঠ হলেও নামাজ পড়ুন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম হবে।এই বলে আজকে আপনাদের জন্য টিউন।
- আল-কোরআনে সবচেয়ে বেশি (এই সূরাটির মধ্যে) আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ও ফজিল বলা আছে।আল্লাহ ও হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম নামাজের দাওয়াত কেন দিতে বলে এবং কেন নামাজে আসার জন্য আহ্ববান করে,এক বার পড়ে দেখুন।
সূরা -ফাতিহা
- সূরা ফাতিহাকে বলা হয় ''উম্মুল কোরআন ''( কোরআন শরীফ-এর মূল) ‘উম্মুল কিতাব’ কোরআন এর মা, ‘কোরআন-নুল আজিম’ মহাগ্রন্থ আল কোরআন বলা হয়, সমস্ত আসমানী কিতাবে যা নাযিল হয়েছে তা সবই বরং তার চেয়ে বেশি হুকুম নাযিল হয়েছে কোরআন শরীফ-এর মধ্যে।পুরো কুরআন শরীফ-এ যা নাযিল হয়েছে তা সবই বর্ণিত রয়েছে সূরা ফাতিহা-এর মধ্যে ।সূরাতুল-ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৭। প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহ্'র প্রশংসা এবং শেষের তিনটি আয়াতে মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহ্'র নিকট প্রার্থনা ও দরখাস্তের বিষয়বস্তুর মিশ্রণ। মধ্যের একটি আয়াত প্রশংসা ও দোয়া ।এই সূরার মধ্যে খালিক, মালিক, রব, আল্লাহ জাল্লা শানহু-এর পরিচয় বর্ণনা করা হয়েছে।
===হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর হাদিস===
‘‘তোমরা কিরূপ লোক থেকে তোমাদের দ্বীন (ইলম বা নছীহত) গ্রহণ করছো, তা ভালোরূপে লক্ষ করো এবং যে, আল্লাহর হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তাঁর শপথ করে বলছি, সূরা আল-ফাতিহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইনজীল, যাবুর সহ অন্য কোন আসমানী কিতাবে তো নেই-ই, এমনকি পবিত্র আল কোরআনেও এর দ্বিতীয় নেই।''
(বোখারী শরীফ,মুসলিম, তিরমিযী, মেশকাত, শরহে নববী, মোজাহেরে হক্ব,শরহুত্ ত্বীবী,মায়ারেফুস সুনান, মেরকাত, লুমাত, আশয়াতুল লুমাত, তা’লীকুছ ছবীহ, )
- যে কারণে সূরা ফাতিহা ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, মুস্তাহাব সব নামাজেই এবং প্রত্যেক রাকায়াতেই পড়াটা অপরিহার্য করে দেয়া হয়েছে।সূরায়ে ফাতিহা প্রত্যেক ''রোগের'' ঔষধ বিশেষ( সূরায়ে শেফা)ও বলা হয়েছে।
- এমন কোন মুসলমান পাওয়া যাবে না যে নামায পড়ে অথচ সূরা ফাতিহা জানে না। আবার যারা সূরা ফাতিহা জানে তারা কম বেশি প্রত্যেকেই সূরা ফাতিহার অর্থ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে।অতঃপর আল্লাহ পাক-এর নিয়ামতপ্রাপ্ত রসূল ও আউলিয়ায়ে কিরামগণের পরিচয় তুলে ধরে উনাদের পথে চলার জন্য আদেশ করা হয়েছে।আউলিয়াদের প্রতি আল্লাহর আয়াত নাজিল হয়েছে- ”আলা ইন্না আওলিয়া আল্লাহি লা খাউফুন …..ইয়্যাহ জানুন” অর্থ- জানিও নিশ্চয় আল্লাহর আওলিয়াদের কোন ভয় নাই তাঁরা দু:খিত হইবে না” সূরা-১০:৬২।
হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত আক্ষরিক( নেকী)
সূরা ফাতিহা
“আলহামদু”=শব্দটিতে ৫টি অক্ষর :আছে। পাঠকারীকে ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে কোন ভুল ত্র“টি থাকিলে ক্ষমা করিয়া দেওয়া হয়।
“লিল্লাহ”=পর্যন্ত ৮টি অক্ষর : পাঠকারীর জন্য বেহেশতের ৮টি দরজা খুলিয়া দেওয়া হয়।
“রাব্বিল আল আমিন”=পর্যন্ত ১৮টি অক্ষর: পাঠকারীকে ১৮ হাজার মাখলুকাতের ইবাদাতের সওয়াব দেওয়া হয়।
“আর রাহমান”=পর্যন্ত ২৪টি অক্ষর:পাঠকারীকে ২৪ ঘন্টার কৃত পাপ হইতে রেহাই দেওয়া হয়।
“আর রাহিম”=পর্যন্ত ৩০টি অক্ষর: পাঠকারী কিয়ামতের মাঠে ৩০ হাজার বছরের পুলসিরাত বিদ্যুৎ গতিতে অতিক্রম করবে।
“মালীকি ইয়াওমিদ্দিন”=পর্যন্ত ৪২টি অক্ষর: পাঠকারীকে ১ বৎসরের পাপ ক্ষমা করা হয়।
“ইয়া কানাবুদু”=পর্যন্ত ৫০টি অক্ষর: পাঠকারীর সহিত কেয়ামতে ৫০ হাজার বছরের সমতুল্য দিনে কৃপা পূর্ণ ব্যবহার করা হবে।
“ওইয়াকানাসতাইন”=পর্যন্ত ৬১টি অক্ষর: পাঠকারীকে আসমান, জমিনে ৬১টি রহমতের দরিয়ার প্রতি বিন্দু পানির সমতুল্য সওয়াব দেওয়া হইবে এবং গুনাহ আমল নামা হইতে ধুইয়া ফেলা হইবে।
“ইহ দিনাস সিরাত্বাল মুসতাকিম”=পর্যন্ত ৮০টি অক্ষর:পাঠকারীকে সরাব পান হইতে বাঁচাইয়া উহার ৮০ দোররা শাস্তি হইতে রক্ষা করিবে।
“সিরাত্বল্লাজিনা আন-আমতা আলাইহিম’'=পর্যন্ত ৯৯টি অক্ষর: পাঠকারী আল্লাহ তালার ৯৯ নাম অবলম্বনে সমস্ত জিকিরের সওয়াব পাইবে।
“গাইরিল মাগদুবে আলাইহিম''=পর্যন্ত ১১৪টি অক্ষর” পাঠকারীকে কোরান শরীফের ১১৪টি সূরা পাঠকারীর সমষ্টির সওয়াব দেওয়া হইবে।
“ওয়ালাদ দোয়ালিন”=পর্যন্ত ১২৪টি অক্ষর। যিনি পাঠ করবেন তিনি ১ লক্ষ ২৪ হাজার পয়গাম্বরের এবাদতের সমষ্টির সওয়াব পাবেন।
<<<<<সূরা আল-ফাতিহার বাংলা অনুবাদ>>>>>
মক্কায় অবতীর্ণঃ আয়াত সাত
''পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে আরম্ভ করছি''
(১) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
(২) যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
(৩) যিনি বিচার দিনের মালিক।
(৪) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
(৫) আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
(৬) যে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।
(৭) তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হযেছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।''
*আশারাখি আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি এই সূরাটি নামাজের মধ্যে ইমামসাহেব যেভাবে তেলওয়াত করে ঠিক সেভাবে আমারও নামজে পড়তে পারি।আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক আমিন। সুতরাং সুরা ফাতিহার আমল যে রপ্ত করতে পারবে সে আল্লাহর এমন সব কুদরত প্রত্যক্ষ করবে যা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
বি:দ্র-
- *মঈন উদ্দিন চিশতী (রহঃ)বিষয় এ জানার জন্য-http://www.khwajamoinuddinchishti.com/
- আমাদের মাজে একটা সমস্যা কি নামাজ-কালাম এর খবর নেই আর ইসলাম ,কুরআন, সুন্নাহ , এ বাড়াবাড়ি কিংবা সংযোজন, পরিবর্তন হচ্ছে।আমি আবারো বলি ইসলাম সঠিক ভাবে প্রচারে মুসলমান ভাইরা এগিয়ে আশুন।
আপনাদের সুবিধার্থে
এই প্রত্যাশা রেখে ।
“আল্লাহ হাফেজ”।
*আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ ''নিজের জন্য সবকিছু শিখুন,নিজ এবং কারো ক্ষতি করার জন্য নয়, সে যেই হোক'' আল্লাহ মাফ করার মালিক।কোরআন ও হাদিস পডুন।আরেক মুসলমান কে-কষ্ট হলেও এ সুখবর পৌছেদিন মুসলমান ভাই হিসেবে খুশি হব।একটু দেখেন....
খুব ভাল লিখেছেন।