শবে-বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শবে বরাতের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার টিউনটি শুরু করতে যাচ্ছি। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
Facebook-এ আমার তৈরি ইসলাম বিষয়ক একটা পেজ http://www.facebook.com/islamichelpandsupport টি Like করবেন। এখানে ইসলাম বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন করতে পারবেন এবং উত্তর দিতে পারবেন।

আমরা সকলে জানি মুসলান ধর্মালম্বীদের কাছে শবে বরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু অনেকে বলে শবে বরাত পালন করা যায়েয নয় বা পালন করা ঠিক নয়। এই সম্পর্কে আমার কাছে সংরক্ষিত একটা দলিল তুলে ধরলাম।

পবিত্র ক্বোরআন মাজীদের ২৬ তম পারায় সূরা 'দুখানা' এর ৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "ইহা আমি অবেতীর্ণ করেছি এক মোবারক রজনীতে, অবশ্যই আমি শতর্ককারী। এই রজনীতে আমার আদেশক্রমে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত।"

মুফাসিরিনে কেরামগণ আলোচ্য আয়াতকে 'বরকতময় রাত বলতে শবে-বরাত এবং শবে ক্বদর উভয় রাতকেই গ্রহণ করেছেন।

আমার কাছে কয়েকটি বড় বড় ব্যাখ্যা আছে যেগুলো লিখতে অনেক সময় লাগবে। তাই আমি সংক্ষেপে দু-একটি উল্লেখ করছি,
হযরত মাওলানা আশরাফ আলী তানবী (রহ:) তাঁর বিখ্যাত উর্দু তাফসীর 'বয়ানুল কুরআনে'-এ আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে 'লাইলাতুল মুবারাকাহ' বলতে গিয়ে বলেন, "কেউ কেউ লাইলাতুল মুবারাকাহ এর ব্যাখ্যা লাইলাতুল বরাত করেছেন। এর কারণ এই যে, বিভিন্ন বর্ণনায় এ সম্পর্কেও বার্ষিক ঘটনাবলীর সিদ্ধান্তের বিষয় এসেছে।" (পৃষ্টা:৯৯, ২য় খন্ড)

শবে বরাতের পরিচয়:
আরবি শাবান মাসের চৌদ্দই দিবাগত পঁনের তারিখের রাতকে 'শবে বরাত' বলা হয়। এই রাতে একটি বছরের জন্য সৃষ্টি জগতের অদৃষ্ট বন্টন করা হয়। এই জন্য এই রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই কারণেই সাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি।

তাৎপর্য:

এই রাত্রি সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেন, এই রাত্রিতে এবাদত-কারিদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সাথে শিরককারী, সুদখোর,গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হুজুর (সা:) বলেছেন, "জিব্রাইল (আ:) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানাইয়া দেন যে, তারা যেন শবে বরাতের রাতকে জিবীত রাখে।" অর্থাত্, সারারাত তারা যেন ইবাদতের মাঝে কাটাইয়া দেয়।

আরেকটি হাদীসে রাসূল (সা:) বলেছেন,এই রাত্রে আসমান থেকে ৭০ লক্ষ ফেরেশতা যমীনে আসিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া এবাদতকারী-দিগকে পরিদর্শন করেন এবং তাদের এবাতদ সমূহ দেখতে থাকেন।

অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি সাবান চাঁদের পঁনের তারিখে রাতে এবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

আরো এক হাদিসে রাসূল (সা:) বলেছেন, তোমরা শবে বরাতকে সম্মানিত মনে কর। এটা শাবান চাঁদের পঁনের তারিখের রাত্রি। এই রাত্রে যারা এবাদতে মগ্ন থাকে তাদের প্রতি আল্লাহ পাকের রহমতের ফেরেশাতাগণ আবতীর্ণ হয়। আর আল্লাহ তাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।

এক হাদীসে এসেছে নবী কারীম (সা:) বলেছেন, এই রাতে আল্লাহ তা'আলা মোমিন মুসলমাদিগকে ডাকিয়া বলেন, আজ আমার যে বান্দা মার্জনা কামনা করবে, আমি তাকে মার্জনা করে দেব। যে বান্দা সাস্থ্য কামনা করবে, তাকে সাস্থ্য দান করব। যে বান্দা ধনৈশ্ব্-র্যের কামনা করবে, তাকে ঐশ্বর্যশালী করে দিব।

শবে বরাতের রাতে করণীয়:

এই রাত্রের সূচনাতেই অর্থাত্ সূর্যাস্তকালে গোসল করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। অত:পর মাগরিবের নামাজ পড়ে বিভিন্ন তাসবি-তাহলীল পাঠ করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তারপর এশার নামাজ পড়ে (বিতরের নামাজ বাকী রেখে) দুই রাকাত নিয়তে নফল নামাজ পড়তে পারেন। কিছুক্ষণ পর পর দোয়া করবেন। দরুদ শরীফ পড়বেন, ক্বোরআন তিলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি করে কাজ্বা নামাগুলো আদায় করবেন। এভাবেই রাতটা কাটিয়ে দিতে পারলেই শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যাবে। [ফজরের আগেই বিতরের নামাজ আদায় করতে হবে]

আমি নিয়মিত টিউন পড়ি কিন্তু টিউন করতে পারি না। আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ ছাড়া যেকোন ব্লগে এটা আমার ২য় টিউন।
এই পোষ্টটা যথাসাধ্য সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু মানুষ হিসাবে স্বভাবিক ভূল হতে পারে। তাই সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

আমার একটা ব্যক্তগত Blog আছে http://www.tech-pages.tk এখানে আমি বিভিন্ন Catagory-র পোষ্ট করতে চাই, কিন্তু আমি ক্যাটাগরি তৈরি করতে পারছিনা এবং Read More.. অপশনটা যোগ করতে পারছিনা। যদি কারো পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে আমাকে একটু সাহায্য করবেন।

Level 0

আমি sadek hussain। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসংখ্য ধন্যবাদ…

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।খুব সুন্দর হয়েছে ।টিউনটা থেকে অনেক কিছু জানতে পাড়লাম ।

    Level 0

    আসসালামুওালাইকুম ভাই আগে এই টা পরেন – http://www.quraneralo.com/shab-e-barat/

    sorry, অপু ভাই,
    আমার কমেন্ট টা ইমতিয়াস ভাইয়ের নিচে দিতে পারিনি বলে এখানে দিলাম,
    ইমতিয়াস ভাই কে বলছি;-
    আপনি যে লিঙ্কটা দিলেন তা কি আপনি নিজে পড়ে দেখেছেন??
    অন্তত এই লাইনটি দেখুন,
    (উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের কাছে স্পষ্ট হলো যে, কুরআন, হাদীস ও গ্রহণযোগ্য আলেমদের বাণী থেকে আমরা জানতে পারলাম শা‘বানের মধ্য রাত্রিকে ঘটা করে উদযাপন করা— চাই তা নামাযের মাধ্যমে হোক অথবা অন্য কোন ইবাদতের মাধ্যেমে— অধিকাংশ আলেমদের মতে জগন্যতম বিদ‘আত। শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই।)

    এটা কি মানুষকে এবাদতে উৎসাহিত করে……….????
    এটা পড়ে তো মানুষ মধ্য রাত্রে নামাজ কিংবা অন্যান্য এবাদত থেকে পিছে সরে যাবে।

    Level 0

    emtiaz ভাই।।এই লিঙ্ক টা দেখুন http://www.rongmohol.com/topic19104.html

ভাই আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ..বর্তবানে আমাদের দেশে কছিু লোক আছে যারা বেশি বুঝে বিধায় অনেক গুরুত্বপূর্ন সওয়াবের কাজ থেকে বঞ্চিত হয়।

    ঠিক বলেছেন। অনেকে অতিরিক্ত কিছু করতে করতে ধর্মের অনেক নিষেধকেও ইবাদত মনে করে থাকে।
    ধন্যবাদ আপনাকে।

Level 0

রাতে ইবাদাত করতে হবে, এটা খুব ভাল। তবে হালুয়া রুটি খাওয়ার যে প্রচলন আমাদের দেশে চলে আসছে তা মোটেই ঠিক না। কোন সাহাবা বা বুযুর্গদের জীবনে এটা দেখা যায় না। আবার অনেকে এটাকে ফরজ নামাযের চেয়েও গুরুত্ব দেয় এটাও ঠিক না। নফল নামায পড়লে নেকী আছে, তবে কেও যেন ফরজ নামাজ বাদ না দেয়।

    কাজ্বা নামাজের কথা একারণেই বললাম যে, অনেকে আছে যারা ঠিকমত নামাজ পড়ে না। কিন্তু শবে বরাতের দিনে নফল নামাজ পড়ার জন্য পাগল হয়ে যায়।একথা ঠিক যে নফল নামাজ পড়বে, কিন্তু ফরজ রেখে নফল কি করে কবুল হবে?
    ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর লিখেছেন।

সবাইকে ধন্যবাদ যারা মন্তব্য করেছেন।
আর আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম কারো পক্ষে সম্ভব হলে উত্তর দিবেন।

    আমার মনে হয় টিউনার ভাই যে হাদিসগুলো লিখেছেন তার অধিকাংশই দুর্বল ও বানোয়াট কথা। সহিহ বুখারি, মুসলিম, মিশকাত প্রমুখ হাদিস গ্রন্থ তে শবে বরাত নামে কোনও শিরনামই নেই…থাকলে কেউ দেখান।।

Level 0

আসসালামুওালাইকুম sadek hussain ভাই, আপনি আপনার blogger এর dashboard এর settings অপশন থেকে advance option চালু করে দিন। তারপর নতুন পোস্ট এ গেলে দেখবে page brake একটা অপশন আছে যেখানে read more অ্যাড করতে চান ঐ খানে page brake এ click করলে read more অ্যাড হয়ে যাবে।

চেষ্টা করে দেখেন ইনশাহাল্লাহ হয়ে যাবে।

apni je ato ato hadith likhlen aktar o reference dilen na..apni koto ta vul likhesen tar jonno proman shoho dekhun…shab e barat bole kono sahi hadith e chapter e nai…for more details please visit : http://www.islamhouse.com/p/43454
http://www.sorolpath.com/pdfs/bn_sab_e_barat.pdf
http://www.quraneralo.com/shab-e-barat/
আরও জানতে পড়ুন ঃ এহেইয়াউস সুনান(সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও বিদআতের বিসর্জন) লেখক; ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
-ইসলামের দৃষ্টিতে শবে বরাত,লেখক ঃ মাওলানা মুন্তাসির মামুন
সবাই কে বলব আপনারা একটু পড়াশুনা করলেই সত্য জানতে পারবেন।
সাউদি আরবের সকল উলামায়ে কেরাম একে বিদআত বলেছেন।আরব দেশের লোকেরা শবে বরাত কী তাই জানে না কারণ সহিহ হাদিসে নাই।
মহান আল্লাহ্‌ আমদের সঠিক বুঝার তাওফিক দিক।আমীন।

সুন্দর টিউন

Level 0

শবে বরাত সম্পর্কে কোন সহি হাদিস পাবেননা, আর তাছারা বড় ভাইজান যে এত কিছু বললেন যে আমাদের নবী (স:) এটা বলছেন, ঐটা বলছেন, তো আমার প্রশ্ন হলো ভাইজান আপনি কি কখনো নবীজীর জীবনীতে শবে বরাত পালন করতে দেখেছেন বা সাহাবীদেরকে বলতে শুনেছেন এইরকম কোন প্রমান দেখাতে পারবেন? যদি পারেন অবশ্যই দেখাবেন| আমার কাছেতো শবেবরাত পালন করা একরকম বিদাত মনে হয়| সাধারন ভাবে একটু খেয়াল করে দেখুন যদি শবে বরাত এত বরকতময় রাত_ই হতো তাহলে কেন আমাদের নবীজী এটা পালন করলেননা আর কেনইবা সাহাবীদের কে এই সম্পর্কে কিছু বললেননা! আশা করি আমি যা আপনাদেরকে বুঝাতে চাইছি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন| সবাই অনেক ভাল থাকবেন|

টিউনার ভাই যে সব হাদিস এর কথা উল্লেখ করলেন তার রেফেরেন্স দেন। কারন এটি কোন হাদিস থেকে নেওয়া এবং এটি প্রসিদ্ধ কোন হাদিস কিনা তা যানা প্রয়োজন।আশা করি রেফেরেন্স দিবেন।

ভাইসবেরা।কম জানি।কম বুঝি।সবাই এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন।

http://www.quraneralo.com/shab-e-barat/

Level 0

sadek hussain ভাই, আপনি বলেছেন সূরা দুখান ২৬ তম পারাই কিন্তু সূরা দুখান ২৫ তম পারাই আছে। তার প্রথম ৪টি আয়াতের অর্থ হলঃ(১)হা মীম, (২) আর সুস্পষ্ট গ্রন্থের কসম,(৩) নিশ্চয় আমি কল্যাণময় রাতে তা নাযিল করলাম, আমিতো সতর্ককারী।(৪) তাতে গুরুত্বপূর্ণ বিসয় স্থির হয়।

শুধু ৩ নং আয়াত উল্লেখ করলে অর্থ বিক্রিতি হয়। তাই প্রথম তিনটি লাইন পড়লেই বোঝা যাবে সব। এখানে সুস্পষ্ট গ্রন্থের কসম খেয়ে(২ নং আয়াতে) আল্লাহ তাআলা বলেছেন সেই গ্রন্থ(কোরআন মজিদ) নাযিল হয়েছে এই রাতে(৩ নং আয়াতে)। আর আমরা ভাল করেই জানি কোরআন মজিদ নাযিল হয়েছে রমজান মাসে। এবং ৩ নং লাইন দ্বারা শবে কদর কেই বুঝানো হয়েছে।

আর আপনার হাদিস গুলা কোন গ্রন্থের সেটা জানালে ভাল করতেন। হাদিস তো অনেক আছে কিন্তু তার মাঝে দুর্বল বা জাল হাদিস কম নাই। যদি শাবানের মধ্যরাত্রিকে উদযাপন করা বা ঘটা করে পালন করা জায়েয হতো তাহলে অবশ্যই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে আমাদের জানাতেন। বা তিনি নিজেই তা করতেন। আর এমন কিছু তিনি করে থাকতেন তাহলে সাহাবাগণ অবশ্যই তা উম্মাতের কাছে বর্ণনা করতেন। তারা নবীদের পরে জগতের শ্রেষ্টতম মানুষ, সবচেয়ে বেশী নসীহতকারী, কোন কিছুই তারা গোপন করেননি’। একটা মৌমাছি থেকে শুরু করে যৌন জীবনের খুঁটিনাটি পর্যন্ত যেখানে বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেই কোরআনে কি করে শবে বরাতের মত এত বড় বিষয় (যদি থাকত) এড়িয়ে গেল?

http://www.sorolpath.com/index.php?option=com_content&view=article&catid=81%3Arojob-o-shaban&id=234%3A2011-06-14-00-43-55

http://sorolpath.com/index.php?option=com_content&view=article&id=245%3A2011-06-20-12-00-58&catid=57%3Abook-pdf&Itemid=30

@Mohammad Aslam Ali,Mhapon ভাই আপনাদের ধন্যবাদ।
@আমীনুল ইসলাম যেটা ধর্মে নাই সেটা পালন করা অনেক ক্ষতিকর/বিদআত কথাটা মনে রাখবেন।

আমি আপনাদের পিস টিভি বাংলায় তাফসীর করেন শাইখ মতিউর রাহমান মাদানী এর অডিও লেকচার লিংক দিলাম।।সবাই ডাউনলোড করে শুনুন ;
http://www.quraneralo.com/lectures/125-1%20Shab%20e%20Barat%20-%20Part%201.mp3
http://www.quraneralo.com/lectures/125-2%20Shab%20e%20Barat%20-%20Part%202.mp3

ভাই আপনার হাদিসের সোর্স গুলো বলুন । কোন বই থেকে নিয়েছেন সেগুলো এখানে দিন ।

Level 0

http://m.somewhereinblog.net/blog/junjun/29414809

somewhereinblog a jara first page a achen tara ai pager addres ta copy kore browser a den. Dia ektu doya kore coment koren. Amar first page a access nai. Plz oder ekta jobab den. R parle amar ager montobbo er link gula dia diben.

সারাদিনের চেষ্টার পর টেকটিউনে ঢুকতে পারলাম। যাইহোক,
এই হাদীসগুলো দেখতে পারেন, সহীহ হাদীস থেকে নেয়।

১..
হযরত আলী (রা:) আনহু বর্ণনা করেছেন, মহানবী (সা:) বলেছেন:
"যখন শাবানের ১৫ তারিখ রাত আসবে তখন ঐ রাতে জাগ্রত থেকে মহান আল্লাহ পাকের বন্দেগী করবে ও দিনের বেলায় রোজা রাখবে। কেননা রাতের সূর্যাস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক দুনিয়ার আকাশে এসে মানুষকে ডেকে বলেন, যদি গুনাহগার থাক আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব। যদি অভাবী থাক তবে মুক্তির দোয়া কর, অভাব মুক্ত করে দেব। রোগাক্রান্ত থাকলে রোগমুক্তির প্রার্থনা কর, আমি শিফা দান করব। এ ধরনের যেকোন হাযত থাকলে আমার দরবারে দোয়া কর, আমি হাযত পূরণ করবো।" (তিরমিযী শরিফ)

২..
হযরত মূআশআরী (রাদ্বি:) থেকে বর্ণিত, ইবনে মাজা শরীফে সংকলিত অন্য এক হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:
নিশ্চই আল্লাহ পাক পনের শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটতম আসমানে আগমন করেন, আর তখন তিনি সকলের মাফ করে দেন। কিন্তু মুশরিক এবং হিংসুক লোকদের মাফ করবেন না।

উপরোক্ত হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঐ রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত, যে রাতে পাপীদেরকে পাপ মুক্ত করা হয়, অভাবীদের আভাব মুক্ত করা হয়, রোগাক্রন্তদের শিফা দান করা হয়। হাজত মন্দদের হাজত পূরণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক রাতেরই কোন এক ভাগে মহান আল্লাহ দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশ থেকে তাঁর বান্দাদেরকে ডাকেন এবং যে বান্দারা ঐ সময়ে আরামের বিছানাকে হারাম করে আল্লাহ পাকের শাহী দরবারে গোলামীর জন্য হাজির হয়ে যায়, ঐ বান্দাদের প্রতি মহান আল্লাহ তাঁর অশেষ রহমত এবং করুণা নাজিল করেন।
কিন্তু শবে বরাতের মর্যাদা এত বেশি যে, ঐ রাত সূর্যাস্তের পর হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত অর্থাত মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত মহান আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে এসে তার বান্দার ক্ষমার ঘোষণা করতে থাকেন এবং তাঁর রহমতের চাদরে পরিবেষ্টন করতে থাকেন।

৩..
এই মুবারক রাত সম্পর্কে আরো একটি হাদীস রয়েছে তিরমিযী শরীফে। উম্মুল মু'মিনীন আয়শা সিদ্দীকা (রা:) বর্ণনা করেন:
"কোন এক রাতে মহনবী (সা:) কে বিছানায় না পেয়ে সংবাদ নিতে বের হলাম। মদীনা শরীফের জন্নাতুল বাক্বিতে তাঁর সাক্ষাত লাভ করলাম, তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মতের জন্যে দোয়া করছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, হে আয়শা! তোমার মনে কি এই ভয় বিরাজ করছে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন। আমি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা:), আমি মনে করেছিলাম আপনি হয়তো বা অন্য কোন বিবির ঘরে তশবরিফ নিয়েছেন। তখন মহানবী (সা:) বলেন, নিশ্চই মহান আল্লাহ শা'বান মাসের ১৫ তারিখ রাতে অর্থাত ১৪ই শাবান দিবাগত রাত দুনিয়ার আকাশে আসেন এবং বনি কলব গোত্রের বকরিগুলোর লোমের চেয়েও বেশি গোনাগারকে ক্ষমা করে দেন।"

    আপনি যে তিনটি হাদীস উল্লেখ করেছেন তার সবগুলিই যঈফ ও জাল । এই হাদীসগুলো আমলযোগ্য নয় । বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্ক দেখুন http://addarasor.com/viewtopic.php?id=2254
    উল্লেখ্য তিরমিযী , ইবনে মাজাহ , আবু দাউদ , নাসাঈ এর প্রত্যেকটি হাদীসই সহীহ নয় । মুহাদ্দীসরা এগুলি যাচাই বাছাই করে চিহ্নিত করেছেন । সর্বশেষ বিখ্যাত মুহাদ্দীস আল্লামা নাসির উদ্দীন আলবানী রহঃ হাদীস গ্রন্থ গুলিকে পৃথক ভাবে সংকলন করেছেন । যেমন : সহীহ তিরমিযী , যঈফ তিরমিযী , সহীহ ইবনে মাজাহ , যঈফ ইবনে মাজাহ , সহীহ আবু দাউদ ….. ইত্যাদি । এই তাহক্কীক করা গ্রন্থ গুলি আপনি পাবেন তাওহীদ পাবলিকেশন্স – এ । আরও বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন : হাদীসের নামে জালিয়াতি গ্রন্থখানি লেখক ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর , শিক্ষক হাদীস বিভাগ , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় , কুষ্টিয়া ।

অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক ভাল একটি টিউন এর জন্য।

শবে বরাত ইসলাম নির্দেশিত কোন আমল নয় । এটা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে কখনও আমল করেননি । আর ইসলামের নামে কোন আমল করতে গেলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে তার প্রুফ থাকতে হবে । তা নাহলে তা হবে বিদআত । আর শবে বরাত এর সূচনা ৪০০ হিজর-এর পর । তাই শবে বরাত একটি বিদআতি আমল । এর থেকে দূরে থাকা আমাদের সবার কর্তব্য । আরও বিস্তারিত জানতে এবং এসম্পর্কিত একটি ভিডিও লেকচার দেখতে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন http://addarasor.com/viewtopic.php?id=2254
উল্লেখ্য বর্তমানে সৌদি আরবেও শবে বরাত পালন করা হয় না । আল্লাহ আমাদের সমস্ত বিদআত থেকে রক্ষা করুন । আমীন!

আবু তাসনীম ভাই,
বিদাত শব্দটির অর্থ জানেন?

সৌদি তো কোন দলিল না, তাই না?য়ার

কে এটাকে জাল বলেছে বা এটা পালনে নিষেধ করেছে সেই সহীহ হাদীসটি দেখাবেন?

তিরমিযী,মিশকাত আপনার কাছে সহীহ মনে হয় না? সিহাহ সিত্তাহ সম্পর্কে ধারনা আছে আপনার? আমি এখন আমার ইচ্ছা মত যেকোন একটা হাদীস গ্রন্থকে কাস্টোমাইজ করে নিলে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সাথে আমাদের পার্থক্য কি?

বুখারীতে এই হাদীস নেই তারো একটা ব্যাখ্যা আছে। জাল যঈফ বলে যে হাদীসগুলোকে যারা চিহ্নিত করেছে তাদের রেফারেন্স দিন। এবং খন্ডনকৃত ব্যাখ্যা গুলোর তেমন রেফারেন্স কেউ দেয় না, যুক্তি দেখায়। যাও কিছু দেয় তেমন উল্লেখযোগ্য আর একটু ঘাঁটলেই তাদের ওহাবী বলে চেনা যায়।

একটা সহীহ হাদীস দেখান যেখানে বলা আছে শবে বরাত বলে কিছু নাই বা কোরানের আয়াত। কেউ কেউ কিছু আহকাম সংক্রান্ত আয়াত দিয়ে পরোক্ষভাবে প্রমান করার চেস্টা করেন এটা করা যাবে না, তাহলে সেই পরোক্ষভাবে সূরা দুখানের আয়াত বা সিহাহ সিত্তার হাদিস দিয়ে প্রমান করা যায়,তাই না?

আসল কথা হল, এর পক্ষে বিপক্ষে দুই দিকেই খুব শক্ত শক্ত যুক্তি এবং উপাত্ত আছে, তবে বিরোধীদের একটু কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে এরা নবিজীকে সঠিক সম্মান দেয় না, মিলাদ বলে কিছু নেই, ঈদে মিলাদুন্নবি বলে কিছু নেই তথা ইসলামের বেশ কিছু চর্চার ঘোরতর বিরোধী। এবং কারন হিসেবে বলেন যে সৌদিতেও এর প্রচলন নেই। খুব ভাল কথা। মক্কা মদীনার সাথে ইসলামের সম্পর্ক খুব গভীর, কিন্তু বর্তমানে সৌদিতে ওহাবী (আরবের নজদ প্রদেশের আব্দুল ওহাব নজদী এর কাস্টমাইজড ইসলাম, যার মূল থিমই হল নবিজীর সম্মানহানী) সরকার এবং বেশ কিছুদিন ধরে তারা এ মতবাদে দিক্ষীত। অথচ তাবত পৃথিবীতে মিশর সিরিয়া তুরস্ক ফিলিপাইন এমনকি ইসলামের আরো গুরত্বপূর্ন স্থানে এই চর্চাগুলো ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে পালন করে আসছে। সেখানে কি আমাদের দেশের পান খাওয়া গুল খাওয়া তথাকথিত আলেমদের(আমি গুটিকতক আলেম এর কথা বলছি) চেয়ে বড় আলেম নাই? তারা কি সব বি'দাত এ ব্যতিব্যস্ত?

আরে ভাই, এটা নিয়ে কনফিউশন আছে, ভাল কথা, কোন মুহাদ্দিসই (যারা সত্যিকারের মুহাদ্দিস, কোন বিশেষ মতবাদ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নয়) তারা এই হাদীসগুলোকে কিছুটা দূর্বল বলেছেন ্কিন্তু তারা কেউই এই হাদীসগুলোকে জাল যঈফ বলেননি। এমনকি বিভিন্ন গ্রন্থে বর্নিত আছে ইমাম বুখারী ও এই হাদীসগুলোকে সংকলন করেননি কারন এই হাদীস বর্ননাকারীকে তিনি একবার এক ছাগল প্রলোভন দিয়ে খাওয়াতে দেখিয়েছিলেন, আর সেই সময় হাদীস সংকলনে উনার এইরকম সতর্ক না থাকার কোন কারন ছিল না। তাই বিষয়টি সুস্পষ্ট যে হাদীস গুলো একেবারে বাতিল নয়, তাছাড়া "কিয়াস" দ্বারাও এর প্রতিষ্ঠা সম্ভব, কিন্তু নতুন এবং বিশেষ নিয়মে নামায, বিশেষ দোয়া এগুলো অবশ্যই বাতিল। কেউ কেউ বিরোধিতা করেন, করতেই পারেন, আপনি হয়ত বিশ্বস্ত কোন বইয়ে পেয়েছেন বা বিশ্বস্ত কারো কাছ থেকে জেনেছেন, কিন্তু তাই বলে আর একটু এক্সটেন্ড করে সেটাকে আবেগের বশে বাতিল বলে দেয়াটা কি কোরান হাদীসকে সস্তা করার সমতূল্য না?

আর সবশেষে ঐ যে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের একটা রেফারেন্সের বিপরীতে বলছি, উনি হয়ত আল্লাহর মুমিন বান্দা(তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক), তবে উনার রেফারেন্স দেয়াটা কি ঠিক হল?উনি কে? উনি যদি ওহাবী হন তাহলে উনি বেছে বেছে ঐ মতবাদগুলোই উনার গ্রন্থে সংকলন করবেন তাই না?তাহলে বিষয়টা কি দাঁডাল? একটা বিশেষ গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সাধন হল না?সন্দেহ এবং অবিশ্বাস কি থেকেই গেল না?

সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি, ইসলাম একটি সাবলিল ধর্ম দয়া করে এটাকে কেউ বিতর্কিত করবেন না, কেউ নফল ইবাদত করতে চাইলে করুক না,এখানে একটা ঘটনা না বললেই না, (ঘটনার এর মূল অংশটা মনে আছে, তার জন্য দূখিত, তবে সবাই এটা জানেন, ভয় করছি এটা নিয়ে না আবার কোশ্চেন ওঠে,যাই হোক)

এক লোক নদীর পাড়ে বসে আল্লাহকে বলছে, আল্লাহ তুমি আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও, আমি তোমার সমস্ত সেবার দায়িত্ব নিব।তখন খুব সম্ভবত মূসা (আঃ) তাকে কিছু বলতে উদ্যত হলে আল্লাহ তাকে মানা করেন। (সঠিকভাবে বর্ননা করতে পারিনি বলে দুখিত, শুধু সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি)

তাই কেউ যদি নফল ইবাদত করতে চায় তাকে এভাবে অল্প জ্ঞানের ভিত্তিতে নিরুতসাহিত করবেন না, শুধু নফলকে নফল বলে বিবেচনা করার পথ বলে দিন, বাকিটা তার ক্বলব আর তার রবের বিষয়। আর যেহেতু এ রাতে কেউই খারাপ উদ্দেশ্যে খারাপ কিছু করে না তাই একে বাতিলে চেস্টা না করাটাই কি উত্তম না? বাতিল যোগ্য হলে বহু আগেই বাতিল হয়ে যেত। যারা পালন করেন না বা এর বিরুদ্ধাচরন করে একে বাতিল করতে চান তাদেরকে বলছি দয়া করে কারো অনুসারী না হয়ে নিজে জ্ঞান অর্জন করুন, নিউট্রাল পয়েন্টে গিয়ে বিবেচনা করুন, তথ্য উপাত্ত নিন, তাবত দুনিয়ায় মুসলিম সমাজ কি করে না করে লক্ষ্য করুন, আমাদের দেশে কোন নবী আসেননি, অনেক আউলিয়ায়ে কেরাম এসেছেন, তাদের মাধ্যমে ইসলাম ও তার চর্চাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই যুগে যুগে এর ভেরিয়েশন আসাটাই স্বাভাবিক, তাই শুধু আমাদের দেশে কিছু আলেমের প্রচলন করতে চাওয়া আলেমের কথা না শুনে একটু চিত্তকে বড় করে জানুন তারপরে অপরকে আপনার পাওয়া সত্যটি জানান, হঠাত করে অতর্কিতে আর একজনকে এইসব সেন্সিটিভ ইস্যুতে আক্রমন করে বসবেন না। তাহলে ই দেখবেন এইসব বিষয়ে একদিন আমাদের দেশে অবশ্যই একটা সমাধান আসবে ঠিক যেমন অন্যান্য আরব দেশে এসব বিষয়ে বহু আগেই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।আল্লাহ আমাদের সঠিক আমল করার তৌফিক দিন।

অনেকে অনেক চমৎকার লিংক দিয়েছেন, তারপরও যারা পড়তে চান http://bit.ly/WcWvB7