আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শবে বরাতের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার টিউনটি শুরু করতে যাচ্ছি। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
Facebook-এ আমার তৈরি ইসলাম বিষয়ক একটা পেজ http://www.facebook.com/islamichelpandsupport টি Like করবেন। এখানে ইসলাম বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন করতে পারবেন এবং উত্তর দিতে পারবেন।
আমরা সকলে জানি মুসলান ধর্মালম্বীদের কাছে শবে বরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু অনেকে বলে শবে বরাত পালন করা যায়েয নয় বা পালন করা ঠিক নয়। এই সম্পর্কে আমার কাছে সংরক্ষিত একটা দলিল তুলে ধরলাম।
পবিত্র ক্বোরআন মাজীদের ২৬ তম পারায় সূরা 'দুখানা' এর ৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "ইহা আমি অবেতীর্ণ করেছি এক মোবারক রজনীতে, অবশ্যই আমি শতর্ককারী। এই রজনীতে আমার আদেশক্রমে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত।"
মুফাসিরিনে কেরামগণ আলোচ্য আয়াতকে 'বরকতময় রাত বলতে শবে-বরাত এবং শবে ক্বদর উভয় রাতকেই গ্রহণ করেছেন।
আমার কাছে কয়েকটি বড় বড় ব্যাখ্যা আছে যেগুলো লিখতে অনেক সময় লাগবে। তাই আমি সংক্ষেপে দু-একটি উল্লেখ করছি,
হযরত মাওলানা আশরাফ আলী তানবী (রহ:) তাঁর বিখ্যাত উর্দু তাফসীর 'বয়ানুল কুরআনে'-এ আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে 'লাইলাতুল মুবারাকাহ' বলতে গিয়ে বলেন, "কেউ কেউ লাইলাতুল মুবারাকাহ এর ব্যাখ্যা লাইলাতুল বরাত করেছেন। এর কারণ এই যে, বিভিন্ন বর্ণনায় এ সম্পর্কেও বার্ষিক ঘটনাবলীর সিদ্ধান্তের বিষয় এসেছে।" (পৃষ্টা:৯৯, ২য় খন্ড)
শবে বরাতের পরিচয়:
আরবি শাবান মাসের চৌদ্দই দিবাগত পঁনের তারিখের রাতকে 'শবে বরাত' বলা হয়। এই রাতে একটি বছরের জন্য সৃষ্টি জগতের অদৃষ্ট বন্টন করা হয়। এই জন্য এই রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই কারণেই সাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি।
তাৎপর্য:
এই রাত্রি সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেন, এই রাত্রিতে এবাদত-কারিদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সাথে শিরককারী, সুদখোর,গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হুজুর (সা:) বলেছেন, "জিব্রাইল (আ:) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানাইয়া দেন যে, তারা যেন শবে বরাতের রাতকে জিবীত রাখে।" অর্থাত্, সারারাত তারা যেন ইবাদতের মাঝে কাটাইয়া দেয়।
আরেকটি হাদীসে রাসূল (সা:) বলেছেন,এই রাত্রে আসমান থেকে ৭০ লক্ষ ফেরেশতা যমীনে আসিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া এবাদতকারী-দিগকে পরিদর্শন করেন এবং তাদের এবাতদ সমূহ দেখতে থাকেন।
অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি সাবান চাঁদের পঁনের তারিখে রাতে এবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
আরো এক হাদিসে রাসূল (সা:) বলেছেন, তোমরা শবে বরাতকে সম্মানিত মনে কর। এটা শাবান চাঁদের পঁনের তারিখের রাত্রি। এই রাত্রে যারা এবাদতে মগ্ন থাকে তাদের প্রতি আল্লাহ পাকের রহমতের ফেরেশাতাগণ আবতীর্ণ হয়। আর আল্লাহ তাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।
এক হাদীসে এসেছে নবী কারীম (সা:) বলেছেন, এই রাতে আল্লাহ তা'আলা মোমিন মুসলমাদিগকে ডাকিয়া বলেন, আজ আমার যে বান্দা মার্জনা কামনা করবে, আমি তাকে মার্জনা করে দেব। যে বান্দা সাস্থ্য কামনা করবে, তাকে সাস্থ্য দান করব। যে বান্দা ধনৈশ্ব্-র্যের কামনা করবে, তাকে ঐশ্বর্যশালী করে দিব।
শবে বরাতের রাতে করণীয়:
এই রাত্রের সূচনাতেই অর্থাত্ সূর্যাস্তকালে গোসল করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। অত:পর মাগরিবের নামাজ পড়ে বিভিন্ন তাসবি-তাহলীল পাঠ করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তারপর এশার নামাজ পড়ে (বিতরের নামাজ বাকী রেখে) দুই রাকাত নিয়তে নফল নামাজ পড়তে পারেন। কিছুক্ষণ পর পর দোয়া করবেন। দরুদ শরীফ পড়বেন, ক্বোরআন তিলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি করে কাজ্বা নামাগুলো আদায় করবেন। এভাবেই রাতটা কাটিয়ে দিতে পারলেই শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যাবে। [ফজরের আগেই বিতরের নামাজ আদায় করতে হবে]
আমি নিয়মিত টিউন পড়ি কিন্তু টিউন করতে পারি না। আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ ছাড়া যেকোন ব্লগে এটা আমার ২য় টিউন।
এই পোষ্টটা যথাসাধ্য সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু মানুষ হিসাবে স্বভাবিক ভূল হতে পারে। তাই সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
আমার একটা ব্যক্তগত Blog আছে http://www.tech-pages.tk এখানে আমি বিভিন্ন Catagory-র পোষ্ট করতে চাই, কিন্তু আমি ক্যাটাগরি তৈরি করতে পারছিনা এবং Read More.. অপশনটা যোগ করতে পারছিনা। যদি কারো পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে আমাকে একটু সাহায্য করবেন।
আমি sadek hussain। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ…