জেনে নিন সুন্দর হাতের লেখার সাধারন কতকগুলো নিয়ম, যা জানা আমার আপনার সবার জন্য জরুরী।

সবাইকে ইনফোটেক লাইফ.কমের পক্ষ থেকে সকলকে ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা। আজকে একটু ভিন্ন ধরনের টিউন শেয়ার করব। আমরা আমাদের হাতের লেখা নিয়ে ১০০ ভাগ কেহই হয়তবা সন্তুষ্ট নই। কেমন হত আমাদের হাতের লিখাটা যদি আর একটু ভাল হত! নিজের হাতের লিখার ব্যপারটা না হয় বাদই দিলাম। আপনার সন্তানের হাতের লেখা ভাল হউক তা নিশ্চয় চাইবেন আপনি? আজকের এই লেখার কৌশলটা আমার নিজের নয়। একটি একটি সংগ্রহ তাই কৃতিত্ত্বাটা তাঁরই। এই মহান ব্যক্তির নাম Sanwar Jahan Bhuiyan. তার ফেসবুক পেজ থেকে একবার ঘুরে আসতেই পারেন, কি বলেন? তো আসুন কথা না বলে দেখি সুন্দর হাতের লেখার কৌশল-

 

সুত্র-১ঃ  “ কলম, কালি, মন;

                            লিখে তিনজন!”
➣ ভাল কলম,কালি আর গভীর মনোযোগ এতিনটিকে এক করতে পারলেই হাতের লেখা সুন্দর হতে বাধ্য।

সুত্র-২ঃ “সমকাত,সমপাত

সম অন্তর,সম আয়তন”

➣ ২.১ঃ সমকাত- অনেকেই একটু কাত বা সামান্য হেলান লিখা লিখতে পছন্দ করেন। আপনি যখন লিখছেন তখন খেয়াল রাখুন আপনার লেখা সকল অক্ষর সমুহ যেন একইভাবে সমানুপাতে কাত হয়।

যেমনঃ 


➣ ২.২ঃ সমপাত- সমপাত বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হল, লেখার অক্ষর বসানোর সময় খেয়ালা রাখবেন মাত্রা যেন উপর নীচ না হয়। যেমনঃ-

➣  ২.৩ঃ সম-অন্তর- সম-অন্তর বলেতে বুঝা্য় সমান দুরত্ব। অর্থাৎ লেখার সময় খেয়াল রাখবেন যেন, প্রতিটি অক্ষরের মাঝে সমান দুরত্ব হয়। যেমনঃ 

➣  ২.৪ঃ সম আয়তন- লেখার সময় এবিষয়টিও খেয়াল রাখবেন যেন প্রতিটি অক্ষরের আয়তন ও মাপ যেন একই হয় কোনটি বড় আবার কোনটি ছোট না হয়। যেমন-

শেষ কথাঃ উপরের নিয়মগুলো ভাল করে অনুশিলন করুন, আপনি টিচার, অফিসার বা গৃহ কর্তা যাই হউন না কেন। আপনি অনুশীলন করুন আপনার সন্তানকে এই কৌশল গুলো রপ্ত করান দেখবেন হাতের লেখা সুন্দর হবে।

উপরের নিয়ম মেনে প্রতিটি অক্ষর পারফেক্টলি চেষ্টা করুন। প্রথমে সময় একটু বেশি লাগবে। তবে দিন দিন মনোযোগ দিয়ে চেষ্টা করলে আপনার হাতের লেখার স্পীড বাড়বে আর আপনি দ্রুত লিখতেও পারবেন।

হাতরে লেখা ভাল হলে-

  • পরীক্ষায় ভাল ফলাফল তথা নম্বর বেশি পাওয়া যায়।
  • যাদের হাতে লেখা সুন্দর তাদের টিচার বা শিক্ষকগন ভালবাসেন।
  • যাদের হাতের লেখা সুন্দর তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অনেকদিন মনে রাখেন।

ভাল লাগলে আমার সাইট হতে ঘুরে আসতে পারেন, এটুকু বলতে পারি খারাপ লাগবেনা। সবাইকে ধন্যবাদ, ইতিবাচক টিউমেন্ট করুন আমাদের লিখতে উৎসাহ দিন।

আমারসাইট ও অন্যান্য ঠিকানা

আর হ্যাঁ আমার ওয়েব সাইটে আপনাদের স্বাগতম। ওয়েবসাইট আপনাদের ভাল লাগবে আশা করি।  ইচ্ছে করলে আপনার আমাকে ফেসবুকে Add করে নিতে পারেন। নিচে আমার বিস্তারিত

Website: http://infotechlife.com

http://patroblogger.blogspot.com

Facebook Page : http://www.facebook.com/goljar.ali
Twitter : https://twitter.com/MdGoljarAli1
YouTube : http://www.youtube.com/goljar123

Level 0

আমি গোলজার আলী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 79 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

আমি পেশায় একজন টিচার। লেখা আমার নেশা। লেখা নিয়েই থাকতে চাই। আমাকে নিচের ঠিকানায় পাবেন Website: http://infotechlife.com http://patroblogger.blogspot.com Facebook Page : http://www.facebook.com/goljar.ali Twitter : https://twitter.com/MdGoljarAli1 YouTube : http://www.youtube.com/goljar123


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ধন্যবাদ

ছড়া দু’টো পড়ে বেশ হাসলাম মনে মনে, হারিয়ে ফেলা পিচ্চিকালে এসব গৎবাঁধা নিয়মই কতো পেইন অার বোরিং লাগত……অথচ যখন বড় হয়ে অাক্কেল দাঁত একটু গজাতে শুরু করল তখন ঠিকই এসবের মাহাত্ম্য মর্মে মর্মে বুঝেছি…….সুন্দর হাতের উপলব্ধি এখনো না হলেও হাতের সুন্দর লেখার উপকারিতা অাজীবন পেয়েছি 😀

তবে কী বোর্ডে টিপাটিপির নেশা যাদের চরম- তাদের কিন্তু এসব নিয়মের কুনুটাতেই ধরবে না, বহুদিন পরেও সব ওলটপালট হতে পারে…..অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস অারকি!!

ছড়া দু’টো মনে সেলাই করে নিলাম…….ধইন্যা রইল 🙂

****** অন্য বিষয়ে বলছি- টিউনের শুরুতেই “ইনফোটেকের” শুভেচ্ছা জানানোটা কিন্তু যথেষ্ট বেখাপ্পা লাগছে……অামরা সবার অাগে টিউনারকে চিনতে চাই- তাতেই Mango People-র ফায়দা বেশী :mrgreen:

Level 2

হাতের লেখা যাদের খারাপ তারাই নম্বর বেশি পায়, ছাত্র জীবন থেকে দেখে এসেছি। হাতের লেখার কোন গুরুত্ব বর্তমান সমাজে নেই, তবে হাতের লেখা ভালো হলে সমাজে সকলের কাছে অন্যরকম একটা সম্মান পাওয়া যায়।

অফ টপিক > আমি ষস্ট শ্রেনিতে পড়া অবস্থায় একবার দেখেছিলাম আমার হাতের লেখা পরিষ্কার হওয়ার কারনে আমার পরিক্ষার খাতার ভুলগুলো টিচার সহজেই বুঝতেন ফলে ভুল হওয়া বিষয় গুলো তিনি কেটে দিতেন অপর দিকে আমার এক সহপাঠির খাতায় ভুল হওয়া সত্বেও তিনি সেগুলো কাটতেন না মনেহয় তার হতের লেখা অনেকটা হিজিবিজি তথা খারাপ হওয়ায় তার ভুল বিষয় গুলো না কেটেই তাকে তাকে মার্ক দিতেন এভাবে খারাপ হাতের লেখা হওয়া সত্বেও সেই ছাত্র পার পেয়ে যেত।

প্রযুক্তির উৎকর্ষকতায় হাতের লেখার গুরুত্ব কমেই গিয়েছে। প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে, মনে হয় অদুর ভবিষ্যতে টাইপিং ছাড়া হাতের লেখা চলবে কিনা তা নিয়ে ভাবছি। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠানে দরখাস্তও টাইপ করে বলে। আগে স্বহস্তে লেখার কথা হতো। তারপরও লেখা সুন্দর করার প্রক্রিয়া বলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।