আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় সিরামিক প্রকৌশল এ ক্যারিয়ার । দেখেনিন সিরামিক প্রকৌশল এ কাজের ধরণ ও কাজের ক্ষেত্র কেমন.... কিভাবে ভালো করতে পারবেন এই পেশায়... কি রকম আয়... পড়াশোনা কোথায় করবেন.... এই বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা কি... প্রভৃতি।
তার আগে দেখেনিতে পারেন ‘আমার লক্ষ্য’ এর ক্যারিয়ার বিষয়ক অন্যান্য টিউনসঃ
এবার চলুন মূল আলোচনায়...
সিরামিক সামগ্রীর ব্যবহার এখন আর নিছক প্রয়োজনীয়তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সবখানেই এখন সিরামিক পণ্যের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। ঘর সাজানো ও অফিসের সৌন্দর্যবর্ধনের উপকরণ হিসেবে শৌখিন মানুষের কাছে নানা রকমের দৃষ্টিনন্দন সিরামিক পণ্যের কদর দিন দিন বাড়ছে।
যেমন, টাইলস ছাড়া বাড়ি নির্মাণ এখন আর অনেকে কল্পনাও করতে পারেন না। সেই বাড়িতে সিরামিকসের কমোড ও বেসিন স্থাপনও আজকাল যেন অতিপ্রয়োজনীয় এক অনুষঙ্গ। আর বাড়িতে ও অফিসে সিরামিকের টি-টেবিল ও ঘর সাজানোর শোপিস রাখা এবং বাসনকোসন, চায়ের পেয়ালাসহ নানা ধরনের তৈজসপত্রের ব্যবহার তো আজকাল ফ্যাশনেও পরিণত হয়েছে। দেশে সিরামিক পণ্যের চাহিদা বাড়ার সুবাদে স্থাপিত হচ্ছে নতুন নতুন সিরামিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
সিরামিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দরকার হয় দক্ষ লোকের। সেজন্য সিরামিক প্রকৌশলী চেয়ে এসব প্রতিষ্ঠান প্রায়ই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দেশে সিরামিক প্রকৌশলীর বেশ অভাব রয়েছে বলে জানান বিভিন্ন সিরামিক শিল্পের কর্ণধারেরা। তাঁদের মতে, দক্ষ সিরামিক প্রকৌশলীদের চাকরির নিশ্চয়তা আছে।
সুতরাং, পেশাগত চাহিদা ও সম্ভাবনা থাকায় নবীনেরা এ বিষয়ে পড়াশোনা করে হয়ে যেতে পারেন দক্ষ সিরামিক প্রকৌশলী।
টাইলস, স্যানিটারি (কমোড, বেসিন) ও টেবিলওয়্যার (বাসনকোসন, ফুলদানি, শোপিস ইত্যাদি)—এই তিনটি বিভাগ আছে সিরামিকে। তবে বিভাগ তিন ধরনের হলেও মূল কাজ একই রকম। এটি একটি সৃজনশীল পেশা। মীর সিরামিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাউসার আলম জানান, পণ্যের নকশা, কালার ম্যাচিং, গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা দেখাই হচ্ছে সিরামিক প্রকৌশলীর কাজ। এ ছাড়া একজন সিরামিক প্রকৌশলী তাঁর সৃজনশীল বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন সিরামিক পণ্য উৎপাদন করতে পারেন।
‘আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে বসে থাকে না। সিরামিক নিয়ে পড়াশোনা করে শতভাগ শিক্ষার্থীই কর্মে নিয়োজিত।’ বলছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আইয়ুব আলী। তাঁর এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, সিরামিকে কাজের চাহিদা ও ক্ষেত্র কত বড়। তিনি জানান, দেশে বর্তমানে প্রায় দুই শতাধিক সিরামিক কারখানা আছে। এসব শিল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কাজে ভালো দক্ষতা দেখাতে পারলে দ্রুতই পদোন্নতি হয়। দেশের বাইরেও রয়েছে কাজ করার সুযোগ।
সিরামিক প্রকৌশলীদের জন্য বাংলাদেশ কউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর) এবং বিএসটিআইতেও কাজ ও গবেষণা করার সুযোগ আছে।
কাজটি যেহেতু সৃজনশীল, তাই এ কাজে মেধা ও মননের সঠিক ব্যবহার খুবই জরুরি। এতে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। নতুন পণ্য তৈরিতে প্রকৌশলীকে বর্তমান যুগের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। আকিজ সিরামিকসের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরিদুল হক ফারুক বলেন, ‘একজন প্রকৌশলীকে উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান যেন ভালো হয়, সর্বদা সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। কাজের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।’
বুয়েটে Glass and Ceramics Engineering ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে চার বছর মেয়াদি সিরামিক টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স এবং দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু আছে। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আটটি সেমিস্টারে বিভক্ত। এই কোর্সে আসনসংখ্যা ৮০। দুই বছরের সিরামিক ট্রেড কোর্সে ছয় সপ্তাহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য। এসএসসি (ভোকেশনাল) সিরামিক ট্রেডে আসনসংখ্যা ৩০।
****অন্য কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এই বিষয়ে পাঠদান করা হয় কিনা তা আমাদের জানা নেই
বুয়েটে ভর্তির ব্যাপারে আশা করি সবারই ধারণা আছে..... না থাকলে আরেকদিন এ ব্যাপারে টিউন করা যেতে পারে।
প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই সাধারণত ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এখানে ছেলেমেয়ে উভয়ই ভর্তির সুযোগ পায়।
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ-৩-সহ গণিতে ৩ থাকতে হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী মেধাক্রমে ভর্তির সুযোগ পায়। এসএসসি ভোকেশনালের জন্য ১৫ ভাগ, মেয়েদের জন্য ১০ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৬ ভাগ এবং ২ ভাগ প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত।
সৃজনশীল এই পেশায় পড়াশোনা চলাকালেও চাকরি করে আয়ের সুযোগ থাকে। চাকরির শুরুতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন (বুয়েটের প্রকৌশলদের মাথা নষ্ট করা বেতন) হলেও তা দ্রুত ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা কিংবা এরও বেশি হয় বলে জানান আকিজ সিরামিকসের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরিদুল হক ফারুক।
[[[ হয়তো অনেক তথ্য অসম্পূর্ন; আশা করি আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে তা সুধরে দিবেন। ভালো লাগলে শেয়ার ও কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের উৎসাহিত করুন। আপনার বন্ধুকে ‘আমার লক্ষ্য’ সম্পর্কে বলুন। ]]]
*******************************************একটু লক্ষ্য করুন*************************************************************
আমাদের পোস্টের অনেক কন্টেন্ট বিভিন্ন ওয়েব সাইট, ব্লগ অথবা অন্যান্য উৎস হতে সংগ্রহ করা। আমাদের উদ্দেশ্য সকলের উপকার করা।
আমার লক্ষ্যের কোন ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। এটি একটি অলাভজনক সংগঠন। শুধুমাত্র আপনাদের উৎসাহই আমাদের কাজের প্রেরণা।
অভিজ্ঞ দের মূল্যবান উপদেশ সর্বোপরি সকলের সুচিন্তিত পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।
ফেসবুকে আমরাঃ https://www.facebook.com/amr.lokkho
ওয়েবে আমরাঃ http://amarlokkho.com/
আমি Md_Nadim_Hossain। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 63 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রত্যাশা করছি