কলার খোসাকলার নানা পুষ্টিগুণের কথা সবাই জানেন, কিন্তু কলার খোসা কি কোনো কাজে লাগে? কলা খাওয়ার পর এর খোসা যেখানে-সেখানে ফেললে নানা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু জানেন কি? কলা যেমন উপকারী, এর খোসার উপকারিতাও কিন্তু কম নয়। কলার খোসাকে আপনি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাসায়নিকমুক্ত কলা হলে তা ভালো কাজে দেবে। কলার খোসা কেন ফেলে দেবেন না তা নিয়ে হেলথডাইজেস্ট নামের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ঝকঝকে সাদা দাঁতের জন্য:
প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই ওঠাতে পারেন না। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন। দাঁতে ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজ করে । দাঁতে পাকা কলার খোসা প্রতিদিন ঘষে টানা এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে তা ভালো কাজে দেবে।
ব্রণ দূর করতে:
মুখের ব্রণ দূর করতে কলার খোসা উপকারী। এর মাধ্যমে একবার সেরে গেলে ব্রণ আর ফিরে আসে না। মুখে ভালো করে ঘষে সারারাত রেখে দিলে ব্রণের সমস্যা কাটবে।
কলার খোসা রান্নাঅবসাদ কাটাতে:
ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এতে অবসাদ দূর হয়৷ কলার খোসায় মুড-নিয়ন্ত্রণ রাসায়নিক সেরোটোনিন থাকে প্রচুর পরিমাণে৷সেই সেরোটোনিন শরীরের অবসাদ দূর করে।
মুখের দাগ দূর করতে:
কলার খোসা ব্যবহার করে সহজেই মুখের দাগ দূর করা যায়। মধুর সঙ্গে কলার খোসা মিশিয়ে মুখে ভালো করে ঘষলে এই দাগ দূর হয়।
অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়:
চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কলার খোসা। চুলকানি ও চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে নিতে পারেন। কলার খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন থাকে৷অতিবেগুনি রশ্মির ছোবল থেকে চোখকে বাঁচায় এই লুটিন৷
বলিরেখা দূর হয়:
ত্বকের জন্যও কলার খোসা অনেক উপকারী। কলার খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বলিরেখা ঢাকতে পারে। এটি সজীব ত্বকে সাহায্য করতে পারে।
দাদের ওষুধ:
কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। চুলকালে সেই অংশে কলার খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত দাদ সেরে যাবে।
মসৃণ ত্বকের জন্য:
মুখমণ্ডল যদি শুষ্ক আর খসখসে হয়, কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম হয়ে গেছে।
খোসপাঁচড়া দূর করে:
ত্বকে কোথাও পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই জায়গায় কলার খোসা মেখে রাখুন, অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক দিন ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
পোকা-মাকড় কামড়ালে:
যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাত্ কামড় দিয়ে বসে এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে।
জুতা পরিষ্কারে কলার খোসাগহনা পরিষ্কারে কলার খোসা:
কলার খোসা দিয়ে চামড়ার জুতা, কাপড়, রুপার গয়না পরিষ্কার করতে পারেন। তাতে অলংকার টেকসই হয় ও মসৃণতা বাড়ে।
এই তথ্যগুলি পেয়ে সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা করল তাই টিউন করলাম।
কি কাজে লাগবে তো? আশা করি সবাই কাজে লাগাবেন। ধন্যবাদ !
আমি স্বপন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 170 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সকল কে জ্ঞান দান করুন নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
ওরে বাস ! Thanku দিতেই হয় । এখন কাজ করলে হয়…