আপনার কোন স্টুডিওর দরকার নেই, কোন বাদ্যযন্ত্রের দরকার নেই, দরকার নেই কোন আহামরি ট্যালেন্টের। শুধু একটা পিসি আর একটা হেডফোন আপনাকে খুব সহজে গায়ক বানাতে পারে। আপনার গাওয়া গানে কিভাবে খুব সহজে মিউজিক লাগানো যায় তা আমি শিখাবো ভিডিও টিউটরিয়াল সহ।
আমি খুজে পাচ্ছিলাম না কিভাবে টিউনটি শুরু করবো, টিউনের টাইটেল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভাবছিলাম কি দেখলে মানুষ বিশ্বাস করবে। আমি টেকটিউন্সে আগে এই বিষয়ে আরো পোস্ট দেখেছি কিন্তু তেমন সাড়া পেতে দেখিনি। আমার পোস্টটা পরার পরে আপনি সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। ভিডিও টিউটরিয়াল গুলো আমি নিজে ভয়েস অভার সহ বানিয়েছি। আমি যতটা পারি সহজ করে বুঝাতে চেষ্টা করেছি, আশা করছি আপনারা বুঝতে পারবেন। আজকে আপনাকে যা শিখাবো তার নমুনা শুনে আসুন নিচের লিঙ্ক থেকে।
সুনীল বরুনা আমার কণ্ঠে সরাসরি শুনুন
গানটি ডাউনলোড করে শুনতে করতে ক্লিক করুন।
____________________________________
মিনারের সাদা আমার কণ্ঠে সরাসরি শুনুন
গানটি ডাউনলোড করে শুনতে ক্লিক করুন।
আমি শখের বসে গান গাই আবার এই শখের বিষয়ে আমি Passionate, কিন্তু আপনি কি কারনে নিজের গানকে এতো সুন্দর করে মিউজিক সহ সাজাবেন তা আপনার বেপার। তবুও আমি কয়েকটা জিনিষ বলে দিচ্ছি- 😛
(আমার গার্লফ্রেন্ড নাই তাই অজ্ঞান হওয়ার অভিজ্ঞতাটাও নাই কিন্তু বাকি সবগুলো আমার সাথে ঘটেছে 😀 )
গান প্রায় সবাই গাইতে পারে, কেউ একটু কম কেউ একটু বেশি। গান যে আপনার কতো উপকারে আসতে পারে তা আপনি ভাবতেও পারবেন না! অনেকেই হয়তো ভাবেন যদি গায়ক হতে পারতেন! আসলে ট্যালেন্ট দেখানোর মতো সাহস কারো কাছে নেই। আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা অনেক ট্যালেন্টেড কিন্তু আত্মবিশ্বাস না থাকার কারনে সামনে আসতে পারে না। তাছাড়া আরো অনেক সামাজিক সমস্যা তো আছেই।
যারা এই ধরণের লুকায়িত ট্যালেন্ট নিয়ে ঘুরাফেরা করছেন তাদেরকে বলছি, হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে একটু বাইরে আসুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকলে আপনি সফলতার দূরত্ব অর্ধেক কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
এখন বলতে পারেন উপদেশ দেওয়া সহজ কিন্তু করা কঠিন! আমিতো গাধা তাই বলে কি আপনি মানুষ হবেন না?
আজকের চেষ্টা কিভাবে আপনাদের নিজের প্রতি একটু হলেও বিশ্বাস স্তাপনে সাহায্য করা।
১) একটা কম্পিউটার সাথে ইন্টারনেট ( সামবডি খীল মি 😀 )
২) একটা হেডফোন লাগবে যেটা দিয়ে রেকর্ড করা যায় (হেডফোন না থাকলে মোবাইল দিয়েও রেকর্ডের কাজ চালাতে পারেন)।
৩) গান রেকর্ড করার জন্য কম এক্সট্রা শব্দ আছে এমন জায়গা নির্বাচন করুন (আমার পাশের বাসার আনটি আর তার মেয়ের ভয়ে আমি মন খুলে গাইতে পারি না 🙁 )
৪) গানের Karaoke/Instrumental লাগবে, অরিজিনাল গানের শুধু বাজনা থাকবে শিল্পীর কণ্ঠ থাকবে না। বিস্তারিত জানতে আমার এই পোস্ট টা পড়ুন।
৫) যারা ঝামেলা ছাড়া গান বানাতে চান তাদের জন্য Audacity সফটওয়্যার। ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে আছে। আর যারা একটু বেশি কাজ করে সুন্দর বানাতে চান তাদের জন্য FL Studio সফটওয়্যার। ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে আছে।
সব ঠিক ঠাক থাকলে শুরু করুন,
সফটওয়্যার ডাউনলোড লিঙ্কঃ
আপনার পছন্দের গানের Karaoke ডাউনলোড করুন এবং Audacity সফটওয়্যারটা ইন্সটল করুন। ZIP ফাইলের ভেতর Lame নামের আরেকটা সফটওয়্যার পাবেন সেটাও ইন্সটল করুন। এবার Audacity রান করান।
আপনার হেডফোন অথবা অন্য যেকোন রেকর্ডিং ডিভাইস আপনার কম্পিউটারে লাগান। (হেডফোনের ২ টা কেবলই কিন্তু লাগাতে হবে।)
মাইকের ছবির সোজা জায়গায় আপনার রেকর্ডিং ডিভাইস সিলেক্ট করবেন। আমি Microphone দিয়ে দেখালাম। এবং পরের বক্সে 2 (Stereo) Input Channel সিলেক্ট করুন।
এখানে প্রথমটা হচ্ছে শুনার ভলিউম যেটা রেকর্ড করার সময় আপনি শুনবেন আর পরেরটা রেকর্ডিং ভলিউম। রেকর্ডিং ভলিউম পুরুটা দিবেন আর শুনার ভলিউম আপনি যতটুকু পছন্দ করেন।
এবার আপনার পছন্দের Karaoke টি মাউসে সাহায্যে ক্লিক করে এনে Audacity'র মধ্যে ছেড়ে দিন এবং রেকর্ড বাটনে ক্লিক করুন।
গোল চিহ্নিত বাটনটা হলো রেকর্ড বাটন। এটাতে ক্লিক করলেই রেকর্ড শুরু হবে এবং আপনার কানে Karaoke টা বাজতে থাকবে। এবার মিউজিকের সাথে মিল রেখে গাওয়া শুরু করুন। রেকর্ড শেষ হলে স্পেস অথবা উপরের স্টপ বাটনে ক্লিক করুন। রেকর্ড শেষ হলে নিচের মতো হবে।
এখানে নিচের চ্যানেলটা হল আমার ভয়েস আর উপরেরটা Karaoke লাল রঙ দিয়ে মার্ক করা জায়গাটা সিলেক্ট করুন, এই জায়গায় শুধু এক্সট্রা শব্দ রয়েছে এবার উপরে Effect-এ ক্লিক করে Noise Removal -এ ক্লিক করুন।
Noise Removal -এ ক্লিক করলে এরকম আসবে, এবার Get Noise Profile-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার রেকর্ড করা গানটার উপর ডাবল ক্লিক করুন দেখুন পুরাটা মার্ক হবে এবার আবার Effect থেকে Noise Removal ওপেন করে Ok বাটন চাপুন। লক্ষ্য করে দেখুন অতিরিক্ত শব্দ গুলো অনেক কমে গেছে। কেউ যদি দেখেন অনেক শব্দ রয়ে গেছে তাহলে Ctrl+R চাপুন ফলে আগের Effect আবার অ্যাপ্লাই হবে। যারা মোবাইলে রেকর্ড করেছেন তারা Karaoke 'র মতো গানটা Audacity তে এনে নিচের ছবির মার্ক করা জায়গায় ক্লিক করে নড়িয়ে মিউজিকের সাথে টাইমিং ঠিক করুন।
নিচের স্ক্রীনশটের ১ নাম্বার জায়গায় ক্লিক করলে Zoom হবে, এবার ২ নাম্বার জায়গা যেটুকো অতিরিক্ত শব্দ সেটা পুরাটা সিলেক্ট করে ৩ নাম্বার জায়গায় ক্লিক করুন, দেখিন সেটা লেভেল হয়ে যাবে।
এখন আবার আপনার রেকর্ড করা গানটার উপর ডাবল ক্লিক করুন দেখুন পুরাটা মার্ক হবে এবার Effect থেকে Equalization ওপেন করে নিচে Select Curve: Treble Boost সিলেক্ট করে Ok তে ক্লিক করুন। এখন আবার আপনার রেকর্ড করা গানটার উপর ডাবল ক্লিক করুন দেখুন পুরাটা মার্ক হবে এবার Effect থেকে Delay তে ক্লিক করেন এবং নিচের মতো করে সেটিং দিয়ে Ok তে ক্লিক করুন এবং শুনে দেখুন কি হয়।
আরো অনেক Effect আছে সেগুলো একটা একটা করে অ্যাপ্লাই করে দেখুন, ভুল হলে Ctrl+Z চাপলেই আগের অবস্তায় ফিরে যাবে।
কাজ শেষ হলে File-এ ক্লিক করে Export সিলেক্ট করে আপনার কম্পিউটারের যে জায়গায় সেভ করবেন সেটা সিলেক্ট করে গানের নাম লিখে Save as type: Mp3 সিলেক্ট করে Ok তে ক্লিক করুন এবার এখন যে Window আসবে সেটাতে কিছু লিখতেও পারেন নাও লিখতে পারেন, Ok তে ক্লিক করলেই গান সেভ হয়ে যাবে।
http://www.youtube.com/watch?list=UU8jp_6lbyD9EffZ1ZkyU5dQ&v=qsLHLvF4Sg4&feature=player_detailpage
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
সফটওয়্যারঃ
রেজিস্ট্রেশান কীঃ
আগে FL Studio ইন্সটল করে রেজিস্ট্রি ফাইল টা ওপেন করে ওকে তে ক্লিক করবেন তাহলেই হবে। এবার নিচের লিঙ্ক থেকে Preset ডাউনলোড করে জায়গা মতো কপি করুন।
Preset ডাউনলোডঃ
FL Studio-এর বিষয়টা বিস্তারিত লিখতে পারলাম না বলে দয়া করে গনধুলাই দেবেন না 😛 । এর কাজটা যদি স্ক্রীনশট দিয়ে বুঝাতে চাই তাহলে আমার পোস্ট ১০মাইল লম্বা হবে। তাই ভিডিও টিউটরিয়াল দিলাম কষ্ট করে ডাউনলোড করে নিন অথবা সরাসরি ইউটিউবে দেখে নিন।
টিউটরিয়াল ডাউনলোডঃ
১) গান বানানো শেষ হলে আপনাকে অবশ্যই সেটা আমাকে শুনাতে হবে নইলে আপনার অমঙ্গল হবে 😀 😛 (Soundcloud, Muziboo, Facebook অথবা যেকোনো জায়গায় আপলোড করতে পারেন)
২) গান ভালো না হলে একদম মন খারাপ করা চলবে না, কারন আমার প্রথম গান শুনলে আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন। 😀
৩) গানটি কোন ব্যাবসায়িক কাজে ব্যাবহার করবেন না (অনেক গানে Copyright থাকে, ধরলে পরে তো আবার আমায় ফাঁসাবেন, এরকম কিছু ঘটলে আমি দায়ি না 😛 )
৪) ভালো করে শিখতে হলে ভিডিও টিউটরিয়াল গুলো দেখা বাধ্যতামূলক, নইলে আপনি শেষ 😀
অনেক কথা বললাম এবার শেষ করতে হবে। যেকোনো সমস্যা হলে আমাকে জিজ্ঞেস করতে দ্বিধা বোধ করবেন না। কোন ভুল থাকলে মন্তব্যে জানান। পোস্ট ভালো লাগলে যা খুশি করেন আর খারাপ লাগলে আমারে ধইরা ঘারান (পাইলে তো!) 😀 😛
টা টা 🙂
সময় পেলে ঘুরে আসবেন আমার ব্লগে।
আমি সোহাগ মিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 82 টি টিউন ও 694 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 32 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমার নাম সোহাগ। টেকনোলজির প্রতি চরম আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও পড়েছি বিজনেস নিয়ে। একটু একটু গাইতেও পারি, মাঝে মাঝে গীটার বাজাই। এক কথায়, টেকনোলজির সাথে প্রেম করি আর গানকে বিয়ে করেছি :D । আমার ইউটিউব চ্যানেল। আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার ব্লগে। আমার গাওয়া গানগুলো শুনতে ভিসিট করুন: গানের ইউটিউব...
Ami vai coromzz olos pola..cmnt korina id login korar jhamela tym korar jhamelai 😛 bt tomar post e comt na koira parlam na choromzzzzzzzzzzzzzzz vai r tomr lakhar dhoron gula o khub funny… sohag vai chalai jaw amra asi tomar sathe 😀