শহুরে জীবনে স্থুলতা দিন দিন প্রকট সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রতিদিন আমরা যে খাবার খাই তারপর্যাপ্ত ক্যালরি আমাদের দেহে জমে থাকে, তাই এই স্থুলতা। স্থুলতা কমানোর প্রথম এবং প্রধাণ উপায় হল ক্যালরি পোড়ানো। এজন্য আমাদের উচিত বেশি করে কাজ করা ও হাঁটা চলা করা। কিভাবে বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে এবং আর কি কি উপায়ে ওজন কমানো তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি পোড়ানঃ
যত বেশি ব্যায়াম করবেন, ক্যালরি খরচ তত বেশি হবে। প্রতিদিন সময় নিয়ে হাঁটলে সেটাও ক্যালরি পোড়ানোর একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে।
শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করে পেশি তৈরী করুনঃ
ব্যায়াম করলে পেশির দৃঢ়তা বাড়ে। বয়স বাড়ার সাথে মানুষের বিপাক ক্রিয়ার গতি হারাতে থাকে। এ অবস্থা প্রতিহত করতে প্রয়োজন পেশি শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম। থাই, তলপেট, বুক ও বাহুর পেশিগুলো দেহের সবচেয়ে বড় পেশি, এ কারনে এগুলো বেশি ক্যালরি পোড়াতে পারে।
গ্রিন বা ব্যাক-টি পান করুনঃ
ক্যাফেইন এক ধরনের উদ্দীপক পদার্থ। যা আপনাকে সতেজ রাখবে এবং কর্ম উদ্দীপনা তৈরি করবে। এতে আপনি কর্মচঞ্চল হয়ে বেশি কাজ করলে ক্যালরি পোড়বে। অবশ্যই দুধ চা পরিহার করে লাল বা রঙ চা পান করবেন। কারণ চায়ের ক্যাফেইন আর দুধের ল্যাকটিন মিলে তৃতীয় একটি যৌগ তৈরি করে, যা আপনার দেহের জন্য ক্ষতিকারক।
অল্প করে বার বার খানঃ
একবারে বেশি খাবারের চেয়ে কম করে বার বার খান। এতে পরিপাক তন্ত্রে হজম প্রক্রিয়ায় বার বার কাজের ফলে ক্যালরি পোড়বে। যা আপনার বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সময়মত অবশ্যই সকালের নাস্তা করুনঃ
যারা সকালের নাস্তা করেন না, দিনে অতিরিক্ত খেয়ে তারা দেহে বাড়তি ক্যালরি যোগ করেন। এছাড়া কেবল স্থুলতা এড়াতেই নয়, আদর্শ জীবন শৈলির জন্যও এ অভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।
অল্প চর্বিযুক্ত খাবার খানঃ
আমাদের দেহে অন্যান্য খাবারের তুলনায় চর্বিযুক্ত খাবার হজম কম হয়। এছাড়া স্বল্প ননিযুক্ত খাবার খেলে দেহে চর্বি জমতে পারে না। তাই আমাদের অবশ্যই উচিত অল্প চর্বি ও ননিযুক্ত খাবার খাওয়া।
দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করুনঃ
সারাদিনে দুই লিটার পানি পান করলে, আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি করে খরচ হবে। পাশাপাশি এটি আপনার হজম প্রক্রিয়া সহজ করবে ও কিডনী ভালো রাখবে। অনেকেই পিপাসার সাথে ক্ষুধা মিলিয়ে ফেলে। তাই পর্যাপ্ত পানি খেলে এ বিভ্রান্তি দূর হবে।
এলোমেলোভাবে নড়াচড়া করুনঃ
যে কোনো ধরনের দৈহিক নড়াচড়ার জন্যই এনার্জি দরকার। আর এলোমেলোভাবে হাঁটা চলাও নড়াচড়ার মধ্যেই পড়ে। নিয়ম করে নড়াচড়ার চেয়ে এলোমেলো নড়াচড়ার মাধ্যমেই নির্ধারিত হয় কে শুকনা আর কে মোটা।
এ রকম আরোও অনেক লেখা পড়তে আমার ব্লগে ঘুরে আসতে পারেন।
আমি Dr.Belayet। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I complete BHMS ( Bachelor of Homeopathic Medicine and Surgery ) under University of Dhaka. Now work as consultant in Alpha Homeo Care ( আলফা হোমিও কেয়ার ).