নবী করিম (দ.) বলিয়াছেন- আল্লাহতায়ালা বলিয়া থাকেন, হে আদম তনয়! তুমি আমার এবাদতের জন্য অবসর হও; আমি তোমার অন্তরকে তৃপ্তি ও তুষ্টিতে পরিপূর্ণ করিয়া দেব। যদি তুমি উহা না কর তবে তোমাকে আমি সর্বদায় কর্মব্যস্ত বানাইয়া রাখিব এবং তোমার প্রয়োজন মোটেও মিটাইব না (ফলে তোমার নানা প্রয়োজন সর্বদা লাগিয়া থাকিবে এবং ব্যস্ততা হইতে মোটেও রেহাই পাইবে না)। –মেশকাত।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সেজদা করেই ভাবছি আল্লাহর এবাদত পূর্ণ হয়ে গেল। আল্লাহকে সেজদা করে এলাম। আহা রে শাকভাত খেয়ে, দুধ রাখলাম মনে। কিন্তু ভাবুন আল্লাহ বলেন- “ওয়ানাজমো ওসাজারো ইয়াসজোদান” অর্থ্যাৎ তৃণ-বৃক্ষ তাকে সেজদা করছে, গাছপালা সর্বদা আল্লাহকে সেজদা করে চলছে, তারা কি এবাদতে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবে! তারা কিভাবে সেজদা করে? আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করার নাম প্রাথমিক বিশ্বাস(ইমান)। ২য় বার (পূর্ণ ইমান) ক’জন লোকে আনে অথচ এটা আল্লাহর আদেশ (দেখুন কোরআন ৪:১৩৬)। বালেগ হওয়ার পর হতে যে নামাজ (লোক দেখানো/নাবুঝে/ নামাজ পড়লাম, পাপ করলাম কাটাকাটি) ইত্যাদি আদায় করা হচ্ছে কিন্তু আল্লাহ তো এই নামাজীদেরকেও দোজখে নিবেন। নজরুলের ভাষায়- নামাজী! তোর নামাজ হলো যে ভুল,
মসজিদে তুই করলি সেজদা, ছেড়ে নামাজের মূল।
নামাজ হলো তোর ভুল।
কাজেই আল্লাহ ইমানদারকে আবার ইমান আনার আদেশ করেন। যেন তাঁর পরিচয় পেয়ে ধন্য হতে পারি। এটাই আমাদের সবয়েচে বেশী প্রয়োজন। ফলে আমাদের নামাজে সেই আদেশ-উপদেশগুলি পূর্ণ হবে:-
১। তুমি এমনভাবে নামাজ পড় যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো।
২। নামাজ মুমিদের জন্য মেরাজ (আল্লাহ দর্শন)স্বরূপ।
৩। হুজরী কালব ব্যাতিত নামাজ হয় না।
নামাজীদের পাকাপোক্তভাবে ইমান আনার পর উক্ত আদেশ-উপদেশগুলি পূর্ণ হবে। তবেই নামাজে পূর্ণ শান্তি। আর শান্তি আমাদের পরম ধন। আর যারা নামাজী নন তারা আগে নামাজী হউন তারপর উক্ত আদেশ-উপদেশগুলির প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে উপলব্ধিতে আনবেন।
এমতাবস্থায়, আল্লাহর এবাদতে অবসর পাওয়া যাবে এবং তা আল্লাহই করে দিবেন। নইলে কর্মব্যস্ততায় আবদ্ধ হয়ে হয়ে জীবন-যৌবন পার হয়ে যাবে এবং প্রয়োজন কখনই মিটবে না।
এখন প্রশ্ন হলো- কিভাবে আল্লাহর পরিচয় অর্জন করবো? কিভাবে আল্লাহর নিকটবর্তী হবো? কেননা আল্লাহর পরিচয় না পেলে এবাদত পূর্ণ হয় না নিকটবর্তীও হওয়া যায় না।
উত্তর হচ্ছে- হেদায়েতের পথে আল্লাহওয়ালাগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী হয়ে অগ্রসর হতে হবে। যারা আল্লাহর পরিচয় চিনিয়ে-বুঝিয়ে দেন তাদেঁর খোঁজে নিমগ্ন থাকতে হবে। যতক্ষন না পাওয়া যায় ততক্ষণ কোরআনের সাথে থাকতে হবে (যতটুকু বুঝা যায় কোরআন বুঝতে হবে)। তাদের সঠিক সন্ধানের জন্য সর্তকতার সাথে আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। তাদের কাছে বরফের উপর হামাগুরি দিয়ে হলেও যেতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন: ইমাম মাহ্দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়আত করিও,যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্র খলীফা । (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্দী)
পশুপাল যেমন মানুষের অধিন ও ইচ্ছায় বন্দী হয়ে থাকে তেমনি নিজেকে পশুপালের ন্যায় অলীগণের অধিন জানতে হবে। তা না হলে পাল হারা পশুকে যেমন বাঘে খায় তেমনি হে জ্ঞানী! যত বিদ্যান হন না কেন শয়তানও কম বিদ্যান নয়! সে আপনাকে আয়ত্ত করে ফেলবে। তাই ওলীগণের অধীন থাকুন, নিজে ওলি হউন। কেননা আল্লাহ সবাইকে বলেন- তোমরা সবাই আমার ওলি হয়ে যাও। আল্লাহর ওলিদের উপর শয়তানের কোন প্রভাব নেই (কোরআন)।
বন্ধুদের ফেজবুকে ফ্রেন্ড আহবান।
http://www.facebook.com/ashek.murshed
আপনারদের সবাইকে সালাম।
আমি suXon। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 39 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।