অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলো পণ্য ডেলিভারি করা। কেননা সঠিক সময়ের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়া আসলেই সহজ বিষয় নয়। কিন্তু আপনার ডেলিভারি পার্টনার যদি ভালো সার্ভিস দিতে পারে তাহলে আপনার অনলাইন ব্যবসা চলবে রকেটের গতিতে। অনলাইন ব্যবসার শতকরা ৫০ ভাগ সফলতা নির্ভর করে আসলে এই পণ্য ডেলিভারি প্রক্রিয়ার ওপর।
আপনার কাছে সঠিক পণ্য আছে, অসংখ্য কাস্টমার আছে কিন্তু কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক সময়ে ডেলিভারি করতে পারছেন না। তাহলে আপনার ব্যবসায়ের অন্যান্য উপাদানের কোনো মূল্য নেই। তাই অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগেই আপনাকে একটি সঠিক ডেলিভারি এজেন্সি বাছাই করতে হবে।
আজকের টিউনে আমি তুলে ধরবো বাংলাদেশের জনপ্রিয় ৬ টি ডেলিভারি এজেন্সি সম্পর্কে। এসকল এজেন্সির সাথে আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আপনি যদি একটি অনলাইন বিজনেস শুরু করতে চান তাহলে ডেলিভারি পার্টনার বাছাই করতে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখবেন। এই বিষয়গুলো নির্ভর করবে আপনার পণ্য, ব্যবসায়ের পরিধি, আপনার অবস্থান সহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর। প্রথমত বিবেচনায় রাখতে হবে যে ডেলিভারি কোম্পানিটি কতোটুকু নির্ভরযোগ্য। কারণ বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান না হলে আপনার পণ্য ও টাকা দুটোই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যেহেতু ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনি ডেলিভারি পার্টনার বাছাই করবেন তাই অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে ডেলিভারি কোম্পানিটির যেন ক্যাশ অন সিস্টেম থাকে। অর্থাৎ ক্যাশ অন ডেলিভারি করলে ক্রেতা আপনার পণ্যটি পাওয়ার পর ডেলিভারি ম্যানকে পণ্যের মূল্য প্রদান করবে। আর সেই টাকা ডেলিভারি কোম্পানি আপনাকে পৌঁছে দেবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম না থাকলে আপনি অনলাইনে ক্রেতা পাবেন না বললেই চলে৷
আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে ডেলিভারি কোম্পানির লেনদেন কেমন। ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য পাঠালে আপনার পুরো পণ্যটির মূল্য আগে ঐ কোম্পানি হাতে পাবে। তাদের লেনদেন ভালো না হলে সেই টাকা তুলতে অনক কাঠখড় পোড়াতে হবে। আর পেমেন্ট সিস্টেম ভালো হলে এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে আপনি আপনার টাকা পেয়ে যাবেন।
এরপরে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো ডেলিভারি এরিয়া। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান একদম ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ডেলিভারি করে। আবার কোনো কোম্পানি শুধুমাত্র জেলা পর্যায়ে ডেলিভারি করে। তাই আপনার অবশ্যই ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ডেলিভারি এরিয়া রয়েছে এমন কোম্পানি বাছাই করে নেয়া উচিত। এতে করে সারা বাংলাদেশের সর্বত্র আপনার ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
তবে ডেলিভারি এলাকার পাশাপাশি পিকআপ পয়েন্ট আরেকটি বিবেচনার বিষয়। যে সকল কোম্পানি অর্ডারের দিন-ই পিকআপ করতে পারবে এমন প্রতিষ্ঠানকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে। কোননা পিকআপ যতোটা দ্রুত হবে ডেলিভারিও ঠিক ততোটাই দ্রুত হবে। আর আপনার অবস্থান থেকে যে সকল কোম্পানির পিকআপ পয়েন্ট সবথেকে কাছাকাছি সে-সকল প্রতিষ্ঠানকে আপনার ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে বেছে নিন।
সার্বিক দিক বিবেচনা করে যে প্রতিষ্ঠানের সেবা তুলনামূলক বেশি গ্রহনযোগ্য বলে মনে হবে ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি সুসম্পর্ক স্থাপন করবেন। এতে আপনার অনলাইন ব্যবসা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
এখানে সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমার কাছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো গ্রহনযোগ্য বলে মনে হয়েছে তাদের একটি তালিকা দেয়া হলো। আর উল্লেখ্য প্রতিটি কোম্পানির যথেষ্ট পজিটিভ রিভিউ রয়েছে পুরো বাংলাদেশের জুড়ে। তাই নিশ্চিতে এসকল প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি পার্সেল ডেলিভারি কোম্পানি হলো পাঠাও। বিশেষ করে অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছে এটি একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানি সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে হোম ডেলিভারি করে থাকে। এবং প্রতিটি পার্সেল ক্যাশঅন ডেলিভারিতে পৌঁছে যাবে আপনার গ্রাহকের কাছে।
পাঠাও App ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে পিকআপ এর আবেদন করলে আপনার অফিস অথবা বাসা থেকে এসে পার্সেল নিয়ে যাবে। সেই পার্সেল পৌছে দেবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। বিকাল চার টার আগে পিকআপ রিকোয়েস্ট করলে ঐ দিন-ই পিকআপ করা হয়। নয়তো পরেরদিন পিকআপ করা হয়। আর ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে পার্সেল চলে যাবে আপনার কাস্টমারের কাছে।
পার্সেল এর ওজন ও গন্তব্য ভেদে ডেলিভারি চার্জ সাধারণ ৬০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বা এর বেশিও হতে পারে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ পাঠাও
আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের আরেকটি নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি কোম্পানি হতে পারে RedX Delivery। কোম্পানির ওয়েবসাইটে ঢুকে অনলাইনে এন্ট্রি দিতে পারবেন। অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার পিকআপ পয়েন্ট থেকে পার্সেল সংগ্রহ করা হবে। আর তা পৌঁছে দেয়া হবে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে তা-ও আবার ক্যাশ অন ডেলিভারিতে।
আপনার পাওনা টাকা নিতে পারবেন অনলাইন মাধ্যমে কিংবা সরাসরি অফিসে গিয়ে। RedX Delivery সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৭০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জে পার্সেল ডেলিভারি করে। তাই নিশ্চিন্তে RedX Delivery কোম্পানির সাথে একটা ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ RedX Delivery
যদিও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সারা বাংলাদেশের সাধারণ পন্য ডেলিভারি করে থাকে কিন্তু ই-কমার্স বিজনেস এর প্রসার লাভ করার পরে তারা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পার্সেল আদানপ্রদান করে। এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় কুরিয়ার সার্ভিস। তবে আপনাকে নিকটস্থ কোনো সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর অফিসে গিয়ে পার্সেল দিয়ে আসতে হবে। কেননা তারা কোনো ধরনের পিকআপ সেবা প্রদান করে না।
আবার কাষ্টমারকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর পয়েন্টে গিয়ে পার্সেল রিসিভ করতে হবে। আপনার কন্ডিশন এর টাকাও নিয়ে আসতে হবে কুরিয়ার অফিসে গিয়ে। সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে তাদের ডেলিভারি চার্জ শুরু হয়। তাই আপনার লোকেশন এর আশেপাশে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর কোনো শাখা বা অফিস থাকলে এই কোম্পানির সাহায্যে আপনার পণ্যটি পৌঁছে দিতে পারবেন কাস্টমার এর কাছে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পার্সেল ডেলিভারি করার জন্য উপযুক্ত ডেলিভারি পার্টনার হতে পারে Steadfast Courier। সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে আপনি বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে নিজের পণ্য পাঠাতে পারবেন। এবং ক্রেতা পণ্য রিসিভ করলে ইন্সট্যান্ট অনলাইন পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। অনলাইনে পিকআপ রিকোয়েস্ট করতে পারবেন এবং এক দিনে আনলিমিটেড পিকআপ সুযোগ পাবেন। মোটকথা আপনার প্রোডাক্ট ডেলিভারির পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
নিজ জেলায় পণ্য পাঠালে ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৫০ টাকা। আর নিজ জেলার বাইরে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে পণ্য পাঠালে চার্জ ধার্য করা হবে ১১০ টাকা। তাই সারা বাংলাদেশে নিজের অনলাইন ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চাইলে Steadfast Courier এর একজন নিয়মিত গ্রাহক হতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Steadfast Courier
বাংলাদেশের আর-ও একটি জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য পার্সেল ডেলিভারি কোম্পানি হলো পার্সেল এক্সপ্রেস বিডি। এই কোম্পানি আপনাকে সব ধরনের অনলাইন সার্ভিস প্রদান করবে। অনলাইনে পিকআপ রিকোয়েস্ট করলে সরাসরি আপনার নির্ধারিত পিকআপ পয়েন্ট থেকে পার্সেল নিয়ে যাবে। আবার কন্ডিশন এর টাকা-ও অনলাইনেই উত্তোলন করতে পারবেন।
তাছাড়া পার্সেল সম্পর্কিত সকল আপডেট আপনি মেসেজ এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পেয়ে যাবেন। সুতরাং সারা বাংলাদেশে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে কাস্টমারের দোরগোড়ায় পার্সেল পৌঁছাতে চাইলে পার্সেল এক্সপ্রেস বিডি এর মুখাপেক্ষী হতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ পার্সেল এক্সপ্রেস বিডি
ফুড পান্ডা আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানি। আপনার যদি একটি খাবারের বিজনেস থাকে তাহলে ফুড পান্ডা হতে পারে আপনার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি পার্টনার। আর মজার বিষয় হলো আপনার ব্যবসায়ের মার্কেটিং থেকে শুরু করে অর্ডার সংগ্রহ ও তা ডেলিভারি পর্যন্ত সকল কাজ করে দেবে ফুড পান্ডা। আপনার কাজ হবে শুধু অর্ডার মাফিক খাবার তৈরি করে ফুডপান্ডা ডেলিভারি ম্যান এর হাতে তুলে দেয়া।
এজন্য আপনাকে ফুড পান্ডায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। নির্দিষ্ট কমিশন এর বিনিময়ে ফুড পান্ডা হবে আপনার ফুড বিজনেস এর নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি পার্টনার।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ ফুড পান্ডা
ঘরে বসে ব্যবসা পরিচালনায় আপনার বিশ্বস্ত পার্টনার হতে পারে Delivery Tiger। কেননা এই ডেলিভারি কোম্পানি আপনার বাড়ি থেকে পার্সেল সংগ্রহ করে সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা শহরে সরাসরি হোম ডেলিভারি করে থাকে। তাছাড়া মোট ৪৯২ টি উপজেলায় তাদের হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু আছে। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির মার্চেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজারের ওপরে।
সবথেকে বেশি সুবিধাজনক দিক হলো Delivery Tiger প্রতিদিনের পেমেন্ট প্রতিদিন এবং সাথে সাথেই করে দেয়। তাই আর্থিক লেনদেন নিয়ে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আরও একটি সুবিধা হলো রিটার্ন পার্সেলে তারা কোনো এক্সট্রা চার্জ ধার্য করে না। তাই নিশ্চিন্তে ঘরে বসেই পিকআপ রিকোয়েস্ট করুন আর পার্সেল পৌছে দিন বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে।
তবে এই প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র বাংলাদেশ থেকে পার্সেল পিকআপ সার্ভিস এখনও শুরু করেনি। আপাতত ঢাকা, টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে তারা পার্সেল পিকআপ করছে। একই এলাকায় ডেলিভারি হলে সর্বনিম্ন চার্জ নির্ধারণ করা হয় ৪৫ টাকা। ভিন্ন এলাকা বা জেলায় পার্সেল পাঠালে ডেলিভারি চার্জ নির্ধারণ করা হয় ৯৫ টাকা। পণ্যের ওজন বাড়লে সেই অনুপাতে এর ডেলিভারি চার্জ-ও বৃদ্ধি পাবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Delivery Tiger
বাংলাদেশ ই-কমার্স বিজনেস কে অগ্রসর করার লক্ষে কাজ করছে eCourier। সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় সরাসরি ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পার্সেল পৌঁছে দেয় eCourier। eCourier এর গন্ডি শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই প্রতিষ্ঠানটি পার্সেল ডেলিভারি করে। দেশের বাইরে আর্জেন্ট পার্সেল ডেলিভারির জন্য চালু আছে এয়ার পার্সেল সার্ভিস। তাই গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কোনো পার্সেল ডেলিভারি করতে সরাসরি যোগাযোগ করুন eCourier এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
এই প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে আপনি চাইলে ব্যবসায়িক পার্সেল পাঠানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত যে কোনো পার্সেল পাঠাতে পারবেন। পার্সেল যতো বড়োই হোক কিংবা দূরত্ব যতো বেশি হোক চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা eCourier আছে সব সময় আপনার পাশে। পণ্য স্টোরেজ করার জন্য ওয়্যারহাউজ সার্ভিস নিতে পারবেন একই প্রতিষ্ঠান থেকেই।
ইতোমধ্যে eCourier ১০ মিলিয়নেরও বেশি পার্সেল দেশ বিদেশে ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে তাদের আছে ৪৫ হাজারের বেশি রেজিস্ট্রার্ড মার্চেন্ট। ডেলিভারি চার্জ নির্ভর করবে আপনার পার্সেল এর ওজন, আকৃতি ও দূরত্বের ওপর।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ eCourier
আপনার ব্যবসা কতোটুকু সফল হবে তা নির্ভর করছে সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি করার ওপরে। তাই একটি সঠিক ডেলিভারি কোম্পানি বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। কিছু কোম্পানি পণ্য ডেলিভারি করতে করতেই পণ্যের গুনগত মান নষ্ট করে দেয়, ভেঙ্গে ফেলে অথবা কখনও কখনও হারিয়ে ফেলে। তাই এই ধরনের রিপোর্ট নেই এমন প্রতিষ্ঠান বাছাই করে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।
লেনদেন থেকে শুরু করে ডেলিভারির সময় ও ডেলিভারি পার্টনার এর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞান সব কিছুই আপনার অনলাইন বিজনেস এর ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে। তাই পণ্য তৈরি, পণ্যের বিজ্ঞাপণ, অর্ডার সংগ্রহ এই সকল বিষয়ে যতোটা গুরুত্ব দিতে হবে তার থেকেও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে পার্সেল ডেলিভারিতে। তবেই আপনার অনলাইন বিজনেসে আপনি শতভাগ সফল হতে পারবেন।
আশাকরি আপনার অনলাইন বিজনেস এর জন্য আজকের টিউনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি সকল সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করে এই কোম্পানি গুলোর নাম তালিকাভুক্ত করেছি। এই সকল প্রতিষ্ঠান এর সাহায্য নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করলে আশাকরি পার্সেল ডেলিভারি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যার সমাধান চাইলে টিউনমেন্ট করে জানাতে পারেন। অনলাইন আয় সংক্রান্ত নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।
আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।