দৈনন্দিন জীবনে হাজারো ব্যস্ততা থাকা সত্বেও রান্না ঘরের কাজকে কিন্তু ফেলে রাখার উপায় নেই। বাড়ির গৃহিনীরা এখন ঘরে বাইরে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে। তাই রান্না ঘরে অনেক লম্বা সময় ব্যয় করার মতো সুযোগ এখন নেই। তাই কীভাবে রান্নার কাজকে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলতে থাকে। ইতোমধ্যে হাজারো ছোট বড় গ্যাজেট বাজারে এসেছে যা রান্না ঘরের কাজকে কয়েকগুণ সহজ ও সময় সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
বাংলাদেশের মার্কেটে বর্তমানে বেশ কিছু ছোট ছোট গ্যাজেট বেশ ঝড় তুলেছে। দামে সাশ্রয়ী কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী এই গ্যাজেট সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ধারণা থাকা দরকার। তাই আজকের টিউনের মাধ্যমে আমি আপনাদের এমনই ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ কিচেন গ্যাজেট নিয়ে আলোচনা করবো। মোটামুটি কম বাজেটের মধ্যে ব্যবহারোপযোগী গ্যাজেট গুলো বাছাই করে এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
কিচেন গ্যাজেট এর ব্যবহার ও দাম সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক কিচেন গ্যাজেট আসলে কী। আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে রান্নাঘরের কাজকে সহজ ও শর্টকাট করার জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয় তাকেই কিচেন গ্যাজেট বলা হয়। যেমন সবজি কাটার জন্য যেখানে ৩০ মিনিট লাগে সেখানে ৫ মিনিটে সবজি কাটার জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করা হলো। এই যে যন্ত্রটি ব্যবহার করে খুব কম সময়ে কাজ হয়ে গেল এই যন্ত্রটি একটি কিচেন গ্যাজেট।
আবার যে কাজ হাতের মাধ্যমে করা যায় তা যদি ইলেকট্রিক শক্তির সাহায্যে করার জন্য যন্ত্র তৈরি হয় তাহলে সেটাও একটি গ্যাজেট বলে বিবেচিত। যেমন: ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক মিক্সিং মেশিন, রুটি মেকার ইত্যাদি। এরকম হাজারো ছোট বড় কিচেন গ্যাজেট ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে।
আজকে আমরা এমন ১০ টি কিচেন গ্যাজেট সম্পর্কে জানবো যা বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী বাজেটের মধ্যে রয়েছে। এবং আমার ধারণা অনেকেই হয়তো এই গ্যাজেট গুলোর উপযোগিতা সম্পর্কে এখানো অবগত নয়। প্রতিটি গ্যাজেট এর ব্যবহার, উপযোগিতা এবং সম্ভাব্য মূল্য তুলে ধরা হলো।
সকালের নাশতায় অনেকেই ফ্রেশ ফলের জুস খেয়ে থাকেন। কিন্তু সকালের ব্যস্ত সময়ে ব্লেন্ডার ব্যবহার করে আবার তা পরিষ্কার করে রাখা সত্যিই ঝামেলার বিষয়। অনেক সময় তো আবার বিদ্যুৎ-ও থাকে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান হলো Rechargeable Juicer। এই Juicer এর আকৃতি অনেকটা ওয়াটার পটের মতো আর দেখতেও অনেক কিউট।
যে কোনো ফল ছোট ছোট করে কেটে তার সাথে সমান্য পানি মিক্স করে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরপর নিচের দিকে থাকা সুইচ অন করে দিলেই ব্লেড ঘুরতে থাকবে। অতঃপর ফলের টুকরো গুলো ব্লেন্ড হয়ে জুস তৈরি হয়ে যাবে।
এটা ব্যাটারি চালিত বলে শুধু রান্নাঘরে না বরং বাচ্চাদের স্কুল, হসপিটাল বা অফিসে বসেও এই Rechargeable Juicer ব্যবহার করে ফ্রেশ জুস তৈরি করতে পারবেন। আর আপনার মোবাইলের Type B চার্জার দিয়ে খুব সহজেই এটি চার্জ করতে পারবেন।
বাংলাদেশে এই Rechargeable Juicer এর বাজারমূল্য ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।
যে কোনো ফল বা সবজির খোসা ছাড়ানোর মতো বিরক্তিকর কাজ আর নেই। আবার সময়ও লাগে অনেক। কিন্তু Apple Peeler ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপেল সহ সব ধরনের গোলাকৃতির ফল, আলু ইত্যাদির খোসা ছাড়াতে পারবেন। Apple Peeler এর মাঝখানে একটি স্ট্যান্ড থাকে। ঐ স্ট্যান্ডে ফলে বা সবজি বসিয়ে পাশে থাকা সুইচটি ধরে ঘোরালে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে আপনি একটি ফলের খোসা ছাড়াতে পারবেন।
Apple Peeler এর ব্লেড হয় অনেক ধারালো তাই খুব বেশি প্রেশার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে একদম সহজে ও কম সময়ে কাজ করা যায়।
আর দাম কিন্তু একদমই সাধ্যের মধ্যে। বাংলাদেশের মার্কেটে বর্তমানে এই কিচেন গ্যাজেট এর দাম ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
বাড়িতে ছোটদের জন্য টুকটাক খাবার তো রাখতেই হয়। কিন্তু বাইরের খাবার বাচ্চাদের দেয়াও ঠিক না। তাই নিজেই বাড়িতে মুখরোচক খাবার হিসেবে Popcorn বানিয়ে নিতে পারেন একদম ঝামেলা ছাড়াই। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি Popcorn Maker। এটি একটি রিচার্জেবল কিচেন গ্যাজেট। তবে কোনো কোনো ব্রান্ড ইলেকট্রিক Popcorn Maker বাজারে নিয়ে এসেছে।
সুইচ অন করে ভেতরে ভুট্টা দিয়ে দিলেই কাজ শেষ। অটোমেটিক Popcorn বের হয়ে আসবে ২ মিনিটের মধ্যে। বিষয়টি দেখতেও অনেক Satisfying লাগে। আর কিচেনে একটি Popcorn Maker থাকলে ছোট বড় সকলের জন্য মুখরোচক নাশতা নিয়ে আর ভাবনার কোনো কারণ থাকবে না।
বাংলাদেশে ব্রান্ড অনুযায়ী Popcorn Maker এর দাম ১৭০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।
দৈনন্দিন জীবনের একটি নিয়মিত কাজ হলো সকালে রুটি বানানো। আটা সিদ্ধ করে রুটি বেলে আবার ভাজতে কমপক্ষে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় লেগে যায়। রান্নাঘরে একটি ইলেকট্রিক রুটি মেকার থাকলে সব ঝামেলা শেষ করতে পারবেন একবারেই। রুটি মেকার এর ওপর আটা রেখে ঢাকনা দিয়ে চাপ দিলেই রুটি তৈরি হয়ে সাথে সাথে ভাজা হয়ে যাবে। আলাদা করে আর কিছুই করতে হবে না।
ইলেকট্রিক রুটি মেকার এর ঢাকনা ও মেইন ডায়াসে মার্বেল কোটিং করা থাকে তাই রুটি লেগে যাওয়ার কোনো চান্স নেই। যেহেতু শুধু ইলেক্ট্রিসিটি লাইন সংযোগ করে ঢাকনা লাগিয়ে দিলেই রুটি হয়ে যায় তাই সময়ও অনেক কম লাগে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই কিচেন গ্যাজেটটি আপনার সকালের কাজকে কতোটা সহজ করে দেবে৷
বাংলাদেশে স্বনামধন্য অনেক কোম্পানি এই ইলেকট্রিক রুটি মেকার বাজারে নিয়ে এসেছে। ব্রান্ড ভেদে এর দাম ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
শীত হোক বা গ্রীষ্ম, সব সময়ই বাড়িতে কমবেশি গরম পানির প্রয়োজন হয়। বার বার গ্যাস বা চুলা জ্বালিয়ে পানি গরম করা আসলেই বিরক্তিকর বিষয়। তাছাড়া এতে জ্বালানি খরচ বেশি হয়। এজন্য বাড়িতে রাখুন একটি ইলেকট্রিক হিটার গজ। এতে করে যে কোনো ইলেকট্রিক প্লাগে সংযোগ দিয়ে খুব সহজেই জগে পানি গরম করতে পারবেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন প্লাস্টিকের হিটার জগ বের হয়েছে যা একদমই বাজেট ফ্রেন্ডলি। ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে এই হিটার জগ আপনি কিনতে পারবেন। কিন্তু এই জগে আপনি শুধু গরম পানি ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে স্টিল মেটেরিয়াল এর ইলেকট্রিক হিটার জগ কিনলে আপনি পানি গরম করার পাশাপাশি চা, কফি তৈরি করতে পারবেন এবং ডিম সিদ্ধ করতে পারবেন। তাছাড়া স্টিল মেটেরিয়াল জগে পানি অনেক সময় ধরে গরম থাকবে।
একসাথে রান্না করতে হবে কয়েক আইটেম? কিন্তু গ্যাস স্টোভে তো একসাথে দুইটা হাঁড়ির বেশি বসানোর উপায় নেই। তাই রান্নাঘরে একটি ইলেকট্রনিক মাল্টি কুকার থাকলে সেখানেও একাধিক আইটেম রান্না করতে পারবেন। মাল্টি কুকার এর ভেতরের পার্ট পুরোপুরি মার্বেল কোটিং করা থাকে। তাই যে কোনো খাবার অনায়াসে রান্না করা যায়।
মাছ ভাজা থেকে শুরু করে যে কোনো তরকারি রান্না ও রুটি ভাজার কাজ করতে পারবেন এই মাল্টি কুকারে। যারা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন শুধুমাত্র তারাই জানেন হঠাৎ গ্যাস ফুরিয়ে গেলে কেমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ঠিক সেই মুহুর্তে মাল্টি কুকার এর উপযোগীতা উপলব্ধি করা যায়। কেননা মাল্টি কুকার পুরোপুরি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে।
বাংলাদেশে ব্রান্ড ভেদে মাল্টি কুকার এর দাম ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।
রান্নার সময় ছোট ছোট উপকরণ পরিমাপ করার জন্য Kitchen Weight Machine একটি উপযুক্ত কিচেন গ্যাজেট। এই মেশিনের সাহায্যে যে কোনো বস্তুর ওজন গ্রাম হিসেবে পরিমাপ করতে পারবেন। এই মেশিনের সাহায্যে রান্নায় ব্যবহৃত উপকরণ খুব সহজেই পরিমাপ করতে পারবেন। ফলে রান্নায় কোনো উপাদান কম বেশি হয়ে খাবারের স্বাদ নষ্ট করতে পারবে না।
অনেকেই ইউটিউব দেখে রেসিপি ফলো করে বিভিন্ন রান্না করে থাকেন। সেখানে রান্নার উপকরণ গুলোর পরিমাপ বলে দেয়া হয়। কিন্তু Kitchen Weight Machine না থাকলে কোনো উপকরণ সঠিক পরিমানে না-ও হতে পারে। এতে করে সঠিক রেসিপি ফলো করলেও খাবারের স্বাদ ঠিক থাকে না। তাই এই Kitchen Weight Machine টি সবার রান্নাঘরেই থাকা উচিত।
আপনি জানলে খুশি হবে যে এই ছোট Kitchen Weight Machine এর দাম মাত্র ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। আর মেশিন ভেদে সর্বোচ্চ ৫ কেজি থেকে ১০ কেজি ওজনের বস্তু এই মেশিনের সাহায্যে মাপতে পারবেন।
চাকু বা বটি দিয়ে সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ ইত্যাদি কুচি করার দিন শেষ। এখন Vegetable Chopper ব্যবহার করে ১০ মিনিটের কাজ করতে পারবেন মাত্র ১ মিনিটে। প্রথমে যে কোনো সবজি বা মসলা Vegetable Chopper এর বাটির মধ্যে দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর ছোট হাতল ধরে সুতা টানতে থাকলে বাটির ভেতরের ব্লেড ঘুরতে থাকবে। যতো টানবেন ততো বেশি ব্লেড ঘুরবে ও কুচি হতে থাকবে।
মজার বিষয় হলো এই Vegetable Chopper ব্যবহার করতে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ বা অন্য কোনো এনার্জি প্রয়োজন নেই। হাতের সাহায্যেই খুব দ্রুত কাজ করতে পারবেন। বেশিরভাগ Vegetable Chopper এর তিনটা ব্লেড থাকে এবং প্রতিটি ব্লেড পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যায়। ফলে সবজি ও মসলা একদম কিমা করতে পারবেন আবার স্লাইস করেও কাটতে পারবেন।
অভিনব এই কিচেন গ্যাজেটটি আপনার রান্নাঘরের কাজকে অনেকটা সহজ ও সময় সাশ্রয়ী করে দেবে। আর এই Vegetable Chopper এর মূল্য কিন্তু মাত্র ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।
রান্নাঘরে বেশিরভাগ শুকনো খাবার প্যাকেটজাত অবস্থায় থাকে। কিন্তু এক প্যাকটে যতোটুকু উপাদান থাকে তা একবারে ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তখন ঐ প্যাকেটের খাবারটি কোনো এয়ার টাইড বক্সে ভরে রাখতে হয়। কিন্তু এতো এতো খাবার রাখার জন্য এয়ার টাইড বক্স সংগ্রহ করা একটা ঝামেলার বিষয়। আবার প্যাকেটে বাতাস ঢুকলেও পুরো খাবারটি নষ্ট হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আপনার সমস্যার একমাত্র সহজ সমাধান হবে Sealing Machine। এটি একটি ছোট Stapler এর মতো দেখতে ইলেকট্রিক যন্ত্র। এর মধ্যে যে কোনো পলিথিন জাতীয় প্যাকেট দিয়ে চাপ দিলে তা সিল হয়ে যায়। অর্থাৎ খোলা অংশ একত্রিত হয়ে যায়। তাই যে কোনো খাবারের প্যাকেট খুলে আবার এই মেশিনের মাধ্যমে সিল করে রাখতে পারবেন।
তাই যে কোনো প্যাকেটজাত খাবারের জন্য একটি বড় পাত্র নির্দিষ্ট করে রাখবেন। এবং এই Sealing Machine এর সাহায্যে সিল করে সবগুলো প্যাকেট ঐ পাত্রে রাখতে পারবেন। এভাবে যতোবার প্রয়োজন হবে ব্যবহার করে আবার Sealing Machine এর সাহায্যে সিল করে রাখতে পারবেন।
Sealing Machine এর বাজার মূল্য মাত্র ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
থার্মোমিটার আমরা সবাই চিনি। আর এটাও জানি যে, থার্মোমিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা পরিক্ষা করা হয়। কিচেন থার্মোমিটার তৈরি করা হয় স্পেশাল ভাবে স্টিল মেটেরিয়াল দিয়ে। এই থার্মোমিটার খাবারে ডুবিয়ে খাবারের তাপমাত্রা চেক করা যায়।
ইউটিউব ভিডিওতে রান্নার টিউটোরিয়ালে অনেক সময় বিশেষ কোনো রেসিপি তৈরির সঠিক তাপমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বিশেষ করে বারবিকিউ চিকেন তৈরির ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত জরুরি কাজ। তো ঐ ধরনের রেসিপি ফলো করলে আপনার অবশ্যই একটি কিচেন থার্মোমিটার প্রয়োজন হবে।
বাচ্চাদের খাবার পরিবেশন করার সময় তাপমাত্রা সহনীয় পার্যায়ে আছে কিনা তা পরিক্ষা করে দেখার প্রয়োজন হয়। এমন বিভিন্ন কাজে কিচেন থার্মোমিটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর বাংলাদেশের মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ এই কিচেন গ্যাজেট এর মূল্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
উপরে উল্লিখিত কিচেন গ্যাজেট গুলো সচরাচর সব স্টলে পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে আপনাদের আশেপাশে বড় কোনো ক্রোকারিজ শপে কিংবা ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানে এই গ্যাজেট গুলো পেতে পারেন। যদি আশেপাশে কোথাও খুঁজে না পান তাহলে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। দারাজে সার্চ করলে আশাকরি সবগুলো কিচেন গ্যাজেট পেয়ে যাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজে এই ধরনের আনকমন কিচেন গ্যাজেট খুব সহজেই অর্ডার করতে পারবেন।
তবে ইলেকট্রিক পণ্য কেনাকাটায় সব সময় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বেছে নিন। চেষ্টা করবেন গ্যারান্টি সহকারে পণ্য কেনার জন্য। গ্যারান্টি না থাকলেও রিভিউ ভালো এমন ব্রান্ডের পণ্য সংগ্রহ করুন।
আশাকরি আজকের টিউনে আলোচিত কিচেন গ্যাজেট গুলো আপনাদের রান্নাঘরের কাজকে অনেক সহজ করবে। ব্যস্ত গৃহিনীদের স্মার্ট কাজের সঙ্গী এসকল ছোটখাটো গ্যাজেট। আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন কাজকে স্মার্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই এই কিচেন গ্যাজেট গুলো আপনার সংগ্রহে থাকা উচিত। ধন্যবাদ।
আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।