কম্পিউটারের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি, সেটি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরাস। অথচ এটিই ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি এড়িয়ে যান। সতর্ক থাকলে ভাইরাস কম্পিউটারে আসবে না এমন ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু প্রোগ্রাম আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল হয়ে যায়। আপনি জানতেও পারবেন না অথচ আপনার তথ্য ঠিকই পৌঁছে যাবে হ্যাকারদের কাছে। অনেকে ধারণা করেন ভাইরাস আক্রান্ত হলে তো বোঝাই যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি কিছুই টের পাবেন না অথচ আপনি সাইবার হামলার শিকার হয়ে যাবেন। আসুন একটু ধারণা নিয়ে নেয়া যাক কেন কম্পিউটারে নিরাপদ থাকার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টি-ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার।
সাইবারক্রাইম বর্তমান বিশ্বে একটি অন্যতম দুশ্চিন্তার বিষয়। কেননা, এটি এমনই এক ধরনের অপরাধ যা ঘটে যাওয়ার অনেক পড়ে ভিকটিম টের পেয়ে থাকেন। আরও বড় কারণ হচ্ছে, এই আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য সাধারণ মানুষ যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি চোর-ডাকাত বা রাস্তায় ছিনতাইকারীদের হাতে পড়তে পারেন? উত্তর নিঃসন্দেহে হ্যাঁ-বাচক হবে। কেননা, আমরা কেউই জানি না কখন কোথায় অপরাধীদের কবলে পড়তে হবে।
অথচ যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি সাইবারক্রাইমের শিকার হবেন? তাহলে অনেকেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে না জবাব দেবেন। মজার ব্যাপার হলো, সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সব ধরনের অপরাধের মধ্যে ডাকাতি-ছিনতাই ইত্যাদি ফিজিক্যাল ক্রাইম শতকরা ১৫ শতাংশ মাত্র। অন্যদিকে সাইবারক্রাইম সংঘটিত হওয়ার পরিমাণ শতকরা ৪৪ শতাংশ। তাহলে এবার আপনিই বলুন, যে ধরনের অপরাধীদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেটাকেই খুব একটা গুরুত্ব না দেয়া কি মস্ত বড় ভুল নয়?
নিরাপত্তা কথাটির অর্থ এখন ব্যাপক। এখন কেবল ফাইল স্ক্যানের মধ্যেই আপনার নিরাপত্তা সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ক্ষেত্রও বেড়ে চলেছে। এখন আপনার প্রিয় ফেসবুক ওয়ালটিও স্ক্যামের শিকার হতে পারে। একটি লিংক ধরে আপনার আইডেটিন্টি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার এমন একটি সফটওয়্যার প্রয়োজন যা আপনাকে নিরাপত্তা দেবে সবদিক থেকে।
তবে বাজারে থাকা অসংখ্য অ্যান্টি-ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার থেকে সেরাটা বেছে নেয়াও জরুরি ও কঠিন কাজ বলে মনে হতে পারে। এ জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে রিভিউ-এর সহায়তা নিয়ে থাকেন। আজ তাই ব্যক্তিগত ব্যবহার অভিজ্ঞতা থেকে আলোচনা করবো সিমেন্টেক করপোরেশনের নরটন অ্যান্টি-ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে।
নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি, অ্যান্টি-ভাইরাস ও নরটন ৩৬০ ২০১২ সম্প্রতি বাজারে এসেছে নতুন সব ফিচার নিয়ে। নতুন এই সংস্করণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি কাজ করে আগের সংস্করণগুলোর চেয়ে অত্যন্ত দ্রুত। ইতিমধ্যেই যারা নরটন এর পুরনো সংস্করণগুলো ব্যবহার করেছেন তাদের হয়তো অভিযোগ রয়েছে এটি কম্পিউটারের গতি ধীর করে দেয়। তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, নরটন ২০১২ খুবই হালকা একটি সফটওয়্যার যা আপনার কম্পিউটারের গতি ঠিক রেখে নিজের কাজ করে যাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে যে কোনো সময় নরটনের ইন্টারফেস থেকেই দেখে নিতে পারবেন আপনার কম্পিউটারের কতটুকু রিসোর্স নরটন ব্যবহার করছে। এতে করে অন্য কোনো সফটওয়্যার রিসোর্স টানতে থাকলে নরটন পিসি স্লো করে দিচ্ছে এমন ভুল ধারণাও দূর হয়ে যাবে।
আসুন জেনে নেয়া যাক নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি-এর উল্লেখযোগ্য কিছু ফিচারের সার-সংক্ষেপ।
একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করেন? অথবা আপনি দূরে অবস্থান করেও বাসার বা অফিসের কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান? নরটন নিয়ে এলো ক্লাউড ম্যানেজমেন্ট সেবা। এর মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসে আপনার কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। আপনি এই সুবিধাটির উপকারিতা পাবেন যদি আপনার একাধিক ডিভাইস থাকে অথবা আপনাকে যদি দূর থেকেই বাসা, অফিস বা বন্ধুদের কম্পিউটারের অ্যান্টি-ভাইরাস আপডেট, সেটিংস পরিবর্তন, চাইল্ড প্রটেকশন ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করতে চান। একটি নরটন অ্যাকাউন্ট দিয়ে এবার আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন আপনার সব কম্পিউটার।
এই সেবাটি তেমন একটা নতুন নয়, তবে কার্যকরী। এর মাধ্যমে আপনি আপনার সোশাল নেটওয়ার্ক, ইমেইল, ব্লগ ইত্যাদি বিভিন্ন সাইটের বিভিন্ন পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখতে পারবেন মাত্র একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। ফলে আপনি একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই সব অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।
এটি অ্যাকটিভ থাকা অবস্থায় কোনো সাইটে লগইন করলে ব্রাউজারের মধ্যেই আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে আপনি সেই সাইটের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখতে চান কি না। সেভ করে রাখলে তা ক্লাউডে আপনার অ্যাকাউন্টে সিংক্রোনাইজ করে রাখবে। এতে করে নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২ ইন্সটল থাকা যে কোনো কম্পিউটার থেকেই এসব অ্যাকাউন্টে আপনি অ্যাকসেস করতে পারবেন।
বাংলাদেশে লো-ব্যান্ডউইথ যারা ব্যবহার করেন যাদের জন্য এই সুবিধাটি হতে পারতো আরো বেশি সুবিধাজনক। সাধারণত ল্যাপটপ ডিভাইসে যখন তখন বড় আকারের আপডেট (সফটওয়্যার ভার্সন) বন্ধ করতেই এই সুবিধাটি যোগ করা হয়েছে। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি যখন ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ দিয়ে কানেক্টেড থাকেন, তখন বড় আকারের আপডেট ডাউনলোড হওয়া বন্ধ রাখতে পারবেন। পরবর্তীতে যখনই ক্যাবল কানেক্টেড হবে তখন নরটন নিজে নিজেই বড় আকারের আপডেট ডাউনলোড করে নিবে।
বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে ব্লুটুথ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন খুব কম সংখ্যক মানুষই। ডেটা ক্যাবল দিয়ে কানেক্ট করলে নরটন একে ক্যাবল কানেকশন হিসেবেই ডিটেক্ট করে। তাই বলা যায়, এই সুবিধাটি আরো উন্নত হতে পারতো। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে নরটনের ব্যবহার-বান্ধব ইউজার ইন্টারফেস থেকে সহজেই বড় আকারের আপডেট ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন।
সিস্টেম স্লো হয়ে যাওয়া প্রায় অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারেরই একটি বড় সমস্যা। অনেক ব্যবহারকারী কেবল এই সমস্যার মুখোমুখি হতে চান না বলে অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল না করে নিজেকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু নরটন অ্যান্টি-ভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২ এ দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে। খুব কম রিসোর্স ব্যবহার করে বিধায় সিস্টেম স্লো-ডাউন খুব একটা হয়ই না। আমি প্রথমবার ইন্সটল করে রিস্টার্ট করার পর একটু সময় নিয়েছিল বুটআপ হতে। কিন্তু তারপর থেকে সিস্টেম আগের মতোই দ্রুতগতির রয়েছে। তবে ফুল সিস্টেম স্ক্যান করতে দিলে ঐ সময়টুকু একটু বেশি রিসোর্স খরচ করে নরটন। তারপরও যদি আমার সন্দেহ হয় যে নরটন অন্য সময়ও সিস্টেম স্লো করে দিচ্ছে, আমার সন্দেহ দূর করার জন্য নরটনে রয়েছে রিসোর্স ইউসেজ দেখার সুবিধা, যেখানে নরটন সিস্টেমের কতটুকু রিসোর্স ব্যবহার করছে তা দেখা যায়।
এছাড়াও নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২-তে রয়েছে স্টার্টআপ ম্যানেজার যার মাধ্যমে আপনি কোন কোন প্রোগ্রাম কম্পিউটার চালু হওয়ামাত্রই রান করতে চান এবং কোন কোন প্রোগ্রাম একটু দেরিতে রান করতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন। এক কথায়, সিস্টেম ইউটিলিটি হিসেবেও নরটনের নতুন সংস্করণকে মাঝে মাঝে কাজে লাগাতে পারবেন।
এই সুবিধাটি আপনার ফাইলসমূহকে স্ক্যান করে আপনার কম্পিউটারে থাকা ফাইল বা অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সম্পর্কে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে। এই প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে আপনার ইন্সটল করা প্রতিটি সফটওয়্যার কতটুকু নির্ভরযোগ্য, কী পরিমান ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করছে এবং এটি সিস্টেমে কী পরিমান রিসোর্স টানছে। বলা যায়, আমার সবচেয়ে পছন্দের ফিচার এটি। প্রতিবার সিস্টেম স্ক্যান সম্পন্ন হওয়ার পর নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২ আপনাকে নরটন ইনসাইট সুবিধার মাধ্যমে এ জাতীয় বিস্তারিত তথ্য দেখাবে। এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে, কোন অ্যাপ্লিকেশন কতটুকু রিসোর্স টেনে পিসি স্লো করে দিচ্ছে তাও দেখা যায় এখান থেকেই। তাই কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে তার জন্য কোন সফটওয়্যার দায়ী তা খুঁজে বের করতেও নরটন ইনসাইট বেশ কাজের একটি সুবিধা।
এছাড়াও নরটন ২০১২ এসেছে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ম্যালিশিয়াস প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন থেকে নিজেদের ডিভাইসকে দূরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন নরটন ২০১২।
গত ১৫ই নভেম্বর ঢাকার হোটেল রূপসী বাংলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে অবমুক্ত করা হয় নরটন ২০১২। অনুষ্ঠানে নরটন ইন করপোরেশনের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মুহাম্মদ ইফেন্ডি ইবরাহিম বলেন, নরটন ২০১২-এর সবচেয়ে উন্নত দিক হচ্ছে এর পারফরম্যান্স। ব্যবহারকারী সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন সিকিউরিটি ও পারফরম্যান্সের জন্য। তাই এই দু’টির উপরে জোর দিয়েই তৈরি করা হয়েছে নরটন ২০১২। কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড নরটন ২০১২ এর অথোরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর।
ইফেন্ডি আরো জানান, বিভিন্ন ল্যাবটেস্ট রেজাল্টেও সিমেন্টেকের নরটন ২০১২ শীর্ষস্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১ (পূর্ববর্তী সংস্করণ) পিসি ম্যাগাজিন ও পিসি ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে এক নম্বর সিকিউরিটি সফটওয়্যারের স্থান অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।
এবারে আসুন এক পলকে দেখে নেয়া যাক পুরো সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার পর আমার কেন মনে হয় নিরাপদ থাকতে সবারই নরটন ব্যবহার করা উচিৎ।
১. সর্বোচ্চ সিকিউরিটিঃ নিরাপত্তাই সর্বপ্রথম কথা। আর নরটন কেবল নেটওয়ার্ক ও ফাইলই মনিটর করে না, বরং একটি সফটওয়্যারের রেপুটেশন (জনপ্রিয়তা, ব্যবহারকারী সংখ্যা ইত্যাদি)-এর উপর ভিত্তি করেও স্ক্যান করে রিপোর্ট দিয়ে থাকে। এছাড়াও ফাইলের বিহেভিয়র বা আচার-আচরণও পর্যবেক্ষণ করে নরটন ২০১২।
২. সহজ ইন্টারফেসঃ যে কোনো সফটওয়্যারই ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ হারায় যখন তা ব্যবহার-বান্ধব হয় না। নরটন ২০১২-এর ইন্টারফেসে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে একে সব ধরনের ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে। ফলে, যিনি কম্পিউটার সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না, তিনিও এক ক্লিকে স্ক্যান বা আপডেট করতে পারবেন। আবার যিনি বিভিন্ন সেটিংস ঠিক করে রাখতে চান, তিনিও পারসোনালাইজ করে নিজের মতো সেট করে নিতে পারবেন নরটন ২০১২।
৩. ইন্টারনেট সিকিউরিটিঃ কেবল ফেসবুকই নয়, ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় অসংখ্য নতুন সাইট ভিজিট করা হয়। এই সাইটগুলো যেন আমার কম্পিউটারের কোনো ক্ষতি করতে না পারে তা নিশ্চিত করে নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ওয়ালে পোস্ট করা লিংক ধরে বিভিন্ন স্ক্যামের সম্মুখীন হন। নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২ সেইসব লিংকও স্ক্যান করে আগে থেকেই আপনাকে সতর্ক করে দিতে পারবে। তাই আমার মতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নরটন আইএস ২০১২ হবে পারফেক্ট চয়েস।
৪. পালস আপডেটঃ ভাইরাস ছড়ানো মাত্রই আপনি এর শিকার হতে পারেন। আপনাকে সেখান থেকেও সুরক্ষা দিতে রয়েছে লাইভ আপডেট ও পালস আপডেট। লাইভ আপডেট সাধারণ প্রতিদিন একবার করে ভাইরাস ডেফিনিশনগুলো আপডেট করে থাকে। আর পালস আপডেট হচ্ছে প্রতি ৪-৫ মিনিটে একবার করে নরটন ২০১২ চেক করবে ইন্টারনেটে নতুন ছড়ানো কোনো ম্যালিশিয়াস প্রোগ্রাম রয়েছে কি না। অর্থাৎ, প্রতি পাঁচ মিনিটেই আপডেটের জন্য চেক করবে নরটন।
উল্লেখ্য, যারা ব্যান্ডউইথ নিয়ে ভাবছেন, তাদেরকে বলছি, পাঁচ মিনিট পরপরই যে আপডেট হবে এমনটা নয়। সাধারণত হঠাৎ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যাওয়া ম্যালিশিয়াস প্রোগ্রাম যেন আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ করতে না পারে এ জন্যই এই সুবিধা। তবে আপনি চাইলে লাইভ আপডেট অন রেখে পালস আপডেট অফ করে দিতে পারেন।
৫. ল্যাব টেস্টঃ এভি-কমপেয়ারেটিভ, পাসমার্কসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত ল্যাব টেস্টে নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২ অন্যান্য সবাইকে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাই এসব ল্যাব টেস্টের উপর ভিত্তি করেও এ কথা বলা যায় যে, নরটন ২০১২ সত্যিই আগের চেয়ে অনেক উন্নত ও শক্তিশালী ভাইরাস প্রটেকশন সফটওয়্যার।
এতোসব সুবিধার সঙ্গে রয়েছে আরেকটি বোনাস। যারা ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে কম্পিউটার সোর্স থেকে নরটন অ্যান্টিভাইরাস ২০১২, নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২ অথবা নরটন ৩৬০ ২০১২ কিনবেন, তাদের জন্য রয়েছে ফ্রি ব্যাকপ্যাক। নরটনের লোগোসমৃদ্ধ এই ব্যাকপ্যাকে রয়েছে ল্যাপটপ রাখার জন্য আলাদা সুবিধা। তাই যারা কেনার কথা ভাবছেন, তারা অফার ফুরিয়ে যাবার আগেই কিনে ফেলুন কম্পিউটার সোর্সের যে কোনো সেলস সেন্টার থেকে।
সবশেষে একটা কথাই বলবো, ব্যাকপ্যাকের জন্য নয়, সত্যি সত্যিই ভাইরাস, স্ক্যাম, আইডেন্টিটি থেফট এবং সর্বোপরি সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচতে নরটন ২০১২ ব্যবহার করুন। নরটনের তিনটি প্রোডাক্ট থেকে আমার মতে নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১২-টাই পাঠকদের জন্য পারফেক্ট চয়েস হবে। অনেকে কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য পাইরেটেড অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করে থাকেন যা একদম ঠিক নয়। অন্তত নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই অ্যান্টি ভাইরাস কিনে ব্যবহার করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
সাইবারক্রাইম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারে ফ্ল্যাশ অ্যানিমেশনে নির্মিত বিশ্বের প্রথম সাইবারক্রাইম ইনডেক্স থেকে।
আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ai anti virus ti khub E vari>>>>>>>>