যেহেতু এটা আমার প্রথম টিউন তাই ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা ছাইছি।
মুভিঃ ট্রান্সফর্মার ৩ – দ্যা ডার্ক মুন (২০১১)
মুক্তি প্রাপ্তি - ২৮ জুন,২০১১
ডিরেক্টর – মিচেল বে
অভিনয় – শিয়া লা বিউফ, রসি হানটিংটন, হুইটলি, ট্রিস গিবসন প্রমুখ।
ট্রান্সফর্মার ৩ – দ্যা ডার্ক মুন ছবিটা “ট্রান্সফর্মার” মুভি সিরিজের ৩য় সিকুয়্যাল। ছবিগুলোর মুল ভিত্তিই হলো অ্যালিয়েনদের (ভিন গ্রহবাসী প্রানী মূলত রোবট) মধ্যে চিরায়ত ভালো খারাপ বিরোধ। মানুষের মাঝে যেমন ভালো খারাপ আছে তেমনি অ্যালিয়েনদের মাঝেও। যারা এই “ট্রান্সফর্মার” মুভিগুলোর আগের দুটো সিকুয়্যাল দেখেছে তারাই কেবল জানে এটা কত রক্তক্ষয়ী আর ভয়াবহ যুদ্ধ। আগের মতই এই মুভিতেও রোবটদের পারস্পারিক সংঘর্ষই এই গল্পের মূল ফোকাস। অটোবট (ভালো রোবট) এবং ডিসিপটিকনস (খারাপ রোবট) এর মধ্যে যে বিরোধ তা নিয়েই গল্প এগিয়ে গেছে। তবে যারা ভাবছেন এক গল্প আর কাহিনী নিয়ে আর কত মুভি বানাবে তাদের জন্য বলছি, ট্রান্সফর্মার ৩ – দ্যা ডার্ক মুন ছবিটা সম্পূর্ন নতুন একটা প্লট এ নির্মিত হয়েছে। ১৯৬৯ সালের মার্কিন কতৄক “নাসার” চন্দ্র অভিযান আর তৎকালীন মহাশূন্যে স্পেসশিপ পাঠানোর যে প্রতিযোগিতা চলছিল তার ওপর ভিত্তি করেই এই মুভিটা বানানো।
আমার মতে “ট্রান্সফর্মার” সিরিজের প্রথম মুভিটা খুব আকর্ষনীয় ছিল তার গল্পের জন্য। দ্বিতীয় মুভিটা নাম করার কারন ছিল তার মধ্যে অকল্পনীয় কিছু শট নেয়ার জন্য। আর সর্বশেষ মুভিটা নাম করার পিছে অন্যতম কারন এর ভিসুয়াল ইফেক্ট। নিঃসন্দেহে এর ভিসুয়াল ইফেক্টগুলো এই সিরিজের অন্যান্য মুভি গুলো থেকে একে আলাদা করতে সহায়তা করেছে। মুভিটাতে 3D ইফেক্টের সার্থক প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। আর সাউন্ড কোয়ালিটি এক কথায় বলতে গেলে Awesome ।
কোন সন্দেহ নেই ডিরেক্টরের জাদুকরী স্পর্শে ছবিটা এই সিরিজের সেরা ছবি। শিকাগো শহরের মত ব্যস্ত শহরে এই রকম ছবির শূটিং করা সত্যিকার অর্থেই কঠিন ছিল, যা পরিচালক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সমন্বয় করতে পেরেছে। একশন, এডভেঞ্চার , কল্প কাহিনী সব কিছু মিলিয়ে ছবিটা এই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য সব মুভিকে ছাড়িয়ে নিজের আলাদা একটা অবস্থান গড়তে সমর্থ হয়েছে। ছবিতে ব্যবহার করা রোবটদের মারামারির প্রতিটি পর্যায়ে আকর্ষনীয় লেজার গান ফাইটিং, গাড়ি নিয়ে তাড়া করা , বিমান থেকে যুদ্ধ, তলোয়ার দিয়ে রোবটদের ফাইট, বোমা হামলা যার সব কিছুই একটা একশন মুভির কাছে আশা করা যায়। এছাড়াও আর কয়েকটি দৃশ্যে মনোমুগ্ধকর ভিসুয়াল ইফেক্ট রয়েছে। এর মধ্যে বিমান হামলার সময় স্কাই ডাইভিং আর বিল্ডিং ভাঁঙ্গার পর ছাদ থেকে নিচে পড়ার দৃশ্যটার কোন তুলোনাই হয়না।
পুরা মুভিটাই আমার কাছে এক কথায় অপূর্ব লেগেছে। কমেডি, একশন, রোমান্স সব মিলিয়ে পুরো ছবিটি অদ্ভুত সমন্বয়ে গঠিত এক superb ছবি। অভিনয় শিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর পরিচালকের অসাধারন পরিচালনায় ছবিটা সব বয়সের দর্শকের কাছে গ্রহনযোগ্য একটা মুভি হয়ে উঠেছে। আশা করি কেউ এই ফিল্মটি দেখে হতাশ হবে না।
মুভিটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। এছাড়াও “ট্রান্সফর্মার” সিরিজের ১ম ও ২য় মুভিগুলোও পাবেন এখানে।
আমি downloading4fun। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 40 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই দাউনলদ করতে পারছি না