ডারউইনবাদীদের দাবি অনুযায়ী বিবর্তন তত্ত্ব যেহেতু আদম-হাওয়া মিথ-কে ভুল প্রমাণ করেছে সেহেতু জুদায়ো-খ্রীষ্টান ও ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা নাকি এই তত্ত্বকে মেনে নেয় না। বিবর্তন তত্ত্বকে সত্য প্রমাণ করার জন্য এটি তাদের একটি মোক্ষম অস্ত্র, যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলা হলে পিছলাইয়া যাওয়া হয়। তাদের দাবি যে নিতান্তই হাস্যকর ও মিথ্যা – তা এক্ষুণি প্রমাণ করে দেয়া হবে। কু-তর্কের খ্যাতিরে ধরেই নেয়া যাক যে বিবর্তন তত্ত্ব যেহেতু আদম-হাওয়া মিথ-কে ভুল প্রমাণ করেছে – অর্থাৎ বানর জাতীয় লেজওয়ালা ও প্রায় বুদ্ধিমত্তাহীন প্রজাতি থেকে লেজবিহীন ও বুদ্ধিমান মানুষ বিবর্তিত হয়েছে – সেহেতু জুদায়ো-খ্রীষ্টান ও ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা এই তত্ত্বকে মেনে নেয় না।
ভাল কথা। কিন্তু মানুষ ব্যতীত আরো মিলিয়ন মিলিয়ন প্রজাতির ক্ষেত্রে ডারউইনবাদীরা কী বলবেন? যেমন তারা যদি মাছ থেকে সরীসৃপ হয়ে পাখির বিবর্তন, এক কীট-পতঙ্গ থেকে অন্য কীট-পতঙ্গের বিবর্তন, এক উদ্ভিদ থেকে অন্য উদ্ভিদের বিবর্তন, চতুষ্পদ কোন জন্তু থেকে তিমির বিবর্তন, অস্তন্যপায়ী প্রজাতি থেকে স্তন্যপায়ী প্রজাতির বিবর্তন, ইত্যদি প্রমাণ করতে পারেন সেক্ষেত্রে কিন্তু ইসলামে বিশ্বাসীদের মেনে নিতে কোনই সমস্যা নেই। অন্যদিকে ডারউইনবাদীরা যদি এগুলোর কোন একটিও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে কিন্তু বিবর্তন তত্ত্বকেই ভুল হিসেবে স্বীকার করতে হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র মানুষের বিবর্তন ছাড়া অন্যান্য সকল প্রজাতির ক্ষেত্রে ইসলামে বিশ্বাসীরা পুরোপুরি নিরপেক্ষ হতে পারেন। অন্যদিকে ডারউইনবাদীরা কোন একটি ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ হতে পারবেন না। প্রমাণ দেখাতে না পারলেও বিশ্বাস করতেই হবে! অথচ উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিজ্ঞানের নামে গলাবাজি আর মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
বাস্তবতা হচ্ছে বিবর্তন তত্ত্বের ক্ষেত্রে ইসলামে বিশ্বাসীরাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করতে পারেন, যেটি ডারউইনবাদীদের পক্ষে সম্ভব নয়। ইসলামে বিশ্বাসীরা বিবর্তন তত্ত্বকে বিজ্ঞানের নামে বিশ্বাস করেন না এজন্য যে, এই তত্ত্ব পুরোপুরি কল্পকাহিনী আর হাস্যকর কিছু অনুমানের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এ-যুগে চিপা-চাপি দিয়ে ও চাপাবাজি করে আর যা-ই করা যাক – বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষকে অন্তত বোকার স্বর্গে ঘুমিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
আমি এস. এম. রায়হান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 123 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ডারউইনবাদীদের মতে অ্যামিবা থেকে সকল কিছুর বিবর্তন হয়েছে। পৃথিবীর তুলনায় অ্যামিবা যতটুকু ক্ষুদ্র, মহাজগতের তুলনায় পৃথিবী তার চেয়ে ক্ষুদ্র। অ্যামিবা থেকে মানুষ বিবর্তনের সময়কাল থেকে পৃথিবীর বয়স অনেক বেশি। তাই বিবর্তন যদি সত্য হতো মহাজগতের মধ্যে ক্ষুদ্র অ্যামিবা আকৃতির পৃথিবীর বিবর্তনের কারনে হাত পা লেজ ইত্যাদি গজাইতো। পৃথিবী একটা বড় ধরনের প্রাণী বা উদ্ভিদ হয়ে যেত। ভাগ্য ভাল বিবর্তনবাদ সত্য নয়। প্রাণের মূল ভিত্তি অ্যামাইনো এসিড এবং পৃথিবীতে অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। বিবর্তনবাদ যদি সত্য হতো তবেই পৃথিবীর মধ্যে অবশ্যয় প্রাণের সঞ্চার হতো এবং পৃথিবী সুর্যের চার পার্শ্বে ঘুরতো না বরং হাটতো। Ha ha ha…
এস. এম. রায়হান ভাই বিবর্তনবাদ নিয়ে আপনার সব টিউন পড়েছি। আপনি ওদের উপর অনেক রেগে আছেন তাই একটু মজা করলাম।
এই টিউন গুলো করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ…….
@ এস. এম. রায়হান আপনি হয়ত বানরের বংশধর, এবং ঐ বংশধর হয়ে খুব গর্ববোধ করছেন কিন্ত আমরা যারা মুসলিম আছি তারা বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করি পৃথিবীর সকল মানুষ এক আদম (আ:) এবং হাওয়া (আ:) থেকে সৃষ্টি। আশাকরি এধরনের টিউন আর এই টেকটিউনস এ করবেন না। আপনাদের মত নাস্তিকদের জন্য অনেক ব্লগ আছে সেখানে টিউন করবেন।
ধন্যবাদ
@এস. এম. রায়হান আপানাকে বলছি,আপনি ই-মামুনকে প্রশ্ন করেছেন,উনি মুসলমান কিনা? কিন্তু এ প্রশ্নের যৌক্তিকতা কী?–উনি যেহেতু আপনার মতের বিরুদ্ধাচরণ করছেন,অতএব উনি যদি বলে উনি বৌদ্ধ,তাহলে আপনি দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বলবেন,হ্যাঁ মুসলমান নয় বলেই এই ধরনের বলছে…তাই নয় কি?এছাড়া আপনি আর এ প্রশ্ন করার কোন কারন দেখাতে পারবেন না।শুনুন আমরা এখানে অবাধ মনন নিয়ে যুক্তি আলোচনায় এসেছি।অতএব,যুক্তি-বুদ্ধির বিচারে যা সঠিক তা সব ধর্মের জন্য সঠিক।অযথা, সব জায়গায় "মুসলমান" শব্দটার অপব্যবহার করবেন না।আর আপনার লেখার শিরোনাম "মুসলমানরা ধর্মীয় কারনে বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে না?" এ জাতীয় না হয়ে…"আমরা কেন বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করি না" -এ জাতীয় হলে লেখাটা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার সহজগ্রাহ্য হত।আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@কল্পতরু, আমার লেখাগুলো সুস্পষ্টভাবে বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে হওয়া সত্ত্বেও ই-মামুন আমাকে "বানরের বংশধর" এবং "নাস্তিক" বানিয়ে দিয়ে পাঠকদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এর পর তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কিছু বললেন না কেন?
আপনি বলেছেনঃ "আমরা কেন বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করি না" -এ জাতীয় হলে লেখাটা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার সহজগ্রাহ্য হত।
আমি ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার প্রতিনিধি হয়ে কথা বলতে পারি না।
ই-মামুন ভাইকে বলছিঃ টেটি-তে আপনি এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে সুরুচির পরিচয় দেন নি।আর এস.এম.রায়হান ভাইকে বলছিঃ টেটি কোন মুসলিম কমিউনিটি ব্লগ নয়।অতএব এখানে ধর্ম সংশ্লিষ্ট কোন আলোচনা করতে আমাদের এই চিন্তা সদা জাগরূক থাকা উচিত যাতে করে আমাদের পবিত্র ধর্মসমূহ ভিন্নমতাবলম্বী বা স্বমতাবলম্বী কারো দ্বারাই লাঞ্ছিত বা ক্ষুন্ন না হয়।এখানে সবাই মোটামুটি সম-বিজ্ঞানমনষ্ক,তাই নির্ভয়ে এখানে বিজ্ঞানের আলোচনা চালানো যেতে পারে।কিন্তু,এখানে সবাই সম-ধর্মমত বা সহ-ধর্মমতাবলম্বী নয়।অতএব এখানে কোন ধর্মীয় আলোচনা করা শুধু বিপজ্জনক নয়,অবিবেচনাপ্রসূত।সুমিত ভাইকে বলছিঃ আপনি ডারউইনবাদের কনটেক্সটটা ধরতে পেরেছেন।আপনার বক্তব্য আমি সম্পূর্ণ সঠিক মনে করি।আমি আরো বলি,আপনারা কি জানেন আমাদের প্রথম দিককার পূর্বপুরুষদের যেসব ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে তাতে দেখা যায়,তারা অনেকটা কুঁজো হয়ে হাঁটত,হাতগুলো মাটির প্রায় কাছাকাছি হয়ে যেত,যা পুরোপুরি Ape(শিম্পাঞ্জি,গরিলা) -দের সাথেই মেলে বেশি,এবং তারা বুড়ো আঙ্গুলের ব্যবহার জানত না এবং তাও এই Ape -দেরই সাথে মেলে।আর যারা চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ছেন তারা এও জানেন যে, এই Ape -দের সাথে আমাদের টিস্যুর মিল প্রায় কাছাকাছি।তাই মানব অংগপ্রতিস্থাপনে,Ape-দের দেহাংশ কাজে লাগে বেশি।অতঃপর যত সমসাময়িক কালের মানুষের ফসিল আবিস্কৃত হতে লাগলো তাতে ক্রমান্বয়ে দেখা যেতে লাগলো যে মানুষ ধীরে ধীরে সোজা হয়ে হাঁটতে শুরু করেছে।বুড়ো আংগুলগুলিও ধীরে ধীরে বড় এবং কাজের উপযোগী হয়ে দেখা যাচ্ছে।এসব আগে পড়ুন,তারপর ভাবুন,তারপর ধর্মের সাথে মেলান।নইলে পবিত্র ধর্মকে আমাদের অজ্ঞতাবশত খাটো করা হবে।তথাকথিত মোল্লা,পুরোহিত,পাদ্রীদের কথায় একদিন সূর্য পৃথিবীর চারপাশে অনর্থক ঘুরে মরছিল!!এরপর যখন অন্যটা প্রমাণিত হল,অমনি সবাই যার যার গ্রন্থ নিয়ে ছুটে হাজির,বলে দেখো এই ,এই যায়গায় ওটা আমাদের ধর্মগন্থে লেখা ছিল।সেলুকাস!!বিচিত্র এই পৃথিবী!!বহুরূপী তার ভন্ডরা…
ভাই আপনি জানেন কি,আমি গত মাসের দৈনিক কালের কন্ঠে এক কলাম পরেছিলাম।কলামটা কার ছিল তা সঠিক জানিনা।তবে সেখানে লেখা ছিল,যে পৃথিবীতে আল্লাহতালা বহু সময়ে বহু আদম হাওয়া পাঠিয়েছিলেন ,আমরা হলাম এই আদম ও হাওয়ার বংশধর।সেখানে লেখা ছিলো যে আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেছিলেন আমি পৃথিবীতে খলিফা নিযুক্ত করতে যাচ্ছি,এই 'খলিফা' বলতে বুঝায় বুদ্ধিমান কোন কিছু।তারপর ফেরেশতারা আল্লাহ কে বলেন আপনি পৃথিবীতে এমন কিছু সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন যারা রক্তপাত করবে…..বাকিটুকু আপনারা জানেন,ওই কলামে লেখা ছিল যে এখানে আল্লাহ খলিফা বলতে বুঝাচ্ছেন বুদ্ধিমান কোন প্রানী,আর ফেরেশতাদের ওই কথা অনেকে জিনদের কথা বললেও কোরআন শরীফে তা স্পষ্ট করে কিছু উল্ল্যেখ করা নেই, আবার বিজ্ঞানীরা আদিম কিছু সভ্যতা পেয়েছে যা কিনা আদম ও হাওয়া যে সময়ে এসেছিলো তার থেকেও আগে।
সুতরাং উপরের কথা থেকে বোঝা যায় যে হয়তো আল্লাহ পৃথিবিতে আদম ও হাওয়ার আগে অনেক মানুষ প্রেরন করেছিলেন,যারা কিনা আমাদের মত বুদ্ধিবান ছিলোনা,ছিলোনা বাকশক্তি সম্পন্ন,তারা ছিল একরকম পশুর মত।তাদের পর আল্লাহ আদম ও হাওয়া কে সৃষ্টি করলেন যারা ছিল বুদ্ধিমান,বাকশক্তিসম্পন্ন,বিচক্ষন অবিবেকবান সম্পন্ন,আর এই আদম ও হাওয়ার বংশধর আজকের উন্নত সভ্যতা।
এই যুক্তি দৈনিক কালের কন্ঠে দিয়েছিলো একজন মাওলানা সম্ভবত,আর এই যুক্তি অনেক আলেমগন বিশ্বাস করেন।কারন একটাই যে ফেরেশতাদের ওই কথা অনেকে জিনদের কথা বললেও কোরআন শরীফে তা স্পষ্ট করে কিছু উল্ল্যেখ করা নেই, আবার বিজ্ঞানীরা আদিম কিছু সভ্যতা পেয়েছে যা কিনা আদম ও হাওয়া যে সময়ে এসেছিলো তার থেকেও আগে।
সুতরাং যদি তাই হয় তাহলে ডারউইনের মতবাদকে আপনি ভুল বলতে পারেন না।আমি ওই কলামটা শীঘ্রই পোষ্ট করবো।
“সুতরাং উপরের কথা থেকে বোঝা যায় যে হয়তো আল্লাহ পৃথিবিতে আদম ও হাওয়ার আগে অনেক মানুষ প্রেরন করেছিলেন,যারা কিনা আমাদের মত বুদ্ধিবান ছিলোনা,ছিলোনা বাকশক্তি সম্পন্ন,তারা ছিল একরকম পশুর মত।”
আপনার কথা থেকেই বলছি……মানুষ পৃথিবী তে আসার আগে অনেক প্রানী ছিলো।সেটা আমরা জানি।কিন্তু আপনি এটা কিছুতেই দাবি করতে পারেন না যে মানুষ কোনো বুদ্ধিহীন প্রানী থেকে এসেছে , এবং আদম (আঃ) ও হাওয়া(আঃ) এর আগে মানুষ ছিল। তারাই (আদম (আঃ) ও হাওয়া(আঃ)) প্রথম মানুষ যারা সরাসরি আল্লাহ তায়ালার আদেশে বেহেস্ত থেকে পৃথিবী তে এসেছিলেন।এবং এই ২ জন থেকেই আজ পৃথিবী তে ৬০০ কোটি মানুষ।
@ mukut: আমি তো এ অস্বীকার করতেছিনা যে আদম ও হাওয়া(আঃ) বেহেশ্তে থেকে আসেনাই।আমি বলতেছি তারা প্রথম খলীফা।কোরআন শরীফে আল্লাহ বলেছেন পৃথিবীতে প্রথম খলীফা নিযুক্ত করতে যাচ্ছি,কিন্তু প্রথম মানুষ নিযুক্ত করতে যাচ্ছি এটা বলেনাই।খলীফার অর্থ আগে জানুন।যাচ্ছি।' খলিফা শব্দের অর্থ 'স্থলাভিষিক্ত'। আর 'স্থলাভিষিক্ত' শব্দটি দ্বারা স্পষ্টতই বোঝা যায়, আদম (আ.)-এর আগেও মানুষ ছিল; এবং সংগত কারণেই তিনি স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
আগেই বলেছি ফেরেশতাদের ওই কথা অনেকের ধারনা জিনদের কথা বললেও কোরআন শরীফে তা স্পষ্ট করে কিছু উল্ল্যেখ করা নেই যে আল্লাহ্তালা আসলেই জিনদের কথা বলেছে কি না।আর আরেকটি কথা এখন পর্যন্ত পবিত্র কোরআন শরীফের পুরোপুরি ব্যাক্ষা মানুষ করতে পারেনাই।অনেক আল্লাহর বানী আছে যা কিনা এখনো ধোয়াশার মধ্যেই আছে।আর এমন অনেক বানী আছে যা কিনা মানুষ ভুল ব্যাক্ষা দিয়েছে।
সুতরাং আমার উপরের কথা ভুল হতে পারে এটা স্বীকার করি।কিন্তু প্রমান তো নেই।
@ mukut: আমি তো এ অস্বীকার করতেছিনা যে আদম ও হাওয়া(আঃ) বেহেশ্তে থেকে আসেনাই।আমি বলতেছি তারা প্রথম খলীফা।কোরআন শরীফে আল্লাহ বলেছেন পৃথিবীতে প্রথম খলীফা নিযুক্ত করতে যাচ্ছি,কিন্তু প্রথম মানুষ নিযুক্ত করতে যাচ্ছি এটা বলেনাই।খলীফার অর্থ আগে জানুন। খলিফা শব্দের অর্থ 'স্থলাভিষিক্ত'। আর 'স্থলাভিষিক্ত' শব্দটি দ্বারা স্পষ্টতই বোঝা যায়, আদম (আ.)-এর আগেও মানুষ ছিল; এবং সংগত কারণেই তিনি স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
আগেই বলেছি ফেরেশতাদের ওই কথা অনেকের ধারনা জিনদের কথা বললেও কোরআন শরীফে তা স্পষ্ট করে কিছু উল্ল্যেখ করা নেই যে আল্লাহ্তালা আসলেই জিনদের কথা বলেছে কি না।আর আরেকটি কথা এখন পর্যন্ত পবিত্র কোরআন শরীফের পুরোপুরি ব্যাক্ষা মানুষ করতে পারেনাই।অনেক আল্লাহর বানী আছে যা কিনা এখনো ধোয়াশার মধ্যেই আছে।আর এমন অনেক বানী আছে যা কিনা মানুষ ভুল ব্যাক্ষা দিয়েছে।
সুতরাং আমার উপরের কথা ভুল হতে পারে এটা স্বীকার করি।কিন্তু প্রমান তো নেই।
এত কাহিনী বা প্রমানের দরকার নেই। প্রমান তো একটাই তখন যদি বানর থেকে মানুষ হতে পারে তাহলে আজ কেন বানর মানুষ হতে পারবে না। বানরের পেটে মানুষ কিংবা মানুষের পেটে কেন বানর জন্মগ্রহন করে না? এর চেয়ে বড় সত্যই বা কি আছে? টেকটিউনসে তর্ক বিতর্ক আর ভাল লাগে না তাই বলছি দয়া করে ধর্ম নিয়ে টিউন না করলেই খুশি হব। কেননা ধর্মের কোন ভূল ব্যাখ্যা কারই ভাল লাগবে না।
বির্বতনের সরল সূত্র::
জীবজন্তুর যত বাচ্চা বেঁচে থাকে তার চাইতে অনেক বেশী জন্মায় ও মারা যায় । বিশেষ করে নিঁচু শ্রেনীর জীবের বেলায় দেখা যায় কোটি কোটি ডিম থেকে শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকে ও বেড়ে ওঠে একটি বা দুটি জীব । যেমন সমুদ্রের মাছ । একজোড়া কড মাছ ষাঠ লাখ ডিম পাড়ে আর একজোড়া লিং মাছ প্রায তিন কোটি ডিম পাড়ে । এই ষাঠ লাখ বা তিন কোটি মাছ যদি বেঁচে থাকত তাহলে দেখা যেত অল্প সময়ের মধ্যে গোটা সমুদ্রটাই হয়ে উঠেছে মাছের আস্ত একটা পিন্ড । কিন্তু তা হয় না । বহু শত বছর ধরে সমুদ্রে কড বা লিং মাছের সংখ্যা মোটামুটি একই রকম ।
একজোড়া খরগোশের বছরে ৭০ টি বাচ্চা হতে পারে । এই ৭০ টি বাচ্চার মধ্যে মাত্র গোটা দুয়েক বাঁচে । একজোড়া ব্যাঙের প্রত্যেকটি ডিম থেকে যদি বাচ্চা হত আর তাদের প্রত্যেকে যদি
বেঁচে থাকত তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যেত পৃথিবীতে ব্যাঙ ছাড়া আর কারো জায়গা হচ্ছে না । হাতির বাচ্চা হয় অনেক কম আর তা অনেক দেরিতে দেরিতে, কিন্ত সব হাতির বাচ্চা যদি বেঁচে থাকত তাহলে ৭০০-৭৫০ বছরে এক জোড়া হাতি থেকে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ হাতির জন্ম হত । কিন্ত এক্ষেত্রেও তা হয়নি । পৃথিবীতে হাতির সংখ্যা খুব বেশি না ।
কিন্ত ব্যতিক্রম মানুষের বেলায়, মানুষের মোট সংখ্যা প্রতিবছর বেড়ে চলেছে , যদিও এক জোড়া মানুষ থেকে বছরে একটির বেশি বাচ্চা জন্ম হয় না । এ থেকেই আসে বেঁচে থাকার সংগ্রাম । যা থেকে কারও রেহাই নাই । বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য চাই, আলো চাই , তাপ চাই, আত্মরক্ষা করা চাই , প্রাকৃতিক দূর্য়োগ থেকে বাচার উপায় জানা চাই ,আরো চাই অনেক কিছু । এতগুলা চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা থাকলেই একটি জীব বেঁচে থাকে । এ কারনেই সংগ্রাম । এই সংগ্রামে জয়ী কারা আর পরাজয়ী কারা তা হিসাব করা সহজ । যদি দেখা যায়, কোনো জীবের সংখ্যা বছরে বছরে কমছে তাহলে সেই জীব হেরে যাওয়ার দলে আর যদি সংখ্যাটা বছরে বছরে বাড়তে থাকে তাহলে তারা বিজয়ীদের দলে । আর যাদের সংখ্যা একই রকম থাকে তারাও জিতছে , যদিও খুব বড় রকমের নয় । বড় রকমের জিত তাদেরই যাদের সংখ্যা বাড়ছে ।
তো এই হার বা জিতের ব্যাপারে রহস্যটা কি ? ডারউইনের উওর – সারভাইবাল অফ দি ফিটেস্ট । মানে যোগ্যতমরাই টিকে থাকে । মধ্যযুগের অতিকায় ডাইনোসর বিলুপ্ত হযে গেছে । তার মানে বেঁচে থাকার সংগ্রামে ডাইনোসর হেরে যাওয়ার দলে । অথচ এই মধ্যযুগেরই শেষদিকে নিরীহ ও নিরস্ত্র স্তন্যপায়ী প্রানীরা যে শুধু জিতেছে তাই নয় বরং বলা চলে পৃথিবীর উপর আধিপত্য করেছে ।
কেন এমনটি হয়? জবাবে ডারউইন বলেন স্তন্যপায়ী প্রানীরা হচ্ছে এই বিশেষ সমযে ফেভারড বা আনুকুল্যপ্রাপ্ত । অর্থাৎ এই আনুকুল্যপ্রাপ্তরাই যোগ্যতম । আনুকুল্যপ্রাপ্ত কথাটার মানে কি?
ডারউইন বলেছেন সব জীবই পরিবেশের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে । কেউ পারে , কেউ পারে না । যারা পারে তারাই আনুকুল্যপ্রাপ্ত । তারাই যোগ্যতম । পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে বেঁচে থাকার সংগ্রামে হেরে যেতে হয় । ডাইনোসরের মত দৃষ্টান্ত আছে আরো অনেক । কাছাকাছি সময়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত হল ম্যামথ । দেখতে অনেকটা হাতির মত । বরফযুগে এই ম্যমথরা বীরবিক্রমে চলাফেরা করত । ঘন পশমে ঢাকা তাদের শরীরের গড়নটাই ছিল বরফযুগের জন্য উপযুক্ত । কিন্ত বরফযুগ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ম্যামথও শেষ । বরফযুগে ম্যামথরা ঘুরে বেড়াত তুষার ঢাকা তুন্দ্রা এলাকা দিয়ে । সেখানে গাছপালা বলতে ছিল ছোট ছোট ঝোপ যেমনটা এখন মেরু অঞ্চলে দেখা যায় । ম্যামথদের গায়ের ঘন লোমে ঢাকা, তাদের চামড়া, তাদের শুড়, পায়ের গড়ন শরীরের পরিপাক ব্যবস্থা, সবকিছুই ছিল এই পরিবেশের উপযোগী । কিন্ত বরফযুগের শেষে উষ্ণযুগ শুরু হতেই বড়ো বড়ো গাছপালায় তুন্দ্রাঅঞ্চল ছেয়ে যায়, অন্য ধরনের লতাপাতা ও
ঝোপঝাড়ে ছেয়ে যায় । তখন দেখা গেল ম্যামথদের শরীরের যে বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য তাদের জন্য বরফযুগে বিশেষ সুবিধার কারন হয়েছিল উষ্ণযুগে সেটাই হয়ে উঠল মারাত্মক অসুবিধার কারন ।
পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে ম্যামথরা বিলুপ্ত হয়ে গেল ।
কিন্ত আসলে ব্যাপারটা কি ঘটেছিল? বরফযুগ শুরু হবার সাথে সাথে এই যে একদল হাতির গায়ে ঘন লোম গজিয়ে উঠল – সেটা কেন? ব্যাপারটা কি এই যে সাধারন একটা হাতি
হঠাৎ বরফযুগ শুরু হওয়া দেখে বলে উঠল- "নাঃ বড়ো ঠান্ডা লাগছে , আমার গায়ে লোম গজাক" আর অমনি তার গায়ে লোম গজিয়েছিল? তাহলে আমরা ছেলেরা যদি বলি আমার মাথায টাঁক না পড়ুক – তাতে সবার মাথায় টাঁক পড়া বন্ধ হয়ে যেত । জিরাফের ঘাড় লম্বা, তার মানে এটা না যে বহুকাল আগে কোনো জিরাফ মনে মনে চেয়েছিল তার ঘাড় লম্বা হোক- আর অমনি তার ঘাড় লম্বা হযে গেছে ।
এ থেকেই ভ্যরিয়েশন কথাটা উঠে । ডারউইন বললেন , জীবজগতে সবার মধ্যে পরিবর্তন বা ভ্যারিয়েশন ঘটে চলেছে । যে কারনে বাপ মা একই হবার পরও ছেলে মেয়েদের মধ্যে কিছু
পার্থক্য থাকে । এক জেনারেশনে এই পার্থক্যটুকু সামান্য, কিন্ত তার পরের জেনারেশনে গিয়ে আরেকটু প্রকট । যেমন ম্যমথ । হাতির বাচ্চাদের মধ্যে যাদের লোম একটু বেশি ছিল তারা
বরফযুগে সংখ্যায় একটু বেশি টিকে থাকা আরম্ভ করল আর যাদের লোম কম তারা বেশী হারে মারা পড়তে থাকল । টিকে থাকা একটু বেশী লোমওয়ালাদের আবার যে বাচ্চাকাচ্চা হল তাদের মধ্যে লোমওয়ালা বাচ্চা আরও বেশীমাত্রায় জন্মাল আর লোমছাড়া বাচ্চা গুলা বরফযুগ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে আরও ক্রমবর্ধমান হারে মারা পড়তে থাকল । অনেক অনেক জেনারেশন এই প্রক্রিয়া চলার পর লোমসহ যে বৈশিষ্ঠ্য গুলা বরফযুগের উপযোগী সেই বৈশিষ্টের অধিকারীরাই টিকে থাকল । কিন্ত আবার উষ্ণযুগ শুরু হতেই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে ম্যমথ বিলুপ্ত হয়েছিল ।
ম্যমথের এই উদাহরন জীবজগতের সবার জন্যই প্রযোজ্য । অআর এটাই সারভাইবাল অফ দি ফিটেস্টের মূলকথা ।
হাসিব ভাইয়ের সাথে একমত।
বিবর্তন বাদ একটা ভিত্তিহীন যুক্তি।যার আসলেই কোনো ভিত্তি নাই। বানর বিবর্তিত হয়ে যদি মানুষে রুপান্তরিত হয়ে থাকে তাহলে এখন পৃথিবিতে বানর থাকার কথা না। অন্যন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে যেমন দেখা যায় একটা থেকে আরেকটায় বিবর্তীত হলে আগেরটা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাহলে মনুষের বেলায় কেন এমন হল না..? বানর থেকে মানুষ হয়েছে ভাল কথা কিন্তু বানর বিলুপ্ত হল না কেন….????????????
@M H BULBUL
আপনি বলেছেন,
"বিবর্তন বাদ একটা ভিত্তিহীন যুক্তি।যার আসলেই কোনো ভিত্তি নাই। বানর বিবর্তিত হয়ে যদি মানুষে রুপান্তরিত হয়ে থাকে তাহলে এখন পৃথিবিতে বানর থাকার কথা না।"
আপনি কি বিবর্তনবাদ ঠিকমতো পরেছেন? ডারউইন কখনই বলেননেই যে বানর থেকে মানুষ রুপান্তরিত হয়েছে। তিনি বলেছেন যে মানুষ এবং বানরের একটা "common ancestor" আছে…. দুইটা কথার মধ্যে বিস্তর ফারাক….
@ মুকুটঃ অবশ্যই!!! আমার নতুন পোষ্ট টি দেখুন।এখানে আমি আপনার জন্য কোরআন শরীফ এর সূরার আয়াত সহ বর্ননা করেছি।
চআমি আপনার মত না জেনে শুনে হাওয়ায় কথা উরিয়ে দেই না।
Pls visit-
https://www.techtunes.io/reports/tune-id/77958/
আপনার পোষ্ট মুছে ফেলা হয়েছে।এবং আপনার লেখা দারা আপনি প্রমান করলেন আপনি এক্টা পাগল।।আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত দান করুন।আমীন।
আপনার মতামত গুলো লিখে সেটা কোনো ভালো আলেম কে দেখান।ওনার মতামত গ্রহন করুন।যুক্তি দিয়ে কোনো কিছু প্রমান করতে যাবেন না।ইসলাম এর প্রত্যেক্টি বিষয় আল্লাহ তায়ালা পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে মানুষ বানর থেকে এসেছে এবং আদম(আঃ) এর আগে কোনো মানুষ ছিলো তাহলে আপনার ইমান হুমকির মুখে আছে।
ভাই আপনি ভুল করছেন। আদম,হাওয়ার (আঃ) আগে কোন মানুষ ছিল না। আর স্তলাভিষিক্ত বুঝাতে জিন জাতি থেকে মানুষকে বুঝানো হয়েছে। আপনি শুধু কালের কন্ঠের উদ্বৃতি দিলেন কিন্তু মানুষ সম্প্রর্কে কোরআন শরীফে অনেক আয়াত আছে এবং অনেক হাদীসও আছে কিভাবে মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল এমনকি আরবে আদম (আঃ) এর কবরও আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক সাধনা করেছি, তাই পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পেরেছি, শুধু শুধু ধুম্রজাল তৈরি করে লাভ নেই।
বির্বতনের সরল সূত্র::
জীবজন্তুর যত বাচ্চা বেঁচে থাকে তার চাইতে অনেক বেশী জন্মায় ও মারা যায় । বিশেষ করে নিঁচু শ্রেনীর জীবের বেলায় দেখা যায় কোটি কোটি ডিম থেকে শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকে ও বেড়ে ওঠে একটি বা দুটি জীব । যেমন সমুদ্রের মাছ । একজোড়া কড মাছ ষাঠ লাখ ডিম পাড়ে আর একজোড়া লিং মাছ প্রায তিন কোটি ডিম পাড়ে । এই ষাঠ লাখ বা তিন কোটি মাছ যদি বেঁচে থাকত তাহলে দেখা যেত অল্প সময়ের মধ্যে গোটা সমুদ্রটাই হয়ে উঠেছে মাছের আস্ত একটা পিন্ড । কিন্তু তা হয় না । বহু শত বছর ধরে সমুদ্রে কড বা লিং মাছের সংখ্যা মোটামুটি একই রকম ।
একজোড়া খরগোশের বছরে ৭০ টি বাচ্চা হতে পারে । এই ৭০ টি বাচ্চার মধ্যে মাত্র গোটা দুয়েক বাঁচে । একজোড়া ব্যাঙের প্রত্যেকটি ডিম থেকে যদি বাচ্চা হত আর তাদের প্রত্যেকে যদি
বেঁচে থাকত তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যেত পৃথিবীতে ব্যাঙ ছাড়া আর কারো জায়গা হচ্ছে না । হাতির বাচ্চা হয় অনেক কম আর তা অনেক দেরিতে দেরিতে, কিন্ত সব হাতির বাচ্চা যদি বেঁচে থাকত তাহলে ৭০০-৭৫০ বছরে এক জোড়া হাতি থেকে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ হাতির জন্ম হত । কিন্ত এক্ষেত্রেও তা হয়নি । পৃথিবীতে হাতির সংখ্যা খুব বেশি না ।
কিন্ত ব্যতিক্রম মানুষের বেলায়, মানুষের মোট সংখ্যা প্রতিবছর বেড়ে চলেছে , যদিও এক জোড়া মানুষ থেকে বছরে একটির বেশি বাচ্চা জন্ম হয় না । এ থেকেই আসে বেঁচে থাকার সংগ্রাম । যা থেকে কারও রেহাই নাই । বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য চাই, আলো চাই , তাপ চাই, আত্মরক্ষা করা চাই , প্রাকৃতিক দূর্য়োগ থেকে বাচার উপায় জানা চাই ,আরো চাই অনেক কিছু । এতগুলা চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা থাকলেই একটি জীব বেঁচে থাকে । এ কারনেই সংগ্রাম । এই সংগ্রামে জয়ী কারা আর পরাজয়ী কারা তা হিসাব করা সহজ । যদি দেখা যায়, কোনো জীবের সংখ্যা বছরে বছরে কমছে তাহলে সেই জীব হেরে যাওয়ার দলে আর যদি সংখ্যাটা বছরে বছরে বাড়তে থাকে তাহলে তারা বিজয়ীদের দলে । আর যাদের সংখ্যা একই রকম থাকে তারাও জিতছে , যদিও খুব বড় রকমের নয় । বড় রকমের জিত তাদেরই যাদের সংখ্যা বাড়ছে ।
তো এই হার বা জিতের ব্যাপারে রহস্যটা কি ? ডারউইনের উওর – সারভাইবাল অফ দি ফিটেস্ট । মানে যোগ্যতমরাই টিকে থাকে । মধ্যযুগের অতিকায় ডাইনোসর বিলুপ্ত হযে গেছে । তার মানে বেঁচে থাকার সংগ্রামে ডাইনোসর হেরে যাওয়ার দলে । অথচ এই মধ্যযুগেরই শেষদিকে নিরীহ ও নিরস্ত্র স্তন্যপায়ী প্রানীরা যে শুধু জিতেছে তাই নয় বরং বলা চলে পৃথিবীর উপর আধিপত্য করেছে ।
কেন এমনটি হয়? জবাবে ডারউইন বলেন স্তন্যপায়ী প্রানীরা হচ্ছে এই বিশেষ সমযে ফেভারড বা আনুকুল্যপ্রাপ্ত । অর্থাৎ এই আনুকুল্যপ্রাপ্তরাই যোগ্যতম । আনুকুল্যপ্রাপ্ত কথাটার মানে কি?
ডারউইন বলেছেন সব জীবই পরিবেশের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে । কেউ পারে , কেউ পারে না । যারা পারে তারাই আনুকুল্যপ্রাপ্ত । তারাই যোগ্যতম । পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে বেঁচে থাকার সংগ্রামে হেরে যেতে হয় । ডাইনোসরের মত দৃষ্টান্ত আছে আরো অনেক । কাছাকাছি সময়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত হল ম্যামথ । দেখতে অনেকটা হাতির মত । বরফযুগে এই ম্যমথরা বীরবিক্রমে চলাফেরা করত । ঘন পশমে ঢাকা তাদের শরীরের গড়নটাই ছিল বরফযুগের জন্য উপযুক্ত । কিন্ত বরফযুগ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ম্যামথও শেষ । বরফযুগে ম্যামথরা ঘুরে বেড়াত তুষার ঢাকা তুন্দ্রা এলাকা দিয়ে । সেখানে গাছপালা বলতে ছিল ছোট ছোট ঝোপ যেমনটা এখন মেরু অঞ্চলে দেখা যায় । ম্যামথদের গায়ের ঘন লোমে ঢাকা, তাদের চামড়া, তাদের শুড়, পায়ের গড়ন শরীরের পরিপাক ব্যবস্থা, সবকিছুই ছিল এই পরিবেশের উপযোগী । কিন্ত বরফযুগের শেষে উষ্ণযুগ শুরু হতেই বড়ো বড়ো গাছপালায় তুন্দ্রাঅঞ্চল ছেয়ে যায়, অন্য ধরনের লতাপাতা ও
ঝোপঝাড়ে ছেয়ে যায় । তখন দেখা গেল ম্যামথদের শরীরের যে বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য তাদের জন্য বরফযুগে বিশেষ সুবিধার কারন হয়েছিল উষ্ণযুগে সেটাই হয়ে উঠল মারাত্মক অসুবিধার কারন ।
পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে ম্যামথরা বিলুপ্ত হয়ে গেল ।
কিন্ত আসলে ব্যাপারটা কি ঘটেছিল? বরফযুগ শুরু হবার সাথে সাথে এই যে একদল হাতির গায়ে ঘন লোম গজিয়ে উঠল – সেটা কেন? ব্যাপারটা কি এই যে সাধারন একটা হাতি
হঠাৎ বরফযুগ শুরু হওয়া দেখে বলে উঠল- "নাঃ বড়ো ঠান্ডা লাগছে , আমার গায়ে লোম গজাক" আর অমনি তার গায়ে লোম গজিয়েছিল? তাহলে আমরা ছেলেরা যদি বলি আমার মাথায টাঁক না পড়ুক – তাতে সবার মাথায় টাঁক পড়া বন্ধ হয়ে যেত । জিরাফের ঘাড় লম্বা, তার মানে এটা না যে বহুকাল আগে কোনো জিরাফ মনে মনে চেয়েছিল তার ঘাড় লম্বা হোক- আর অমনি তার ঘাড় লম্বা হযে গেছে ।
এ থেকেই ভ্যরিয়েশন কথাটা উঠে । ডারউইন বললেন , জীবজগতে সবার মধ্যে পরিবর্তন বা ভ্যারিয়েশন ঘটে চলেছে । যে কারনে বাপ মা একই হবার পরও ছেলে মেয়েদের মধ্যে কিছু
পার্থক্য থাকে । এক জেনারেশনে এই পার্থক্যটুকু সামান্য, কিন্ত তার পরের জেনারেশনে গিয়ে আরেকটু প্রকট । যেমন ম্যমথ । হাতির বাচ্চাদের মধ্যে যাদের লোম একটু বেশি ছিল তারা
বরফযুগে সংখ্যায় একটু বেশি টিকে থাকা আরম্ভ করল আর যাদের লোম কম তারা বেশী হারে মারা পড়তে থাকল । টিকে থাকা একটু বেশী লোমওয়ালাদের আবার যে বাচ্চাকাচ্চা হল তাদের মধ্যে লোমওয়ালা বাচ্চা আরও বেশীমাত্রায় জন্মাল আর লোমছাড়া বাচ্চা গুলা বরফযুগ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে আরও ক্রমবর্ধমান হারে মারা পড়তে থাকল । অনেক অনেক জেনারেশন এই প্রক্রিয়া চলার পর লোমসহ যে বৈশিষ্ঠ্য গুলা বরফযুগের উপযোগী সেই বৈশিষ্টের অধিকারীরাই টিকে থাকল । কিন্ত আবার উষ্ণযুগ শুরু হতেই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে ম্যমথ বিলুপ্ত হয়েছিল ।
ম্যমথের এই উদাহরন জীবজগতের সবার জন্যই প্রযোজ্য । অআর এটাই সারভাইবাল অফ দি ফিটেস্টের মূলকথা ।
ভাই আপনে বল্লেনঃ (এ থেকেই ভ্যরিয়েশন কথাটা উঠে। ডারউইন বললেন, জীবজগতে সবার মধ্যে পরিবর্তন বা ভ্যারিয়েশন ঘটে চলেছে। যে কারনে বাপ মা একই হবার পরও ছেলে মেয়েদের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকে। এক জেনারেশনে এই পার্থক্যটুকু সামান্য, কিন্ত তার পরের জেনারেশনে গিয়ে আরেকটু প্রকট। যেমন ম্যমথ। হাতির বাচ্চাদের মধ্যে যাদের লোম একটু বেশি ছিল তারা বরফযুগে সংখ্যায় একটু বেশি টিকে থাকা আরম্ভ করল আর যাদের লোম কম তারা বেশী হারে মারা পড়তে থাকল।)
এখন আমার কথা হলো — আমার দাদা ৬ফিট লম্বা ছিলো আবার আমার বাবা ৫ ফিট ৮ইঞ্চি আবার আমি ৬ফিট– এখন ডারউইন-এর ভ্যারিয়েশন যদি ধরি তো আমরা দেখবো যে বাদর থেকে বাদর গুলা দিন দিন বুদ্ধিমা মানুষই হতে থাকলো – কোন ভাবেই সেই মানুষ হইতে থাকা বাদরগুলা থেকে কখনওই আর বদর জন্মাইলোনা কিন্তু দেখেন ভ্যারিয়েশন কি শুধু উন্নতির দিকেই হয় নাকি যদি হতো তাহলে আমার দাদা ৬ফিট এর পর আমার বাবার ৬ফিট ১ইঞ্চি এরপর আমার অন্ততপক্ষে ৬ফিট ২ইঞ্চি হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু বাবা মাঝে খাটো হলো কেন? আমি এখানে ধর্মের কোন যুক্তি কিন্তু বলিনি..
আবারও বলি বেহুদা বিতর্ক না করে বলেন যে (ডারউইন-বাদ == গাঁধা-গল্প)
আমি একটা কথা কোন রকমেই বুঝতে পারিনা মানুষ তার পুর্ব পুরুষদের কুকুর,শেয়াল ভাবে কি করে,মানুষ নাকি সৃষ্টির সেরা তা হলে সেখানে জানোয়ার সম্প্রদায় এলো কি করে,
কতটুকু বিকৃত রুচি সম্পন্ন হইলে একটা মানুষ নিজেকে জানোয়ার সম্প্রদায়ের উত্তর সুরি ভাবতে পারে।
যখন নিজের অস্তিত্ব সম্মন্ধে কেউ ওয়াকিবহাল নয়,নিজের মর্জাদা সম্মন্ধে জানেনা কিংবা যাদের বিবেক বুদ্ধি লোপ পায় তারাই শুধু এই সমস্ত চিন্তা ভাবনা করতে পারে,
আর তাদের নেতা মি,ডারউইন সাহেব যে নিজেই একটা বিকৃত মনমানসিকতার লোক ছিল।তা না হইলে এমন উদ্ভট চিন্তার বিবর্তনবাদের কথা আসে কি করে,
আপসোস হয় তাদের জন্য এবং দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন।
আচ্ছা…. এখানে আমি কি কিছু বলতে পারি ? 😀
মনে করেন যে রাস্তায় একটা পাগল আবোল তাবোল বকতেছে!!! আর কিছু বুদ্ধুজীবী পাগলের কথাগুলো মন দিয়ে শুনতেছে !!
শোনার পর সেই কথা গুলো নিয়ে বুদ্ধুজীবীগন গবেষণা (!) শুরু করে দিল!!! আর গবেষনার ফলশ্রুতিতে যা হয় আর কী!! শুরু হয়ে গেল ওই বুদ্ধুজীবীগনের মধ্যে বিভিন্ন মতপার্থক্য… 😀 😀 😀
তারপর সেই পাগলা রাস্তার মইধ্যে কী না কী ভুলভাল বকছিল সেইটা নিয়া চলতে থাকলো তর্ক যুক্তি আর পাল্টা যুক্তি !!!
এটা একটা কাল্পনিক ঘটনা মাত্র । তবে এই ঘটনার বাস্তব ডামি চিত্র আমরা অহরহ দেখতে পাচ্ছি আমাদের সমাজে , বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে ই-পেপার, বিভিন্ন ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে।
আর এই টেকটিউনে সেই পাগলার ভূমিকা পালন করলেন স্বয়ং মি: ডারউইন পাগলু 😀
আর প্রধান বুদ্ধুজীবীর ভূমিকা নিলেন এসএম রায়হান !! (মাফ করবেন জনাব রায়হান 😀 ) …
আর রায়হান সাহেবের পক্ষ নিলেন কিছু ছোট ছোট বুদ্ধুজীবী!!
তবে রায়হান সাহেবের বিরোধীতা করলেন নাস্তিক নামক নর্দমার কীটের চেয়েও অধম , সেই মি: ডারউইন পাগলুর কিছু গুণধর (?) বংশধর গুটি কয়েক ছাগলু (!!!) যারা নাকি বহু বছর যাবত নিজেদেরকে বান্দরের (?) প্রতিবেশী হিসেবে প্রমাণ করবার লক্ষে নিরলস পরিশ্রমে নিয়োজিত আছে 😀 😀 😀 ।
এদের কতক বলে যে মানব জাতি হল বান্দরজাতির (?) ক্রমবিবর্তিত বংশধর !!!!!
আর বর্তমান কিছু মডার্ন ছাগলু বের হয়েছেন যারা দাবি করছেন যে , No No No… আসলে আপনাদের Concept-এ কিছু গলদ আছে ! আপনারা ডারউইন তত্ত আসলে বুঝতেই পারেন নাই !!! মানুষ জাতি আসলে বান্দর থেইক্কা আসে নাই 😀
আসলে আমগো পাগলু দাদা ( মি: ডারউইন পাগলু) কইয়া গ্যাছেন যে , ঐ যে মানুষ আছেনা , আর ঐ যে হইল গিয়া বান্দর , ইনারা হইলেন গিয়া Primates নামক (আজগুবি) এক গোত্রের থেইক্কা ( আজগুবি ভাবে !!!) উদ্ভূত হইছেন!!! হি হি … 😀 বুঝতে পারলেন তো ? না বুঝার তো কিছু নাই !!! আজগুবি থেইক্কা সিম্পল জিনিস কী আর কিচ্ছু হইতে পরে ? থাকতে পারে ? ……………… হু হা হা হা হা 😀 😀 😀 ….(????)
দু:খিত … !!! আমাকেও এখানে কিছু সময়ের জন্য বুদ্ধুজীবীর ভূমিকায় রোল করতে হল 😀 😀 😀
বিবর্তন বাদ একটা ভিত্তিহীন যুক্তি।যার আসলেই কোনো ভিত্তি নাই।