প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-২

[পর্ব-১] ডারউইনবাদীরা কথায় কথায় ‘প্রকৃতি’ বা ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ জাতীয় অস্পষ্ট শব্দ আউড়িয়ে কিছু একটা প্রমাণ করার চেষ্টা করে থাকেন। এমনকি তারা প্রাণীজগত থেকে খুঁজে খুঁজে কিছু উদাহরণ নিয়ে এসে বলার চেষ্টা করেন যে, প্রকৃতিতে যেহেতু অমুক-তমুক আছে সেহেতু সেটি বৈজ্ঞানিক বা প্রাকৃতিক। এভাবে প্রকৃতি থেকে উদাহরণ দিয়ে কোন কিছুকে মনুষ্য সমাজেও বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রকৃতি থেকে উদাহরণ দিয়ে কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা যে নিজের পায়ে কুড়াল মারার সামিল – সেটা তারা বোঝেন কিনা কে জানে। উদাহরণস্বরূপ, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সরল একটি জীব থেকে ধীরে ধীরে পুরো জীবজগত বিবর্তিত হয়েছে। অথচ প্রকৃতি তাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে! কেননা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী মানুষ থেকে মানুষের বাচ্চা-ই হওয়ার কথা। মুরগীর পেট থেকে মুরগীর ডিম-ই বেরুনোর কথা। কলা গাছে কলা-ই ধরার কথা। এর ব্যতিক্রম কিছু হলে সেটিকে অপ্রাকৃতিক বা অস্বাভাবিক নিয়ম বলা হয়। অন্যদিকে প্রকৃতি থেকে যে সকল উদাহরণ দিয়ে সেগুলোকে মনুষ্য সমাজে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেগুলো বেশ সীমিত ও ব্যতিক্রমধর্মী। অথচ প্রকৃতিতে হত্যা, ধর্ষণ, অজাচার, ও পুরুষের বহুগামীতা কিন্তু একেবারেই ছড়াছড়ি। অধিকন্তু, প্রকৃতি থেকে উদাহরণ দিয়ে কোন কিছুকে মনুষ্য সমাজে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা মানে কিন্তু মানুষকে প্রকৃতি থেকে আলাদা করা এবং সেই সাথে নিজেদেরকে পশুদের চেয়ে নিম্ন প্রজাতির ভাবা!

প্রজনন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে প্রকৃতিতে দু-ধরণের প্রজাতি আছে: যৌন প্রজনন (Sexual reproduction: humans, animals, birds, reptiles, fishes, insects, etc.) এবং অযৌন প্রজনন (Asexual reproduction: bacteria, virus, hydras, some plants, etc.)। যৌন প্রজননের উপর ভিত্তি করে আবার দু-ধরণের প্রজাতি আছে: স্তন্যপায়ী প্রজাতি এবং অস্তন্যপায়ী প্রজাতি।

বিবর্তন তত্ত্ব যদি সত্য হয় তাহলে উপরের প্রজাতিগুলোর একটি থেকে অন্যটি বিবর্তিত হতেই হবে। যেমন অস্তন্যপায়ী প্রজাতি থেকে স্তন্যপায়ী প্রজাতি [কিংবা স্তন্যপায়ী প্রজাতি থেকে অস্তন্যপায়ী প্রজাতি] বিবর্তিত হতেই হবে। এমনকি লিঙ্গ-বিহীন প্রজাতি থেকেও পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ বিবর্তিত হতেই হবে। তো প্রকৃতিতে যেহেতু স্তন্যপায়ী ও অস্তন্যপায়ী উভয় প্রজাতিই আছে - এবং বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী এগুলোর উৎস যেহেতু এক - সেহেতু বিবর্তনের কোন এক পর্যায়ে অস্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হতেই হবে। অন্যথায় বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে।

এবার কিছু অস্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা চিন্তা করুন। তাদের শারীরিক গঠন ও বংশবিস্তার প্রণালী দেখুন। তারপর কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা চিন্তা করুন এবং তাদেরও শারীরিক গঠন ও বংশবিস্তার প্রণালী দেখুন। দেখবেন যে দুটি প্রজাতির মধ্যে বিস্তর ফারাক। নিচের ছবিতে স্তন্যপায়ী প্রাণীর নমুনা হিসেবে ছাগল ও গাভিকে দেখানো হয়েছে।

লক্ষণীয় কিছু বিষয়: যেখানে ছাগলের স্তনে দুটি নিপল আছে সেখানে গাভির স্তনে নিপল আছে চারটি, এমনকি কুকুরের স্তনে আবার নিপল আছে ছয়টি; যেখানে অধিকাংশ পশুদের স্তনের অবস্থান তাদের দেহের পশ্চাৎদিকের নিম্নভাগে সেখানে মানুষ ও বানর প্রজাতির স্তনের অবস্থান তাদের দেহের উপরিভাগে ও সম্মুখদিকে। এবার স্তনগ্রন্থীর ব্যাপারটা মাথায় রেখে যৌক্তিক ও বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিচের পয়েন্টগুলো বিবেচনা করুন:

-অস্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে কোন স্তনগ্রন্থী নাই। তাহলে কেন ও কীভাবে অস্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে স্তনগ্রন্থী বিবর্তিত হবে। স্তনগ্রন্থীর জন্য নতুন তথ্য কোথা থেকে আসবে। স্তনগ্রন্থীর মতো কোন গ্রন্থী প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মন্থর গতিতে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব কিনা। বিবর্তনে এক-শতাংশ বা এক-দশমাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ বা অর্ধ-বিবর্তিত স্তনের কিন্তু কোনই মূল্য নেই। সেক্ষেত্রে বংশ বৃদ্ধিই হবে না। অধিকন্তু, এক-শতাংশ বা এক-দশমাংশ বা অর্ধ-বিবর্তিত স্তনের ক্ষেত্রে প্রাণীরাও কি এক-শতাংশ বা এক-দশমাংশ বা অর্ধ-বিবর্তিত হবে? তা কি বাস্তবে সম্ভব!

-বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ও সাধারণ বোধ অনুযায়ী অস্তন্যপায়ী প্রাণীদেরকে আলাদা করে অনেকদিন ধরে রেখে দিলেও সেই প্রাণীগুলোর দেহে স্তনগ্রন্থী গজিয়ে স্তন্যপায়ী প্রাণীতে রূপান্তরিত হতে পারে না। ডারউইনবাদীরা যদি মনে করেন এমন বিবর্তন বাস্তবে সম্ভব তাহলে প্রমাণ দেখাতে হবে।

উপসংহার: অস্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মন্থর গতিতে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে যেহেতু কোন প্রমাণ নাই এবং বাস্তবেও যেহেতু এই ধরণের বিবর্তন সম্ভব নয় সেহেতু স্তন্যপায়ী ও অস্তন্যপায়ী প্রজাতির আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হবে। আর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হলে স্বাভাবিকভাবেই বিবর্তন তত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়।

Level 0

আমি এস. এম. রায়হান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 123 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

লেখা থেকে সরাসরি উদ্ধৃতি দিয়ে যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনাকে স্বাগত জানানো হবে।

    Level 0

    সহমত।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
এবং সুন্দর হইতেছে আপনার লেখাগুলো।
এগিয়ে যান আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

এবার আর কেউ যুক্তি খন্ডাতে পারছেনা তাই মন্তব্য কম।

পড়তে ভাল লাগছে। চালিয়ে যান সাথে আছি। তর্ক করতে বহুত কাজে দিবে আপনার লেখাগুলো।

Level 0

তর্ক করার তো কউকে দেখতেছি না। 🙁

চমৎকার লিখছেন ভাই। কাজের টিউন। আশা করি নিয়মিত চালাইয়া যাবেন।
আসলেই ডারউইনবাদীরা এমন অনেক কথা বলে থাকেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

পপকর্ণ খাইতে খাইতে দুই চাইরটা কথা বলে যাই:

১। প্রাকৃতিক বৈচিত্রই বিবর্তনবাদ তত্ত্বের পেছনে ছোটার মূল কারণ। ডারউইন সম্পর্কে পড়ালেখা করে আমার তেমনই মনে হয়েছে।

২। প্রাণীর প্রকারভেদ যদি স্তন্যপায়ী কেন্দ্রীক হয় তাহলে কিছু বলার নাই, তবে বেসিক বায়োলজিতে মেরুদন্ডী, অমেরুদন্ডী — এভাবে ভাগ করেছিল বলে মনে পড়ে। আর, স্তন্যপায়ী, পাখী, সরীসৃপ, মাছ, পোকামাকড় এরকম আরও অনেক ভাগ ছিল বলে মনে পড়ে। আর সংখ্যার দিক দিয়ে চিন্তা করলে পৃথিবীতে কীট পতঙ্গের সংখ্যা এবং বৈচিত্রই বেশি (৮০% এর মত)। আপনার এনালজিতে ডিম পাড়া বনাম বাচ্চা দেয়া — এরকম প্রকারভেদটা বেশি ভাল শোনাতো হয়তো।

৩। চতুষ্পদী জন্তুর নিচে নিপল। মানুষও চতুষ্পদী হত, যদি দুই পা দিয়ে খাড়া না হত (ক্যাঙ্গারু, ভাল্লুক, শিম্পাঙ্জি এদের খাড়া হতে দেখি, কুকুর বিড়ালও মাঝে মাঝে ঐ পজিশনে যায়।)। মানুষ হামাগুড়ি দেয়ার পজিশনে অনেকটা চতুষ্পদীর মতই দেখায় আর ঐ সময়ে স্তন কোন দিকে থাকে? বিরাট পার্থক্য তাই না???

৪। ইদানিং ন্যাশনাল জিওগ্রাফি বা অন্য চ্যানেলে যেভাবে ভিডিওতে ভ্রূণ থেকে শিশু তৈরীর এনিমেশন দেখায় তাতে সবগুলো শুরুতে (ভ্রূণ অবস্থায়) একইরকম ছিল সেটা স্পষ্টই বোঝা যায় — এটার বিপরীত ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আপনি দেবেন। কারণ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের জন্য সমম্ত মিল এবং অমিলের ব্যাখ্যা দেয়া দরকার — না হলে বিজ্ঞান সংস্থাগুলো এটা মানবে না।

৫। আপনার তত্ত্ব দিয়ে আপনি কিন্তু একটা পিএইচডি এবং নোবেল বাগাতে পারেন। শুধু শুধু আমাদের মত মফিজদের মধ্যে জ্ঞান বিতরণ না করে জায়গামত গুতা দেন। সায়েন্টেফিক কমিউনিটিতে লিখেন — bdresearchers নামে একটা ইয়াহুগ্রুপ আছে। এরকম আরও অনেক মেইলিং লিস্ট আছে।

৬। দুইটা রেফারেন্স দেই। এই দুইটার উক্তি কোট করে ঐখানেই এর বিরোধী প্রমাণগুলো দিয়ে দেন
– উইকিপিডিয়া: http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
– বাংলা ইবুকঃ বিবর্তনের পথ ধরে – বন্যা আহমেদ http://www.mukto-mona.com/Articles/bonna/book/index.htm

৭। এই বিষয়ে আমি রেফারেন্সগুলো দিলাম। কাজেই আর প্যাচাল না পারি ….

    বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে আরো অনেক টিউন আসবে। ফলে আপনার পপকর্ণ খাওয়ার সময়টাতে আগেভাগেই কিছু ফ্রেন্ডলি রিমাইন্ডার দিয়ে রাখি যাতে করে পরবর্তী মন্তব্যের আগে আরেকটু চিন্তাভাবনা করতে পারেন:

    -আপনি এই লাইনে নতুন কিনা জানা নেই, তবে আমি কিন্তু নতুন নই।

    -বিবর্তন তত্ত্ব এবং ডারউইনবাদীদের দাবি সম্পর্কে আমি অবগত।

    -আমি যা লিখছি তা জেনে-বুঝেই লিখছি।

    -কোন কিছুর পক্ষে 'ব্যাখ্যা' আর 'বৈজ্ঞানিক প্রমাণ' এর মধ্যে পার্থক্য আছে, ব্যাখ্যা মানেই প্রমাণ নয়।

    -উপরে যে দুটি রেফারেন্স দিয়েছেন সেগুলো কোন পীয়ার-রিভিউড বৈজ্ঞানিক জার্নাল নয়, এমনকি বড় কোন বিজ্ঞানীর লিখা বইও নয়। বন্যা আহমেদের "বিবর্তনের পথ ধরে" গল্পের বইটি অনেক আগেই পড়া হয়ে গেছে। বিবর্তন তত্ত্বের বিরুদ্ধে এর চেয়ে অনেক শক্তিশালী বই ও প্রবন্ধ লিখা হয়েছে। আমি কিন্তু সেগুলোর রেফারেন্স দিচ্ছি না।

    -একটি টিউনে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, শুধুমাত্র সেই বিষয়ের পক্ষে নিদেনপক্ষে একটি পীয়ার-রিভিউড বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স দিয়ে মন্তব্য শুরু করলে ভাল হয়, যদি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমার দাবিকে খণ্ডন করতে চান। উদাহরণস্বরূপ, এই টিউনে আমার দাবি অনুযায়ী অস্তন্যপায়ী [ডিম পাড়া] প্রাণী থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মন্থর গতিতে স্তন্যপায়ী [বাচ্চা দেয়া] প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে কোন প্রমাণ নাই এবং বাস্তবেও এই ধরণের বিবর্তন সম্ভব নয়। আপনি যদি মনে করেন তা সম্ভব এবং এর পক্ষে প্রমাণ আছে তাহলে এতবড় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হবেই হবে, কী বলেন? ফলে সেই জার্নালের রেফারেন্স দিতে হবে। তবে কোন জার্নালের রেফারেন্স দেয়ার আগে সেই জার্নাল পেপার নিজে পড়েছেন কিনা সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে।

    আপনার মন্তব্যে যে দুটি রেফারেন্স দিয়েছেন সেই দুটি রেফারেন্সের কোথাও অস্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। তাহলে এমন রেফারেন্স দিলেন কেন? আপনি নিজে সেগুলো পড়েছেন কিনা। পড়ে থাকলে বুঝেছেন কিনা। সেখানে যা লিখা আছে সেগুলো নিয়ে আপনার মনে কি কোনই সংশয়-সন্দেহ নাই!

    এইতো ভাল কথায় আসছেন।

    ডারউইনের তত্ত্বের বিপক্ষে যদি আপনি আরেকটা তত্ত্ব দাঁড় করাতে সক্ষম হন তাহলে তো আপনারও সেটা পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশনা হবেই তার সাথে ফেমাসও হয়ে যাবেন। সাথে আমরাও গর্ব করতে পারবো, "জানিস আমাদের দেশের একজন ডারউইনের মতবাদ ভুল প্রমাণ করেছেন'। সেইরকম তত্ত্ব প্রমাণ আপনার হাতে থাকলে টেকটিউনসে রাজা-উজির মেরে সময় খরচ না করে বরং জার্নালেই গুতা দেন, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে পেপার পড়েন। ততদিন পর্যন্ত আমি গ্যালারীতে বসে পপকর্ণ খাইতে থাকি। 😀

    ধন্যবাদ।

    আপনাকে কিন্তু যুক্তিবাদীই ভেবেছিলাম। কিন্তু এবার আপনি সত্যিই হাসালেন, যদিও আমার সহজে হাসি পায় না। আপনি আমাকে উল্টোটা প্রমাণ করে বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন! প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি আমার কিন্তু বৈজ্ঞানিক জার্নালে একাধিক পেপার আছে। ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সেও পেপার পড়ার অভিজ্ঞতা আছে।

    যাহোক, কাজের কথায় আসি। আমার দাবি হচ্ছে অস্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মন্থর গতিতে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হতে পারে না এবং এই ধরণের বিবর্তনের পক্ষে কোন প্রমাণও নাই। প্রমাণ থাকলে বৈজ্ঞানিক জার্নালে অবশ্যই প্রকাশ হওয়ার কথা। অথচ বিবর্তন তত্ত্ব সত্য হতে হলে এই ধরণের বিবর্তন ঘটতেই হবে, কী বলেন? তাহলে যারা বিবর্তন তত্ত্বকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে দাবি করছে তাদেরই উচিত প্রমাণ উপস্থাপন করা। প্রমাণ না দিয়ে কী করে বিবর্তন তত্ত্বকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে দাবি করা হয়? কিন্তু আপনি যদি উল্টোদিকে অস্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত "না হওয়ার" পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলেন তাহলে সেটি হবে একই সাথে অযৌক্তিক এবং হাস্যকর। যে কোন পজিটিভ দাবির পক্ষে দাবিদারকেই প্রমাণ উপস্থাপন করতে হয়, অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদীকে নয়।

    ধরা যাক, আমি দাবি করলাম আপনার পঞ্চাশ প্রজন্ম আগের পূর্বপুরুষ সরাসরি তালগাছ থেকে বিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু কোন প্রমাণ দিলাম না। এবার আপনার কাছে ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য হওয়ায় আমার কাছে থেকে প্রমাণ দাবি করাতে আমি আপনার মতো করে জবাব দিলাম:

    আমার তত্ত্বের বিপক্ষে যদি আপনি আরেকটা তত্ত্ব দাঁড় করাতে সক্ষম হন তাহলে তো আপনারও সেটা পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশনা হবেই তার সাথে ফেমাসও হয়ে যাবেন। সাথে আমরাও গর্ব করতে পারবো, "জানিস আমাদের দেশের একজন এস. এম. রায়হানের মতবাদ ভুল প্রমাণ করেছেন। সেইরকম তত্ত্ব প্রমাণ আপনার হাতে থাকলে টেকটিউনসে রাজা-উজির মেরে সময় খরচ না করে বরং জার্নালেই গুতা দেন, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে পেপার পড়েন। ততদিন পর্যন্ত আমি গ্যালারীতে বসে পপকর্ণ খাইতে থাকি। 😀

    বলেন দেখি এবার কেমন লাগবে!

    আপনার পিয়ার রিভিউড জার্নালে পেপার আছে সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নাই বলেই মনে হয়। আপনার পেশাদার বিষয়ে (সম্ভবত ইলেক্ট্রক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) এ এসংক্রান্ত পেপার থাকতেই পারে।

    আর আপনার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা যদি পেয়ে থাকে তবেই না সেটা খন্ডানোর প্রয়োজন হবে। টেকটিউনস বা সামু ব্লগের তত্ত্ব খন্ডানোর জন্য জার্নালে গুতাগুতির প্রয়োজন কতটুকু? বরং আপনিই প্রতিষ্ঠিত একটি তত্ত্বের বিরূদ্ধে লিখেছেন — সেটা সঠিক জায়গায় করে প্রতিষ্ঠা পাক; আর পেলেই না এর বিপক্ষে কাজ করার প্রয়োজন হবে।

    আপনি যেই অংশটুকু নিয়ে এখানে বলছেন, সেটার পেছনে যথেষ্ট স্টাডি করেই লিখছেন বলে মনে হচ্ছে …. তবে পত্রিকা বা জার্নালে কেন নয়? জার্নালের রিভিউয়ার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ (আমি যেটা নই); যৌক্তিক পয়েন্ট থাকলে উনারা ঠিকই সেটা প্রকাশের ছাড়পত্র দিবেন; অথবা ব্যাখ্যা চাইবেন — এই সব ব্যাপার আপনার অজানা থাকার কথা না।

    আর এই বিষয়েই আপনার প্রকাশিত পেপার থাকলে লিংকটা বা তথ্য (সাইটেশন) দেন। OARE থেকে পেপার নামানোর অনুমতি আছে আমার, আর সেখানে না কুলালেও কাউকে বলে সেই জার্নালের পেপার সংগ্রহ করতে পারব বলেই মনে করি।

    আমার পপকর্ণ আমার কাছেই থাক আপাতত 😀

    একটা ভুল স্বীকার করছি:
    আপনি ইতিমধ্যেই য‌থেষ্ট ফেমাস মনে হচ্ছে — তাই আগের ফেমাস হওয়া নিয়ে আমার কথাটা কিছুটা ভুল ছিল।

    মুক্তমনাতে আপনার লেখা এবং সেটা নিয়েও লেখা আছে দেখলাম। 🙂

    কিছু বলতে চাইলে সরাসরি বলাই ভাল বলে মনে করি। অপ্রাসঙ্গিকভাবে অন্য একটি ব্লগের রেফারেন্স দিয়ে আমার সম্পর্কে পরোক্ষভাবে কিছু মিন করার আগে সেই ব্লগে ইসলামের নবী, কোরান, আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কী বলা হচ্ছে তা আগে দেখুন, যদি ইসলামে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন।

    [বরং আপনিই প্রতিষ্ঠিত একটি তত্ত্বের বিরূদ্ধে লিখেছেন।]

    আপনি বা অন্য কেউ এখন পর্যন্তও আমার দুটি পর্বে উত্থাপিত বিবর্তনের দুটি মৌলিক বিষয়ের পক্ষে একটিও পীয়ার-রিভিউড বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স দিতে পারেননি। পরবর্তী টিউনগুলোতে আরো বেশ কিছু মৌলিক বিষয় আসছে, এবং আমি মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলতে পারি যে সেগুলোর পক্ষেও কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স দিতে পারবেন না। অথচ এগুলোর পক্ষে প্রমাণ থাকলে অবশ্য-অবশ্যই এতদিনে বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করা হতো। হতো না কি? অধিকন্তু, আমি যুক্তি দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি যে, এই ধরণের বিবর্তন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে হতে পারে না।

    এই যখন বাস্তবতা তখন আপনি কীসের উপর ভিত্তি করে বিবর্তন তত্ত্বকে "প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব" বলে দাবি করছেন, তা আমার ক্ষুদ্র মাথায় ঢুকছে না। আপনার পপকর্ণ কোন বাচ্চাকে দিয়ে একটু খোলামেলাভাবে যুক্তি-প্রমাণ সহ ব্যাখ্যা করেন দেখি।

    প্রথমত: আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। কাজেই আপনার যুক্তির ভুল ধরা এবং সরাসরি রেফারেন্স দেয়ার সামর্থ এই মুহুর্তে আমার নাই। কিন্তু আপনি রেফারেন্স দিলে সেটা যাচাই করতে পারি।

    আপনার যুক্তির বিপক্ষের রেফারেন্স যেহেতু আমার কাছে নাই, এবং আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই; তাই আমার সাথে এই বিষয়ে আপনার অনর্থক বিতর্ক করে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নাই। আমার মত (এই বিষয়ে) মুর্খের সাথে তর্কে জিতে এই তত্ত্ব বা আপনার অবজার্ভেশন প্রতিষ্ঠা পাবে না। আপনাকে এই বিষয়টা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞদেরকে যুক্তি দিয়ে এবং তাঁদের যুক্তি খন্ডন করেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং সেখানকার সার্টিফিকেটই আমাদেরকে (কিংবা আমাকে) আপনার তত্ত্বের প্রতি আকর্ষিত করবে। এইটা একটা স্বাভাবিক বিষয়।

    ডারউইনের তত্ত্ব আর মেন্ডেলিফের সুত্র — আমি যতটুকু বুঝি একটা হাইপোথেসিস (তত্ত্ব) আরেকটা সুত্র। হাইপোথেসিস আর সুত্রের মানে এবং পার্থক্য কী সেটা আমরা মনে হয় জানি … … কাজেই এ বিষয়ে সময় নষ্ট না করি। একটা তত্ত্ব সুত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে যখন সেটা সংশ্লিষ্ট সবগুলি বিষয়কে পরিপূর্ণ ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবে। ডারউইনের সময়ে তাঁর অনুমানের (হ্যাঁ, অনুমানের) সপক্ষে উনি কিছু প্রমাণ যোগার করেছিলেন। যেটা একটা অংশকে ব্যাখ্যা করলেও অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। পরবর্তীতে বিভিন্ন ফসিল, প্লেট টেকটনিকস ইত্যাদি দিয়ে যা পাওয়া গেছে তা তার অনুমানের পক্ষেই গেছে। এছাড়া উইকি থেকে কোট করি:
    ==
    ""বিবর্তনের পক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণ অফুরন্ত বলে মনে করা হয়। বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তির পক্ষে যে সমস্ত সাক্ষ্য হাজির করা যায় তা হল : প্রাণ রাসায়নিক প্রমাণ, কোষবিদ্যা বিষয়ক প্রমাণ, শরীরবৃত্তীয় প্রমাণ, জীবাশ্ম বা ফসিলের প্রমাণ, সংযোগকারী জীবের (connecting link) প্রমাণ, ভৌগলিক বিস্তারের (Geographical distribution) প্রমাণ, তুলনামূলক অঙ্গসংস্থানের প্রমাণ, শ্রেনীকরণ সংক্রান্ত প্রমাণ, নিষ্ক্রিয় বা বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গের প্রমাণ ইত্যাদি। এ ছাড়া তবে ১৯৫০ সালের পর থেকে বিবর্তনের সপক্ষে সবচেয়ে জোরালো এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গেছে ‘আনবিক জীববিদ্যা’ (molecular biology) এবং সাইটোজেনেটিক্স (cytogenetics) থেকে। আধুনিক জীববিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ববিজ্ঞান, জেনেটিক্স, জিনোমিক্স এবং আনবিক জীববিদ্যার সকল শাখাতেই বিবর্তনের পক্ষে জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে''
    ==
    ‌এখনও যেহেতু এটা প্রমাণের মধ্যেই যাচ্ছে তাই এটা এখনও তত্ত্ব। কাজেই এর মধ্যে ব্যাখ্যার মত প্রমাণ পাওয়া যায়নি এমন বিষয়ও আছে — এটা স্বীকার করে নিতেই হবে।

    আপনার এর বিপক্ষের যুক্তিগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিরই একটা অংশ। কিন্তু এটা দিয়ে ডারউইনীয় মতবাদ ভুল প্রমাণ করতে হলে শুধু "এটা মিলেনি' বা 'ওটা মিলেনি' – এভাবে ঠিক যুতসই হবে বলে মনে হয় না —- কারণ অনেক আগে থেকেই মেলেনি টাইপের বিষয় রয়ে গিয়েছিল। বরং পুরাপুরি ভাবে ভুল প্রমাণের জন্য ইতিমধ্যেই যে সকল ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সেগুলোর পেছনে ইভোলুশন নয় বরং অন্য কোন কারণ আছে সেটা দেখিয়ে দিতে হবে।

    এরা যেভাবে জিনের মধ্যে ডিএনএর মিল দেখিয়ে বলে এটা বিবর্তনের জন্যই এমন; কিংবা ভ্রূণ অবস্থায় এগুলো দেখতে একই রকম এই কারণে — সেখানে বিপক্ষের যুক্তি দিয়ে সেটাকে খন্ডাতে হবে। এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই … … … … কাজেই কাজ করতে হবে অনেক।

    বিজ্ঞান মানেই হল পুরানা তত্ত্ব এবং সূত্র ভেঙ্গে নতুন তত্ত্ব এবং সূত্র আসবে। কাজেই আমি খোলামনেই সেটাকে গ্রহণ করার জন্য তৈরী আছি। কিন্তু সেটা বিশ্বস্থ এবং প্রতিষ্ঠিত জায়গা থেকে সার্টিফায়েড হতে হবে।

    আপনি সঠিক পথে গিয়েই সফল হউন। আপনাকে শুভকামনা।

    ===
    পুনশ্চ: ধর্ম নিয়ে এখানে আলোচনা করতে চাচ্ছি না। আমার কাছে এটা সম্পুর্ন আলাদা বিষয়। এটা একটা জীবন দর্শন যা আমাকে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। তাই একে বিজ্ঞান (যা কিনা অবিশ্বাসের মন্ত্র)এর সাথে এক কাতারে রাখি না আমি। ধন্যবাদ।

    প্রথমত, আপনি বারংবার একটি ভুল করছেন। আমি নতুন কোন তত্ত্ব প্রস্তাব করছি না। বরঞ্চ বিবর্তন তত্ত্ব যে ভুল বা বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিত, তা যুক্তি দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমাকে নতুন কোন তত্ত্ব প্রস্তাব করতে হবে।

    দ্বিতীয়ত, আমি কোথায় লিখব কিংবা কার সাথে বিতর্ক করব সেটা মনে হয় আমার উপর ছেড়ে দিলেই ভাল হয়। আমার সীমার মধ্যে আমি লিখছি। কেউ চাইলে যুক্তি ও তথ্য-প্রমাণ দিয়ে আমার লেখার সমালোচনা করতে পারেন।

    তৃতীয়ত, আপনি উইকি থেকে যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেটি আপনার মতই কেউ লিখেছেন (সম্ভবত আপনার উল্লেখিত একটি ব্লগের কিছু লেখক), বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত কিছু নয়। এর বিপরীতেও অনেক কিছুই ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে।

    [আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। কাজেই আপনার যুক্তির ভুল ধরা এবং সরাসরি রেফারেন্স দেয়ার সামর্থ এই মুহুর্তে আমার নাই।]

    আমি নিজেকেও এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দাবি করি না। তবে আপনি চাইলে বাংলা ব্লগ জগতে যাকে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনে করেন তাকে এখানে আসতে বলতে পারেন। তবে আমার জানামতে বাংলা ব্লগ জগতে বিশেষজ্ঞদের অন্যতম একজন এসেছিলেন, যার মন্তব্য ছিল (পর্ব-১ দ্রষ্টব্য):

    "বিবর্তন নিয়ে আপনার আরো পড়াশুনার দরকার আছে। আপনি মিউটেশন নিয়ে পড়াশুনা করুন অনেক অজানা উত্তরের দেখা পাবেন।"

    উপরের মন্তব্যের জবাব দেয়ার পর উনি আর ফিরে আসেননি।

    [কিন্তু আপনি রেফারেন্স দিলে সেটা যাচাই করতে পারি।]

    আপনি এখানেও ভুল করছেন। রেফারেন্স দেয়ার প্রশ্ন তখনই আসবে যখন আমি যে বিষয়ের সমালোচনা করে লিখছি সে বিষয়ের পক্ষে বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রবন্ধ থাকবে। কিন্তু আপনি বা অন্য কেউ তো এ পর্যন্ত নিদেনপক্ষে একটি জার্নালেরও রেফারেন্স দিতে পারেননি। আমি যা লিখছি তা কনফিডেন্সের সাথেই লিখছি, ফলে ইন্টারনেট ঘেঁটে রেফারেন্স দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। অন্যদিকে যাদের কনফিডেন্স নাই তারা সব সময় ইন্টারনেট ঘেঁটে কিছু রেফারেন্স দেয়, যেগুলো আসলে কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স নয়, ব্যক্তিগত মতামত মাত্র। প্রমাণ-বিহীন ব্যক্তিগত মতামতকে আমি সাধারণত রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করি না। যে কথা আমি, আপনি, কিংবা পশ্চিমা বিশ্বের কোন নাস্তিক বিজ্ঞানীর বলার মধ্যে কোনই পার্থক্য নাই সেই কথা নিজে বলাই ভাল, কী বলেন। অন্যথায় "অ্যাপিল টু অথরিটি" ফ্যালাসির মধ্যে পড়ে যাবে।

Level 0

চালিয়ে যান।

চালিয়ে যান ………

Level 0

vai shamim, ami biborton bade bishshasi noi…er karon dhormo noi…kintu akta bisoy bujhi biborton bad akta theory…..prithibite e rokom theory ageo cilo…akono ace.. tobe ami fact kei beshi pradhanno dei…theory tokhon e bilief korbo jhokon seta fact hobe…biborton bader pokkhe bipokkhe hazaro boi likha hoice…keu karo chaite kom lakheni…jdin ei lakha lakhi bondho hobe sedin ami biborton bade bisshas korbo….Newton er third law niye kintu kono bitorko nai karon ata akta fact…ki bolte chaici asa kori bujhte parcen..Raihan saheb EEE er lok hoitei paren kintu tai bole onno kicu somporke tar na janarto kicu nai…Mendel kintu dhormojajog cilen ata mone rakha uchit? apnar comments pore mone hoi bisoy gulok apni personally niye felecen…Amra ei post e lakhatir biruddhe solid kicu birodhita asa korci jate biborton bader akta kono babostha hoi! bangla likhte partesina…problem… tai sorry…

Level 0

Valo tune. share korar jonno dhonnobad

পিটিয়ে এসব ফালতু বাদীদের পিঠের চামড়া তুলে নিয়ে দেখা দরকার বিবর্তনের জন্য দরকারী কিছু কোষ পাওয়া যায় কি না। জানোয়ারের দল…………

khub valo laglo vai…dhonnobad

ভালো লিখেছেন