সবাইকে সালাম ও ভালোবাসা জানাই। অনেকদিন পর টিউন করছি। টিউন না করলেও প্রতি মুহূর্তে আছি টেকটিউনস এর সাথে। যাই হোক আসল বিষয়ে আসি।
সময়টা ২০১০ সালের মার্চ কি এপ্রিল। বনানী’র একটা চা’য়ের দোকানে বন্ধুদের আড্ডায় টিউনার জাকির এর মুখে প্রথম টেকটিউনস এর নাম উঠে আসে। তারপর বাসায় এসে সেই সাইটে ভিজিট করা আইডি খোলা ইত্যাদি। প্রথম থেকেই ভালো লাগতে থাকে সাইটটিকে কেননা ভালো লাগার সব উপাদান এখানে আছে। তারপর ক্লাসের ফাঁকে একে ওকে (টিউনার) নিয়ে আলোচনা কখনওবা ঝগড়া! আমি কখনোই টিউন করার সাহস পেতাম না, এত জ্ঞনী গুণী দেখে বলা যায় ভয়ই পেয়েছিলাম। তত দিনে নদীর পানি অনেকটুকু গড়িয়ে গেছে। কম্পিউটার সায়েন্স এর এলোমেলো কিছু সাবজেক্ট এ ক্লাস করার সময় ঝিমুনীর ফাঁকে আমাদের মাথায় আসতে থাকে নানারকম বিচিত্র আইডিয়া। তবে কোনোটাই কাজের না! আমাদের প্ল্যানের প্রায় ৯০ ভাগই বৃথা যেত!
একবার এক আইডিয়া থেকে আমরা গড়লাম একটা সংগঠন যার নাম ছিল ‘CSE BOYzz’। এই সংগঠনের একমাত্র অনুপ্রেরনা ছিলো টেকটিউনস। সেটা’র কাজ ছিল আই.টি. বেইজড (ওয়েব ডেভেলপিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি) নানা রকম ওয়ার্কশপ করা। প্রথমে অফ লাইনে তারপর অনলাইনে। যদিও অনলাইনে আমরা অনেকদূর কাজ করেছি। প্রথম সপ্তাহখানেক কাজ খুব ভালো চলল। কিন্তু মজার ব্যাপার হল প্রথম ওয়ার্কশপ হওয়ার আগে একমাত্র CEO ছাড়া বাকী সবাই কি এক অজ্ঞাত কারনে রিজাইন করলো! আমি কেন রিজাইন করেছি সেটা’র গল্প হয়ত অন্য কোনো দিন হবে।
আজ যেই টেকটুইটস গড়ে উঠেছে তা কিন্তু ‘CSE BOYzz’ এর অন্য রুপ। যে ‘CSE BOYzz’ টেকটিউনস এর জন্য পৃথীবির আলো দেখেছিল এবং স্বপ্ন বুনেছিল।
গত কয়েকদিন আগে দৈনিক ‘কালের কন্ঠ’ পত্রিকায় উঠে আসে টেকটুইটস এর কথা। সেই আনন্দ আমরা যখন ভাগ করে নিচ্ছিলাম, তখনই সবাই বুঝে নিলাম এটি একটি পরিবার, কারন প্রায় সব বন্ধুই সমান ভাবে উল্লসিত ছিলো। সেই অনুভুতিটা ভাগ করছি আপনাদের সাথেও।যেতে পারেন এই লিঙ্কে।
আসলেই আমরা একটা পরিবার হিসেবেই নিজেদের মনে করি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এখন পর্যন্ত যারা টেকটুইটস এ লিখেছেন(টুইটার) বা টুইট পড়েন এরা সবাই টেকটুইটস নিয়ে কোন কথা বলতে গেলে তারা বলেন ‘আমাদের সাইট’(আমার সাথে যারা অনলাইনে বা অফলাইনে পরিচিত)! আমরা যে গ্রুপটা এর সাথে সম্পৃক্ত, হয়ত কোন দিন কোন ভালো কাজ করেছিলাম তার জন্য এমন অসাধারন কিছু বন্ধু সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন।
আরেকটা বিষয় হল এই সাইটের সমস্যা কি হল বা কি দরকার ‘পরামর্শ ও অভিযোগ’ বক্সে বলা ছাড়াও সবাই গ্রুপে শেয়ার করার মাধ্যেমে জানাচ্ছে।
আপনার যারা অনেক দিন ধরে ব্লগিং সাইটের সাথে যুক্ত তারা অনেক সাইটের সাতকাহন জানেন। যেমন আমিও জানি কিছুটা। কিছু কিছু সাইট আছে যেখানে প্রযুক্তির চর্চা’র চেয়ে উপঢৌকন দেওয়া নেওয়া নিয়ে বেশি ব্যস্ত। জানিনা এডসেন্স তাদেরকে কোন সমাধান দিতে পারেনি কেন! বর্তমানে Alexa রেঙ্কিং এ টেকটিউনস ১৭ থেকে ১৮ তে ঘুরাঘুরি করছে। আমার সীমিত জানা এবং জ্ঞানে আমি যতটুকু দেখেছি টিউন করার জন্য কোনও প্রকার উপঢৌকন না দিয়ে টেকটিউনস বাংলাদেশে এই বিরল রাঙ্কিং অর্জন করতে সমর্থ হয়।
টেকটিউনস এর এই পথে হাটতে চায় প্রযুক্তির কিচির মিচির এর সাইট টেকটুইটস।
আরেকটা মজার বিষয় : ধরুন টেকটিউনস আজ ঘোষনা করলো আগামি ছয় মাস পর নাম্বার ওয়ান টিউনারকে একটা ব্রান্ড নিউ কার দেওয়া হবে। আমরা সমস্ত কাজ বন্ধ করে টিউন করলাম ছয় মাস। ছয় মাস পর দেখা গেল ‘দুঃসাহসী টিনটিন’ হাসিমুখে কার জিতে বাড়ি চলে গেল। আমরা পারলাম না। কিন্তু টেকটিউনসও আর ‘কার(ট্যাক্সি/টেম্পু)’ ঘোষনা করলো না। তারপর কি আমার আর টিউন করার মানুষিকতা থাকবে?
তবে আমি জানি যারা এই সব সাইট দেখা শুনা করেন তারা আমার চেয়ে শতগুন মেধাবী। তারা হয়ত অন্য কিছু ভেবে রেখেছেন!
কিন্তু আমি একটুকু বলতে পারি, টেকটিউনস যা করে দেখিয়েছে তাতে টেকটিউনস যে কোন সাইটের জন্য আদর্শ।
সেই আদর্শকে মেনে চলছে এবং বুকে ধারন করে চলেছে টেকটুইটস!
টেকটুইটসকে নতুন মাত্রা দিতে তাতে যোগ করা হয়েছে সম্পূর্ণ ইংরেজী ভার্শন পেইজ। সারাবিশ্বের মানুষের কাছে প্রযুক্তির কিচির মিচির পৌচেঁ দিতে কিছুদিন আগে শুরু হয় এই ইংরেজী ভার্শন। যারা ইংরেজিতে লিখতে বা পড়তে চান তারা ভিজিট করুনঃ www.techtweets.com.bd/en
দেশি এবং বিদেশি লেখকদের লেখা বই নিয়ে থাকছে টেকটুইটস এর এই আয়োজন।সব ধরনের বই .pdf ফরমেটে করা এবং খুব সহজে ডাউনলোড করা যায়। এই পেজটি এখনও কাজের অধিনে আছে। সাইটের উপরে ডান কর্নারে ব্যানার বসানো হয়েছে।
টেকটুইটস সফটওয়্যার হাউজ হচ্ছে আগামি প্রজেক্ট। যেটা’র কাজ এখনও শুরু হয়নি। ই-বুক এর মত নানা রকম সফটওয়্যার এখান থেকে সহজে ডাউনলোড করা যাবে এই পেজ থেকে।
আমাদের টেকটুইটস পরিবারে একজন কার্টুনিস্ট রয়েছে। যিনি ‘টেক কার্টুন’ বিভাগে কার্টুন একে থাকেন। প্রকাশিত টুইট ও টুইটারদের নিয়ে তৈরী হয় হাস্যকর ও রসাত্নক এই কার্টুন।
এই বিভাগে যে কোন কার্টুনিস্ট তার টেকি কার্টুন জমা দিতে পারবেন।
না এই পরিবারের একজন হতে তেমন কিছু করতে হবে না। শুধু যেতে হবে http://www.techtweets.com.bd এই ওয়েব সাইটে।
সবাই ভালো থাকবেন। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন।
[এই লেখা সম্পূর্ণ টেকটুইটস সাইটকে রিপ্রেসেন্ট করে, কাউকে আঘাত বা দুঃখ দেওয়ার জন্য নয়।]
[Contact: [email protected]]
আমি Rubel Oron। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 229 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
______''সুডো ব্লগ''_এ আপনাকে স্বাগতম!' ________'প্রোগ্রামারের পৃথিবী''_তে আপনাকে স্বাগতম! _______''Rubel Orion on Facebook! :D
খুবেই সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন রুবেল ভাই। এগিয়ে যান আমরা আছি আপনাদের সাথে।