অত্ত্যান্ত সুন্দর মার্জিত শুরুচিপূর্ণ এবং বাঁকানো পিছন পৃষ্ঠ নিয়ে ওয়ালটন বাজারে নিয়ে তাদের অত্ত্যান্ত সুন্দর এবং স্টাইলিস স্মার্টফোন প্রিমো আর এক্স ৬; ওয়ালটন এর আর এক্স সিরিজ এর সকল স্মার্টফোন যে ডিজাইন এর দিক দিয়ে অনেক আকর্ষণীয় হয় তা ইতিমধ্যে ওয়ালটন এর আর এক্স সিরিজ এর ব্যবহারকারিরা দেখেছে। আর নতুন আর এক্স ৬ সেই ধারার কোন বিপরীত কিছু নয়। আন্ড্রয়েড অরিও ৮.১ চালিত ৪জি এই ডিভাইসটি বাজারে পাওয়া যাবে ১৪, ৯৯৯ তথা ১৫ হাজার টাকায়।
সম্পূর্ন গ্লাস প্ল্যাস্টিক বডি এবং সাইড দিয়ে রাউন্ড ফিনিশিং ও কার্ভড ডিভাইসটি আপনার হাতে একটি দারুন ফিল এনে দেবে, সচরাচর অন্যসব হাইএন্ড স্মার্টফোনের মতই। ডিভাইসটির উচ্চতা ১৫২.৬৫ মিলিমিটার এবং প্রস্হ ৭০.৮ মিলিমিটার।
ডিভাইসটির পুরুত্ব ৮.৭৫ মিলিমিটার। এসব সহ ব্যাটারি নিয়ে ডিভাইসটি আপনার কাছে একটু পাতলা মনে হতে পারে, কেননা এর ওজন ১৬১ গ্রাম মাত্র। ডিভাইসটিতে রয়েছে ১৪৪০*৭২০ রেজুলেশনের ৫.৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি IPS ডিসপ্লে। প্রোটেকশন হিসেবে নাকি রয়েছে হাই প্রোটেকটিভ স্ক্র্যাচ প্রুফ গ্লাস। ওয়ালটন বলছে এটি একটি ২.৭৫ ডি কার্ভড ডিসপ্লে।
ডিভাইসটিতে প্রোসেসর হিসেবে থাকছে মিডিয়াটেক এর প্রোসেসর। যা আমার মতে একটি খারাপ দিক। এই দামে মিডিয়াটেক প্রোসেসর আসলে কেউই চায় না। এমনকি শাওমির ১০ হাজার টাকার ফোনেও স্ন্যাপড্রাগন প্রোসেসর থাকে। যদিও বলা হচ্ছে না "মিডিয়াটেক কোন প্রোসেসরই না " তা না; তবুও এই দামে স্ন্যাপড্রাগন দেয়া যেত। আপনি নিশ্চয়ই ৫০ হাজার টাকার ল্যাপটপে এএমডি প্রোসেসর চাইবেন না! ডিভাইসটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক mt6737 চিপসেট, এটি 1.45 গিগাহার্জ ক্লকস্পীড এর কোয়াড কোর প্রোসেসর। স্মার্টফোনটিতে থাকছে ৩ জিবি ডিডিআর৩ র্যাম, আর ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে ১৬ জিবি যার ভেতর ১০ জিবি এর মত ব্যবহার এর জন্য পাওয়া যায়।
গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ইউনিট হিসেবে থাকছে Mali T-720। ডিভাইসটি ৪জি সাপোর্টএড। আর এর স্পেসিফিকেসন অনুযায়ী বলা যায় ডিভাইসটি গেমিং এর জন্যে মোটামোটি। গিকবেঞ্চ অ্যাপে সিঙ্গেল কোরে এর স্কোর এসেছে ৬৩৩ আর মাল্টি কোরে ১৭৮৫।
ডিভাইসটির রিয়ার প্যানেলে রয়েছে একটি ১৩ মেগাপিক্সেল BSI সেন্সর যুক্ত অটোফোকাস ক্যামেরা। আর এই ক্যামেরাটিতে Face Detection, Digital Zoom, Self-timer, Touch Shot এর মতন ফিচারস রয়েছে। ক্যামেরা সেটিংস হিসেবে রয়েছে:Exposure, White Balance, ISO, Saturation, Contrast, Brightness, Color Effect।
শুটিং মোড হিসেবে রয়েছে:Normal Mode, Filter Mode, Manual Mode, Face Beauty, HDR, Panorama, Scene Mode, GIF, Frame। ক্যামেরা এর সাথে একটি শক্তিশালী ফ্ল্যাশ লাইট তো থাকছেই।
এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে হল এর ফ্রন্ট ক্যামেরা। ডিভাইসটির রিয়ার প্যানেলে রয়েছে একটি ১৬ মেগাপিক্সেল BSI সেন্সর যুক্ত সেলফি ক্যামেরা। আর এই ক্যামেরাটিতে Face Detection, Digital Zoom, Self-timer, Touch Shot এর মতন ফিচারস রয়েছে।
ক্যামেরা সেটিংস হিসেবে রয়েছে:Exposure, White Balance, ISO, Saturation, Contrast, Brightness, Color Effect। শুটিং মোড হিসেবে রয়েছে:Normal Mode, Filter Mode, Manual Mode, Face Beauty, HDR, Panorama, Scene Mode, GIF, Frame। ফ্রন্ট ক্যামেরা এর সাথে এখানে একটি সফট ফ্ল্যাশ দেখা যাবে, যেটি অন্ধকারে ভালো মানের ছবি তুলতে সহযোগিতা করবে।
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।
প্রিয় মাহিন,
আমি টেকটিউনস কমিউনিটি ম্যানেজার,
টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করার জন্য http://techtun.es/2obSQxE লিংকটিতে ক্লিক করে আপনার সাথে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করে আমাদের সাহায্য করবেন আশা করছি।
ছদ্ম ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact পরিহার করে আপনার প্রকৃত/আসল ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact দিন। যেহেতু টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হবে।
সাবমিট করার পর আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।