আস সালামু আলাইকুম, আশা করি আমার প্রাণপ্রিয় প্রযুক্তিপ্রেমী ভাই ও বোনেরা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভাল আছি। আর হঠাত করেই একটা গান মনে পরে গেল। একটু বলেই ফেলি, ভাল আছি ভাল থেকো, ফেসবুকের পৃষ্ঠায় মেসেজ দিয়ো, অনলাইনে আমায় না পাও যদি, ছোট্ট একটা মিসকল দিয়ো... যেখানেই আমি থাকি না কেন... ফিরে আসবো ওগো প্রিয়ো... যাইহোক, নকল টা একবারে খারাপ হয় নাই মনে হয়। তো যাইহোক, অনেক কথাই তো বললাম এবার কাজের কথায় চলে যাই। চলুন এই ফোনের রিভিউ আর এটা কিনলে আপনার ভাল হবে কি না সেটাও দেখে নিন।
এন্ড্রয়েড ডিভাইসের বাজেটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অপূর্ণতা হচ্ছে ডিভাইসটির ক্যামেরা। যেই ফোনের ক্যামেরা ভাল সেই ফোনের দামও বেশি। আর যে ফোনের ক্যামেরাগুল তেমন ভাল থাকে না সেগুলোর দামও তেমন বেশি হয় না। কিন্তু সবাই চায় একটু কম টাকার মধ্যে ভাল ক্যামেরার একটি ফোন। তাই না??
চলুন তাহলে Ulefone T1 এর দিকে যাই। এটা আমেরিকার একটা অপেক্ষাকৃত অপরিচিত একটা ব্র্যান্ড। কিন্তু এটা ক্রমেই পরিচিত হয়ে উঠতেছে তাদে উৎপাদন কাজের অগ্রগতির মাধ্যমে। এই মডেলের ফোনটি একটু কষ্ট সাধ্য হলেও নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত লোকেরা কিনতে পারবে। যদি কিনে তাহলে সেটায় অনেক ফিচার পাবে।
চাইলে এই ভিডিও রিভিউ টা দেখে নিতে পারেন।
প্রথমেই যেটা উল্লেখ করার বিষয় সেটা হচ্ছে এটা সত্যিই দেখতে ওয়ান প্লাস ফাইভ ফোনের মত। তবে এদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল এটাই যে Ulefone T1 কিছুটা সংকীর্ণ এবং এর বাহুগুলো স্মোথ মনে হবে না। তবে এটি ইউজ করলে আপনার কিছুটা হলেও মনে হবে আপনি ওয়ান প্লাস ফাইভ ফোন ব্যবহার করতেছেন।
এটার দাম ওয়ান প্লাস ফাইভ ফোনের অর্ধেক হলেও Ulefone T1 এর স্পেসিফিকেশন একই। তবে এটা ঠিক যে, আপনি হয়ত পূরোপুরিভাবে ওয়ান প্লাস ফাইভের এক্সপেরিয়েন্স এই ফোন থেকে পাবেন না। কারণ যেহেতু এটা সাশ্রয়ী মূল্যে আপনাকে সব ফিচার দিচ্ছে তাই অনেক দিক থেকে কিছু কাটসাট করেছে।
এই কাটসাটের মধ্যে একটা হচ্ছে স্ক্রিন। এর রেজুলেশন ১০৮০ পিক্সেলের হলেও এটা অন্যান্য মডার্ণ ফোনের থেকে দেখতে অনেকটা লো কোয়ালিটির ফোনের মত। এছাড়া এর যে কালো ফোনটি আছে সেটা পুরোপুরি কালো নয়। কিছুটা ওয়াশড মনে হবে।
ডিসপ্লে এর নিচেই রয়েছে ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানার যেটা খুব দ্রুত কাজ করে। আর আরও মজার ব্যপার হলো এতে কোনো ক্যাপাসিটিভ বাটনের দরকার হয় নি। কারণ ডিভাইসটিতে সফটওয়্যার কি ব্যবহার করা হয়েছে।
এটার বডী খুবই শক্তিশালী এবং সাইজের দিক দিয়ে অন্যান্য স্মার্টফোনের মতই। এর পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম বাটন দুটিই বাম পাশে আর হ্যাডফোনের জ্যাক উপরের দিকে আর মাইক্রো এস ডি কার্ড এবং ন্যানো সিম কার্ড স্লট এর জায়গা বাম পাশে এবং ইউএসবি পোর্ট এবং লন স্পিকার নিচের দিকে অবস্থিত।
যদিও আপনার মনে হবে ডুয়াল স্পিকার।কিন্তু আসলে না। এটার বাম পাশ থেকে কোনো সাউন্ড আসবে না। আপনি যদি হাত দিয়ে ডানপাশের স্পিকার চেপে ধরেন তাহলে ফোনের স্পিকারের কোনো শব্দ আপনি শুনতেই পাবেন না। এটা একটা ভাল মানের ভলিউম আপনাকে দিবে কিন্তু এটার সাউন্ড অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
এই ডিভাইসের Ulephone ব্র্যান্ড এর নামটি একবারে মাঝখানে, সাথে আছে উপরে ডুয়াল ক্যামেরা।
এর ক্যামেরা খুব ভাল মানের বোকে শট নিত পারে। এর ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার সিস্টেম রয়েছে।
এছাড়া এর রয়েছে বিভিন্ন মোড যেমন, প্রো মোড, বিউটি মোড, এবং প্যানোরমা মোড। এছাড়া এর একটা ফিচারের নাম লাইভ ফটো যা কি না আইফোন লাইভ ফটোস এর মতই কাজ করে।
হার্ডওয়্যার নিয়ে কিছু কথা বলেছি কিন্তু সফটওয়্যার নিয়ে না বললে খারাপ দেখায় না?? তো চলুন সফটওয়ার প্রসঙ্গে চলে যাই।
Ulefone হচ্ছে android 7.0 nougat ভার্শনের মোডিফাইড একটা ভার্শন। তবে এর সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে এর নোটিফিকেশন সিস্টেম অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং অসাধারণ।
এর রয়েছে এপ ড্রয়ার যাকে হরিজন্টালি সুইপ করা যায়, পেইজ বাই পেইজও সুইপ করা যায়। এছাড়া এর সেটিংস মেনুও দেখতে অনেক সুন্দর।
এছাড়াও আপনি চাইলে এর স্মার্ট এসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে নোটিফিকেশন আশার সাথে সাথে যেনো Led এলার্ট দেয় সেটাও চালু করতে পারবেন। আপনি এর স্ক্রিনও রেকর্ড করতে পারবেন।
থাক বাকিগুলো নিচের ছবি দেখে বুঝে নিয়েন। অযথা কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।
যেহেতু দাম কম তাই হাই লেভেলের ফোনগুলোর সমকক্ষ হওয়া তো আর কখনো সম্ভব নয়। তবে এক কথায় বলতে গেলে এর পারফর্মেন্স অসাধারণ।
এর ব্যাটারি ৩৬৮০mah .যেটা দুইদিন পর্যন্ত আপনার ফোনে চার্জ রাখতে সক্ষম। এক কথায় স্ট্যান্ডার্ড মানের ব্যাটারি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।
পরিশেষে, খুব ভাল মানের একটি ফোন কম দামের মধ্যে। তাই আপনি চাইলে আজই এই ফোন টি অ্যামাজন থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
যাইহোক আজকের মত আর কথা বাড়াচ্ছি না। বিদায় নিবো এখনই। বিদায় নেবার আগে একটা রিকোয়েস্ট সেটা হচ্ছে টিউন টি যদি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটা টিউমেন্ট করবেন। আর প্রয়োজন মনে হলে ফেসবুকে শেয়ার করবেন। আজকের মত বিদায়।
আল্লাহ হাফিজ।
আমি মোঃ আশিকুর রহমান সরল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 102 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী।কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি।পৃথিবীকে নতুন কিছু করে দেখাতে চাই। My Website