আসসালামু আলাইকুম।
এই সিরিজের টিউনগুলো-
তিন গোয়েন্দা রিভিউ (পর্ব-১): পরিচয়
তিন গোয়েন্দা রিভিউ (পর্ব-২): যেভাবে এলো চরিত্রগুলো
আপনারা হয়তো সবাই জানেন পৃথিবীর প্রথম গোয়েন্দা গল্প শার্লক হোমস। যার রচয়িতা স্যার আর্থার কেনান ডয়েল। আর তার দেখানো পথ ধরে পরে লেখা হয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা কাহিনী। আর পৃথিবীর প্রথম কিশোর গোয়েন্দার কাহিনী হলো রবার্ট আর্থার জুনিয়রের "Alfred Hitchcock and the Three Investigators". তিন গোয়েন্দার প্রথম দিকে গল্পগুলো এর রূপান্তর। চরিত্র গুলো বেশিরভাগই এই গল্প থেকেই এসেছে। পরবর্তী পর্বগুলো বিভিন্ন বিদেশী কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে ও ধারাবাহিকতায় লেখা হয়েছে। আগস্ট ১৯৮৫ সালে এই সিরিজ শুরু হয়। এখন কিভাবে কোন চরিত্র, স্থান ইত্যাদি এলো তা জেনে নিই।
কিশোর পাশা
রবার্ট আর্থার জুনিয়রের জুপিটার জোনস চরিত্রটি বাংলা তিন গোয়েন্দাই কিশোর পাশা। যদিও জুপিটার জোনস ইংরেজ আর কিশোর পাশা বাঙালি তবুও চরিত্র দুটি একই। দুজনেই দুই গল্পের গোয়েন্দাপ্রধান, ঠোটেঁর নিচের দিকে চিমটি কাটার অভ্যাস আর বুদ্ধিমান। ইংরেজী দি থ্রি ইনভেস্টিগেটরসের জুপিটার জোনসের পরিবর্তে রকিব হাসান এনেছেন এই চরিত্র।
মুসা আমান
দি থ্রি ইনভেস্টিগেটরসের পেট ক্রেনশ এর চরিত্রে আছে মুসা আমান। যদিও এই দুইটি চরিত্রে মধ্যে ব্যাবধান আছে বেশ কিছু। মুসা আমানের চরিত্রটি একটি কিশোর যে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নিগ্রো। আর পেট ক্রেনশ একজন সাধারণ আমেরিকান। তিন গোয়েন্দার সহকারী গোয়েন্দা।
রবিন মিলফোর্ড
বব এন্ড্রুজ তিন গোয়েন্দায় রবিন মিলফোর্ড। বইয়ের পোকা বব যেমন লাইব্লেরিতে কাজ করে সেও তেমন। আইরিশ আমেরিকান রবিন আর বব এন্ড্রুজ নথি গবষেক।
রোলস রয়েস
বিলাশবহুল রোলস রয়েস গাড়িও এসেছে দি থ্রি ইনভেস্টিগেটরস থেকে।
পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড
জুপিটার জোনসের চাচার জোনস স্যালভিজ ইয়ার্ড আর তিন গোয়েন্দার কিশোর পাশার চাচার পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড।
ডেভিস ক্রিস্টোফার
দি থ্রি ইনভেস্টিগেটরসের আলফ্রেড হিচহকের শুধু নাম বদলিয়েই হয়েছে ডেভিস ক্রিস্টোফার।
কেরি অ্যান্ডারসন
বসি হেনরিয়েটা তিন গোয়েন্দায় হয়েছে মুরব্বী কেরি বা কেরি এন্ডারসন।
শুটকো টেরি
শুটকো টেরির ধারণাটা নেওয়া হয়েছে দি থ্রি ইনভেস্টিগেটরসের স্কিনি নরিস থেকে।
জরজিনা পারকার
তিন গোয়েন্দার বন্ধু জরজিনা পারকার কিন্তু দি থ্রি ইনভেস্টিগেটরস থেকে আসেনি। এসেছে এনিড ব্লাইটনের ফ্যামাস ফাইভ সিরিজের জর্জিনা জর্জ কিরিন থেকে।
আশা করি ভালোই লাগলো এই পরিচিত তিন গোয়েন্দাকে নতুন করে চিনতে।