মোবাইল ফোন এখন আর শুধু কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অফিস কিংবা সাংসারিক কাজ থেকে শুরু করে বিনোদন সবই চলে স্মার্টফোনে। দাম, নকশা, কনফিগারেশন ভিন্নতায় তারতম্য ঘটে ফোনের ব্যবহার সুবিধা। যদিও এখন পযন্ত ব্রান্ড ভ্যালুতেই নির্মীত হচ্ছে স্মার্টফোনের অভিজাত্য। ফলে কাজের কাজি হয়ে ওঠা হাতের তালুর আরে এই সচল পিসিটির ক্ষেত্রে; গুরুত্ব পায় হালনাগাদ প্রযুক্তি ও অনন্য ফিচার কতটা ব্যবহারবান্ধব। বর্তমানে স্মার্টফোনের বিশ্ব বাজারের মূল দুই জনপ্রিয় ব্রান্ডের নাম স্যামসাং ও অ্যাপল। তবে দেশের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রান্ডের নাম সিম্ফনি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্যামসাং। তবে এরপরই রয়েছে আর একদেশীয় ব্রান্ড ওয়ালটন। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এইচটিসি আর সনির মতে ব্রান্ডও সমান জনপ্রিয়।
স্মার্টফোনে অভিজাত্য বলতেই আইফোন। এই পরিবারের সর্বশেষ সংযোজন iPhone 6S ও iPhone 6S Plus। ফোনগুলো তৈরি করা হয়েছে বিমানের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন অ্যালুমিনিয়ামদিয়ে। ফলে আগের সংস্করণের চেয়ে আরও বেশি শক্তপেক্ত। সেটটির রয়েছে দুটি মডেলে। iPhone 6S এর ডিসপ্লে ৪.৭ ইন্চি এবং iPhone 6S Plus এর ৫.৫ ইন্চি। ফোর্স টাচ প্রযুক্তি চাড়াও আইফোন ৬এসের এই মডেলটি আইফোন ৬ থেকে আরও শূন্য দশমিক ২ মিলিমিটার পুরু, শূন্য দশমিক ১৫ মিলিমিটার লম্বা এবং আংশিকভাবে প্রশস্ত। এই সংস্করণের প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে থ্রিডি টাচস্ক্রিন। এই প্রযুক্তিটি এরই মধ্যে তাদের অ্যাপল ওয়াচে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘A8’ প্রসেসরের চেয়ে আরও শক্তিশালী এবং দ্রুতগতির ‘A9’ ব্যবহৃত হয়েছে ফোনটিতে। আছে ১২ মেগাপিক্সেল ও ৫ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরাও। এর সঙ্গে অ্যাপল ৩ডি টাচ ও রোজ গোল্ড কালার ভেরিয়েন্ট যোগ করেছে। এতে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল আইসাইট ক্যামেরা। সঙ্গে ৫ মেগাপিক্সেল এইচডি ফ্রন্ট ক্যামেরা। এই ফোন দুটিতে ওকে ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট রয়েছে। এত এ৯ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ৭০ শতাংশে ফাস্ট প্রসেসিংয়ের সুবিধা দেবে। ৯০ শতাংশ ফাস্ট গ্রফিক টাস্কেরও সুবিধা পাওয়া যাবে। থ্রিডি চাচ এক অসাধারণ সংযোজন। আঙুলেরহালকা চাপ ও জোরে চাপের পার্থক্য গড়ে দেবে থ্রিডি টাচ। আইফোন ৬এসে লাইভ পিকচারের সুবিধা থাকছে [ফটো তোলার সময়ই ভিডিওও তোলা হয়ে যাবে]।
দাম: iPhone 6s 16GB – Tk. 71,499
iPhone 6s 64GB – Tk. 81,999
iPhone 6s Plus 16GB – Tk. 81,999
iPhone 6s Plus 64GB – Tk. 92,999
iPhone 6s Plus 128GB – Tk. 103,099
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের যেসব স্মার্টফোন বাজারে এসেছে, তার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস৬ এজ প্লাস। এত আছে দু’পাশে বাঁকানো ৫.৭ ইন্চির ডিসপ্লে, স্নাপড্রাগন ৮০৮ চিপসেট যা শক্তির দিক থেকে এস৮২০ এবং এস৮১০-এর ঠিক পরে। এস৬ এজ প্লাসে ৩২ গিগাবাইটের সংরক্ষণ ক্ষমতা, ওআইএস সংযুক্ত ১৬ মেগা পিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা সঙ্গে সামনে আছে ৫ মেগাকিক্সেল ক্যঅমেরা। প্রধান ক্যামেরার আরও একটি বৈশিষ্ট্যও আছে। এতে আছে ২১৬০ পিক্সেলের ভিডিও রেকডার। ললিপপ ৫.১.১ দিয়ে পরিচালিত ৬এস এজ প্লাসের ব্যাটরি ক্ষমতা হলো ৩০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার। এ স্মার্টফোনটি নতুনভবে নকশা করা, উন্নতমানের ধাতু ও কাচ দিয়ে তৈরি। আগের ফোনগুলোর চেয়ে উন্ন্ত করেই বাজারে ছাড়া হয়েছে। হৃৎকম্পনের সর্বশেষ অবস্থা দেখা, হোম বোতাম কয়েকবার চেপে ক্যামেরা চালু করার মতো আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এ স্মার্টফোনে। মডেল দুটির কর্মদক্ষতা, চমৎকার ক্যামেরা এবং দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহার নতুন মাত্রা আনবে।
দাম: Samsung Galaxy S6 - 44900 tk
Samsung Galaxy S6 edge - 64,900 tk
সনির ফ্লগশিপ স্মার্টফোন এক্সপেরিয়া জেড ফাইভ। পানিরোধী ৫.২ ইন্চি পর্দার ফোনটিতে রয়েছে ২৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ব্যবহৃত হয়েছে ১.৫ গিগাহার্জ গতির কোয়াড কোর প্রসেসর ৩ জিবি র্যাম। ৭.৩ মিলিমিটার পুরুত্বের অত্যন্ত পাতলা এই স্মার্টফোনে আছে ট্রিলুমিনিয়াস ডিসপ্লে, যা দর্শককে উচ্চ রেজুলেশনের মুভি দেখতে অথবা গেম খেলায় দেবে দারুণ অভিজ্ঞতা।
দাম: Sony Xperia Z5-52,000 tk
এইচটিসি ওয়ান এম৮ প্রথমবারের মতো ২০১৪ সালে বাজারে ছিল। চলতি বছর বাজারে এম৯ মডেলের স্মার্টফোন আনলেও সমান জনপ্রিয় এম৮। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫ ইন্চি পর্দা, র্যাম দুই জিবি, স্টোরেজ ১৬জিবি/৩২জিবি, ব্যাটারি ২৬০০ এমএএইচ, ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল আর ব্যাক ক্যামেরা ৪ মেগাপিক্সেল। ১৬জিবি মডেলের দাম ১৬৫ ডলার। এইচটিসি ওয়ান এম৯-এ রয়েছে ৫ ইন্চি ১০৮০পি ফৎুল এইচডি রেজুলেশনের ডিসপ্লে। এ ছাড়া রয়েছে করনি গরিলা গ্লাস ৪ প্রটেকশন। ফোনটির ডিজাইন এম৮-এর মতে হলেও ওয়ান এম৯-এর তুলনায় এর পুরুত্ব খানিকটা বেশি।
দাম: HTC One M9 - 50000 tk
চমৎকার ডিজাইন এবং কালারফুল ডিসপ্লে এবং দারুণ ক্যামেরা অবিজ্ঞতা নিতে ব্যবহার করা যেতে পারে এলজির জি৪ মডেলের স্মার্টফোনটি। এর বিশেষত্ব ডিভাইসটির পেছনে রয়েছে চামড়ার এক্সেসরিজ। অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ চালিত ডিভাইসটির ডিসপ্লে ৫.৫ ইন্চি, র্যাম ৩ জিবি, স্টোরেজ ৩২জিবি, ব্যাটারি ৩০০০এমএইচ, ব্যাক ক্যামেরা ১৬ মেগাপিক্সেল আর ফ্রন্ট ক্যামেরা হচ্ছে ৮ মেগাপিক্সেল।
দাম: LG G4 - 46,500 Tk
দেশি ব্যান্ড্রের অভিজাত স্মার্টফোন ওয়ালটন প্রিমো জেড এক্স। স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের তৈরি কোয়লকম স্নাপড্রাগন ৮০০ চিপসেট। ব্যবহৃত হয়েছে ২.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রসেসর। এতে আছে ১৬ মেগা পিক্সেল ব্যাক এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। স্ক্রিনের আকার ৫.৫ ইন্চি। ব্যবহৃত হয়েছে গোরিলা গ্লাস।
দাম : Walton Primo ZX - 28,990 tk
এডিসন গ্রুপের বাজরজাত করা হেলিও এস-১ স্মার্টফোনটির ডিজাইন মেটাল বেজেল ডায়মন্ড কাটিং এবং এর দু’পাশেই ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৩। ফলে এর স্ক্রিনে দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ৫ ইন্চি মাপের ডিসপ্লে হওয়ার ভিউ অ্যাঙ্গেল অনেক বেশি। এইচ ডি রেজুলেশন (১২৮০*৭২০)। সেটটির পুরুত্ব মাত্র ৬.৯৫ মিলিমিটার। যার কারণে ধরা যায় খুব সহজে। ওজন ১৩১.৫ গ্রাম। এতে আছে ১.৩ গিগাহার্জ ৬৪ বিটের অক্টাকোর প্রসেসর। ফলে মাল্টি টাস্কিংয়ে সমস্যা হয় না। ২ জিবি র্যাম হওয়াতে গেমিংয়ের ক্ষেত্রেও ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে।ইন্টারনাল স্টোরেজ ১৬ জিবি রয়েছে, যা মেমোরি কার্ড দিয়ে ৩২ জিবি পযর্ন্ত বাড়ানো যাবে। ১৩ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরায় বিশেষ বিশেষ ফিচারগুলোর মধ্যে থাকছে জিরো শাটার ডিলে, আইওএস কন্ট্রোল, সেলফি পিআইপি মোড। ৮ মেগাকিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরার সাহায্য সেলফির ছবিগুলো হবে অনেক বেশি অকৃত্রিম। এ ছাড়া স্কাইপি, ভাইবার ছাড়াও অন্যান্য ভিডিও চ্যাটিং সফটওয়্যার দিয়েও ভিডিও চ্যাট করা যাবে সাবলীল গতিতে। ২৪০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের লি-পলিমার ব্যাটারি যংযুক্ত ডিভাইসটিতে অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করার কারণে ব্যাটারি খরচও হয় সাধারণের তুলনায় অনেক কম। তবে ফোর জি নেটওয়ার্ক ওপেন থাকলে বাজারের অন্যান্য ফোর জি হ্যান্ডসেটের মতো এই হ্যান্ডসেটটিরও ব্যাটারি ব্যাকআপ তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া যায়।
দাম: Symphony Helio S1- 17,990 tk ।
মাইক্রোসফট নোকিয়ার মালিকানা কেনার পর থেকে দামী ফোনের চেয়ে বাজেটের মধ্যে ভালো স্মার্টফোন তৈরিতেই বেশি মনোযোগী। Microsoft Lumina 640 XL ফোনটি তার মধ্যে একটি। এর স্ক্রিন সাইজ ৫.৭ ইন্চি এবং এর ডিসপ্লেতে ক্রোনিং গোরিলা গ্লাস ৩ ব্যবহার করা হয়েছে। পেছনের ক্যামেরা ১৩মেগাপিক্সেল যা ৪১২৮*৩০৯৬ হাই রেজুলেশনে ছবি তুলতে সক্ষম এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়লকম স্নাপড্রাগন ৪০০কিউ চিপসেট এবং ১.২ কোয়ার্ডকোর কোরটেক্স-এ৭ প্রসেসর সাথে ১জিবি র্যাম।
দাম: Microsoft Lumina 640 XL- 19,999 tk ।
উক্ত আর্টিকেলটি পূর্বে এখানে প্রকাশিত হয়েছিল । আমি ফেইসবুকে।
আমি বিপ্লব কর্মকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Thanks vi share korar jonno………….