নারায়ণ দেবনাথের লেখা জনপ্রিয় কমিকস নন্টে আর ফন্টে। দারুণ হাসির তাদের কাহিনী।নন্টে ও ফন্টে সমবয়সী সহপাঠী দুই বন্ধু, তারা কোনো অজানা মফস্বল শহরের একটি বোর্ডিং স্কুলে থেকে লেখাপড়া করে। তাদের এই বোর্ডিং স্কুলের জীবনের ছোটখাটো বিভিন্ন মজার মজার ঘটনা নিয়েই এই কমিক। তাদের সাথে একই বোর্ডিংয়ে থাকে কেল্টু নামের পাজী ধরনের একটু বেশি বয়সের এক দুষ্টু ছাত্র, "কেল্টুদা" নামে যাকে বোর্ডিংয়ের বাকি ছাত্ররা সম্বোধন করে থাকে। অধিকাংশ গল্পের বিষয়বস্তু কেল্টুর সাথে নন্টে-ফন্টের রেষারেষি, যার পরিসমাপ্তি ঘটে কেল্টুর উচিৎ সাজার মাধ্যমে।কমিকের প্রধান চরিত্ররা সকলেই স্কুল হোস্টেলের বাসিন্দা। নন্টে ফন্টেসহ আরও কিছু ছাত্র এবং বোর্ডিংয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট স্যার হলেন প্রধান চরিত্র। এছাড়াও রয়েছে হোস্টেলের বাবুর্চি ও অন্যান্য কাজের লোকজন। মাঝেমধ্যে স্কুলের হেডমাস্টার মহাশয়কেও দেখা যায়। গল্পের প্রায় সব চরিত্রের, বিশেষ করে ছাত্রদের রয়েছে হাস্যরস উদ্রেককারী অদ্ভুত সব ডাকনাম।
নন্টে: পোষাক ও চালচলনে নন্টে ফন্টে অনেকটা এক রকম হলেও মাথার পিছনের টিকি দিয়ে নন্টেকে আলাদা করা যায়। সাদা-কালো সংষ্করণে দুজনেরই পরনে সবসময় সাদা শার্ট এবং কালো হাফ-প্যান্ট থাকতো, তবে রঙিন সংষ্করণে দেখা যায় কমলা/লাল শার্ট এবং কালো হাফ-প্যান্ট পরনে।
ফন্টে: ফন্টে দেখতে প্রায় নন্টের মতন তবে চেহারা কিছুটা গোলগাল। তার চুল ছোট এবং কোনো টিকি নেই। দুজনের চিন্তা ভাবনাও প্রায় একই রকম।নন্টে ও ফন্টে একে অপরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
কেল্টু: হোস্টেলের মনিটর কেল্টু নন্টে-ফন্টের থেকে বয়সে বড়, এক ক্লাসে ছয়বার ফেল করা। আর সব ছাত্ররা তাই তাকে "কেল্টুদা" সম্বোধন করে। কেল্টু দেখতে লম্বা, শীর্ণকায় এবং কোঁকড়াচুলো। কমিকে আর-সব ছাত্রদেরকে হাফ-প্যান্ট পরনে দেখা গেলেও কেল্টুকে দেখা যায় ফুল-প্যান্টে, সম্ভবত তার অধিক বয়সের ইঙ্গিত। নন্টে-ফন্টেকে ও অন্যান্য কম বয়সী ছাত্রদেরকে দিয়ে সব কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য কেল্টু বিভিন্ন রকম ফন্দি-ফিকির করে, ভয়-ভীতিও প্রদর্শন একেবারে বিরল নয়। তবে তার আঁটা ফন্দিতে প্রায়শই সে নিজে জব্দ হয়। কেল্টু সুপারিন্টেনডেন্ট স্যারকে খুশি রাখতে চায়, তবে অধিকাংশ গল্পেরই সমাপ্তি ঘটে এর উল্টো ঘটনা দিয়ে।
সুপারিন্টেনডেন্ট স্যার: হোস্টেল ও তার ছাত্রদের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন টাক মাথা ও বিশাল বপুর অধিকারী ভোজনরসিক সুপারিন্টেনডেন্ট স্যার। ছাত্রদের কড়া শাসনে রাখতে পছন্দ করেন আর শাস্তি হিসেবে বেত মারাটাই তাঁর প্রিয়। অনেক গল্পেই দেখা যায় রাতে ঘুমানোর আগে তিনি নিয়মিত এক বাটি দুধ খান। অধিকাংশ গল্পেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন রকম তামাশা করা হয় এবং প্রায়ই তিনি প্রচন্ড জোরে আছাড় খান। তাঁর একটি হাস্যরসাত্মক ছদ্মনাম হলো "মিঃ হাতি"।
অন্যান্য/অপ্রধান চরিত্র: উল্লেখযোগ্য অপ্রধান চরিত্রের মধ্যে রয়েছে হোস্টেলের রান্নাবান্নার দায়িত্বে নিয়োজিত বাবুর্চী বা ঠাকুর। একে বিভিন্ন গল্পে উড়িয়া, বিহারী বা ঢাকাই টানে কথা বলতে দেখা গেছে। হোস্টেলের অন্যান্য ছাত্রদের মধ্যে নেপচাঁদ, ল্যাংচা, বোঁচা এরকম কয়েকটি নাম ঘুরেফিরে আসতে দেখা গেছে। গল্পের খাতিরেই কখনো দুয়েকটি পোষা বা জংলী জীবজন্তুর আবির্ভাব ঘটলেও কোনটিই নিয়মিত নয়।
সোর্স: উইকিপিডিয়া।
আপনাদের সুবিধার্থে সাদা-কালো দশটি ভলিউম একত্রে দিলাম এখানে
রঙিন ৪ টি ভলিউম-
বিদ্র: রঙিন ভলিউমগুলো আমি আপলোড করিনি।
আমি মোঃ ওমর ফারুক দিপু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 135 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
my name is md omar faruk dipu i am from joypurhat....
Thanks For Sharing !