সবাই কে গরমের উত্তাপ সুভেচ্ছা। আমি আপনাদের জন্য পৃথিবীর বিস্ময়কর জায়গা নিয়ে নিয়মিত টিউন করতে যাচ্ছি। তাই আজকে শুরু করলাম সালার দে ইউনি দিয়ে। আপনার সদইচ্ছাই আমাকে টিউন করতে আগ্রহী করবে।
Salar De Uyuni (বা Salar De Tunupa) বিশ্বের বৃহত্তম লবণ সমতল যা 10,582 বর্গ কিলোমিটার বা 4,086 বর্গ মাইল। এটা আন্দিজ এর কাছাকাছি, বলিভিয়ার মধ্যে Potosí এবং Oruro বিভাগের মধ্যে অবস্থিত এবং গড় সমুদ্রতল থেকে 3.656 মিটার (11,995 ফুট) একটি উচ্চতা।
চলুন প্রথমে এর নাম কিভাবে Salar De Uyuni হলো জেনে নেই-
Salar স্প্যানিশ লবণ সমতল. Uyuni আয়মারা ভাষা থেকে উত্পন্ন হয় এবং একটি কলম বুঝিয়েছে। এছাড়াও Salar একটি শহররে নাম Uyuni গিয়ে র্পযটকদরে জন্য একটি গেটওয়ে হিসাবে কাজ করে। সুতরাং Salar দে Uyuni ঢিলেঢালা ভাবে পরিবেস্টন, সম্ভবত Salar এর "দ্বীপ" নির্দেশকারী সাথে সমতল একটি লবণাক্ত ভুমি হিসাবে অনুবাদ করা জেতে পারে ।
এখানে এত লবণ কিভাবে তৈরী হলো সে ব্যাপারে স্থানীয়রা Tunupa, Kusku এর একটি ঘটনা বলে থাকে। Tunupa, Kusku বিবাহিত, কিন্তু কুসকু সবসময় টুনুপার কাছ থেকে দুরে থাকত। কুসকের এক ছোট বাচ্চা ছিল সে সব সময় তার মায়ের দুধ খেত। একদিন দুধ খাওয়ার সময় কান্নাকাটি করে। তাতে কুসকুর দুধ ও তার বাচ্চার কান্না মিশে যায় এবং তৈরী হয় এই লবণ বা Salar. অনেক স্থানীয় টুনুপাকে তাই তাদের দেবতা বলে এবং সেই স্থানের নাম তারা Salar De Uyuni না বলে Salar De Tunupa বলে।
এটাতে বিশ্বের ৫০ থেকে ৭০% লিথিয়াম মজুদ রয়েছে।
লিথিয়ামের জন্য এরা এই সালার কে প্রতিদিন পরিস্কার ও পরিছন্ন রাখে। তাই এটি দেখতে ঠিক কাচের মতো।
সালার দে ইউনি দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া এর আল্টিপ্লানো এর অংশ। আল্টিপ্লানো আন্দিজ পর্বতমালার উত্তোলন সময় গঠিত হয় যা একটি উচ্চ মালভূমিতে পরিণত হয়। এই মালভূমি মিঠা এবং নোনা জলের হ্রদ হিসেবে লবণ ফাটে রয়েছে। এবং এখানে নিষ্কানের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এই এলাকায় জানুয়ারী থেকে নভেম্বর ২১সে.। এটি একটি স্থিতিশীল গড় তাপমাত্রা কেননা জুনে এর তাপমাত্রা ১৩সে. হয়। রাত্রে আবার এর তাপমাত্রা র্৫সে. থেকে -র্৯সে. হয়ে যায়। এখানে সাড়া বছর ঠান্ডা থাকে। এর আপেকি তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৪৫% এ সারা বছর ধরে থাকে। এখানে বৃষ্টিপাত এপ্রিল এবং নভেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ মিলিমিটার অথবা এর চেয়েও কম হয়। কিন্তু জানুয়ারী মাসে ৭০মিলিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়।
অর্থনৈতিক প্রভাব
সালার এ লবণ উৎপাদন
সোডিয়াম, পটাশিয়াম, লিথিয়াম এবং এর মধ্যে লিথিয়াম তর্ক সাপে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগেই বলেছি যে পৃথিবীর ৫০ থেকে ৭০% লিথিয়াম এখান থেকে আমদানি করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন এখানে কিরকম ডলার উপার্জন করে বলিভিয়া দেশ। এখানে আরও অনেক খনিজ সম্পদ রয়েছে। তারমধ্যে ম্যাগনেশিয়ামের বিশাল ভান্ডার রয়েছে। যা বৈদ্যত্যিক ব্যাটারী এর জন্য অত্যাবশ্যক উপাদান। এখানে আনুমানিক ৯০,০০,০০০টন ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এখানে একজন আমেরিকার ব্যবসায়ী $১৩৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে শুধু লিথিয়ামের উপর। এখানে ২৫ল টন লবণ উৎপন্ন হয় প্রতি বছর। যা আমেরিকাবাসীদের জন্য যথেষ্ট।
এই জায়গাটা পৃথিবীর সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে আপনি যদি কোন দিন ভ্রমণ করেন তবে এসব তথ্য মিলিয়ে নেবেন। আজ এ পর্যন্তই । নিচে কিছু ছবি দিয়ে দিলাম।
ভাল লাগলে সেয়ার করতে ভুলবে না কিন্তু।
সৌজন্যে : Amazing and Historical Place
আমি Samima Akter। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালো লাগল,ধন্যবাদ