পশ্চিমা বিবর্তনবাদী গুরুরা নিজেদেরকে বিবর্তন পিরামিডের শিখরে রেখে বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতি থেকে ধাপে ধাপে (!) তাদের বিবর্তন প্রমাণ করতে বিজ্ঞানের নামে যে কাল্পনিক ছবিগুলো [মিসিং লিঙ্ক] দেখিয়ে অসচেতন লোকজনের মস্তক ধোলাই করার চেষ্টা করছেন সেই ছবিগুলোর সবগুলোতেই কৃষ্ণাঙ্গদের অবয়ব দেয়া হয়েছে, এমনকি নিজেদের ইচ্ছেমতো কিম্ভূতকিমাকারও বানানো হয়েছে। তার মানে কৃষ্ণাঙ্গরা বিবর্তনবাদীদের কাছে 'মিসিং লিঙ্ক' - অন্য অর্থে কৃষ্ণাঙ্গরা বিবর্তনবাদের শিকার। লক্ষ লক্ষ বছর আগের কিছু হাড়-হাড্ডি [মূলত মাথার খুলি; সবার নিচে দেখুন] থেকে হাতুড়ি-বাটালি ও কাল্পনিক পদ্ধতিতে বিবর্তনবাদী গুরুদের তৈরি করা ছবিগুলো এক নজর দেখুন-
A reconstruction of Australopithecus afarensis
A reconstruction of Homo habilis
Reconstruction of Homo heidelbergensis which may be the direct ancestor of both Homo neanderthalensis and Homo sapiens.
Dermoplastic reconstruction of a Neanderthal
Sahelanthropus tchadensis
এক নজরে শিম্পাঞ্জী থেকে কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে ধাপে ধাপে বিবর্তনবাদীদের বিবর্তন
পশ্চিমা বিবর্তনবাদী গুরুদের বাংলা দাসেরা যারা বিবর্তনবাদকে জঙ্গী স্ট্যাইলে লাঠি-সোটা-চাপাতি দিয়ে ডিফেন্ড করছে তারা নিজেরাও তো বিবর্তনবাদ অনুযায়ী 'মিসিং লিঙ্ক' হওয়ার কথা! তথাপি তারা ডিফেন্ড করছে। কারণ তাদের পশ্চিমা নাস্তিক গুরুদের দাবি অনুযায়ী বিবর্তনবাদ সৃষ্টিতত্ত্ব ও আব্রাহামিক ধর্মকে ভুল-মিথ্যা-অসার প্রমাণ করে বাতিল করে দিয়েছে। ব্যাস, বাংলা দাসদের আর কী লাগে! নিজেরা 'মিসিং লিঙ্ক' হয়েও ইসলামকে যদি ভুল-মিথ্যা-অসার প্রমাণ করে বাতিল করা যায় তাতে মন্দ কী! এই সুযোগে বিজ্ঞানের নামে ইসলাম ও মুসলিমদের উপর কোপাকুপি করাও বেশ নিরাপদ।
একটি প্রশ্ন: মানুষের অবয়বের যে কাল্পনিক ছবিগুলো [মিসিং লিঙ্ক] দেখানো হচ্ছে সেগুলোর সাথে বিবর্তনবাদীদের পার্থক্য কী? মাঝখানে কী কী বিবর্তন হয়েছে?
যে জীবাশ্মগুলো থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের অবয়ব দেয়া হয়েছে-
Replica of fossil skull of Homo habilis.
Replica of fossil skull of Homo ergaster.
ছবিগুলোর সূত্র:
1. http://en.wikipedia.org/wiki/Human_evolution
2. Google Image
আমি এস. এম. রায়হান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 123 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা যেমন নিজেদেরকে ব্রহ্মার মুখ থেকে আর শূদ্রদেরকে পা থেকে সৃষ্ট দাবি করে শূদ্রদের উপর জন্মান্তরবাদ নামক মিথ্যা ডগমা প্রয়োগ করে উঁচু-নীচু বর্ণবাদ প্রথা তৈরি করেছে, সাদা চামড়ার নাস্তিক পুরোহিতরাও তেমনি নিজেদেরকে বিবর্তন পিরামিডের চূড়ায় রেখে ‘নিম্ন শ্রেণীর’ প্রজাতির উপর বিবর্তনবাদ নামক মিথ্যা তত্ত্ব প্রয়োগ করে তাদেরকে ‘মিসিং লিঙ্ক’ [অপূর্ণাঙ্গ] বানিয়ে দিয়ে তাদের উপর এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে। পার্থক্য হচ্ছে ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা বর্ণবাদ প্রথা তৈরি করেছে ঈশ্বরের নামে, আর সাদা চামড়ার নাস্তিক পুরোহিতরা তৈরি করেছে (অপ)বিজ্ঞানের নামে।