সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ ল্যাপটপ হাতে পাবার পর তার এতদিন পর আজকে সেটির খুঁটিনাটি বিস্তারিত লিখছি।
তো শুরু করলাম ল্যাপটপের নাম দিয়ে- TOSHIBA Satellite P850/040
সত্যি কথা বলতে আমি বা আমার পরিচিত কেউই আগে Toshiba এর ল্যাপটপ ব্যাবহার করেনি। তবে ব্লগে ঘোরাঘুরি করে বুঝলাম বেশ ভালই। বলে রাখা ভাল আমি প্রায় ১.৫ বছর যাবত Compaq একটি ল্যাপটপ ব্যাবহার করছি। তবে খেয়াল করেছি বেশ অনেকেই Compaq কে খারাপ বলেছেন। তবে আমার এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় নি। যাই হোক Toshiba ব্র্যান্ডের এই ল্যাপটপ টি বেশ ভালই লাগছে। কারন হিসেবে বলতে পারি এই ল্যাপটপটির আউটলুক এক কথা অসাধারন। কালার হচ্ছে হালকা গোল্ডেন। প্রথম দেখায় যে কারো ভাল লাগবে।
এবার আসি কনফিগারেশনের ব্যাপারে-
প্রথমেই বলে নিচ্ছি এটি একটি হাই কনফিগ ল্যাপটপ। আসলে সেই জন্যই নেয়া। আমার এমন একটা ল্যাপটপ দরকার ছিল যাতে আমার ৩ডি প্রোজেক্টগুলো বেশ ভালভাবেই চলে।
১। প্রসেসর:
প্রসেসর হিসেবে আমি প্রথম থেকেই চাচ্ছিলাম Intel। কারন AMD প্রসেসরগুলো আমার তেমন একটা ভাল লাগে নি। কারন আমার আগের ল্যাপটপটি ছিল AMD এর। যাই হোক এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে Intel 3rd Generation Core i7- 3610QM এবং যার সিপিউ স্পীড 2.3 GHz- 3.3GHz এছাড়াও L2/L3 Cache Capacity-6MB। এই একদিন চালিয়ে যা বুঝলাম তা এককথায় অসাধারন। আমার ৩ডি সফটওয়্যারগুলো বেশ স্মুথ। এছাড়াও rendering আগের চেয়ে প্রায় ৩-৪ গুন ফাস্ট।
২। মেমোরিঃ
এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৮জিবি র্যাম। এবং ১৬০০ MHz
৩। হার্ডডিস্কঃ
১ টিবি (১০০০জিবি)।
৪। গ্রাফিক্সঃ
এবারে আসি আসল পয়েন্টে। এই একটা জিনিসই আমার খুব দরকার ছিল। কারন আমার পড়াশুনার কারনে আমার খুবই শক্তিশালী গ্রাফিক্স প্রয়োজন ছিল। এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে NVIDIA Geforce GT 630M 2GB with Optimus। Optimus টেকনোলজি সম্পর্কে যা জানলাম তা হল। এটি একটি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের পাওয়ার সেভ করে। আর ঠিক এই কারনেই এই ল্যাপটপটির Energy Rating-5.0। এছাড়াও পাশাপাশি Intel HD 4000 গ্রাফিক্স রয়েছে।
৫।ডিস্ক ড্রাইভঃ
ব্লুরে প্লেয়ার ও বার্নার। এছাড়াও ৩ডি মুভি প্লে করতে পারে যদিও এজন্য ৩ডি টিভির কানেকশন লাগবে।
৬।ইউএসবিঃএই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৪টি ইউএসবি পোর্ট। সবগুলোই ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট করে।
এই হল মোটামুটি কনফিগারেশন। তবে আরও যে উল্লেখযোগ্য ফিচার আছে তা হল-
-টিভি টিউনার- ল্যাপটপটিতে সরাসরি টিভি দেখা যায় শুধু একটি এন্টিনা লাগিয়ে। তার মানে এই ল্যাপটপটি ইচ্ছে করলে টিভি হিসেবেও ব্যাবহার করা যাবে।
- কীবোর্ড ব্যাকলাইট- ল্যাপটপটির কীবোর্ড গুলো অনেকটা Allienware এর মত। প্রতিটি বাটনে লাইট জ্বলে।
- ব্যাটারি ব্যাকআপ- হাই কনফিগ ল্যাপটপ হওয়া সত্ত্বেও Energy Rating- 5.0 থাকার কারনে প্রায় ৫.৫ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিবে। যদিও আমি এখন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাবহার করিনি। সরাসরি পাওয়ার দিয়েই চালাচ্ছি।
- ৩ডি সাউন্ড- বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না তবে আমার দেখি ল্যাপটপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাউন্ড হচ্ছে এটিতে। আর সাউন্ড কোয়ালিটি এক কথায় অসাধারন।
Allienware নেওয়ার ইচ্ছা ছিল আসলে কিন্তু সর্বনিম্ন দাম( ১২০০ ডলার) যেটির(M14x) সেটিতে কোন ডিস্ক ড্রাইভ নাই এছাড়াও ডিসপ্লে সাইজ মাত্র ১৪ ইঞ্চি। Allienware কিনলে M15x(দাম ২০০০ ডলার) কিনতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু বাজেটে কুলাতে পারলাম না। যাই হোক একদম খারাপ হয় নি মনে হয়। আমার বেশ ভালই চলে যাচ্ছে।
সবশেষে ল্যাপটপের দাম- ১৩০০ ডলার ( বাংলাদেশী টাকায় ১০০০০০ টাকা হবে হয়ত)
কেউ যদি হাই কনফিগ ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই দেখতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবশেষে আমার করা ২টি বিল্ডিং প্রোজেক্টের ছবি। দুটিই আমার ডিজাইন করা।
আমি Jackson। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 45 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Valo laptop; good tune carry on