বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম । সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, সম্মান, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আল্লাহ্র অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
টেকটিউনস শুধু একটি ওয়েসাইট নয় একটি আবেগের নাম লক্ষ লক্ষ মানুষের আগমনে মুখরিত হয় টেকটিউনস এর বাগান। যদি টেকটিউনস কমিউনিটির সবাইকে নিয়ে একটি দেশ বানানো যেতো তাহলে সেই রাষ্ট্রটিই হতো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি রাষ্ট্র। ডঃ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেছিলেন- “যে দেশে গুণীর সমাদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। এই কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। তবে গুণ দেখিয়ে গুণী হতে হয়। আজ আমি তেমনি একজন গুণী মানুষ প্রবাসী (Khan Rawnak Ali) ভাইকে কৃতজ্ঞতার সাথে এই লেখাটি উৎসর্গ করছি। টেকটিউনস যদি একটি টিউনের রাষ্ট্র হয় সেই রাষ্ট্রের মানুষ গুনিদের সম্মান জানাতে কৃপনতা করে না। এটি আমি প্রবাসী (Khan Rawnak Ali) ভাইকে স্ব-সম্মানের সহিত জানাতে চাই যে তিনি আমাদের জন্য বিশেষ একজন। যিনি এতকিছু আমাদের দিয়েছেন তাকে নিয়ে টিউনটি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
আমি জানি না আমার এই লেখাটি টিউনের পর্যায় পড়ে কিনা। যদি টিউন নাও হয় তাতেও আমার কোনো আপত্তি নেই আমি মনের আবেগ দিয়ে একজন নিঃস্বার্থ গুণী মানুষকে নিয়ে লিখছি। মানুষের কথাবলা, নম্রতা ও অন্যের জন্য সহযোগীতার মনোভাব দেখলেই তাঁর ব্যক্তিত্ব বুঝা যায়। প্রবাসী ভাই এক এক করে টিউনে ডাবল সেঞ্চুরী মেরেছেন। তিনি চাইলে অনেক আগেই সংখ্যার বিচারে আরো এগিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু না। তিনি তাঁর টিউনের মান বজায় রেখেছেন। আমরা তাকে পেয়ে গর্বিত।
কিন্তু সৃষ্টিশীল মানুষ গুলোর সৃষ্টিগুলোই আমাদের চোখে পড়ে কিন্তু এর পিছনের কষ্টগুলো আমাদের চোখে পড়ে না। যেমন করে মিষ্টি ফলের স্বাদের আড়ালে ফল গাছটি যে শিকড় দিয়ে মাটির কৃপায় বড় হয়েছে তার কথা ভুলেও মনে করি না।
প্রবাসী ভাই আমাদের মতো নবীনদের নিয়মিত স্বাগত জানাচ্ছে। কেই উল্টোপাল্টা কোনো কমেন্ট করলেও আমার পাশে এসে আমাকে টিউন লেখার আগ্রহ যুগিয়ে যচ্ছে। তাকে নিয়ে কেন লিখব না বলেন?
আমি কাল প্রবাসী ভাইয়ের ডাবল সেঞ্চুরী দেখে ভেবে ছিলাম প্রবাসী ভাইয়ের ৫০০টি টিউন হলে তাঁকে নিয়ে লিখবো। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম আজই লিখবো যদি আমি সে পর্যন্ত না বাঁচি।
একটা গল্প শুনুন :
বাংলা কথা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ শরৎ চন্দ্র চট্টপাধ্যায় একবার ট্রেনে করে রেঙ্গুন যাচ্ছিলেন। তখন তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। শরৎ বাবুর কিছু ভক্ত শরৎ বাবুকে উদ্দ্যেশ্য করে বললেন-
“আপনার লেখা পড়ে আমরা হসি আবার কান্নাও করি কিন্তু দেশে রবিন্দ্রনাথ নামে একজন কবি এসেছে। তাঁর লেখা কিছুই বুঝি না।”
শরৎ বাবু কিছুক্ষণ নীড়ব থেকে বললেন- “আমি হলাম লেখক/কবি কিন্তু তোরা জানিস না রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর হলেন কবিদের কবি” ।
রতনে রতন চেনে।
আর একটা ঘটনা বলি-
নজরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ এসেছিলেন দু’বার। একবার ইসমাঈল হোসেন সিরাজীর আমন্ত্রনে। অন্যবার মুসলিম বঙ্গীয় পরিষদের সম্মেলনে প্রতিভাসন দিতে। তখন ইসমাঈল হোসেন সিরাজী পরলোকে চলে গেছেন। নজরুল তার বক্তৃতায় বলেছিলেন-
“আমি তখন সবে মাত্র লেখা শুরু করেছি। হঠাৎ একদিন দেখি আমার নামে ১০টাকা মানি অর্ডারে এসেছে। সিরাজী সাহেব পাঠিয়েছেন। সাথে ছোট্ট একটা চিরকুট। তাতে লেখা – তোমার কবিতা ভাল লেগেছে ১০টি টাকা পাঠালাম আমার থাকলে দশ হাজার পাঠাতার। গ্রহন করো। দয়া করে ফিরিয়ে দিও না। ফিরিয়ে দিলে কষ্ট পাবো। আমি যে চিরকুটটি কতবার পড়েছি আর চোখের জল ফেলেছি................” এই বলে নজরুল ইসলাম কেঁদে দিয়েছিলেন।
এখন সেই যুগ নেই। এখন মানুষের ভাব বিনিময়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। তাতে কি হয়েছে। আগে যারা ছিলেন তারাও মানুষ আর আমরাও মানুষ। আমরা যারা টেকটিউনসে টিউন লিখি কিংবা লিখি না ; সবাই ছুটে আসি টেকটিউনের মায়ায়। অনেক আপন হয়ে গেছে টেকটিউনস। তারই একজন কান্ডারী হলেন প্রবাসী ভাই। অহংকার মুক্ত এই মানুষটির এক একটি টিউন টিটির টিউন রাজ্যে এক একটি দামি অলংকারের মতো। আমি প্রবাসী ভাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করছি। তিনি যেনো অন্তত আমাদের কথা ভেবে সবসময় যেমন কাছে আছেন তেমনি যেনো কাছে থাকেন। এইটুকু তার কাছে দাবি।
টেকটিউনসের কমিউনিটির সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। টেকটিউনস থেকে যারা কিছু শিখতে পেরেছেন এবং বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পেরেছেন আদের উদ্দ্যেশ্যও আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রবাসী ভাই প্রবাসে থাকেন কিন্তু পরবাসী না। আমাদের সাথে থাকেন। মানে বাংলা ভাষাবাসীর মানুষের কাছে। শুনেছি প্রবাসে থাকলে দেশপ্রেম নাকি অনেক বেশী বেড়ে যায়। যেসব প্রবাসী টেকটিউনস এর সাথে আছেন তাদেরকেও আমি সম্মান জানাচ্ছি।
প্রবাসী ভইকে আবারও আমার চরম ভালোবাসা ও অভিন্দন জানাচ্ছি।
আসুন সবাই যেনো টেকটিউনস এর সবার সাথে সবার শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভলোবাসার সম্পর্ক দেখে অন্যরা শিক্ষা লাভ করে। আর নতুনদের বলছি আপনারা টিউন করুন। বাংলা ভাষাকে আরো উঁচুতে তুলে ধরুন।
প্রবাসীর টিউন গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
কষ্টকরে আমার এই টিউনটি দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত ও পরিতৃপ্ত। আপনাদের ব্যাপক সাড়া আমার নিত্যদিনের প্রেরণা।
আমি মোঃ আসিফ- উদ-দৌলাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 1147 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মা ও বাংলা ভাষার কাঙ্গাল
টেক্টিউন্সে অহংকার হীন একজনের নাম বলতে হলে প্রথমে যার নাম আসবে তিনি হলেন এই ব্লগের অন্যতম প্রান পুরুষ প্রবাসী ভাই। ভাই তোমাকে সালাম। তোমার এই খুদ্র ভক্তের সালাম ফিরিয়ে দিও না।
প্রবাসী ভাইয়ের ছবিগুলো আপাতত মুছে দেত্তয়া হল। তিনি অনুমতি দিলে টিউনে ব্যবহার করা হবে।