গত কয়েকদিন যাবত ঢাকা সহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ছোট ভূমিকম্পে বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠেছে। আর বিশেষজ্ঞদের মতে এসব ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে বড় কোন ভূমিকম্পের আলামত। সারাদেশের মানুষ বিশেষভাবে রাজধানীর মানুষ আজ এই ভয়ে তটস্থ যদি ভূমিকম্প হয়ই তাহলে কি হবে পরিনতি? সরকারের নেই কোন পূর্বপ্রস্তুতি, বিভিন্ন দূর্যোগে যারা উদ্ধারকাজ চালায় এ ব্যাপারে তারাও একেবারে অজ্ঞ, ভূমিকম্পের পর কিভাবে উদ্ধারকাজ চলবে এ ব্যাপারে তাদের নেই কোন ধারনা আর উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি তো একেবারেই নেই। এরকম একটি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিশেজ্ঞ ব্যাক্তিবর্গ তাদের চিন্তার মাধ্যমের এর ভয়াবহতা, কারন, বাঁচার উপায় সমূহ তুলে ধরছেন। আমি সে আলোকেই আমার এই টিউনে কিছু কথা তুলে ধরব।
ভূমিকম্প এর আশংকা কেন?
- আমাদের এই অঞ্চলে প্রতি আশি থেকে একশ বছরে একটি বড় ধরনের ভূমি কম্পের সম্ভাবনা থাকে কিন্তু সর্বশেষ একশ বছরে কোন বড় ধরনের ভূমিকম্প না হওয়াতে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প আসন্ন।
- দ্বীতিয় যে কারনটি সেটা হল এখানকার ভৌগলিক অবস্থান যে প্লেটের উপর তা ক্রমেই পরিবর্তিত হয়ে অপেক্ষাকৃত বেশী ঝুকির দিকে যাচ্ছে।
- এরপর যে কারনটি রয়েছে তা হল আশপাশের দেশের বড় ধরনের ভূমিকম্পও আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
- কম্পন এর ফলে একাধিক ফল্ট তৈরী হচ্ছে যা অত্যাধিক ঝুকির কারন।
- ভূ-অভ্যান্তরে প্রচুর শক্তি মজুদ হয়েছে, ভূমি তা উগরে দিতে চাইছে।
- আর সবচেয়ে বড় যে কারনটি আছে তা হল একের পর পর এক মৃদু ভূমিকম্প হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে এটা যে কোন সময় মাঝারি বা বড় আকার ধারন করতে পারে অনেকের মতে।
উপরে যে কারন গুলো দেখলাম তাতে মনে হতেই পারে যে আমরা একটি আসন্ন ভূমিকম্পের মাঝে আছে কিন্তু তারপরও কিছু আশার কথা আছে আমি এবার সেগুলোই বলবো।
বড় ধরনের ভূমিকম্প কি সত্যিই আসন্ন?
- অনেক বিশষঞ্জ এর মতে ভূমিকম্প আসন্ন কিন্তু ভূমিকম্প হলেও এখানকার ভূমিতে কোন ফল্ট হবার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
- কোন রকম প্রাকৃতিক পরিবর্তন যেমন নদীর স্রোত ধারা পরিবর্তন, নতুন নদী সৃষ্টি বা পুরনো কিছু বিলুপ্ত হবার সম্ভাবনাও কম।
- মারাত্বক ভূমিধস যা প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে সে সম্ভাবনাও কম।
- আর আরেকটি কারন হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবেই এ অঞ্চলে নেই কোন উল্লেখ যোগ্য আগ্গেয়গিরি বা ভূমিকম্পে সৃষ্টিতে প্রাকৃতিক উল্লেখ যোগ্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে এমন কোন উৎস তাই এই অঞ্চলটি অপেক্ষকৃত কম ভূমিকম্পপ্রবন এলাকা। এ কারনে মৃদু ভূমিকম্প হলেও তা বড় হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম।
- আর সবচেয়ে বড় যে আশার কথা তা হল আমরা ভাবছি ছোট ছোট ভূমিকম্প গুলো বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস কিন্তু ছোট ছোট ভূমিকম্প গুলো আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসছে। এর কারন যখন সাগরে নিম্নচপ সৃষ্টি হয় তখন প্রচুর বৃষ্টি বা আবহাওয়ার অবনতি হলে আমরা ভাবি এটি আরো মারাত্নক আকারে হবে কিন্তু মূলত ওই যে আবহাওয়ার খারাপ বা বৃষ্টি তা কিন্তু ওই নিম্নচাপের যে শক্তি তা থেকে ধার করেই হয় তাই এমন আবহাওয়া প্রকৃতপক্ষে ওই নিম্নচাপকে দূর্বল করে দেয়। তেমনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান শক্তি ভূ অভ্যান্তরে জমা হয়েছে যার উদগীরন এর ফলে বড় ভূমিকম্প হতে পারে কিন্তু এসব ছোট ছোট ভূমিকম্প ওই মূল শক্তিকে নষ্ট করে হওয়ায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকারান্তরে কমিয়ে দিচ্ছি।
- আর আমাদের এ অঞ্চলে প্রতি বছর আগস্ট থেকে নভেম্বরে ভূমিকম্প হবার সম্বাবনা বেশী থাকে আমার মতে। শুধু এই সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা নিলে ঝুকি অনেকটাই এড়ানো যাবে।
তবে এসবই ধারনা প্রসূত কিন্তু সরকারসহ আমাদের সকলের উচিত এখনই দূর্যোগের প্রস্তুতি নেয়া। আর ভূমিকম্প হলে যে কি হতে পারে তাতো আমাদের সকলেরই জানা তা আর বলার প্রয়োজন নেই।
রাতে ঘুমানর সময় ভয় লাগে কখন যে কি ঘটে যায়। ঢাকায় ভুমিকম্প হলেতো লাখো লাখো মানুষ বিল্ডিংয়ের নিচে জ়ীবোন্ত আটকা পোড়বে কিন্তু বের হতে পারবে না।তাই সরকারকে আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। Thanks শাকীল ভাই।