তথ্যপ্রকৌশলে স্টিভ জবসের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় থাকা < !-more->প্রায় ৩০০ প্রযুক্তি পেটেন্টের উদ্ভাবক অথবা সহ-উদ্ভাবক হিসেবে জবসের নাম জড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি উপকরণের উদ্ভাবক ও এগুলোর তৈরির আগে প্রাথমিক ভাবনার নিয়ামক হওয়ার কারণে অনেকেই এই প্রযুক্তিবিদকে আধুনিক পৃথিবীর ‘লেওনার্দো দ্য ভিঞ্চি’ হিসেবে অভিহিত করেন। প্রিয় পাঠক, আসুন দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিই, তথ্যপ্রযুক্তি জগেক বদলে দেওয়া স্টিভ জবসের ১০টি যুগান্তকারী কাজের ওপর।
এটি ছিল অ্যাপল কম্পিউটারের উদ্ভাবিত প্রথম পণ্য। মূলত শখের কম্পিউটার ব্যবহারকারী ও প্রকৌশলীদের কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি হয়েছিল। অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজিয়ানিকের ডিজাইন করা এই অ্যাপল-১ কম্পিউটারের অর্থায়ন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্টিভ জবসের নাম। এই অ্যাপল-১ বদলে দিয়েছিল ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ধারণা।
অ্যাপল-১-এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে পরের সংস্করণটি তৈরি করে অ্যাপল কম্পিউটার। অ্যাপল-১ খুব অল্প কয়েকটি তৈরি হলেও অ্যাপল-২-এর ক্ষেত্রে গণ-উত্পাদনের ব্যবস্থা করা হয়। এটি বিপুলভাবে জনপ্রিয় হয় ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে। পরের প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরে এই অ্যাপল-২ কম্পিউটারের বাজারে টিকে ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি উন্নত সংস্করণও বাজারে ছাড়া হয়। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববাজারে এটি অ্যাপল-২ নামেই টিকে ছিল।
লিসা ছিল একটি বাণিজ্যিক কম্পিউটার। মূলত বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই এটি তৈরি করা হয়। এতেই প্রথমবারের মতো আইকন, মাউস-নিয়ন্ত্রিত কারসর ও গ্রাফিক্যাল ইউজারস ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে আমরা যে কম্পিউটার ব্যবহার করি, সেটার ধারণা এই লিসা থেকেই উত্সারিত।
এটিও গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস ব্যবহার করে তৈরি। লিসার চেয়েও ম্যাকিনটোশ ছিল সস্তা ও দ্রুতগতির। ব্যাপক বিপণন ও প্রচারণার মধ্য দিয়ে ম্যাকিনটোশ পৃথিবীময় বাজারজাত করা হয়। ম্যাকিনটোশ বাজারে আসার পরপরই ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারে, বিভিন্ন অলংকরণের জন্য গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস কতটা জরুরি। ডেস্কটপ প্রকাশনার জগতেও নতুন বিপ্লব ঘটায় এই ম্যাকিনটোশ।
স্টিভ জবস ততদিনে অ্যাপল ছেড়ে দিয়েছেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন নেক্সট কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যারা তৈরি করা শুরু করল বিভিন্ন কম্পিউটার প্ল্যাটফর্ম। সেই সময়ই তৈরি হয় এই ‘নেক্সট কম্পিউটার। ’ এতে প্রথম সংযোজিত হয় ওয়েব ব্রাউজিংয়ের সুবিধা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www এর আবিষ্কার এই টিম বার্নারস লি এই নেক্সট কম্পিউটারটি পৃথিবীর প্রথম ইন্টারনেট সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করেন বর্তমান কালের বহুল আলোচিত প্রতিষ্ঠান CERN এর কার্যালায়ে! তবে নেক্সট কম্পিউটার কখনোই তেমন অধিক পরিমাণে বিক্রি হয়নি। কিন্তু একে বলা হয়, আজকের আইফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। একে আইফোনের জনকও বলা যেতে পারে।
বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশনের ‘উইন্ডোজ’ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে তখন মেতে আছে গোটা পৃথিবী। তখন ব্যক্তিগত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম বলতেই মানুষ বোঝে উইন্ডোজের কথা। ১৯৯৬ সালে স্টিভ জবস ফিরে এসেছেন অ্যাপলে। সে সময় তাঁর প্রচ্ছন্ন উত্সাহ ও ভাবনার ফল ছিল এই আই-ম্যাক। নব্বই দশকের শেষ দিকে রং-বেরঙের বাহারি আই-ম্যাকের কথা নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যায়নি। পুরো কম্পিউটার ও মনিটরটি ছিল একটি প্লাস্টিক বাবলের ভেতর। সেই সঙ্গে ছিল একটি মাউস। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দারুণ উপযোগী ছিল সেই আই-ম্যাক। কম্পিউটার ব্যবহারকারীরাও পেয়েছিল উইন্ডোজের বাইরে গিয়ে পছন্দের কম্পিউটারটি কেনার সুযোগ।
আইপড হার্ডড্রাইভ-সমৃদ্ধ একটি ডিজিটাল মিউজিক প্লেয়ার। যদিও এটি পৃথিবীতে উদ্ভাবিত প্রথম ডিজিটাল মিউজিক প্লেয়ার নয়, তার পরও সফলতার দিক দিয়ে এটিকে শীর্ষে রাখতেই হবে। এটি সংগীতপ্রিয়দের এনে দেয় একসঙ্গে কয়েক হাজার পছন্দের গান একটি ছোট্ট ডিভাইসে স্টোর করে রাখার অনন্য সুযোগ। গান শোনার ক্ষেত্রেও এটি তৈরি যোগ করে নতুন এক মাত্রা।
এই দশকের শুরুর দিকে পাইরেসি ও ডিজিটাল চুরি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছিল বিশ্বের সংগীতশিল্প। ব্যবসায়িকভাবেও মার খাচ্ছিল তারা। জবস এই সমস্যা সমাধানে ২০০৩ সালে নিয়ে এলেন আই-টিউন স্টোর নিয়ে। এটি হয়ে উঠল সংগীতের এক বিরাট সংগ্রহ। সংগীতশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও খুঁজে পেলেন ডিজিটাল যুগে আদর্শ পরিবেশক-মাধ্যম। ২০০৮ সালে এটি যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে ওঠে সংগীতের সবচেয়ে বড় খুচরা ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র।
মোবাইল ফোন আইফোন আসার আগে ছিল কথা বলার মাধ্যম। একই সঙ্গে সেটাতে ইন্টারনেট ব্যবহারেরও সুযোগ ছিল। কিন্তু আইফোন নিয়ে এল স্পর্শের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনন্য সুযোগ-সুবিধা। ম্যাকিনটোশ যেমন ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বিপ্লব ছিল, ঠিক তেমনি আইফোন হলো মোবাইল ফোনে একধরনের বিপ্লব। আইফোন বাজারে নিয়ে আসার পর খুব দ্রুতই অ্যাপল পরিণত হয় মোবাইল ফোন বাজারের শীর্ষ খেলোয়াড়ে।
আইপ্যাড কিন্তু প্রথম ট্যাবলেট পিসি নয়। এর আগে অ্যাপলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই ট্যাবলেট পিসি বানানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হয়নি। আইপ্যাড ২০১০ সালে এসে বদলে দেয় ট্যাবলেট পিসির ধারণা। ল্যাপটপের পর কম্পিউটার কী চেহারার হবে, এটি প্রথম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় অ্যাপলের আইপ্যাড।
আমি Ripendil। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 140 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ । ভাই আমাকে দয়া করে একটা WEB SIDE খুলে আমার EMILE. [email protected] এ ঠিকানা , পাসওয়াড ও প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দিন । বস আমি ১টি WEB SIDE এর মালিক হতে আপনার কাছে এ অনুরোধ , আপনি পারলে ইনসাল্লাহ খুলে দেবেন।
name. nazmul
mobile. 01829649997