এপারে তুমি হাসি মল্লিক ওপারে হাসিনা ...../এপারে তোমার দাম পঞ্চাশ ও পারে কত জানিনা ।।
রাতের অন্ধকারে আমি দেখেছি তোমায় ।।/আমার বোউ বাজারে আমি দেখেছি তোমায় .....
দুদিকের কাঁটা তারে আমি দেখেছি তোমায় ।।
হ্যাঁ শুরু করলাম এক চিত্র কল্প ।
আমার দেশে যাকে আমরা বলি জল , তাকেই তো আপনারা বলেন পানি ! যখন সেটা চোখ থেকে বের হয় তখন তা পর্যায়ক্রমে চোখের জল বা চোখের পানি । বিশুদ্ধ বাংলায় যাকে অশ্রু বলা হয় ।আর চোখের জলই বলেন অথবা পানি দুটোই নোনতা , এমন কোন মানুষ নাই যারা এর স্বাদ জানেন না !না একজনো নেই –
আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্ন অথচ মর্মস্পর্ষী একটি বিষয় নিয়ে । আমার একজন প্রিয় গায়ক অঞ্জন দত্তের একটি গানকে অবলম্বন করে গড়ে তোলা একটি চিত্র কল্প।এর মূল উদ্দেশ্য - Sensitization হ্যাঁ , শুধুই Sensitization, …………।
আচ্ছা, আসুন তো একটুন ভাবি !
কি মূল কারন রয়েছে সমাজের বিষবাস্প রূপ এই কলঙ্কময় এই জীবন ধারার পিছনে। হ্যাঁ একটি ই মূল কারন আর সেটি হল –
খাবার ! খাবার ! খানিকটা খাবার ,
হতে পারে সেটি তার সন্তানের এক টুকরো শুকনো পাঁউরুটি র নিশ্চয়তার জন্য ...।।
অথবা একবেলা বাসি ভাত আর আমানি ......
অথবা তার বৃদ্ধ বাপের চিকিৎসার খরচ চালানো......
কিম্বা , তার রুগ্ন শিশুর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করার জন্য .........।।
হয়তো বা ,পঙ্গু স্বামী টার বোঝা ...... সংসার চালানোর অর্থনৈতিক বোঝা তার কাঁধে !
হ্যাঁ !হ্যাঁ ! এরকম হাজার হাজার কারণ হতে পারে কিন্তু শখে নয় ! বিশ্বাস করুন শখে নয় ! আমরা গত কালই প্রযুক্তি জগৎ এর এক বিস্ময়কর প্রতিভা তথা সফল ব্যবসায়ী স্টিভ জোবস্ এর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি, তার আত্মার শান্তি কামনা করেছি ...... কিন্তু বেঁচে থেকেও স্টিভের মতো আমাদের মায়েরা বোনেরা , এমন কি শিশুরা প্রতিদিন তিলে তিলে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করছে, প্রতিদিন একটু একটু কর শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের জীবিনি শক্তি ......প্রতিদিন তার অভিসম্পাত জানিয়ে যাচ্ছে আমাদের তথাকথিত এই সভ্য সমাজের সভ্য মানুষ গুলোকে তাদের কান্না কি পৌঁছচ্ছে না আমাদের কানে ?
হয়তো অনেকে বলবেন এ এক পাগলের প্রলাপ ! এ রকম কত সমাজ সংশোধন ! সমাজ পরিবর্তণ ! নতুন ভোরের আগমণী গান গাইয়েদের দেখলাম ! কত জন এলো গেলো , কত জনই আসবে......
একদম হক কথা ! একটু র্যাশনাল অ্যাপ্রোচ দিয়ে ভাবা যাক , সোসিয়োলজি বা সমাজ বিজ্ঞানের দৃষ্টি কোন দিয়ে বিচার করলে প্রাচীন সিন্ধুসভ্যতার যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের যে কোন সমাজ ব্যবস্থায় এই বিষয় টি রয়ে গেছে , হয়তো বা থাকবেও । অনেকে বলেন মানুষের মধ্যে তার ষড় রিপুর এই দ্বিতীয় রিপুর তাড়না থাকবেই এটাই অব্যশম্ভাবী , এটাই বাস্তব ,এটা সমাজের একটি সেফটি ভালবের মত । সব কথাই মেনে নিলাম , তাহলে এই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান কেন ? ডেমগ্রাফিক প্রোফাইল দিয়ে বিচার করলে তাহলে বলতে হয় সমাজে স্ত্রী পুরুষের আনুপাতিক ভারসাম্য যদি কম বেশি একই থাকে , তাহলে সেটির সীমাবদ্ধ উপস্থিতি ই কাম্য ছিল ।
কিন্তু তা তো হচ্ছে না ! দিন কে দিন এই প্রবণতা বাড়তেই আছে , তথ্য ঘাটলে দেখতে পাওয়া যাবে –এখন এই পাপের পঙ্কিল সাগরে বলিপ্রদত্ত হচ্ছে প্রচুর সংখ্যক শিশুরা ! হ্যাঁ এখন এটি ই সবথেকে চিন্তার বিষয় ! এখন ইউনেস্কো থেকে রেডক্রস যেদিকেই তাকান না –“ SAVE THE CHILD” অথবা “STOP ABUSING THE CHILD ” কিম্বা “এরাও আমাদের ই সন্তান ” এর এত বিজ্ঞাপণের প্রয়োজন কেন ?
আমি আপনাদের আছ থেকে কোনো সোস্যাল কন্সেন্সাস এর তৈরীর জন্য আবেদন নিবেদন করছিও না । শুধু এইটুকু বলছি যে --
স্টিভ জোব্স এর মৃত্যু যদি আমাদের কাঁদায় তবে হাজার হাজার “হাসি মল্লিক ” বা “হাসিনা” রা যে প্রতিদিন তিলে তিলে মারা যাচ্ছে ,বেঁচে থেকেও প্রতিদিন যারা তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছেন , তাদের মৃত্যু আমাদের ভাবায় না ?আসুন তাদের কথা একটু একটু ভাবি ! তাদের সন্তান দের জন্য একটু ভাবি!
না হলে যে মুখ লুকোবার আর জায়গা থাকবেনা!
করুনা বা সিম্প্যাথি নয় এম্প্যাথি দিয়ে ভাবুন ।এখন এই করুনা বা সিম্প্যাথি আর এম্প্যাথি -ইংরেজীতে আপাত দৃষ্টিতে সমার্থক মনে হলেও একটু তফাৎ রয়েছে, একটা ছোট্ট উধাহরন দিয়ে বিষয়টিকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করি-
বলি ও -“ যা অনেক কাজ করেছিস! এখন একটু জিরিয়ে নে বাবা!” -এটি সিম্প্যাথি বা করুণা।
আর যদি আপনার কখনো মনে হয় যে শিশুটি সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে সে হয়তো আপনার ই নিজের বোন , বা আপনার ই নিজের মেয়ে , চোখ বন্ধ করলে যদি দেখতে পান যে – হয়তো কপালের ফেরে আপনি এখন যে অবস্থায় আছেন হঠাৎ করে একদিন তার পরিবর্তন হল – আপনার বোনকে বা আপনার মেয়েকে হয়তো অন্যের বাড়ীতে একই রকম কাজ করতে হচ্ছে , আপনাদের দুবেলা অন্নসংস্থান এর জন্য! চমকে উঠলেন ! হঠাৎ করে তাকে কাজ থামিয়ে দিয়ে , আপনি হয়তো বললেন , থাক অনেক হয়েছে তুই একটু বিশ্রাম কর , আমি তোর কাজ করে দিচ্ছি! - হ্যাঁ এটিকে বলে এম্প্যাথি! এই হল সিম্প্যাথি আর এম্প্যাথি এর মধ্যে সুক্ষ্ম তফাৎ। আমার এই পাগলের প্রলাপের মুল উদ্দেশ্য ই কিন্তু আপনাদের মধ্যে সিম্প্যাথি বা সহানুভূতি নয় এম্প্যাথি জাগ্রত করা, আপনাদের সেন্সিটাইজ করা ,আপনাদের শক্ দেওয়া !
সমাজ ব্যবস্থ্যার আমুল পরিবর্তণ আপনি বা আমি কেউই করে উঠতে পারবো না। এটি আমি মানি ! আর সেই চেষ্টাও আমি করছি না ! আমি শুধু আবেদন করছি প্লিজ করুণার চোখে নয় একটু এম্প্যাথেটিক্যালি বিষয় টিকে ভাবুন! আমাদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ যদি এই রকম ভাবে ভাবতে শুরু করেন হয়তো বা অবস্থাটির কিছুটা লাঘব হবে!
এর মধ্য কি আপনি আপনার সবথেকে প্রিয় বোনের মুখ দেখতে পান !
অথবা , এর মধ্যে কি আপনি আপনার সবথেকে প্রিয় জনের মুখের ছাপ ধরতে পারছেন না ?
কিসের প্রতীক্ষায় রয়েছে এই শিশুটি ?
অথবা এর কাছে প্রতিটি সকাল ী কেন একরকম ?
এরা সমাজ কে যে অভিসম্পাত করছে প্রতিদিন , মহান আল্লা আমাদের সেই অভিসম্পাত এর হাত থেকে বাচান!
মেসেজ টি অন্তত একজনের সাথে শেয়ার করুন , যাকে আপনি সবথেকে বেশি ভালোবাসেন , দেখবেন হয়তো একদিন ... , একদিন...... অথবা কোনো দিন ......
কারন চোখের জল কিম্বা পানি সে তো নোণতাই রয়ে যায়......।
আসুন এদের বন্ধন মুক্তির স্বপ্নকে সাহায্য নয় শুধুএকটু , শুধু একটুখানি সহানুভূতির নয় এম্প্যাথির চোখ দিয়ে দেখি !
বিঃ দ্রঃ- মূল যে গানটিকে আমি চিত্র কল্প দিলাম সেটি হয়তো সবার ই শোনা , তাই মূল গানটির কোনো লিঙ্ক দিলাম না ,তবু যদি কারো মনে হয় ,আসম্ভব সুন্দর এই গানটি আপনার চাই , আওয়াজ দেবেন '''' আমি কান পেতে রই ...।।
অনেকে অনুরোধ করায় মূল গান টির লিঙ্ক এখানে -
আমি অপু.পশ্চিমবাংলা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 706 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
i am azmalhossain, Native Place Kandi, Murshidabad, West Bengal.age 32 . MSc(Tech) in Agril Engg.Service-West Bengal Civil service WBCS(Executive) Officer , Presently posted as Deputy Magistrate and Deputy Collector, Malda.Hobby- painting, recitation. computer game .
নির্বাক!!!