সৌরশক্তি দিয়ে চলবে রেফ্রিজারেটর ( স্বপ্ন নয় সত্যি)

কেমন আছেন সবাই ?

আশা করি সবাই আল্লাহ্‌র রহমতে ভালো আছেন । আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।

দেশে এমন অনেক প্রত্যন্ত এলাকা ও চরাঞ্চল রয়েছে, যেখানে খুব শিগগির বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিদ্যুৎহীন এসব প্রত্যন্ত এলাকায় রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের বিষয়টি আকাশকুসুম কল্পনার শামিল। কিন্তু সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সৌরশক্তিচালিত রেফ্রিজারেটর উদ্ভাবন করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে সদ্য পাস করা প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা।
সোহেল রানার উদ্ভাবিত প্রকল্পের নাম ‘ডিজাইন অ্যান্ড ফেব্রিকেশন অব সোলার অ্যাবজরশন রেফ্রিজারেটর’। সৌরশক্তিচালিত এই রেফ্রিজারেটর রাতেও চলবে। দিনে জমানো শক্তি দিয়ে রাতে চলবে এ যন্ত্র।
গত বছরের অক্টোবরে এই রেফ্রিজারেটর উদ্ভাবনের কাজ শুরু করেন সোহেল রানা।
চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।
গত ২৫ জুলাই তিনি রেফ্রিজারেটর মডেলটি চালিয়ে দেখান।
সৌরশক্তিচালিত রেফ্রিজারেটর প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, এটি তৈরি করতে সোলার রিফ্লেক্টর, শীতক, ইভাপুরেটর, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। সোলার রিফ্লেক্টরের ওপর সূর্যালোক পড়লে তা এর মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে জেনারেটর পাইপকে উত্তপ্ত করে, যা জেনারেটর পাইপের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মিশ্রণকে উত্তপ্ত করবে, যা অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডকে অ্যামোনিয়ায় রূপান্তর করবে। এ অ্যামোনিয়া বাষ্প চিকন পাইপ দিয়ে শীতকে (কনডেনসার) যাবে এবং সেখানে গিয়ে তাপ ছেড়ে দিয়ে তরল হবে। এ তরল অ্যামোনিয়া ইভাপুরেটরের স্টোরে জমা হবে।
অ্যামোনিয়া কম তাপমাত্রায় বাষ্পায়িত হয়।
এ কারণে ইভাপুরেটরের আশপাশে যে জিনিস রাখা হয় (যাকে শীতল করতে হবে), তা থেকে তরল অ্যামোনিয়া তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়ে পুনরায় জেনারেটর পাইপে ফিরে আসবে এবং ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড অ্যামোনিয়াকে পুনরায় শোষণ করবে। এভাবে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর চলবে।
এ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সৌরশক্তিচালিত এ রেফ্রিজারেটর মডেলের কার্যক্ষমতা আরও একটু বৃদ্ধি করে বাজারজাত করলে বিদ্যুতের ওপর থেকে চাপ অনেক কমানো যাবে বলে আমি মনে করি।’
নতুন এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগ্রহ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, ‘শীতপ্রধান অনেক দেশেই এক বর্গমিটার জমিতে পড়ামাত্র ৪ দশমিক ১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা সূর্যকিরণ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। অথচ বাংলাদেশে এক বর্গমিটার জমিতে সূর্য ৫ কিলোওয়াট ঘণ্টা শক্তি ছাড়লেও এই শক্তিকে আমরা তেমন কোনো কাজেই লাগাতে পারছি না। শক্তির এ বিশাল উৎস কাজে লাগাতেই আমার এ প্রচেষ্টা।’

আমার কাছে ব্যাপারটি খুব মজার লাগলো তাই এখানে শেয়ার করলাম।

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ভালবাসাসহ আপনাদেরই আসিফ পাগলা সাব্বির।

পূর্বে এখানে প্রকাশিত

Level 0

আমি সাব্বির আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 108 টি টিউন ও 868 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 10 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মোহাম্মদ সাব্বির আলম ( আসিফ পাগলা সাব্বির ) । Google Adsense এর একজন পাবলিশার্স হিসাবে কাজ করছি। বর্তমানে SEO নিয়েই পরে থাকতে এবং সবার মাঝে শেয়ার করতেই ভালো লাগে। আর বাংলা ব্লগিং করাটাই সব চেয়ে বড় নেশা। আমার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে অথবা লাইভ সাপোর্ট পেতে আমাকে ফেইসবুকে অ্যাড...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

জেনে খুবই আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ।