সচেতন হন :: মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

মোবাইল ফোন আমাদের একটি অতি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বলতে গেলে আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে এই ডিভাইসটি। মোবাইলের ব্যবহার দিনে দিনে বেরেই চলেছে। মোটামুটি আমরা অনেকেই জানি মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারে আমাদের ক্ষতি হয়। কিন্তু কি ক্ষতি হয় তা কয়জন জানি? হাতে গোনা কয়েকজন জানি এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো। ঐ হাতে গোনা কয়েকজনও জানা সত্ত্বেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারেনা প্রয়োজনের তাগিদে। আসুন জেনে নেই কিভাবে এবং কি কি ক্ষতি করে আমাদের সকলের প্রয়োজনীয় এই ডিভাইসটি।

যা দ্বারা ক্ষতির হয়ঃ

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় বার্তা আদান প্রদানের সময় ফোন থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় রশ্নির বা রেডিয়েশনের (Radiation) প্রভাবে মানব দেহের ক্ষতি হয়ে থাকে। সবাই কানে অর্থাৎ মাথার পাশে ফোন ধরে কথা বলি। কথা বলার সময় মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশন মস্তিষ্কেরে কোষগুলোর সংস্পর্শে চলে আশে। ফলে মস্তিষ্ক তথা দেহের অনন্যা অংশেও প্রভাব পড়ে ও নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুকির সৃষ্টি হতে পারে।

মোবাইলের রেডিয়েশন কিভাবে কাজ করে?

মৌলিক কিছু কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার প্রয়োজনে প্রতিটি মোবাইল ফোনকেই কিছু পরিমাণে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা তথা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন(Electromagnetic Radiation) নির্গত হয়। মোবাইল ফোন রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে সিগনাল প্রেরণ করে। এই রেডিও ওয়েভ আছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি, যা আসলে এক ধরনের বিদ্যুৎচৌম্বকিয় তেজস্ক্রিয়তা।

রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তার উৎসঃ

আমরা যখন মোবাইল ফোনে কতা বলি তখন ফোনের ট্রান্সমিটারটি আমাদের মুখ থেকে নির্গত শব্দকে গ্রহণ করে সেটিকে ধারাবাহিক সাইন ওয়েভে সংকেতায়িত করে। সাইন ওয়েভ হচ্ছে একধরনের অনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তরঙ্গ যেটি ফোনের এন্টেনা থেকে নির্গত হয়ে ইথারে প্রবাহিত হয়। সাইন ওয়েভকে মাপা হয় ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে। ফ্রিকোয়েন্সি হচ্ছে একটি তরঙ্গ কত বার উঠা নামা করে তারই হিসাব। আমাদের মুখ থেকে নিঃসৃত শব্দকে সাইন ওয়েভে রাখা হয়, তখনই ট্রান্সমিটার ঐ সিগনাল বা সঙ্কেতকে এন্টেনার কাছে প্রেরণ করে, এন্টেনা আবার এই সিগনালকে অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেয়।

রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তার কিছু কথাঃ

মোবাইল ফোনের মধ্যে যে ট্রান্সমিটার থাকে সেগুলো বেশ কম শক্তির হয়ে থাকে। সেলফোন ০.৭৫ থেকে ১ ওয়াট শক্তিতেই দিব্যি চলতে পারে। ফোনের নির্মাতাভেদে এর ভেতরে ট্রান্সমিটারের অবস্থান বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে; তবে সাধারনত এটি ফোনের এন্টেনার খুব কাছাকাছি থাকে।

সংকেতায়িত সিগনালকে প্রেরণ করার দায়িত্ব যে বেতার তরঙ্গের, সে তরঙ্গ গঠিত হয় এন্টেনা থেকে নির্গত বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন দিয়ে। এন্টেনার কাজ হচ্ছে বেতার তরঙ্গকে শূন্যে ছড়িয়ে দেওয়া। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এসব তরঙ্গকে গ্রহণ করা বা রিসিভ করার দায়িত্ব হচ্ছে মোবাইল ফোনের টাওয়ারে স্থাপিত একটি রিসিভারের।

বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা কি আছে ?

বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা আছে বৈদ্যুতিক ও চৌম্বকীয় শক্তির তরঙ্গ যা চলাফেরা করে আলোর গতিতে। সকল বিদ্যুৎচৌম্বকীয় শক্তিই Electromagnetic Spectrum এর রেঞ্জ বা পরিধির মধ্যে অবস্থান করে। এই রেঞ্জের মধ্যে কম শক্তির ফ্রিকোয়েন্সির শক্তি যেমন আছে তেমন আছে এক্সরে এবং গামারে – র মত শক্তিশালী ফ্রিকোয়েন্সি।

বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তার ধরনঃ

বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তা বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন দুই ধরনের হতে পারে। যথাঃ

  • ১.আয়োনাইজিং রেডিয়েশন (Ionizing Radiation)
  • ২.নন- আয়োনাইজিং রেডিয়েশন (Non-Ionizing Radiation)

  • ১.আয়োনাইজিং রেডিয়েশনঃ
    এ রেডিয়েশনে এমন মাত্রায় বিদ্যুৎচৌম্বকীয় শক্তি আছে যা থেকে অনু-পরমাণুকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং মানবদেহের রাসায়নিক বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। আয়োনাইজিং রেডিয়েশন এর উধারন হচ্ছে এক্সরে এবং গামারে।
  • ২. নন- আয়োনাইজিং রেডিয়েশনঃ
    এই রেডিয়েশনকে নিরাপদ বা অ-ক্ষতিকারক বলা যায়। এ থেকে উষ্ণতার সৃষ্টি হয় বটে, তবে তা দেহকোষের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করার মত কিছু নয়। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শক্তি, দৃশ্যমান আলো এবং মাইক্রোয়েভ রেডিয়েশনকে নন- আয়োনাইজিং রেডিয়েশন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে মত-বিমতঃ

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ আডমিনিস্ট্রেশন (FDA) নানা ভাবে গবেষণা করার পর ঘোষণা করে ‘মোবাইল ফোন থেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে এর তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।’ এর মানে এই না যে মোবাইল ফোন থেকে স্বাস্থ্য হানি বা শারীরিক ক্ষতির সম্ভবনাকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অতিমাত্রায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের কারণে মানব দেহের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এতে কোন সন্দেহ নেই।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন যেমন খাবারকে গরম করে ঠিক একই ভাবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন মানুষের দেহকোষকে উত্তপ্ত করে। কারণ মানুষের দেহ অতিমাত্রায় উত্তাপ সহ্য করারমত করে তৈরি হয় নি। বিশেষ করে রক্ত প্রবাহের স্বল্পতার কারণে আমাদের চোখ অ এর আশেপাশের এলাকা এই উত্তাপ থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মোবাইল ফোন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন ও নন- আয়োনাইজিং রেডিয়েশন দুই ধরনেরই হতে পারে। আয়োনাইজিং রেডিয়েশন এর চেয়ে নন- আয়োনাইজিং রেডিয়েশনে ক্ষতির মাত্রও অনেক কম হলেও দীর্ঘ দিন ধরে এই রেডিয়েশন ঘটলে কি হয় বলা মুশকিল। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, একনাগাড়ে অনেক দিন এই রেডিয়েশন ব্যবহারের কারণে মানব দেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। মানুষ বর্তমানে যে হারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেছে তাতে স্বাস্থ্য হানি হওয়াটা স্বাভাবিক।

মোবাইল রেডিয়েশনের সম্ভাব্য রোগসমূহঃ

  • *ক্যান্সার (Cancer)
  • *ব্রেইন টিউমার (Brain tumors)
  • *আলঝেইমার’স (Alzheimer's)
  • *পারকিনসন’স (Parkinson's)
  • *ক্লান্তি (Fatigue)
  • *মাথা ব্যথা (Headaches)

মোবাইল ফোনের সঙ্গে জরিত যত রোগের কথা এ পর্যন্ত উঠেছে তার মধ্যে ক্যান্সার ও ব্রেইন টিউমারই প্রধান। তবে এ ব্যাপারে অনেক গবেষণে চালিয়েও গবেষকরা এ পর্যন্ত কোন স্থির সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারেনি।

বিভিন্ন গবেষণাঃ

ডেনমার্কের এক দল প্রায় ২০ বছর ধরে ৪ লক্ষ ২০ হাজার ডনিশ নাগরিকের উপর গবেষণা চালানোর পর ২০০৬ সালে তারা ফল প্রকাশ করে – তাদের গবেষণায় মোবাইল ফোন ও কান্সারের কোন সম্পর্ক পাওয়া যায় নি। আমরা জানি যে মোবাইল ফোন দেশ ও মহাদেশ ভিত্তিক তৈরি হয়। তার মধ্যে ধরা হয় ইউরোপ মহাদেশের জন্য যে মোবাইল ফোন গুলো তৈরি হয় তার গুনাগুন সবচেয়ে ভালো। তাই ডেনমার্কের গবেষকদের তথ্য সকলের জন্য নির্ভর যোগ্য নয়।

২০০৫ সালের সুইডিশ গবেষকদের একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে Glioma বা Meningioma (মস্তিস্কের টিউমার বিশেষ) হতে পারে এমন কোন তথ্য প্রমাণ পায় নি গবেষকরা। তবে দশ বছরের বেশি সময় ব্যবহার করলে কোন  মস্তিস্কের টিউমার হবার সম্ভবনা আছে কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান তারা।

সুইডেনের ক্যারিলিওনস্কা ইন্সিটিউট- এর গবেষকরা মোবাইল ফোনের সঙ্গে ব্রেইন টিউমারের সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা চালান। গবেষণা শেষে তারা মন্তব্য করেন – দশ বছর বা তার বেশি রিতিমত মোবাইল ব্যবহার করলে Acoustic Neuroma নামক ব্রেইন টিউমারের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তবে ১০ বছরের কম সময় মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই টিউমার হবার কোন লক্ষন দেখা দেয় নি।

২০০৭ সালে Dr. Lenart Hardel নামক এক সুইডিশ গবেষক তার গবেষণা রিপোর্টে বলেন – অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্ষতিকর তথা Malignant Tumor হবার আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়াও মানুষ মাথার যে পাশে ফোন ধরে কথা বলে সেপাশে টিউমার হবার সম্ভবনা বেশি থাকে বলে জানান Dr. Hardel . শুধু তাই নয় টানা ১০ বছর ধরে প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে টিউমারের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায় বলে অভিমত দেন Dr. Hardel .

এখনও বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে গবেষণা চলছে।

যেভাবে নিরাপদ থাকতে হবেঃ

গবেষণা নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে তার মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে ক্ষতি হবার সম্ভবনা আছে বলে বেশির ভাগ গবেষকদের ধারনা। যেহেতু মোবাইল একটি খুব প্রয়োজনীয় ডিভাইস তাই এটা ব্যবহার করতেই হবে। তাই নিরাপদ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে। অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি এবং সুইডেন ইত্যাদি দেশের তেজস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কতৃপক্ষ মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে নিরাপদ থাকার জন্য তাদের নাগরিকদের কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছেঃ

  • হ্যান্ডস-ফি মোবাইল ব্যবহার করতে হবে।
  • মোবাইল ফোনকে যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • এক্সটারনাল এন্টেনা ছাড়া গাড়িতে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথা থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • এক টানা দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা উচিত নয়।
  • বিল্ডিং এর ভিতরে যথা সম্ভব ফোনে কোন কথা বলা।
  • যত টুকু সম্ভব বাহিরে বসে ফোনে কথা বলা ভালো।
  • মোবাইল যতটা সম্ভব শিশুদের থেকে দূরে রাখা ভালো।

আসুন সকলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে সচেতন হই ও অন্যকে সচেতন করি। এতে আমারাই বিপদ থেকে রক্ষা পাবো।

টিউন টি সর্বপ্রথম “মৌমাছি” তে প্রকাশিত। সময় থাকলে ঘুরে আসুন জানার আছে অনেক কিছু – মৌমাছি

আমার মনে হয় এই বিষয়টাতে সকলের জানা উচিত। আপনারও যদি মনে হয় তবে নীচে নির্বাচিতটিউন হিসাবে মনোনয়ন করুন।  

Level New

আমি হোসেন রাহাত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 210 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

প্রযুক্তিকে ভালোবাসি আর মানুষকে সাহায্য করতে পছন্দ করি তাই Blogging এর মাধ্যমে নিজের মনের ইচ্ছাকে পূরণ করার চেষ্টা করছি। আমাকে আরও জানতে Visit করুন -হোসেন রাহাত


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

shikkhonio tune, onek kichhu jante parlam,
ekta prosno–bluetooth die je amra hands-free kotha boli, shetate rdiation er matra kemon?

    @learner: ভাই BlueTooth Device এর রেডিয়েশন সম্পর্কে জানা নেই। আমি এখনই দেখতেসি কারণ আমিও নিজে BlueTooth Device ব্যবহার করি। তবে সবচেয়ে ভালো HeadPhone দিয়ে কথা বলা। এতে প্রবলেম হয় না।

আপনার লেখাটা আমার ফেসবুক ওয়ালে এড করলাম, সবাই জানুক-এই উদ্দেশ্যে…

বেশ তথ্য সমৃদ্ধ টিউন…

অনেক সুন্দর এবং সচেতন মুলক একটি টিউন,
অনেক অনেক ধন্যবাদ টিউনের জন্য।

অতি বাস্তব ও প্রয়োজনীয় টিউন!

ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করাও ক্ষতিকর। কারণ এটা খুব বেশী ফ্রিকোয়েন্সী ব্যবহার করে। ইউরোপ আমেরিকার মোবাইল ভালো হয় কারণ তাদের জিএসএম ব্যান্ড বেশী থাকে, বাংলাদেশে এত ব্যান্ড মোবাইল কোম্পানি ব্যবহার করেনা মনে হয় [সঠিক জানা নেই]। একারণে এসব ডিভাইস আমাদের দেহ থেকে দুরে রাখাই ভালো। আর আমরা তো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক কণার সাগরে ডুবে আছি, এসবের লক্ষণ প্রকাশ পায় শত শত বছর পরে। তাই আমরা বর্তমানে জানতেও পারছিনা কি হবে।

মনোনয়ন দিলাম। 🙂

কাজের টিউন।
চালিয়ে যান। 😀

অনেক কষ্ট করে তথ্যবহুল একটা টিউন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ 😀 সুন্দর টিউন।
একটি মোবাইলের চেয়ে কস্পিউটার মনিটর আরো বেশি ক্ষতিকর, গামা রশ্মির উৎস।
আসলে মোবাইল রেডিওঅ্যাকটিভ সাবসটেন্স কি না সেটি আগে জানা দরকার। ফ্রিয়োয়েন্সি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিনা।
তরঙ্গ একটা ন্যাচারাল ব্যাপার এবং দুনিয়ায় এমন কোন জায়গা পাওয়া যাবেনা যেখানে ফ্রিকোয়েন্সি থেকে মুক্তি পাব।

মোবাইল রেডিওঅ্যাকটিভ হলে, গামা রশ্মির উৎস হলে জানাবেন।

Level 0

ভাই খাইয়া আর কাজ পাচ্ছেন না আপনে দ্যাখান একজন কে যার এসব রোগ হইছে

    @sobuz: মন্তব্য করার যোগ্যতা না থাকলে মন্তব্য করবেন না। বুঝলেন। আমার আপনাকে দেখানোর দরকার নাই। যারা বুঝার তারা ঠিকই বুঝতে পারছে। এতো সময় খরচ করে এতো ধাটাঘাটি করে টিউন টা করলাম আর আপনি বলতেছেন খাইয়া আর কাজ পাই না। আপনার মত অবুঝ মানুষের কাছে কচু আর তরকারীর মধ্যে তফাত বুঝতে পারবেন না ……

      Level 0

      @হোসেন রাহাত: লোক দেখাতে না পেরে আমার যোগ্যতা নিয়ে টানাটানি করার দরকার নেই আপনার টিউনের প্রসঙ্গে আমি অনেক বইতে পড়েছি কিন্তু বাস্তবে এর প্রমান হিসেবে মাথা ব্যাথা এবং ক্লান্তি ছারা আর কিছুই দ্যাখাতে পারবেন না তাই এই সূএ ধরেই আমি আগের comment টি করেছিলাম

    @sobuz: এই টিউনটার প্রতিটা কথা চিন্তা করার মত ও পরিক্ষিত। পারলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেন অনেক তথ্য পাবেন। আর একটা কথা এই টিউনটা করতে আমার কত কষ্ট আর কত সময় লাগসে তা আমি জানি। তাই এটার মূল্য আপনার কাছে না থাকতে পারে আমার কাছে আছে। আরও মানুষের কাছে এর মূল্য আছে তা আরও মন্তব্য পড়লে বুঝতে পারবেন।

      @হোসেন রাহাত: এখন যেই সূত্রের কথা আপনি বললেন তা কিন্তু আগে বলেন নি। তা না করে আপনি সরাসরি বলেছেন আমি নাকি খাইয়া আর কাজ পাই না। আমরাতো গবেষণা করি দেখি না, উপর দিক থেকে যা বুঝি তাই মনে করি। যারা গবেষক তারা যেহেতু এতো কথা বলেছে সেখানে কোন না কোন ব্যাপারতো আছে তাই না। আর আমি যোগ্যতার কথা বলছি কারণ আপনি যদি আমার টিউনটা ভালো ভাবে পড়তেন তবে বুঝতেন এটা লিখতে আমার কত ঘাটাঘাটি করা লাগছে কত সময় লাগছে আর এমন না যে ফালতু একটা বিষয় নিয়ে টিউন করেছি। তা যদি বুঝতে পারতেন তাহলে “আমি নাকি খাইয়া আর কাজ পাই না” এ কথা বলতে পারতেন না ।

      Level 0

      @হোসেন রাহাত: ভাই বাংলা লেখা অনেক ঝামেলা তাই এক লাইনে কাম সারতে চাইছালাম

    @sobuz: “মাথা ব্যাথা এবং ক্লান্তি”র বাইরে আরো কিছু আছে। আপনার চারপাশে এত ইলেক্ট্রোনিক ওয়েভ, মোবাইল, টিভি, ওয়াইম্যাক্স, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ – এসবের এত তরংগ অনবরত আমাদের দেহকে ঘিরে রেখেছে এটুকু কি একবারও ভেবে দেখেছেন? এটা কি ভাবেন যে একটা মোবাইল কেন GSM 850 / 900 / 1800 / 1900 এরকম ব্যান্ডে বানানো হয়? যাই হোক, রোগ হয়নাই বলে সচেতন হবনা এমন কোন কথা নেই। এরকম গুরুত্বপুর্ণ অনেক কিছু নিয়েই বিশ্বে আলোচনা হয়, আপনি তাদের যেয়ে বলেন তারা খেয়ে কাজ পাচ্ছে কিনা।

    @লেখক, কমেন্ট মডারেশনে দেন, টিউনের পরিবেশ নষ্ট করার মানে হয়না।

      Level 0

      @মিনহাজুল হক শাওন: তাদের আমার কাছে এনে দেন দেখি বলতে পারি আর না পারি সেটা তখনই বুঝাইয়া দেব গ্যারান্টি

    @sobuz: যান মিয়া, জিমি ওয়েলেসরে পিন দিয়া আসেন এইহানে।

ভাই কি বলে যে থ্যাংকস জানাব এই টিউন করার জন্য তা বলে প্রকাশ করতে পারব না। অনেক উপকার হল আপনার এই টিউন পড়ে। পারলে এ রকম শিক্ষামূলক তিউন করেন।

বস, ভাল লিখেছে। মজা পাইলাম। ধন্যবাদ।

Level 0

ধন্যবাদ সতর্ক কারর জন্য ।

@সবুজ :
আসলে একটা টিউন কর্তে কিন্তু অনেক কষ্ট হয়। তাই কমেন্ট এর ব্যাপার এ সবার সচেতন থাকা উচিত।
আজে বাজে কমেন্ট করে টিউনার কে নিরুতসাহিত করবেন না।
@ শাওন ভাই: আপ্নি ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে এত ভাবসেন কেন? সেলের জিনের উপর ফ্রিকোয়েন্সির তো কোন প্রভাব নেই। শব্দ একটা ফ্রিকোয়েন্সি। এটা ২০-২০০০০ হার্টজ হতে পারে। আলোর ফ্রিকোয়েন্সি আছে বিভিন্ন মাত্রায়। ফ্রিকোয়েন্সি তো হেলথ হ্যাজার্ড করে না। সমস্যা করে রেডিয়েশন।

* হ্যান্ডস-ফি মোবাইল ব্যবহার করতে হবে।
* মোবাইল ফোনকে যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখতে হবে।
* এক্সটারনাল এন্টেনা ছাড়া গাড়িতে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়।
* ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথা থেকে দূরে রাখতে হবে।
* এক টানা দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা উচিত নয়।
* বিল্ডিং এর ভিতরে যথা সম্ভব ফোনে কোন কথা বলা।
* যত টুকু সম্ভব বাহিরে বসে ফোনে কথা বলা ভালো।
* মোবাইল যতটা সম্ভব শিশুদের থেকে দূরে রাখা ভালো।

Amra bodh hoy er ulto guloi kori.

Level 0

সবই ভালো লাগলো শুধু একটি নাতিবাচক মন্তব্য ছাড়া । আশা করি এ ধরনের tune আর পাব । ধন্যবাদ ।