লিনাক্সঃ আবেগ ও বাস্তবতার সীমারেখা যেখানে……

এই টিউনের শিরোনামে “লিনাক্স” শব্দটির স্থলে “ওপেন সোর্স/ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম" লিখলে হয়ত আরও ভাল হত, তবে শিরোনামের প্রয়োজনেই এমনটি করতে হয়েছে। সাধারণত, আমরা ফ্রি/ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বলতে চোখের সামনে প্রথমেই লিনাক্স ভিত্তিক উবুন্তুকেই ভেসে উঠতে দেখি। নিরাপত্তা হচ্ছে উবুন্তুর অনেকগুলো সুবিধার মধ্যে অন্যতম। একথা চরম উবুন্তু-বিদ্বেষী লোকেরাও স্বীকার করে নিতে বাধ্য। কি, “চরম উবুন্তু-বিদ্বেষী” কথাটি লিখায় অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। একটু চোখ-কান খোলা রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজ করলেই উবুন্তু বা, ফ্রি ও.এস নিয়ে সমালোচনামূলক লেখা পোস্ট পেয়ে যাবেন। যাইহোক, সেদিকে আমি যাচ্ছিনা। বিশ্বব্যাপী যেসব দেশের বিরুদ্ধে সফটওয়্যার পাইরেসির দুর্নাম আছে আমাদের বাংলাদেশও তার মধ্যে অন্যতম। আমাদের বেশিরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারীরই পাইরেটেটেড সফটওয়্যার (উইন্ডোজ ও.এস) দিয়ে কম্পিউটারে হাতেখড়ি। সেই সাথে দোকান থেকে দিয়ে দেয়া অনেক ক্র্যাকড, সিরিয়াল-কি যুক্ত সফটওয়্যার তো রয়েছেই! আজকাল “One PC One DVD” তে নানান সফটওয়্যারের সমাহার পাওয়া যায় যার প্রায় সবগুলোই পাইরেটেড।

আমরা সবাই বুঝি, পাইরেসি অন্যায়। আমাদের নৈতিকতা,  দেশপ্রেম এবং বিশ্বদরবারে মাতৃভূমির সম্মান রক্ষার আবেগ থেকেই ওপেনসোর্স এর দিকে যাত্রা শুরু। কিন্তু এই যাত্রা অনেক ক্ষেত্রেই কিছু কারণে থেমে যায়। আমাদের আবেগ ও বাস্তবতার সীমারেখা সেখানেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

“উবুন্তু”কেই আমি এই টিউনে ওপেনসোর্সের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহার করব। উবুন্তু হচ্ছে অত্যন্ত সুপরিচিত লিনাক্স বেসড অপারেটিং সিস্টেম। ক্যানোনিকাল এর সহযোগিতায় উবুন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের মত গ্রাহকদেরকে ফ্রি’তে সিডি দিয়েছে- যদিও বর্তমানে শিপ-ইট (ফ্রি সিডি দেয়ার) প্রোগ্রাম বন্ধ আছে। সন্দেহ নেই, আমাদের যাদের ইন্টারনেট সুবিধা সীমিত, তাদের জন্য শিপ-ইট একটি ভাল উদ্যোগ।

বছরখানেক আগের কথা, আমার এক বন্ধু, যে উইন্ডোজ এক্সপির খুব ভক্ত ছিল, তাকে একটা উবুন্তুর সিডি দিয়ে এর উপকারীতার কথা বলায় সে আগ্রহ নিয়ে উবুন্তু ইন্সটল করার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু বেচারা ইনস্টল করার সময় তার পুরো হার্ডডিস্কটাই ফর্ম্যাট করে দিল! তার ভাষায়, একদম চোখের সামনেই নাকি “Erase The Disk” অপশন ছিল। তারপর কোডেক নামানো, সফটওয়্যারের “অপ্রতুলতা” ইত্যাদির কারণে সে আবার সেই এক্সপিতেই ফিরে গেল- মাঝখান থেকে থেকে হার্ডর্ডিস্কের যাবতীয় ডাটা হাওয়া হয়ে গেল।

আরও অনেকেই এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। উবুন্তুর ইউজার ইন্টারফেসের সাথে “দুর্বোদ্ধ্যতা” শব্দটির ব্যবহার হয়ত এখান থেকেই শুরু।

প্লাগ-ইন এর লাইসেন্স সংক্রান্ত একটা সীমাবদ্ধতা আছে আমি জানি, কিন্তু তবুও যখন উবুন্তু ইন্সটল দিয়ে অডিও-ভিডিও প্লে করা যায়না, তখন একটু হতাশই হতে হয়। যেখানে আমাদের অনেকেরই ইন্টারনেট সুবিধা খুব সীমিত, সেখানে চোখের সামনে প্লাগ-ইনের নামে মেগাবাইটের পর মেগাবাইট ডাটা বিসর্জন দেয়া একটু কষ্টকরই বটে।

উবুন্তুতে কিছু কিছু কাজ আছে যাতে কমান্ড লাইন ব্যবহার করা লাগে। অনেকে হয়ত কমান্ড ভালবাসেন, তবে আমার মত “ননটেকি” মানুষের জন্য এটা একটু কঠিন। অনেকে উইন্ডোজের “নেক্সট” বাটন চেপে সফটওয়্যার ইনস্টল করার চেয়ে উবুন্তুতে মুখস্ত কমান্ড বা সফটওয়্যার সেন্টারে গিয়ে “ওয়ান ক্লিক” পদ্ধতি পছন্দ করেন। কিন্তু উইন্ডোজের ঐ “নেক্সট” বাটন কিন্তু আপনাকে লোকেশন, কনফিগারেশনের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা দেয়!

উবুন্তুতে .deb প্যাকেজ ব্যবহার করে সফটওয়্যার ইনস্টল করা একটি সুবিধাজনক পদ্ধতি। কিন্তু উবুন্তুর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সফটওয়্যারই অনলাইনে থেকে ইনস্টল করতে হয় যা আমাদের অনেকের জন্য “অসম্ভব”।

আমার ডেস্কটপে উবুন্তু ১০.০৪, কুবুন্তু ১০.০৪ এবং উইন্ডোজ সেভেন সাইড বাই সাইড ইনস্টল করা। উবুন্তু ভালোই চলে, কিন্তু কুবুন্তু প্রায়ই হ্যাং করে। তার উপর “প্যাকেজ ব্রোকেন” সমস্যা দুইটায়ই পোহাতে হয়েছে। উবুন্তু ১১.০৪ বের হওয়ার খবর পেয়েই গ্রামীণফোনে পি৩ নিয়ে দুই দিন ধরে তা ডাউনলোড করেছিলাম। কিন্তু ইনস্টল করতে গিয়ে দেখলাম রুট পার্টিশন না কি যেন নির্ধারণ করতে বলতেছে, যা অনেক চেষ্টা করেও পারিনি। ইন্টারনেট সার্চ করে দেখলাম অনেকে অনেক কথাই বলছে যার মধ্যে কেউ কেউ এটাকে “বাগ” বলেও অভিহিত করেন। অবশেষে কোনক্রোমে ইনস্টল করে দেখলাম ইউনিটি (১১.০৪ এর ডিফল্ট ইউ.আই) হতাশাজনকভাবে স্লো। এর চেয়ে ১০.০৪ অনেক দ্রুত!

এরকম আরো অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য আমরা চাইলেও সফটওয়্যার পাইরেসি এড়াতে পারছিনা। প্রতিদিন বাংলা ব্লগগুলোতে ওপেনসোর্স নিয়ে কয়টা পোস্ট হচ্ছে আর সফটওয়্যারের ক্র্যাক, সিরিয়াল, কিজেন নিয়ে কয়টা হচ্ছে একটু খেয়াল করলেই বাস্তবতা টের পাওয়া যাবে। উবুন্তু ব্যবহার করার লোকের অভাব নেই, কিন্তু এত এত টাকা খরচ করে ইন্টারনেট নিয়ে “সফটওয়্যার প্যাকেজ” ডাউনলোড করা সত্যিই কঠিন। তাই অনেকেই পাইরেসি বাদ দিয়ে ওপেনসোর্স ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি ঊজ্জ্বল করার প্রয়াস নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওপেনসোর্সের পথে যাত্রা করেন ঠিকই কিন্তু আমাদের টেকনিক্যাল সীমাবদ্ধতার কারণেই তা থেমে যেতে সময় লাগেনা। এক্ষেত্রে সরকার যদি ইন্টারনেটের খরচ একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় কমিয়ে দিতে ISP গুলোকে বাধ্য করেন এবং ওপেনসোর্স নিয়ে বেশি বেশি কর্মশালার আয়োজন করেন, তবে হয়তো এর সুফল পাওয়া যাবে। সাথে সাথে আমাদেরও মেধাস্বত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

সবাইকে ধন্যবাদ, আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন।

Level 0

আমি আরাফাত বিন সুলতান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 197 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

khubi shundor totthobohul & bastobdhormi tune. prio te nilam. Jekono notun jinishe dakar age tar demerits gulo shomporke shobaike shocheton kora uchit,noile ashvonger bedona ta beshi hoy.

আপানর চিন্তার প্রতি আমি সম্মান জানাই। কিন্তু

আমি নিজে এবং আমাদের লিনাক্স কমিউনিটি থেকে প্রাস সবাই কাস্টমাইজ ডিভিডি দিয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজন হলে আওয়াজ দিয়েন। ঢাকার ভিতরে হলে নিজে এসে দিয়ে যাব আর ঢাকর বাইরে হলে আপনাকে কুরিয়ার খরচ এবং ডিভিডির দাম দিতে হব। শিপইট বন্ধ হয়েছে তাতে কি হয়েছে আমরা আছি না। আপনার জেলাতেই দেখবেন অনেক বোকা মানুষ আছে যারা আপনাকে উবুন্টুর ডিভিডি দিবে।

আপনি উবুন্টু ১১.০৪ এর কথা বলছেন, আপনি হয়ত বা নতুন ইউসার নন, কিন্তু মনে হয় এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। ইউনিটি উবুন্টু তথা ওপেস সোর্স ওএস এর জন্য একদমই নতুন ডেস্কটপ ইনভায়রনমেন্ট। তাই কিছু দিন সময় লাগবে এট ঠিক হতে।

আপনার যে বন্ধুটির কথা বললেন সাটা উবুন্টু’র দোষ নয়, আমাদের দোষ। উইন্ডোজ ৯৮ এবং ২০০০ ইন্সটল করতে যেয়ে আমিও একই কাজ করেছিলাম। কিন্তু উইন্ডোজে দোষারোপ করি নাই তখন। কারন জানতাম এটা আমার ভুল।

কোডোকের কথা বলছেন, আপনি যদি উইন্ডোজ কিনে চালাতেন এবং বুঝতেন কোডেক ফ্রি জিনিশ কিন্তু আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে নিতে হচ্ছে, তাহলে তখন বলতেন কেন ফ্রি জিনিশ টাকা দিয়ে কিনব?

শেষ কথা হল আপনি হয়ত বা নতুন বা আমাদের কমিউনিটি কি পরিমান কাজ করে তা আপনি জানেন না, তাই বলছেন। লিনাক্স বিষয়ক সচেতনা বাড়াতে FOSS Bangladesh সারা দেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এখন। এরই মধ্যে আয়োজন করেছে “লিনাক্স ডে ২০১১” এবং ” “সফটওয়্যার মুক্তি দিবস ২০১১” -তে বাংলাদেশের আয়োজন” “। তাছাড়া বিডিওএসএন এবং অঙ্কুর ফাউন্ডেশন ও কাজ করে। আর লিনাক্সের জন্য বাংলায় ডেডিকেটেড ফোরামই আছে আমাদের forum.linuxdesh.org। যা নবম শ্রেনীতো পড়ুয়া এক ছাত্রের করা। কমিউনিটি’র কার্যক্রম নিয়ে আমি প্রায়ই পোস্ট করি এখানে। চোখ রাখবেন তাহলেই বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

    @আশিকুর_নূর: ভাইয়া,
    আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আমার কাস্টোমাইজড ডিভিডির দরকার নেই, আমি নিজেই “রিমাস্টারসিস” ব্যবহার করে কাস্টমাইজড ডিভিডি তৈরী করে কয়েকজনকে দিয়েছি। আপনি যাদেরকে “বোকা” বললেন, আমিও হয়ত কিছুটা ওরকম।
    ইউনিটি সম্বন্ধে“তেমন কিছু” না জানলেও এটা যে একদম নতুন, তা আমি জানি। আমি কিন্তু টিউনের মধ্যেই বলেছি যে, আমি “ননটেকি”। তবে এটুকু বুঝি যে, “কিছু দিন সময় লাগবে এট ঠিক হতে”। আর তাই টিউনের মধ্যেই বলা আছে যে ১০.০৪ এর চেয়ে দ্রুত।
    হ্যা ভাইয়া, ঐ বন্ধুটির ভুল তো ছিলই, আর ওখানে “Erase” এর জায়গায় “Format” থাকলে হয়ত ঐ দুর্ঘটনাটা ঘটত না। আমরা তো “Format” শব্দটির সাথেই বেশি পরিচিত।
    কোডেকের End User License সংক্রান্ত বিষয়টি আমি উল্লেখ করেছি। আপনি যা বলেছেন তা আমিও জানি কিন্তু এত কিছু লিখলে তো টিউন আরও বড় হয়ে যাবে, তাই সংক্ষেপে উল্লেখ করেছি।
    ভাই, আমি জানি, ওপেনসোর্সের জন্য নিবেদিত প্রাণ মানুষরা আছেন বলেই এটা আরও অনেকদূর পাড়ি দিতে পারবে। আমি কিন্তু লিখেছি আমাদের সরকার যদি এক্ষেত্রে আরও এগিয়ে আসেন তবে কাজটা অনেক সহজ হয়। বর্তমান লিনাক্স ফোরামটির দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
    আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

মোটামুটি সব উত্তরই আশিকুর ভাই দিয়ে দিয়েছেন তবে ১১.০৪ এর ব্যাপারে আমি একটু বলি।
ধরুন উইন্ডোজ ৮ এর ডেভলপার এর কপি ইন্টারেনে পাচ্ছেন এটাতে কিন্তু অবশ্যই বাগ আছে, কারন মাইক্রোসফট নিজেই বলেছে।

আপনি উব্ন্তুর ১১.০৪ ভার্সনটিকে একটা বেটা ভার্সন বলতে পারেন, স্ট্যাবিলিটি চাইলে ইউজ করুন LTS মার্ক করা ভার্সনগুলা এগুলাতে সর্বোচ্চ বাগ ফ্রি করা থাকে। যেমন ১০.০৪ এই ভার্সনটা সবথেকে বেশি স্ট্যাবল। ১১.০৪ এ যা যা নতুন এসেছে(যেমন ইউনিটি) এগুলা পুরোপুরি ব্যাবহারের উপযুক্ত হবে নেক্সট LTS ভার্সনে।

    @আশিফ শাহো: ভাইয়া, উইন্ডোজ ৮ এর ওটা অফিসিয়ালি ডেভেলপার প্রিভিউ আর উবুন্তু ১১.০৪ কিন্তু ফাইনাল ভার্সনই ছিল। যাই হোক, আমার উবুন্তুর প্রতি কোন বিদ্বেষ নেই। আমি টিউনের মধ্যেই বলেছি আমার ডেস্কটপে উবুন্তু, কুবুন্তু এবং উইন্ডোজ ৭ মাল্টিবুট দেয়া। লিনাক্সের জন্য আমি অনেক কাঠ খড় পুড়িয়েছি। আমি এই টিউনে কেবল বাস্তবতা তুলে ধরেছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

      @আরাফাত বিন সুলতান: তাহলে আমাকে বলুন এক্সট্রা করে LTS ভার্সন বের করা হয় কেন? সর্বোর্চ্চ স্ট্যাবিলিটি পেতে সবাইকে LTS ভার্সই ব্যাবহার করা উচিৎ।

    @আশিফ শাহো: সবাইকে LTS ব্যবহার করা উচিত-আমিও তাই করি, আমার ডেস্কটপে এখনো উবুন্তু এবং কুবুন্তু উভয়ই ১০.০৪। কিন্তু নতুনের প্রতি সবারই আগ্রহ থাকে তাই নতুন ভার্শনটাও সেটাপ দিয়েছিলাম। যেটা স্লো সেটাকে তো স্লো বলতেই হবে, ভালবেসে দোষত্রুটি লুকিয়ে রাখলে সেটা কারো জন্যেই মঙ্গলজনক নয়। আর এভাবেই অসংখ্য ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক নিয়ে ওটা একসময় “LTS” হিসেবে আত্নপ্রকাশ করবে।

Amar Gigabyte G41MT-D3 Motherboard e Julia install kore sound pai ni, jotto update lage sob korchi, but result zero. Pore sunlam, Gigabyte e naki problem ache, linux er sound e jhamela ache. Now win7 use korchi.

Level 0

আপনার লেখা খুবই সম্রিদ্ধ ও সাবলীল। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।

    @tech_freak: কি যে বলেন ভাইয়া, আমি টিউনের জগতে নতুন। দোয়া করবেন যাতে নিয়মিত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

gp or banglalion modam use kora jaba.

    @আই, এইচ, কমল: জ্বি দুইটাই যাবে। জিপিটা একদমই সহজ, বাংলালায়নটা ততটাই কঠিন।

      @আশিকুর_নূর: আশিক ভাই কি কন? আগে কত কষ্ট কইরা ডিপেন্ডেসি সহ usb_modeswitch আর wvdial নামাইতে হইত, ফ্লিপ করাইতে কোড দিতে হত, কত ঝামেলা ছিল! এখন সব বিল্ট ইন আস্তেছে বইলা মডেম লাগালেই চলে। অনিরুদ্ধ কইসে, ৩.০.৪ কার্নেলে বিল্ট ইন ওয়াইম্যাক্স সাপোর্ট থাকবে। তখন এটাও সাধারণ ডায়ালআপ মডেমের মত সহজ হবে। আর বড় কথা – বাংলালায়ন আমাগো হেল্প করেনাই, ব্যপারটাই পুরাই নন-অফিসিয়াল হইয়া আছে। তবুও দেখেন আমি সারাদিন লিনাক্সে, উইনডোজ এর পার্টিশান মুছে ফেলে লিনাক্স দিসি। 🙂

    @আই, এইচ, কমল: দুটাই এখন লিনাক্সে চলে

আপনার লেখা বেশ সুন্দর। আজকাল টেটি-তে এরকম লেখা কম পাই, তাই কমেন্ট দিতে ইচ্ছা করেনা। আপনাকে যখন পেয়েছি সব কয়টার উত্তর দেই।

তার ভাষায়, একদম চোখের সামনেই নাকি “Erase The Disk” অপশন ছিল।

ফরম্যাট মানে হার্ডডিস্ককে নির্দিষ্ট ফাইল সিস্টেমের আওতায় আনা। লিনাক্সের এই সমস্যা “সমস্ত ডিস্ক মুছে ইন্সটল হতে চাওয়ার প্রবণতা” আগে ছিল। এখন এত সুবিধা হয়েছে যে আপনি বুট করে যাতে পার্টিশান কম বেশী করে নিতে পারেন সেজন্য পার্টিশান ম্যানেজার দেওয়া আছে। তার উপর বর্তমানে কোন ওএস থাকলে সেটার সাথে পাশাপাশি ইন্সটল করার সুবিধা আছে, এমনকি সেই ওএস/উইনডোজ থেকে ডকুমেন্ট ইত্যাদি ইমপোর্ট করা যায়।

কিন্তু উইন্ডোজের ঐ “নেক্সট” বাটন কিন্তু আপনাকে লোকেশন, কনফিগারেশনের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা দেয়!

এটা আমিও খুব মিস করি। তবে সুবিধাটা কি জানেন? সময় বাচে খুব। আর উইনডোজে নিজের মত কনফিগার করে যা করা হয় তা হল – আপডেট যেন না নেয় [নিলেই ক্র্যাক ধরা পড়বে/ব্যাকগ্রাউন্ডে আপডেট নিবে], ডেস্কটপে শর্টকাট বা কুইক লঞ্চ যেন না বানায় ইত্যাদি। আর লোকেশান কাস্টোমাইজেশনের ব্যপারটা আগে থেকেই করা সম্ভব। অর্থাত লিনাক্সের home, bin, lib এগুলা আলাদা আলাদা স্থানে ইন্সটল করা সম্ভব। ফলে কখনো রুট পার্টিশান মুছলে তথ্য হারানোর ভয় নেই।

“প্যাকেজ ব্রোকেন”

এটা হয় ভুলভাবে ইন্সটল করতে গেলে বা প্যাকেজে এরর থাকলে। অনেকেই আপডেট, সফটওয়্যার সেন্টার আর সিনাপ্টিক একসাথে চালু করে ফেলেন। তখন এরকম হয়। সতর্ক থাকলেই এটা এড়ানো সম্ভব। আর ব্রোকেন হলে তো কমান্ড দিলেই রিপেয়ার হয়ে যাবে। sudo apt-get install -f. তারপর sudo apt-get update && apt-get upgrade

কিন্তু ইনস্টল করতে গিয়ে দেখলাম রুট পার্টিশন না কি যেন নির্ধারণ করতে বলতেছে, যা অনেক চেষ্টা করেও পারিনি।

এই কাজ প্রথমে আমিও বুঝিনি। আমরা উইনডোজ দিলে সেটা হয় সি ড্রাইভ। মানে যা কিছু থাকে windows, documents and settings, program files – সব থাকে এই ড্রাইভে। লিনাক্সে এরকম না হয়ে বলা হয় রুট। মানে “/”। রুট হিসেবে মাউন্ট দেওয়া মানে lib, usr, home সব ফোল্ডার ওই পার্টিশানে থাকবে।

কেউ কেউ এটাকে “বাগ” বলেও অভিহিত করেন।

আমার কাছেও বাগ মনে হত। কিন্তু লিনাক্সের ফাইল সিস্টেম এমনই। বরং এভাবে ডিস্কের রিড রাইট প্রসেস আরো বাড়ে যা ntfs/hfs এর চেয়ে ভালো।

চোখের সামনে প্লাগ-ইনের নামে মেগাবাইটের পর মেগাবাইট ডাটা বিসর্জন দেয়া একটু কষ্টকরই বটে।

এরকম সমস্যার কারণেই আছে লিনাক্স মিন্ট। মাত্র ৯০০ মেগার কম একটা আইএসও থেকে পাবেন লিনাক্সের সকল সুবিধা, সকল প্লাগইন, প্লেয়ার, ফ্লাশ, ডকুমেন্ট রাইটার, রিডার। আর যারা “মেগাবাইটের পর মেগাবাইট” খরচের পাল্লায় পড়ে তাদের একটু সতর্ক হলেও হবে। লিনাক্সে প্রথমে নতুন কার্নেল ইমেজ [যা ৩০/৪০মেগাবাইট নামায়] আপডেট দেয়। তাছাড়া অনেক সফটওয়্যারের আপডেট থাকে। চাইলেই অপ্রয়োজনীয় সকল আপডেট বন্ধ করলেই হবে। আর এসব কঠিন লাগলে টার্মিনালে “sudo apt-get install vlc” লিখলেই মাত্র ১১ মেগাবাইটে মিডিয়া প্লে করার যা কিছু লাগে চলে আসবে।

আপনার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। আশা রাখি এরকম আরো লিখবে। ধন্যবাদ।

    @মিনহাজুল হক শাওন: ভাইয়া এত কষ্ট করে এতগুলো সমস্যার সমাধান দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি মনে করি, নিজের জন্য নাহোক, অন্তত আমাদের এই প্রিয় দেশটার মান-সম্মানের জন্য হলেও আমাদের পাইরেসি এড়িয়ে চলা উচিত। ভালো থাকবেন।

      @আরাফাত বিন সুলতান: আসলে কোন কাজ করতে সবার আগে প্রয়োজন ইচ্ছা। সেটা হারালেই শেষ পর্যন্ত যাওয়া যায়না। প্রথমে আমিও উবুন্তু ৯ কিনে এনে জমানো সকল সফট কালেকশান মুছে ফেলেছিলাম। এখানে একটু দেখুন দেখবেন অনেকেরই এই অবস্থা হয়েছিল। পরে বুঝতে পারি মেধাস্বত্ত কি, পাইরেসীর কারণে বাংলাদেশের দুর্নাম আর বাংলাদেশের রাজস্ব ক্ষতি, সফটওয়্যার মার্কেটের অপ্রতুলতা – তখন পাইরেসী বন্ধ করতে ও সকলকে লিনাক্স দিয়ে বেড়াচ্ছি। আর তার সাথে সবাইকে ডেবিয়ান প্যাকেজ সরবরাহ করার দায়িত্বও আমার। আসলে আমাদের পাশেই অনেকে থাকেন যার কাছে সাহায্য পাওয়া সম্ভব। ডাক না দিলে তো তা পাওয়া যাবেনা, তাইনা?

    @মিনহাজুল হক শাওন: হ্যা ভাই। সাহায্য পাওয়া যায়। আজকে ওপেনসোর্স ব্যবহার করতে পারার জন্য উবুন্তু মেইলিং লিস্টের সাজেদুর রহমান ভাই, লেলিন ভাই, শাবাব মুস্তাফা ভাই, আবির সাদিক ভাই, অভ্রনীল ভাই এবং আরো অনেকের কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।

আপনার সাথে কঠিনভাবে সহমত। 🙂

vai re ami o use koral chasta korchilam, kinto parlam na… Install dite gia hard disk -er 12ta bazalam.. Use kore hotaz holam, abar windows-a pire aslam…

আর হ্যা, ইউনিটি নিয়ে বলা হয়নি। লগিন করার সময় নিচে Ubuntu Classic দিলেই জিনোম চলে আসবে। ইউনিটি আমারো পছন্দ না। উইনডোজ ৮ এরকম ডিজাইন করসে। মেজাজই খারাপ।

লিনাক্সে আরো ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট আছে। LXDE বা XFCE ও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। LXDE চরম স্মুথ!

Level 0

সব কিছুই ঠিক আছে। আমি শুধু বলতে চাই। জানালাতে যেমন নেট কানেক্সন থাকলে সফটোয়্যার নামানো যায়, লিনাক্সে তা না । শুধু জানতে হবে কোডিং পদ্ধতি। তাইলেই শেষ।
আমি ৭ ও লিনাক্স চালাই। তবে ৯৯ ভাগ লিনাক্সে থাকি এখন। এখন এটায় সোজা লাগে।

    @dr.shamim: স্যার আপনি কি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের শামীম স্যার?

      Level 0

      @মিনহাজুল হক শাওন:

      আমি তো রাজশাহীতে থাকি। rmcforum.com এর। আমি এখন ডায়াবেটিক সেন্টার এ।

      হু চিনেছি। হাসিনুজ্জামান শামীম স্যার আপনার কথা বলছিলেন যে আপনার কাছে লিনাক্সের রিপো পাওয়া যাবে। এখন তো সরাসরি বাংলালায়ন চালাই, তাই দরকার পড়েনি। তবে কোন অনুষ্ঠান হলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবো। তাই জেনে রাখলাম। আমি থাকি কাদিরগঞ্জে।

    @dr.shamim: ওপেনসোর্স ব্যবহার করতে পারাটা আসলেই ভাল, কিন্তু এই কোডিং, কমান্ড “ননটেকি” মানুষের জন্য একটু কঠিন। আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

Level 0

আপনার সাথে সহমত

আমার মনে হয় উইন্ডোজের মত লিনাক্সের ইন্সটলের পেজগুলো আরো সহজ হওয়া উচিত। আমি যখন জীবনে প্রথমবার উইন্ডোজ ইন্সটল দেই নিজে, তখন কিন্তু আমার পাশে কেউ ছিল না। সামান্য আইডিয়া থেকেই দিতে পেরেছি কারন, সহজ ভাবে সব কিছু লেখা আছে। কিন্তু লিনাক্স ২ দিন চেষ্টা করেও ইন্সটল করতে পারিনি। তাই লিনাক্সটা ইন্সটল পদ্ধতি সহজ করা উচিত।

Level 0

আমি প্রায় তিন বছর ধরে উবুন্টু ব্যবহার করছি। ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ দু’টা কম্পুটারেই উবুন্টু। আমার নেট কানেকশান অবশ্য প্রচুর ফাস্ট তাই আপডেট বা নতুন কিছু ইন্সটল করতে কোন অসুবিধা হয়না। তবে ১১.০৪ তে ইউনিটির থেকে gnome উবুন্টু ক্লাসিক ইন্টারফেসই ভাল লাগে।কায়রো ডক ও ডকি ইউস করে পুরা ম্যাকের এফেক্ট পাওয়া যায়। আমার ল্যাপটপে উইন্ডোজ় ৭ ডুয়াল বুট থাকলেও কখনই তা ব্যবহার করিনা

    @a1: আমার নেটবুকে উবুন্তু ১০.১০ সেটাপ দিয়েছিলাম। কিন্তু স্লো লাগায় ব্যবহার করতে পারিনি। ওপেনসোর্স ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। ভাল থাকবেন ভাই।

Level 0

@আরাফাত বিন সুলতানঃ আমারও ১০.১০ পছন্দ হয়নি, তারথেকে ১০.০৪ অনেক স্টেবল আর ভাল। তবে আমার ১১.০৪ আরও ভাল লাগে তবে ইউনিটি ইন্টারফেসে না। আপনার নেটবুকের কনফিগারেশান কি জানিনা তবে Xubuntu ব্যবহার করতে পারেন ওটা কম পাওয়ারফুল মেশিনেও ভাল চলে।

Level 0

সহমত

Level 0

যারা উইডোজ থেকে লিনাক্সে আসতে চায় তারা যেন প্রথমে লিনাক্স মিন্ট/ জোরিন কেই প্রাধান্য দেয়। কারন একজন সাধারন ইউজার এর যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে মিন্ট/ জোরিনে। আবার অনেকে উইনডোজ এপ্লিকেশন চালাতে অভ্যস্ত তারা ওয়াইন ব্যবহার করে চাহিদা পূরোন করতে পারেন। আসলে আমরা সকলে ছোট থেকে উইনডোজ ব্যবহার করে অভ্যস্ত থাকায় একে সহজ মনে হয় আর লিনাক্স ডিস্ট্রোকে কঠিন মনে হয়। আমরা যত বছর উইনডোজ ব্যবহার করেছি তত বছর যদি লিনাক্স ব্যবহার করি তাহলে উইনডোজের চেয়েও সহজ মনে হবে।

Level 0

24 gonta lagiya zorin download korlam kintu instal korty galy hdd error dakhy. cd poriskar kora abar instol dita bola. bojta parsina ki korta hoba. abar download dita par bo na. jodi kaow paran tahola sahajjo koran.