শুরুতেই এডমিন ভাইদের কাছে এবং সব রিডারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারন এটি একটি টেকনোলোজী ব্লগ এইখানে এইসব জিনিস দেওয়ার দরকার নাই।
তারপর ও লিখছি কারন হয়তো কার আমার কথাগুলো কারো ভাল লেগে যেতে পারে এবং সেও আমার মতো এইসব পাগলামি ভাল বাসতে পারে।তাই এডমিন ভাই এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে দয়া করে পোস্ট টি পেন্ডিং করবেন না 🙂 🙂
গতপরশু ৩ নভেম্বর ছিল বিশ্ব শিশু দিবশ।তাই সারা দেশে অনেক জায়গায় ই হইতো এইটা পালন হয়েছে।
সিলেটে শহরে গতপরশু দেখা গেছে হলুদ কিছু পাখির দল।এইসব পাখিরা আর কেউই নয় কিছু ভার্সিটি ও স্কুল, কলেজের ছাত্র ছাত্রী, যারা বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে কর্মজীবি ছেলে মেয়েদের নিয়ে কিছু করতে চাইছিল। যারা এই শিশু বয়সেও কাজ করে খায়,যাদের জন্য আনন্দের একটি দিন ও ধার্য করা আছে বলে জানা নাই।যাদের সব দিন ই সমান। যারা আপনার আমার মতো হইতো টেকটিউন কি জিনিস তা জানা তো দূরের কথা কম্পিউটার কি জিনিস চেনেও না।তাদের জন্য অনেক বড় কিছু না হলেও ছোটখাট কিছু কাজ করছে Jagoo Foundation নামক একটি প্রতিষ্ঠান,
প্রতি বছর এ ঢাকায় তারা এই উদ্যোগ নিয়ে থাকে,কিন্তু এইবার সারা দেশে ১০ টি জেলায় এটি পালিত হয়। এই প্রথম সিলেটেও এই রকম কোনো কিছু আয়োজন করা হয়েছে , এবং প্রায় ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই কাজে ভলান্টিয়ার এর দায়িত্ব পালন করে। যাদের কাজ ছিল সব শিশুকে না হোক কিন্তু অন্তত কিছু শিশু কে অই দিন আনন্দ দেওয়ার চেস্টা করা যাক এবং জন সাধারনের মনে কিছুটা সারা জাগানো শিশু শ্রম ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সম্পর্কে । যার জন্য অই দিন সিলেট শহরের ১১ টি পয়েন্টে ভলান্টিয়াররা হলুদ টি-শার্ট পরে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে ছিল। আর ২৫ জন ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব ছিল সিলেট শহরে বিভিন্ন দোকানপাট থেকে কর্মজীবি,সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কে কালেক্ট করে একদিনের জন্য তাদের আনন্দের ব্যবস্থা করা। যদিও সবার জন্য করা সম্ভব না,তাই মাত্র ৭০ জন শিশুকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কালেক্ট করা হয়।এবং তাদের কে সারা দিনের জন্য সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী শিশু পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়,এবং তাদের সম্পূর্ণ দেখাশুনা ও খেলাধুলার ও খাবারের ব্যবস্থাও করে। যদিও ৭০ জন শিশুর জন্য মাত্র ২৫ জন ভলান্টিয়ার অনেক কম, কারন সব ভলান্টিয়াররাই ছাত্র-ছাত্রী এবং অই শিশুরাও অনেক নিচু পরিবেশে মানুষ হয়েছে, যার ফলে অদের কে শামলানো অনেকটা সোজা কাজ ও ছিল না।কিন্তু কি করার অইটা তো অদের দুষ না,অইটা আমাদের সমাজের এ একটি ভয়ানক রুপ, যা আমরা বাহিরে থেকে দেখে ভয় পেয়ে যাই আর অই খুদে শিশুরা জীবন যাপন করে।তারপরও ভলান্টিয়াররা নিজেদের সাধ্যমতে অদেরকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।অরাও অদের সাথে একদিনের জন্য বাচ্চা হয়ে গিয়েছিল,অদের সাথে নাচ,গান,ছবি আঁকা সবকিছুতেই মন খুলে মেতে উঠেছিল ।
এতোক্ষন আমি এত কিছু বলার কারন কোন Advertisement বা কোন গর্ভের কারন নয় যে আমি নিজেও অদের মতো একজন ভলান্টিয়ার ছিলাম।আমার এইসব বলার কারন হচ্চে আমরা মাত্র ২৫০ জন ছেলে মেয়েরা যদি এতটুকু করতে পারি তাহলে সব মানুষ যদি একটু সচেতন হই তাইলে আমাদের সমাজটাকে অনেক পরিবর্তন করতে পারি। আমরা অই কাজ টা কোন কিছুর স্বার্থে করি নাই,অই কাজের ফলে আমাদের কোন কোটি টাকা লাভ বা ক্ষতিও হয় নাই,শুধু মাত্র আমাদের জীবনের একটি দিন অদের জন্য দিয়ে দিছি, যাতে অই ক্ষুদে শিশু গুলো একটি দিন খুশিতে কাটাতে পারুক।
হ্যা আমার নিজের একটি স্বার্থ ছিল,স্বার্থ টি ছিল এই যে জীবনে অনেক কিছু করার সুযোগ পেয়েছি,করেছিও কিন্তু একটি ভাল কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম, যেইটা করলে হইতো জীবনে আর কাউকে না হোক নিজেকে বুক ফুলিয়ে বলতে পারব, যে "হ্যা,আমি দেশের জন্য অনেক বড় না হোক অনেক ছোট একটি কাজও করেছি"
নিচে আমাদের কাজের কিছু ছবি দেওয়া হল।
কারো যদি আমাদের কাজ ভাল লাগে তাইলে নিজেরাও এই সব কাজ করার চেষ্টা করবেন,আমি বলছিনা যে আপনিও আমার মতো Jaggo Foundation এর হয়ে কাজ করুন, লক্ষ ভাল হইলেই হইছে কোন Organization এর নাম এর দরকার নাই,শুধু নিজে জাগলেই হইছে।আগে নিজে জাগি পরে দেশকে জাগাব।
নিচের ছবি গুলো শুধু মাত্র সিলেট জেলার 🙂
আপনারা চাইলে Jagoo Foundation এর ওয়েব সাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন এখানে ।
আমি Tj Thouhid। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 133 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জীবনটা অনেক কষ্টের ভাই,তাই বলে কি সারাদিন কান্না করব নাকি, যতো পারো ইনজয় কর,পারলে কিছু ভাল কাজও কর :) আমার সাথে এফ.বি(ফেইস বুক) এ যোগ হইতে চাইলে নিচের প্রোফাইল এ ক্লিক করতে পারেন :) Tj Thouhid আমার লিঙ্কটা এইজন্য দিলাম কারন দুই একজন ভাই টেকটিউনস থেকে আমার নামে দিয়ে আমায়...
http://www.somewhereinblog.net/blog/nostochele/29478185
somoy thakle uporer link theke ghure asun,jago niea likha.
@hadinoyan: ভাই ধন্নবাদ,অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার লিঙ্ক থেকে,জানিনা কোন্তা সঠিক আর কোনটা ভুল।।!
কিন্তু আমরা এই কাজটি করেছি কোন খারাপ উদ্দেশ্যে নয়,আর আমি আমার টিউনে বলেই দিয়েছি যে এই টিউনটি কোন জাগো ফাউন্ডেস্নের জন্য নয়,এটি শুধু নিজেরা জাগার জন্য,যাতে যুব সমাজের ছেলেমেয়েরা এই রকম কিছু ভাল কাজ করতে পারে।আর এইসব কাজের জন্য কোনো ফাউন্ডেসনের নামের দরকার নাই,শুধু লক্ষ ভাল রাখলেই হবে 🙂
@hadinoyan:
যদি পারেন কষ্ট করে এই লিংকটা ঘুরে আসবেন
https://www.facebook.com/notes/rahat-rahman/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%97-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC/314542441892418
আমি ধানমন্ডি ২ এ একজন ভলআন্টিয়ার ছিলাম। আমি জানি আমরা কি পরিমান কস্ট করেছি। তবু খারাপ লাগে যখন অনেক খারাপ কথা শুনি। আমার জবাব একটাই। ভাল কিছু করতে গেলে বাধা আশবেই, তাতে ভেঙ্গে পরলে চলবে না। আমাদের এগিয়ে যেতে হবেই হবে।
ব্লগ এ প্রকাশিত কিছু কথার জবাব।
অনেকে বলছে এটা নাকি ছিল ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্ছাদের খেলা।
ভাই রেজিস্ট্রেশান তো সবার জন্য খোলা ছিল আপনাদের মত দেশপ্রেমিক এই সুযোগটা কেন মিডিয়ামের দেশবিরোধিদের দিয়ে দিলেন?
মেয়েদের পোশাক নিয়ে কথা হচ্ছে।
আমাদের কোন ড্রেস কোড ছিল না শুধু টি-শার্ট ছাড়া। আমার ৬ জনের দলে দুইটা মেয়ে হিজাব পরা ছিল। আর ড্রেস এর বেপার সম্পুরনি নিজের কাছে।
বলছে আমাদের জাগো আমাদের টি-শার্ট নাদিয়ে ওই টাকা দিয়ে বই অনেক কিছু করতে পারত
তাদের বলছি টি-শার্ট আমাদের কিন্তে হয়েছে সাথে দুপুরের খাবারও। এই বাবত ১৫০ টাকা দিয়ে তবে ভলান্টিয়ার হয়েছি। তাছারা জাগো অফিস এবং ওয়ার্কশপ ও যাওয়া আসা ও অন্যান্য বাবত ৩০০/৪০০ টাকা খরচ করে তারপর সারাদিন রোদের মধ্যে পরিশ্রম করার এবং দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি।
আমি ওইসব সমালোচক দের বলছি। আপনারা কি পারবেন কিছু করতে?
@billi: ভাই আপনার কথার সাথে অনেকটা এক্মত,কারন আমি জানিনা জাগো বা প্রতিষ্ঠানটি ভাল না খারাপ,কারন অদের কে আমি জাস্ট এই কিছিদিন ধরেই দেকছি তাই,না জেনে কম্মেন্ত করতে চাইনাহ।
কিন্তু আমরা ভলান্টিয়াররা আমাদের কাজ করেছি নিজেদের মন থেকে,এবং কস্টও করেছি অনেক।কিন্তু অই কস্টের ফলটাও পেয়ে গেছি অনেক জলদি,যখন অই শিশুদের কে সারাদিন আনন্দ দেওয়ার পর অদের কে নিজ নিজ বাসায় বা স্থানে পৌঁছে দিতে গেছি এবং তাদের মুখে যে মিস্টি হাসি টুকু ফুটে উটেছে অইটা দেখে,অই হাসিটার মূল্য কয়েক কোটি টাকার ও বেশি হবে। তখন মনে হইছে যে জীবনে এটলিস্ট কিছু একটা তো করছি 🙂 🙂 🙂
@billi: নিশঃন্দেহে ভাল উদ্যেগ.. :).. কিন্তু কথা হচ্ছে, ভাল খারাপ সব কাজের বেলাই কিছু না কিছু বাঁধা আসবেই :(। এক শ্রেণীর মানুষের কাজই হচ্ছে অন্যের কাজের সমালোচনা করা. কখনোই পজেটিভ ব্যাপার তাদের মাথায় আসবে না। কিছু না কিছু নেগেটিভ পেয়েন্ট তারা বের করবেই , আর নিজেদের বুদ্ধিজিবী আতেল বলে মনে করবে। 😛
@M H BULBUL:
আপনার কথায় অনেক সাহস পেলাম। আসলে কিছু না করার চেয়ে কিছু করার চেষ্টা করা ভাল।
@hadinoyan: ভাই আপনার লিঙ্কটা কাজ করে নাহ,মনে হয় অইটা পাব্লিক এর জন্য ভিজিবল না। 🙂
Vai kichu mone korben naa. amar kothar uttor apnar kothar uttor MH bulbul bhai diyechen.
https://www.techtunes.io/reports/tune-id/83441/#comment-241568
ভালোর মাঝেও কিছু খারাপ থাকে তার উদাহরণ http://www.facebook.com/photo.php?fbid=2517597260384&set=a.1759396705844.102476.1266811708&type=1&theater।
এই জন্য সবাইকে আমি খারাপ বলি না। উদ্যোগ সত্যিই মহৎ।
@গাজী মোঃ ইয়াছিন: ভাই আপনার লিঙ্কটাও কাজ করে নাহ,মনে হয় অইতা পাব্লিক এর জন্য ভিজিবল না। 🙂
জাগোর ইতিহাস, একটি ব্লগ এবং তার জবাব..
গত ৩রা নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস বা Universal Children’s Day উপলক্ষে জাগো ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। শুধু এবারই নয়, গত তিন বছর ধরেই এটা তারা এটা আয়োজন করে আসছে। সামনে কিছু বলার আগে জাগো সম্পর্কে একটু ধারনা দিয়ে দেই। সংক্ষেপে বলা যায় জাগো হচ্ছে পথশিশু/সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটা ফ্রী স্কুল যেখানে শুধু ফ্রী শিক্ষা দানই করা হয়না, তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ছাড়াও ফ্রি চিকিৎসা, নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা, ইউনিফর্ম, ইউনিফর্ম পরিস্কার রাখার জন্য সাবান, সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার, পেস্ট, ব্রাশ ইত্যাদির ব্যবস্থাও করা হয়। এমনকি জাগোর শিক্ষার্থীদের মা-বাবাদের জন্য কাজের সুযোগও তৈরি করে দেয়া হয়। সে ব্যাপারে বিস্তারিত একটু পরে জানাচ্ছি। তবে তার আগে আবার সেই ইভেন্টের কথায় আসা যাক, এদিন তিন হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশু যারা পথে পত্রিকা, ফুল ইত্যাদি বিক্রি করে তাদের ওয়ান্ডারল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়। ফ্রী রাইডসহ তাদের টি শার্ট, সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা তো করা হয়ই সাথে তাদের আনন্দের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। নিঃসন্দেহে পুরো দিনটিই তাদের আনন্দে কাটে। আর তাদের জায়গায় দশটি জেলায় পথে নামে সাত হাজার জাগোর ভলান্টিয়ার। তারা সেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মতই পথে পথে ফুল ও পেপার বিক্রি করে ফান্ড কালেক্ট করে যেই ফান্ড সেই সুবিধাবঞ্চিত শিশু, তাদের পরিবার এবং জাগো স্কুলের কাজেই ব্যবহার করা হবে । সারাবছরই জাগো এমন ইনোভেটিভ কিছু ইভেন্টের মাধ্যমে ফাণ্ড কালেক্ট করে থাকে।
কিন্তু ইভেন্টটা শেষ হতে না হতেই কিছু ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে কিছু মানুষ এমন মহৎ একটা উদ্যোগের বিরুদ্ধেও কথা বলতে শুরু করে। আর হুজুগে বাঙালির মত সঠিক তথ্য না জেনে আমাদর মতই অনেকে এসব পোস্ট শেয়ার করছে। সাধারনত সমালোচনা করা ছাড়া এসব মানুষের কোন কাজ থাকেনা। সঠিক তথ্য জানার কোন ইচ্ছাই তাদের নাই, সমালোচনা করতে পারলেই যেন তারা পরম আনন্দ পান। আর সঠিক তথ্য জানবেনই বা কী করে, ঘরে পিসিতে বসে নেট থেকেই কিছু ছবি কালেক্ট করে এসব ফাকা বুলি উড়ানোর মাঝেই তাদের সীমাবদ্ধতা। যে বা যারা এসব লিখছে তাদের সবাই বাইরে নেমে প্রতক্ষ্যভাবে ভলান্টিয়ারদের কাজ করতে দেখেছে কিনা সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যাই হোক, এই ব্লগ পোস্টটার জবাব দেয়ার জন্যই আমার এই নোটটা লেখা।
এজন্য প্রথমেই জাগোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দিয়ে শুরু করি, আশা করি পুরো ইতিহাস জানার পর একটু হলেও আপনাদের বোধদয় হবে। আমাদের মতই একজন তরুণের ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকেই জাগো ফাউন্ডেশন এর শুরু, সেই তরুণের নাম Korvi Rakshand। একজনের ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে যে কত বড় কিছু হতে পারে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই জাগোই। মাত্র সাতজন ভলান্টিয়ার ও সতের জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু নিয়ে জাগোর পথচলা শুরু। বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সহায়তায় রায়েরবাজারে জাগো স্কুলের প্রথম ভবনটা গড়ে তোলা হয়, সেটা রং ও করা হয় এবং একটা পূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এভাবে সবার সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ফ্রী শিক্ষা উপকরণও দেয়া হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, অনেকেই সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। এমনি করে একজন ব্যক্তি একদিন বেশ ভালো এ্যামাউন্টের টাকা ডোনেট করে। যেহেতু স্কুল ভবনও হয়ে গেছে এবং সব শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থাও করা হয়ে গেছে তাই সেই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করা হলো। নতুন ইউনিফর্ম পেয়ে সব বাচ্চাসহ জাগো টিমের সবার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কিন্তু সপ্তাহখানেক পড়ই তা অনেকটাই মলিন হয়ে যায় কারন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নোংরা ইউনিফর্ম পরে আসতে শুরু করে। বাচ্চাদের সাথে কথা বলে জানা যায় ওরা দু বেলা ঠিকমত ভাতই খেতে পারেনা, ইউনিফর্ম পরিস্কার রাখার সাবান কোথায় পাবে? এই সমস্যার সমাধানে ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায়ই বাচ্চাদের ইউনিফর্ম পরিস্কার রাখার জন্য সাবানের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর থেকে ওদের নিয়মিত সাবান দেয়া হয়।
জাগোর কার্যক্রম ভালোই চলতে থাকে, এভাবে একটা বছর কেটে যায়। কিন্তু নতুন বছর শুরুর পর নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়। গত বছরের চল্লিশ জন শিক্ষার্থী থেকে কমে প্রায় বিশ জনে নেমে আসে অর্থাৎ প্রায় ৫০% শিক্ষার্থী হারিয়ে যায়। ওদের জন্য এতকিছু করার পরও এত কম বাচ্চাদের দেখে স্বাভাবিকভাবেই জাগো টিমের মন খারাপ হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের অনেককেই আর খুজে পাওয়া যায়নি। জাগো টিম অনুসন্ধান করে জানতে পারে এসব বাচ্চাদের বেশিরভাগ অভিভাবকই বাসায় কাজ করে কিংবা রিক্সা চালায়। কাজ হারালে কাজের সন্ধানে এরা শহরের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। তখন প্রতিটা এলাকায় জাগোর স্কুল খোলা সম্ভব ছিলনা তাই বাচ্চাদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের নিয়েও জাগো টিমকে ভাবতে হলো। ভলান্টিয়ার ও ডোনেটরদের সাহায্যেই সেলাই মেশিন কিনে একটা ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়, সেখানে বাচ্চাদের মায়েদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শুরু হলো জাগোর আরেকটা নতুন প্রোজেক্ট। সেই ট্রেনিং সেন্টারটাই এখন একটা বড় ফ্যাশন হাউজে পরিণত হয়েছে যার নাম হলো “বাচ্চারা” । যেহেতু বাচ্চাদের জন্য বাচ্চাদের অভিভাবকরাই এখানে কাজ করছে তাই এর নামও দেয়া হয়েছে বাচ্চারা। এখানে তৈরি পোষাক এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হয় ! এরপর থেকে বাচ্চারা আরো স্থায়ী হতে থাকলো।
তবুও ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের অভিভাবক চোখে ভালো দেখতে পারেনা, এজন্য সুই সুতার কাজ করতে তাদের সমস্যা হয়। এবার জাগো টিমকে আবারো ভাবতে হলো। সেই ভাবনা থেকেই জাগো হাতে নিল আরেকটা প্রোজেক্ট। এমনই সব অভিভাবকদের নিয়ে চালু করা হলো একটি মোমবাতির কারখানা। জাগো স্কুলের বাচ্চাদের মা-বাবারাই এখানে কাজ করে। এর ফলে মোটামুটি অনেক বাচ্চাই স্কুলে স্থায়ী হতে শুরু করে, এভাবেই দিন কাটতে থাকে।
কিন্তু তারপরও অনেকে অনিয়মিত হতে থাকে। বাচ্চাদের অনেকেই প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে পড়তো এজন্য স্কুলে আসতে পারতোনা। ওষুধ কেনা তো দূরের কথা ওদের ডাক্তার দেখানোরও সামর্থ্য নেই। এবার এই সমস্যার সমাধানে শুরু হয় “জাগো ফার্স্ট এইড সেন্টার” । এখানে নিয়মিত একজন ডাক্তার বসেন যিনি জাগোর সকল শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তাছাড়া গরিবদের জন্য এখানে সকল প্রকার ওষুধ এখানে ৭% ডিসকাউন্টে বিক্রি করা হয়। পরবর্তিতে এলাকাবাসীর অনুরোধে জাগো ফার্স্ট এইড সেন্টার সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এখন শুধু জাগোর শিক্ষার্থীই নয়, এলাকার যেকোন গরিব/নিম্নবিত্ত পরিবার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে জাগো ফার্স্ট এইড এর সব ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারে। তাছাড়া বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করত এখন সপ্তাহে একদিন ওদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয় এবং পেস্ট ও ব্রাশও বিতরণ করা হয়।
এরপর শুরু হয় জাগোর ইনোভেটিভ কার্যক্রম শুরু হয়। শুধু জাগো স্কুলের বাচ্চাদের কেন, সব পথশিশুদের জন্য একদিনের জন্য হলেও যদি কিছু করা যেত তাহলে কেমন হয় ? সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় জাগোর বিশ্ব শিশু দিবসের কার্যক্রম। UN সমর্থিত Universal Children’s Day বা বিশ্ব শিশু দিবসের দিনটিতে রাস্তায় কাজ করে খেটে খাওয়া সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাগো। বিভিন্ন এলাকায় পথশিশুদের এই ব্যাপারে জানানোর পরই ওদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে কিন্তু একটু পরেই আবার ওদের মন খারাপ হয়ে যায়। কারন ওরা ছুটিতে গেলে ওদের কাজ কারা করবে কারা এবং পরবর্তি দিন ওরা কী দিয়ে খাবে সেই চিন্তা ওদের পেয়ে বসে। খোজ নিয়ে জানা যায় প্রতিটা এলাকাতেই একজন মহাজন বা Godfather থাকে, তার Under এই এসব পথশিশু কাজ করে ঠিক Slumdog Millionaire এর মত। এখন ওদের নেয়ার জন্য সেইসব মহাজনদের ম্যানেজ করতে হলো, তাদের সাথে আলোচনায় বসতে হলো, আলোচনার পর এসব মহাজনদের টাকাও দেয়া হলো এবং সেসব পথশিশুদের দুশ্চিন্তামুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো ওদের বদলে জাগোর ভলান্টিয়াররা সেই দিনটা রাস্তায় নামবে। ওদের মতই রাস্তায় ফুল বিক্রি করবে। যে টাকা আসবে সেই টাকা এসব সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্যই ব্যবহার করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঠিকঠিকই পথশিশুদের একটা দিন ছুটি দেয়া হয়, ওদের ফ্যান্টাসি কিংডমে নিয়ে যাওয়া হয়, আর তাদের পরিবর্তে জাগোর ভলান্টিয়াররা পথে নামে। প্রথমবার ১০০০ জন পথশিশুর বদলে ১০০০ জন ভলান্টিয়ার পথে নামে। দুই বছর সফলভাবে আয়োজন করার পর এবছর ১০ টি জেলার ৩০০০ পথশিশুকে ওয়ান্ডারল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয় আর এই ৩০০০ জন পথশিশুর পরিবর্তে আমরা মাঠে নেমেছি ৭০০০ ভলান্টিয়ার ! ৭ জন ভলান্টিয়ার দিয়ে শুরু হবার পর সেটা এখন ৭০০০ এ গিয়ে দাড়িয়েছে, জাগো কতটা সফল সেটা বোঝানোর জন্য এতটুকুই যথেস্ট। আর এসব ভলান্টিয়ার স্বেচ্ছায়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, কেউ আমাদের জোর করেনি। আর শেষবারের মত আবারো বলছি আমরা ভলান্টিয়াররা যে টাকা কালেক্ট করি সেটা এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্যই ব্যবহার করা হয়।
আর জাগোর আরেকটা প্রজেক্ট আছে। যে কেউ চাইলে জাগোর একজন শিক্ষার্থীকে Sponsor করতে পারে। মাসে মাত্র ১০০০ টাকা দিতে হবে। সেই টাকা দিয়ে ওই বাচ্চাটার এক মাসে যা কিছু লাগে, শিক্ষা উপকরণ, চাল, বই, খাতা, কলম সবকিছু দেয়া হয়। বাচ্চাটি যতটা ক্লাসে উপস্থিত থাকবে প্রতিটা ক্লাসেই জন্যই তাকে আধা কেজি করে চাল দেয়া হয়।তাছাড়া শীতকালে সব বাচ্চাদেরই সোয়েটার ও কম্বল দেয়া হয়।
পথশিশুদের জন্য যারা এত কাজ করছে, এত সব অভিনব আইডিয়া বের করছে, এত কষ্ট করছে, তাদের নিয়ে এখনো কী আপনাদের সন্দেহ হচ্ছে ? এখনো কী আপনাদের মনে হয় জাগো ফাউন্ডেশন শুধু “শো-অফ” করা ছাড়া কিছুইনা ? আপনাদের জেনে রাখা ভাল জাগো ও জাগোর ভলান্টিয়াররা শুধু একটা দিনের জন্যই কাজ করেনা, সারা বছরই করে। আর আরেকটা কথা পরিস্কারভাবে বলে রাখা ভাল পুরো জাগো ও জাগো স্কুলের কার্যক্রমই চলছে আমাদের মত ভলান্টিয়ার এবং ডোনেটরদে সহায়তার মাধ্যমেই। সবার সহযোগিতায় এখন জাগোর তিনটি স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে, এমনকি বাচ্চাদের জন্য কম্পিউটার ল্যাবেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি শনিবার বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলারও ব্যবস্থা করা হয়, এজন্য স্কুলে Sports Teacher ও রয়েছে। হয়তো এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝ থেকেই বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ক্রিকেটার কিংবা ফুটবলার !
এভাবেই চলছে জাগোর পথচলা। তবে সবকিছুরই ভাল খারাপ দুই দিকই আছে কিন্তু সেটা কোন ব্যাপার না। আসল ব্যাপার হলো লোক দেখানোর পরিবর্তে যদি মন থেকে পথ শিশুদের সাহায্যার্থে কেউ পাচটা মিনিটও কাজ করে তাহলেই সেটা ভাল। আর সেখানে তো জাগো সারাবছরই ওদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ! আর পুরো ইতিহাস জানানোর পরও কী আপনাদের মনে হয় আমরা মন থেকে কাজ করছিনা ? যদি কারো মনে হয় তাহলে আপনি আমাদের এসে শিখিয়ে দিন কীভাবে মন থেকে কাজ করতে হয়। জাগোর ইতিহাস তো জানানো হলো এবার সেই ব্লগ পোস্টের প্রতিটা পয়েন্টের জবাব দিচ্ছি। পোস্টটার লেখক যেভাবে পয়েন্ট করে দিয়েছেন আমিও সেভাবেই দিচ্ছি:
পয়েন্টগুলোর উত্তর দেয়ার আগে জানিয়ে দেই আপনার শিরোনামেই ভুল ! আপনি লিখেছেন “ইংলিশ মিডিয়াম ছেলেমেয়েদের অ্যাডভেনচার”, একটু ভালোমত খোজ নিয়ে দেখেন, বাংলা মিডিয়ামে পরা ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কোন অংশে কম ছিলনা ! যাই হোক এবার শুরু করা যাক।
১) সেই ব্লগপোস্টের লেখক বলেছেন. “আপনি এদের কখনও যাত্রাবাড়ী, মৌচাক, বাড্ডা, সায়দাবাদের মত খারাপ এরিয়াতে দেখবেন না। এদের সবসময় গুলশান-উত্তরা-বনানী-ধানমন্ডির সিগানালে দেখা যায়।”
জবাব: এই পয়েন্টের জবাব হৃদয় ভাইয়াই দিয়ে দিয়েছে: ফুল বিক্রি অনেকটাই সিম্বলিক অর্থে এটা কেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে কে জানে! কেউ কেউ হয়তো ১টা ফুল ৫ টাকায় না কিনে ৫০০ টাকায় কিনবে এর উদ্দেশ্য জেনে। আর এজন্যেই ভলান্টিয়ারদের সংখ্যা গুলশান বনানীতে বেশি। এখন মৌচাকের সামনে দাঁড়ায় থাকলে কে দিবে একটা ফুলের জন্যে ৫০০ টাকা?
আর আপনাদের জানিয়ে রাখা ভাল গতবার একটা ফুল ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল এবং গাড়িতে থাকা একজন মুক্তিযোদ্ধা আমাদের নতুন জেনারেশনের মুক্তিযোদ্ধা বলে তার কাছে যত টাকা ছিল সব দিয়ে দিয়েছিল। আর এবার তো ভলান্টিয়াররা মিরপুরের মত মধ্য ও নিম্নবিত্তদের এলাকাতেও কাজ করলাম, এখন কী বলবেন আপনি ?
২) তিনি বলেছেস, “এরা সিগনালের পিচ্চিদের পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যায় বিনিময়ে ওদের ফুল/পপকর্নগুলা নিজেরা বিক্রি করে। ওদের দাবী এভাবে নাকি সমাজকে “জাগানো” যায় এসব শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয় না রাস্তায় এভাবে হলুদ গেন্জি পড়ে ফুল বেচলে আসলেই এই শিশুগুলার কষ্ট বুঝা যাবে!”
জবাব: আপনার এই পয়েন্টের উত্তর উপরে জাগোর ইতিহাসের মধ্যেই দেয়া হয়ে গেছে। তবুও আবারো দিচ্ছি। ফুল বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় সেটা সেসব পথশিশুদের জন্যই ব্যয় করা হয়, আমরা শুধু শুধু ফুল বেচতে পথে নামিনা, ওদের জন্যই নামি। আর এভাবে একটা দিন ওদের মত পথে নেমে সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ করলে যে আসলেই ওদের কষ্টটা বোঝা যায় সেটা শুধু যারা করেছে তারাই বলতে পারবে। মনে তো হয়না আপনি করেছেন, আপনাদের মত মানুষের করার কথাও না। আপনাদের কাজই তো হলো শুধু বাসায় বসে ল্যাপটপ সামনে নিয়ে বড় বড় কথার বুলি আওড়ানো। পথে নেমে রোদে পুরে সারাদিন কাজ করার সামর্থ্যও আছে কিনা সন্দেহ। আর ফুল বিক্রি করে ফান্ড কালেক্ট করাটাকে যে তাচ্ছিল্য করলেন তাহলে বলুন তো আপনি ব্লগ লিখে “অমুক” কে বাঁচানোর জন্যে ফান্ড কালেক্ট করতে পারলে পথশিশুদের জন্য ফুল বিক্রি করে কেন করা যাবে না?
৩) তিনি বলেছেন, “ফেসবুকে একজনের কমেন্ট: এক ভলেনটিয়ার আইসা বলে, ভাইয়া ডোনেট করছেন? পোলা কয়, এই ডোনেশনের টাকা কই যায়? ভলেন্টিয়ার কয়: তাতো জানি না!”
জবাব: আমার সন্দেহ হচ্ছে এই পয়েন্টটা লেখার সময় লেখক সৎ ছিল কিনা ! হয় উনি এটা বানিয়ে লিখেছেন নাহয় যে ভলান্টিয়ারের কথা বলা হয়েছে সে জাগোর ওয়ার্কশপে আসেনি। কারন আমাদের কাজ করার আগে একটা ওয়ার্কশপে পুরো জাগো সম্পর্কে ধারনা দিয়ে দেয়া হয়েছে, ওদের কার্যক্রম সম্পর্কে সবকিছু বলা হয়েছে। এই টাকা কই যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। উন্মুক্ত প্রশ্নের-উত্তর পর্বও হয়েছে। এগুলো আমাদের আগেই জানানো হয়েছে যাতে পথে পথে ডোনেশন কালেক্ট করার সময় কেউ প্রশ্ন করলে আমরা সেগুলোর উত্তর দিতে পারি। তবুও সেই ভলান্টিয়ার যদি এমন বলে থাকে তাহলে সত্যিই দুঃখজনক। আর এই টাকা কই যায় সেই সম্পর্কে পুরো বিস্তারিত তো জাগোর ইতিহাসের মাঝেই লিখে দিয়েছি। তবুও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে সরসরি জাগোর ওয়েবসাইটের এই লিংক এ যেয়ে করতে পারেন: http://jaago.com.bd/who-we-are/frequently-asked-questions.html
এরপরও আপনার কিছু বলার আছে ?
৪) তিনি বলেছেন, “আমি ধানমন্ডির মেট্রো প্লাজার সামনে একটা মিনি ট্রাক দেখলাম। ট্রাকের অর্ধেক প্যাকেট করা খাবার আর বাকি অর্ধেকের মত কোল্ড ড্রিংকস দিয়া ভর্তি। ট্রাকে ২ জন হলুদ গেন্জি দাড়ায় আছে। মনে হয় এগুলা ওদের দুপুরের লান্চ। এরকম লান্চ গাড়ি ঢাকায় আরো কয়েকটা থাকার কথা! আমি ভাবতেছিলাম, এত গুলা টাকায় হয়তো আরো ৫০ জন বাচ্চার একমাস চলে যেতো!!”
জবাব: আপনার এই পয়েন্টটা ছিল সবচেয়ে বেশি হাস্যকর আর অযৌক্তিক পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য আর কিছু পাইলেন না মিয়া ! এটার জবাবও হৃদয় ভাইয়া খুব সুন্দরমত দিয়ে দিয়েছেন: আপনারা কি জানেন প্রতিটা ভলান্টিয়ারকে একটা ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশান করতে হয় তাদের এই খাবার আর টি-শার্ট ও আনুসাঙ্গিক খরচের জন্যেন? অর্থাৎ তারা নিজের পয়সাতেই খাচ্ছে এবং রাস্তায় ঘুরে ফুল না বেচলেও তারা না খেয়ে থাকতো না, এবং এই টাকাটাও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা পেত না। সঠিক তথ্য না জেনে এত কথা বলেন কেন ভাই ? নিজেকে বোকা প্রমাণ করার চেয়ে চুপ থাকাই কী ভালো না ? আর আমরা যতটুকু খাবার পেয়েছি তার থেকে অনেক গুণ বেশি খাবার এবং সুস্বাদু খাবার ওইদিন ওয়ান্ডারল্যান্ডে যাওয়া ৩০০০ সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের দেয়া হয়। তারপরও কী আপনি এই ব্যাপারে কিছু বলবেন ?
৫) তিনি বলেছেন, “প্রতি ৭/৮ জন গ্রুপের সাথে একটা ডিএসএলআর ক্যামেরা ম্যান থাকে। যেই এক মেয়ে/ছেলে ফুল বেচতে যায় সেটা ক্যামেরা বন্দী করে রাখা হয়!!”
জবাব: আজব ব্যাপার তো ! আমরা যা করি তাতেই কী আপনাদের সমস্যা? ছবি তুললেও আপনাদের সমস্যা ?? এদিন বিভিন্ন সাংবাদিকরা এসে ছবি তুলেছে। আমরা ভলান্টিয়াররা নিজেরাও ছবি তুলেছি স্মৃতি রেখে দেয়ার জন্য। তাই বলে প্রতিটা গাড়ি কিংবা মানুষের কাছে যাওয়া মাত্রই ছবি তোলা হয়নি। আপনি এমনভাবে বললেন যেন প্রতিটা মূহুর্তের ছবি তোলা হয়েছে ! কমন সেন্স এর অধিকারী যে কেউ বুঝতে পারবে যে এই লাইনটা বানিয়ে লেখা। আমরা সেখানে কাজ করতে গিয়েছি, ছবি তুলতে না। শুধু মাত্র কিছু মূহুর্তেরই ছবি তোলা হয়েছে আর আমরা ভলান্টিয়াররা নিজেরাই তুলেছি দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে। আরেকটা তথ্য আমাকে জানিয়ে দেই যে ফটোগ্রাফী গ্রুপ টিটিএল এই ইভেন্টে জাগো’র সাথে কাজ করেছে। আর তারা ভলান্টিয়ার হিসেবেই কাজ করেছে নিজ থেকেই। আরো প্রশ্ন আছে আপনার ?
৬) তিনি বলেছেন, “আরেকজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস: Some girls in yellow came up to me and said they were selling flowers “for poverty” (in shaky Banglish). I told them that I don’t support poverty! Learn Bangla, you English medium douche bags!”
জবাব: আবারো বাংলা মিডিয়াম ও ইংলিশ মিডিয়াম নিয়ে বৈষশ্য সৃষ্টি করার একটা চেষ্টা। এই পয়েন্টে যে ঘটনাটা বলা হয়েছে সেটা আসলেই ঘটেছে কিনা জানিনা তবুও ধরে নিলাম মেয়েগুলো বাংলা ঠিকমত জানতোনা। তাই বলে কী আপনারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য নেয়া এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে কথা বলবেন ? আর ওরা বাংলা ঠিকমত জানেনা মানলাম, কিন্তু ওরা তো পথশিশুদের ভালোর জন্যই মাঠে নেমেছিল। একটু ভাল ব্যবহার কী করা যেত না এজন্য ? ভলান্টিয়ার বাংলা জানেনা দেখে সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করবোনা ! কী সুন্দর লজিক ! হাসি পাইলো ! আগে নিজেদের স্বভাব বদলান, ভালো ব্যবহার করতে শিখেন, আর ইংলিশ মিডিয়াম পোলাপানদের যদি আপনার অতি উচু মাত্রার আধুনিক বলে মনে হয় তাইলে আপনার নিজের স্ট্যান্ডার্ডেই প্রব্লেম আছে। আগে নিজের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করেন। হৃদয় ভাইয়ার আরেকটা কথাও এখানে তুলে ধরলাম: ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বা “পাঙ্কু” হলে ভলান্টিয়ারী করা যেন পাপ হয়ে যায় ! আনন্দ খুঁজে নিয়ে একটা কাজ করাটাও দোষের?!
(উল্লেখ্য আমি নিজেও ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র না, আমি বাংলা মিডিয়ামেই পড়ি।)
৭) তিনি বলেছেন, “ওদের নেক্সট প্ল্যান নাকি শহরগুলাকে হলুদ রং করা। হয়তো এভাবে পোভার্টী ড়িমুভ ক্ষরা যায়। কে জানে?!! আমি ভাই বাংলা মিডিয়ামের মূর্খ! এতকিছু বুঝি না!”
জবাব: পুরাই লুল ! আপনার লেখা কথাবার্তা দেখে তো মনে হইতেসে নিজের সম্পর্কে খুব ভালই ধারনা আছে (বাংলা মিডিয়ামের. . . . .) আপনার। যাই হোক, যেহেতু আপনি কিছুই বুঝেন না সেহেতু আপনাকে বাচ্চাদের মত সবই বুঝায়ে দেয়া লাগবে। এইটা কোন নেক্সট প্ল্যান না, এইটা একটা প্রতিকী বাক্য। হলুদ রং করা বলতে এখানে জাগো কে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয়েছে। ভলান্টিয়াররা দেশের সবগুলো জেলায় ছড়িয়ে যাবে, একদিন সবগুলো জেলায় জাগোর স্কুল গড়ে তোলা হবে, সেখানে সব সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনামূল্যে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবধরনের সেবা পাবে, সেই কথা দিয়ে এমন স্বপ্নের কথাই বুঝানো হয়েছে।
৮) তিনি বলেছেন, “বেশিরভাগ মানুষ বলে এরা নাকি টাকা মারে। আমার এক ফ্রেন্ড এদের সাথে কাজ করছে কয়েক মাস। সে আইসা বলে, তোরা যেই টাকা দেস, সেটার একটা বিরাট অংশ আমাগো বোতলের পিছে যায়গা! আর বাকি কিছু অংশ (এটার পরিমানও কম না!!) দিয়া একটা ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করি বাচ্চাদের নিয়া।”
জবাব: হাহাহাহাহা! হাসি পাইলো ! ভাই আপনার ভাষাতেই তো ভলান্টিয়াররা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বড়লোকদের পোলাপান। যদি এমনি হয়ে থাকে তাইলে তারা কোন দুঃখে সেই টাকা মারতে যাবে ?? তাদের তো টাকার অভাব নাই, কেন এই সুবিধাবঞ্চিতদের টাকা মারতে যাবে ? কেনই বা টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে কষ্ট করে মাঠে নামবে ? সারাদিন কাজ করলাম কিন্তু একটা ভলান্টিয়ারকেও দেখলামনা টাকা মারতে। উল্টো অনেক ভলান্টিয়ার নিজের মানিব্যাগের টাকাটাও ফুল দিয়ে পাওয়া টাকার সাথে দিয়েছে। ৩ নম্বর পয়েন্টে বলেছিলাম আপনি লেখার সময় সৎ ছিলেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। এবার পুরো নিশ্চিৎ হলাম। তবুও যদি বলে থাকে তাহলে আপনার যে বন্ধু একথা বলেছে জাগো কর্তৃপক্ষের কাছে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করুন। একজন চোরকে আড়ালে রেখে আপনি কেন বাকিদের চুরির দায় দিবেন। আর জেনে শুনে কেনই বা একজন চোরের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখেন ?
৯) আর সবশেষে তিনি লিখেছেন, “তবে ছেলেবুড়ো সবাই একমতে স্বীকার করবে জাগোর মেয়ে ভলেন্টিয়ার গুলা কিরকম জোস!! টিশার্ট আর টাইট জিন্স পড়া এসব ফর্সা চামড়ার মেয়াগুলা দেখলে মাথা নষ্ট হতে বাধ্য! কে জানে, হয়তো ফর্সা রং বেশি করে চান্দা তুলতে সহায়ক ;)”
জবাব: এই পয়েন্টটা পড়লেই বুঝা যায় ওই পোস্টের লেখক কী পরিমাণ নিচু মানসিকতার মানুষ, অর্থাৎ “থার্ড ক্লাস” বলতে যা বুঝায় আর কী ! যাই হোক, তার চরিত্রের দিকে আর না যাই। এর জবাব দিতে Pavel Mohitul Alam ভাইয়ার স্ট্যাটাসটা দিয়েই আমি আমার নোটটা শেষ করছি:
JAAGO’র আজকের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্লগ-ফেসবুকে যারা লেখালেখি করেতেসে, স্পষ্টতই তাদের গা জ্বলার মূল কারণ হইলো টি-শার্ট-জিন্স পরা মেয়েগুলো। আজকের কার্যক্রমে যদি মেয়েরা অংশ না নিত, শুধু ছেলেরা ফুল বিক্রি করতো, তাহলে অনেকেই এত কথা বলতো না। যেকোন ইস্যুতেই মেয়েদের ‘আক্রমণ’ করে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়ার মানসিকতা তো আমাদের বহুদিনের।
ভালো কাজ, সেটা ইংলিশ বা বাংলা, যে মিডিয়ামের ছেলে-মেয়েরাই করুক না কেন, সবার উচিৎ সহযোগিতা করা। না পারলে অন্তত প্রশংসা করা। তা-ও না করতে পারলে চুপ থাকা।
হ্যা, আমি আবারো বলছি, ভালো কাজ, সেটা ইংলিশ বা বাংলা, যে মিডিয়ামের ছেলে-মেয়েরাই করুক না কেন, সবার উচিৎ সহযোগিতা করা। না পারলে অন্তত প্রশংসা করুন। তা-ও যদি না পারেন তাহলে চুপ থাকুন। 🙂
আর জাগো আসলেই সুবিধাবঞ্চিতদের কাজে আসছে কি আসছেনা সেটা জাগোর পুরো ইতিহাসেই উল্লেখ করে দিয়েছি। আশা করি আর কিছু বলতে হবেনা। আর প্রশ্ন থাকলে জাগোর ওয়েবসাইট তো আছেই ! আমরা সবাই স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থী, আপনাদের আজাইরা প্যাচাল আর সমালোচনার জবাব দেয়ার মত অঢেল সময় আমাদের নাই। শুধুমাত্র একবার দিলাম কারন বিষয়টা লিমিট ক্রস করতেসিলো আর এটা থামানো জাগোর সকল ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব। এই নোটে কিংবা আবার অন্য কোন পোস্টের রিপ্লাই দেয়া আর আমার পক্ষে আর সম্ভব না কারন সামনেই এক্সাম। এরপর কোন প্রশ্ন থাকলে সরাসরি ওয়েবসাইটে যেয়ে প্রশ্ন করে উত্তর নিয়ে সঠিক তথ্য জেনে তারপর ব্লগ লিখবেন, তর্ক করার ইচ্ছা থাকলেও সেখানেই করবেন।। আর আরেকটা কথা, হয়তো এমন কিছু ভলান্টিয়ারও ছিল যারা অন্য উদ্দেশ্যে এসেছিল, জাগোর টি শার্ট গায়ে স্মোকিং করেছে কিংবা অন্য খারাপ কাজ করেছে বা কারো ড্রেস আপ দৃষ্টিকটু ছিল কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য তো পুরো জাগো টিমকে আপনারা দোষ দিতে পারেননা, আর এজন্য সব ভলান্টিয়ারও খারাপ হয়ে যায়না। মডারেটররাও এ ব্যাপারে আমাদের বারবার সতর্ক করে দিয়েছিল যাতে কেউ স্মোক না করে বা খারাপ কাজ না করে, আর জাগোর টি শার্ট গায়ে তো কখনোই না ! তবুও কিছু ভলান্টিয়ার সেটা শোনেনি। তাদের সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। আবারো বলছি, কয়েকজনের জন্য সবাই খারাপ হয়ে যায় না।
জাগোর সকল ভলান্টিয়ারকে এবং জাগো কে যারা সমর্থন করেন তাদের সবাইকে নোটটা শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। সেই ব্লগ পোস্টটা যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি এই লেখাটাও ছড়িয়ে যাক। সবাই প্রকৃত সত্যটা জানুক। আপনারা চাইলে সোর্স ও লেখকের নাম উল্লেখ করে যেকোন ব্লগে, ফেসবুক পেইজে বা ব্যক্তিগত নোটেও এই লেখাটা পাবলিশ করতে পারেন।
– Saidur Rahman Rahat (Rahat Rahman)
Volunteer,
JAAGO & Volunteer For Bangladesh.
@nayeem.nay: ভাই আপনার কথাগুলো খুবই ভালো লাগছে,আমার পোস্ট টা কিছুতা হইলেও সার্থক ,কারন অনেক ধরনে ইনফোরমেশন জানতে পারলাম।। 🙂 🙂
আমি রাহাত ভাই এর পুরা পোস্ট টা পড়লাম, পড়ে বার বার ই মনে হল, আপনাদের মত কিছু মানুষ এখনো আছে বলে, সেই
সব পথ শিশুরা হয়তো এখনো একটা দিন প্রান খুলে হাসতে পারে। খুব কাছে থেকে একবার দেখতে ইচ্ছা হয় আপনাদের।
tj touhid ভাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা পোস্ট এর জন্য। আমি আসছি আপনাদের সাথে
যত দ্রুত পারি…
@aniq12999: ধন্যবাদ ভাই,আপনাকে সাগতম।এবং হ্যা আপনি আমাদের সাথে আসাছেন না,আপনি আসছেন অই সব শিশুদের পাশে।তাই আপনার এই মতামত টার জন্য অই শিশুদের পক্ষ থেকেও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🙂 🙂
পথ শিশুদের জন্য যারা এই কাগ করার উদ্যোগ নিয়েছিল সেটা কোন খারাপ কিছু না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভোলেণ্টিয়ারদের নিয়ে। জাগোর প্রতিটা গ্রুপে অনেক টাকা উঠে। কিন্তু কিছু কিছু ভোলেণ্টিয়াররা আছে যারা সব টাকা জাগোর অফিসে প্রদান করে না (আমে সবার কথা বলছি না)। পথ শিশুদের জন্য তোলা টাকা দিয়ে তারা আনন্দ ফুরতি করে, শিশা পার্টি করে (এই লিঙ্ক টা দেখে কমেন্ট করুন https://www.facebook.com/photo.php?fbid=240419196012952&set=o.20261820808&type=1&ref=nf)। তাদের আনন্দ ফুর্তি করার জন্য টাকা তুলতে বলা হয়েছিল? যেসব ভোলেণ্টিয়াররা সম্পূর্ণ টাকা জাগোর অফিসে প্রদান করে না তাদের টাকা দিয়ে নিশ্চয়তা কি যে প্রদান করা অর্থ পথশিশুদের কাজে ব্যাবহার হবে। আর টাকা তোলার জন্য যে ভোলেণ্টিয়ার মেয়রা কাজ করে তাদের ড্রেস দেখলেও মনে তারা বাংলা সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে রেম্প মডেলিং করটে রাস্তায় বের হয়েছে (এই লিঙ্ক টা দেখে কমেন্ট করুন https://www.facebook.com/photo.php?fbid=304787676198070&set=a.304757139534457.85090.127608613915978&type=1&ref=nf)। এগুলো কি দেশে জন্য খারাপ কিছু না। লেখকের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম
@Farhan Abid: ভাইয়া,প্রথম কথা হাতের পাঁচটি আঙ্গুল কি সমান থাকে নাকি…?
জবাব টা আপনিই দেন।আর যেইটা আপনি বলছেন যে অই ভলান্টিয়াররা শিশা খাচ্ছে,আপ্নি কি সিওর যে অরা শিশুদের টাকা দিয়ে শিশা খাচ্ছে।।?
আর যদি খেয়েও থাকে,তারপরও সবাই তো এই কাজ করসে না,এই সব খারাপ ছেলেদের সংখ্যা অতি নঘন্য।আর সবাই ভাল হয়ে গেলে তো আআজ আমাদের দেশটা এমন থাকতো না।
আর আপনার ২য় ছবিটি অই মেয়েটি সম্পরকে ছিল,ভাই অই ড্রেস কোড টা মেয়েটিকে জাগো সিলেক্ট করে দেয়নি,অইটা মেয়েটির নিজস্ব ইচ্ছা।
জাগো হল বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করে,শালিনতা নিয়ে নয়,অইটা আমাদের সমাজের মানুশের সবার কাজ,অই মেয়েটার ড্রেস আর মডেলিং পোজ এর জন্য জাগো দ্বায়ী নয়,আপনি,আমি,আমাদের সমাজ এবং অই মেয়েটার পেরেন্টস দ্বায়ী।
ভাই কথাগুলো খারাপ লাগলে,ক্ষমা করবেন,আমি আপনাকে আঘাত করার জন্য কিছুই বলি নাই। 🙂 🙂 🙂
অইটা আপনার মতামত ছিল আর এইটা আমার, আর কিছুই না। 🙂 🙂
@Tj Thouhid: ভাই আমিও আপনাকে আঘাত করার জন্য অথবা জাগোর কার্যক্রমকে বন্ধ করার জন্য কিছু বলিনি। শীশা খাওয়া নিয়ে যেটা বলেছিলাম আমি শুধুমাত্র একটি ছবি দেখে এই কথাটা বলিনি। একটা ছবি দিয়েতো কোন কিছু বিচার করা যায় না। এরকম আরও অনেক ছবি বিভিন্ন ফেসবুক ফ্যান পেজ, বাংলা ব্লগে দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি আপনি এটা অস্বীকার করতে পারবেন যাদের খাওয়া দাওয়ার ছবিগুলো বিভিন্ন ফ্যান পেজ, বাংলা ব্লগে শোভা পাচ্ছে তাদের মদ্ধে কেও কেও জাগোর পথশিশুদের জন্য তোলা টাকা দিয়ে খাওয়া দাওয়া / আনন্দ ফুর্তি করেনি? আর শীশা খাওয়ার বেপারে আর একটা কথা বলি বস জাগোর ভলান্টিয়ার যারা শীশার পেছনে টাকা ব্যয় করেছে তারা নিজেরাইতো খারাপ কাজ করছে সুতারাং তারা যে সম্পূর্ণ টাকা জাগোর অফিসে প্রদান করবে এটা কিভাবে আশা করবেন? (খারাপ মানুষদের দ্বারা ভাল কাজ অনেক সময় আশা করা যায় না) মেয়টার ছবির বেপারে আপনার কমেন্টের সাথে আমিও একমত কিন্তু জাগোর মেয়েদের এরকম অনেক ছবি দেখে অনেকেই অনেক কথা বলেছে। এতে কিন্তু জাগোর সম্মান নষ্ট হচ্ছে এবং জাগো কে নিয়ে অনেক লেখা লেখিও হচ্ছে। তাই মেয়েদের ড্রেসের কোড / নীতিমালা করে দেয়ার জন্য জাগোর মুল কর্মীরা কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না?
@Tj Thouhid: আরও একটি বেপার বলি টাকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে একদিনে জাগোর অনেক টাকা উঠে। এই টাকা গুলো কি কি কাজে ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা জনগণের শাম্নে তুলে ধরা উচিত। তাহলে জাগোর সম্মান আরও বৃদ্ধি পাবে
@Farhan Abid:
দেখুন ভাই সব প্রতিষ্ঠানে তো সব মানুষ ভাল নয়। আমাদের সরকারি অফিসে কয়জন লোক সৎ আছে বলুন? তাই জাগোতে যে কিছু মানুষ খারাপ থাকতে পারেনা তা আমি অস্বিকার করছি না। তাদের অল্প কয়জনের জন্য আপনি কেন সবাই কে খারাপ বলবেন?
@billi: আমি সবার কথা বলিনি। আমার প্রথম কমেন্টে ব্যাকেটে বলেই দিয়েছিলাম “আমি সবার কথা বলছি না”। আর স্বীকার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@Farhan Abid:
আমাদের পথে নামার আগে বলা হয়েছিল আমরা যেন জাগোর টি-শার্ট পরে সিগারেট না খাই। আর যদি খেতেই হয় তাহলে যেন জাগোর টি-শার্ট টা হাইড করে খাই। এখন কেউ যদি আদেশ না মানে তাহলে আর কি করা?
কাজ করার সময় আমার টিমের জন্য, আমি ৪ লিটার পানি এবং ৮ টা ভেজিটেবেল রোল নিজের ২৬০ টাকা খরচ করে কিনে খেয়েছি। আমি জাগোর টি-শার্ট পরে কি আমরা কিছু খেতেও পারব না?
@billi: আপনার সাথে একমত জাগো আপনাদের বলেছিল সিগারেট না খেতে কিন্তু কেও আদেশ না মানলে জাগোর কিছু করার নেই। ড্রেস কোডটা অন্ততো ঠিক করে দিতে পারত তাহলে জাগোকে নিয়ে এত লেখা লেখি হতো না। আপনিও মনে হয় আমার সাথে একমত হবেন।
আর আপনাদের টাকা দিয়ে আপ্নারা খাওয়া-দাওয়া আনন্দ ফুর্তি সব কিছু করতে পারবেন। কিন্তু কিছু কিছু ভলান্টিয়ার যারা জাগোর টাকা দিয়ে আনন্দ ফুর্তি করে তাদের এসব বন্ধের জন্য জাগো টাকা দেয়ার রশিদের বেবস্থা করতে পারে। তাহলে কিছু হলেও বন্ধ হবে। আর জাগোর সম্মান ও বৃদ্ধি পাবে। ধন্যবাদ
@Farhan Abid: মসজিদের জন্য রাস্তা ঘাটে হুজুরেরা যে চাঁদা তুলে আপনি কি মনে করেন সব টাকাই মসজিদে দেয়.? আমি নিজ চোখে দেখেছি ওই টাকা দিয়ে তারা চা, পান, খায়, নাস্তা করে, গাড়ি ভাড়া দেয়। সব খারচ শেষে যা উদৃত থাকে তা মসজিদে জমা দেয়। তার মানে কি মসজিদের জন্য যারা চাঁদা তুলে তারা সবাই ভন্ড..?
আমি বলি, অনিয়ম সব জাগায়ই থাকতে পারে তাই বলে সম্পুর্ণ কর্যক্রমটি খারাপ হতে পারে না।
আর মেয়েদের পোষাকের ব্যাপারে বলব, এক শ্রেণীর মানুষ মেয়ে দেখলেই উত্তেজনা বোধ করে. মেয়েদের তারা খাবারের জিনিস মনে করে। যত দোষ মেয়েদের ঘারে.. ..
একজনের মন্তব্য কপি মারলাম। 😀
বাঙালি নারীসমাজের পোশাক-আশাক এবং লাজলজ্জাজনিত অবক্ষয়। ইহারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলিয়া বলিয়া থাকেন যে মেয়েদের ড্রেসাপের কারণেই উহারা ইভ-টিজিং এর শিকার হয়।
মেয়েরা জিন্স-টিশার্টের মত (সতর ঢাকা) পাশ্চাত্যজাত ড্রেস পড়িলে উহারা যারপরনাই উত্তেজিত হন, আপনারা দেখিয়াছেন। জিন্স-টিশার্ট বাদ দিয়া কামিজ পড়িলেও তাহারা উত্তেজিত হন ওড়না ঠিক নাই বলিয়া। ওড়না ‘ঠিক করে’ পড়িলেও তাহারা উত্তেজিত হন ওড়না পাতলা বলিয়া। ভারী ওড়না পড়িলেও তাহারা উত্তেজিত হন মাথা দেখা যায় বলিয়া। মাথা ঢাকিলে তাহারা উত্তেজিত হন ফাঁকফোক দিয়া চুল দেখা যায় বলিয়া। মাথার চুল সব ঢাকিয়া বোরকা পরিলেও তাহারা উত্তেজিত হন, মুখ দেখা যায় বলিয়া। মুখ ঢাকিয়া নেকাব পরিলেও তারা উত্তেজিত হন, বোরকা টাইট, বডির শেপ দেখা যায় বলিয়া। এখন কোন মেয়ে ঢোলাঢালা একটা চটের বস্তায় ঢুকিয়া মুখ সেলাই করিয়া দিলেও ইহারা উত্তেজিত হবার একটা ছুতা বাহির করিয়া নিবেন। এত উত্তেজনা এইটুকু একটা ছোট দেশে ধরে কেম্নে বুঝিনা। আমার মনে হয় এইসব নিউকিলার প্ল্যান্ট-ট্যান্ট খরিদ না করিয়া এইসব উত্তেজিত যুবকগণের যৌবনজ্বালা ব্যবহার করিয়াই আমরা দেশের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি সাপ্লাই দিতে পারিবো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি
@M H BULBUL: না, আমি মনে করিতেছি না যে মশজিদের জন্য যাহারা চাঁদা তুলিতেছে তাহারা সব টাকা মসজিদে প্রদান করেন। যাহারা প্রদান করেন তাহারা সব টাকাই প্রদান করেন (কারণ তাহারা অন্তত মসজিদের টাকা নিইয়া ভণ্ডামি করিবেন না) আর যাহার টাকা প্রদান করেন না তাহারা সব টাকাটাই মেরে খান। অনিয়মতো সব জাগায় থাকিবেই কিন্তু অনিয়ম বন্ধে কিছুটা হলেও বেবস্থা নেয়া উচিত। যেমন টাকা প্রদানের জন্য রশিদের বেবস্থা করিলে কিছুটা হলেও অনিয়ম থেকে রেহায় পাওয়া যাইবে। আশা করি জাগো কর্তৃপক্ষ টেকটিউন্সে আসিয়া এই পোস্টে ঢুকিয়া আমার এই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ, মূল্যবান বক্তব্যটি বিশেষ দৃষ্টিতে দেখিয়া পরবর্তীতে বিশেষ বেবস্থা গ্রহন করিবেন
আর কোন মেয়ে যদি বোরকা পরিয়া থাকে তাহলে তার ছুল বাহির হইয়া থাকিলে খুব কম সংখ্যক মানুষ সেটা নিয়ে কথা বলে। মেয়েটি যদি জিন্স ও টি- শার্ট পরিয়া থাক্ত তাহলে কি কিছুটা হইলেও কম বাজে মন্তব্য শুনিতে হইত না? জাগোর মেয়েদেরকে টিশার্ট জিন্স পরিতে নিষেধ করিতে বলিয়া সেলয়ার কামিজ পরিতে বলিলেও যদি বাজে মন্তব্য শুনিতে হয় তাহলে কি অনেকটা কম হইলেও বাজে মন্তব্য শুনিতে হইত না?
@M H BULBUL: দুঃখিত “মেয়েটি যদি মেয়েটি যদি জিন্স ও টি- শার্ট পরিয়া থাকিতো” এরর জাগায় “মেয়েটি যদি সেলয়ার কামিজ পরিয়া থাকিতো তাহলে কি কিছুটা হইলেও কম বাজে মন্তব্য শুনিতে হইত না” এটা হইবে। এই ভুলের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত য 😀
@Farhan Abid: ভাই,আমি তো বলেছি যে হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হয় না,আর খারাপ ভাল তো থাকবেই,আর খারাপ রা খারাপ হলে নিজের জায়গায় খারাপ,কাজের সময় তো না,আপ্নি কি কোন ভলান্টিয়ার কে দেখসেন,ফুল নিয়ে কোন মেয়েকে উত্তক্ত করতে।।? আর কে ভাল আর কে খারাপ এইটা তো বাইরে থেকে ব্জহা যায় না,অনেকে ভাল ও আছে ,আর অনেক খারাপ,আর ভালোর সংখ্যা টি খারাপ থেকে অনেক বেশি তাইতো,আম্রা আমাদের অইদিনের কাজটি সফল ভাবেই করছি,আর খারাপ মানুষ না থাকলে ভালোর কদর কিভাবে বুঝবেন।আর মেয়েদের কথা যেইটা বলছেন,আমার হাতে থাকলে আমি নিজেও করতাম,কিন্তু এই কাজ টা শুধু জাগোর নাহ,আপনার আমার সবার দায়িত্ব।।এই জিনিস টা ঠিক করতে হলে আমাদের সবাইকেই কাজ করতে হবে।।
আর আমিও আশা করব যে জাগো আগামীতে আপনার কথাগুলোর উপর কিছুটা নজর দিবে। 🙂
https://www.facebook.com/mithu.quayium/posts/131516833622211?notif_t=share_comment, এও ছবিটা দেখুন। বামদিকের ছবিটা সম্পর্কে আমার জানা প্রয়োজন। এমনই যদি হয় তাহলেতো সমস্যা।
@MITHU: আপনার ছবিতে প্রাইভেসি দেয়া। আপনি ছবিতে রাইট ক্লিক করে “copy image location” ক্লিক করে ছবির লিংকটি দিন।
@MITHU: ভাই,এই ছবি সম্পর্কে আমি কোন কমপ্লিমেন্ট করব না,যারা জানে তারা করলে বেটার হয়,
@M H BULBUL: ও @billi: ভাই আপনার এর জবাব দিতে পারেন,দয়া করে… 🙂
@আতাউর রহমান:
আমরা ৪ বছর ধরে ঢাকায় ৩ টি স্কুল করেছি। এবার আশা করি আরও কিছু জেলায় করতে পারব।
যখন দেখতে পেলাম জ আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা দরিদ্র ছেলে মেয়েদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে তখন দেখে
খুব গর্ব বোধ করতেছিলাম। কিন্তু যখন দখলাম তাদের জন্য তোলা টাকা দিয়া আমদের ভলান্টিয়াররা KFC তে ভুফে খাচ্ছে তখন এক জন সাধারন মানুষ হিসাবে আপনার কেমন লাগতে পারে? দুঃখিত আমি তাদের সবাইকে বলতেছি না। আমার কত্থা সুধু তাদের উদ্দেশো করে যারা দরিদ্রের টাকা দিয়ে ফুরতি করে। দুঃখিত আবারো………আসুন আমরা এদের প্রতিরোধ করি………।
@touhidul hossain: ভাই,আগেই সরি,কারন,তিনদিন লগিন করতে পারি নাই…সারাভার ভাল ছিল নাহ,TT এর।।।আর ভাই,আমি আগেই বলছি হাতের পাঁচ আঙ্গুল কি সমান হয়? হয়না।তাই যেখানে ভাল থাকবে সেখানে খারাপ থাকবে,এখন যদি শুধু খারাপ কে নিয়েই ছিন্তা করি,তাইলে ভালরা কথায় জাবে।ভাই আগে সবাই ভালকে সাপোর্ট করি খারাপ তো একদিন ভাল হবেই।আমাদের নবী রাসূলরাও একি কাজ করসেন,তারা ভালো কে সাপোর্ট করছেন,তাই বলে তারা শুধু খারাপকে ঘৃণা করেন নাই,তারা নিজের ভাল দিয়েই খারাপকে ভাল করার চেষ্টা করেছেন,আমি আশা করি তারা সফল ও হইছেন।আশাকরি আপনি আমার কথাটুকু বুঝছেন।আমি মানি আপনার কথাগুলো ঠিক,কিন্তু,আপ্নি খারাপকে যদি প্রতিরোধকরেন তাইলে তো হবে না।নিজে ভাল হতে হবে,এবং ভালোকে সাপোর্ট করতে হবে,খারাপ নিজে থেকেই ভাল হবে।কারন খারাপ যতই খারাপ হোক ভালর কাছে হার মানতেই হয়।আর এই জিনিসটা আপ্নিও জানেন,যেহেতু আপনি মুসলিম তাই কথাটা আপনি ভালই বুঝবেন, তাছাড়া অন্যান্য ধরমালম্বিরাও এইটা ভালই বুঝেবেন।
কিছু ভুল বললে ক্ষমা করবেন। 🙂 🙂
🙂