বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর রক্তের প্রয়োজন মাত্র ৪ লাখ ব্যাগ। এ রক্তের বড় অংশ আসে পেশাদার রক্ত বিক্রেতার কাছ থেকে, যা দূষিত রক্ত হিসেবে চিহ্নিত। এসব দূষিত রক্ত গ্রহণ করে আমাদের নিকটাত্মীয়রা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। অনেকে মৃত্যুবরণও করে থাকেন। তাই নিজে রক্ত দিন, অন্যকে রক্তদানে উৎসাহিত করুন।
১. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে ৩ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।
২. রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।
৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
৪. সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন।
৫. নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম ।
৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ, এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’
১. ১৮-৬০ বছর বয়সী সব সুস্থ মানুষ রক্তদান করতে পারেন।
২. ৪৫ কেজির বেশি ওজনের সব মানুষই রক্তদান করতে পারেন।
৩. যিনি গত ৪ মাসের মধ্যে রক্তদান করেননি তিনি রক্তদান করতে পারেন।
ফেসবুকে বদলে দাও বাংলাদেশের প্রথম মিশন শুরু হল আজ (রক্ত দাও ,জীবন বাঁচাও) এই স্লোগান নিয়ে ।
আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি ।
যারা রক্ত দিতে ইচ্ছুক তারা ফেসবুকের পেজটিতে (যার লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে)
আমি বদলে দাও বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ৃৃৃআাa