সুপ্রিয় টেকটিউনস এর বন্ধুগণ।
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’
মৃত্যুর সা্দ্
- কেমন আছেন সবাই,আসা করি ভাল…সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করে আজকের টিউন।সাধারণ মানুষের মধ্যে বিবর্তন সম্পর্কে ভ্রান্তির যেন কোন শেষ নেই। এমনকি প্রচলিত মিডিয়াতেও বিবর্তন সম্বন্ধে অজস্র ভুল ধারণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটু খেয়াল করে দেখলে তার কারণটা বুঝে ওঠাও তেমন কঠিন নয়। তাকে খুব সহজে মেনে নেওয়া তো কঠিন হওয়ারই কথা।
- প্রতিটি মানুষের জীবনে মৃত্যু একবার আসবেই৷ তাই খুবই স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুকে গ্রহণ করতে হবে৷''আমরা জানি আল্লাহ আমাদের এ পৃথিবী থেকে একদিন নিয়ে যাবে।আমরা কি জানি, আমাদের মৃত্যু হওয়ার সময় দেহ থেকে কিভাবে প্রান চলে যায়?মৃত্যু খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা৷ জীবনের সঙ্গে মৃত্যু ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷
- সাধারণভাবে মনে করা হয় মৃত্যু প্রাণীর জীবনে আচমকা এসে সবকিছু ল-ভ- করে দেয়; কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে বলে মৃত হতে হলে প্রথমে হৃদয়ের কম্পন বন্ধ হতে হবে, ফুসফুস তার ক্রিয়া বন্ধ করবে, যার ফলে মস্তিষ্ক তার সব কাজ বন্ধ করে দেবে।কি ভাবে ঘটে চলুন দেখি?
সরল এককোষী জীব
- মৃত্যু (Death) বলতে জীবনের সমাপ্তি বুঝায়। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা জীবের) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে।কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়।
- মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট অঙ্গ, কোষ বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন।
- সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে বলে Algor mortis। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কংকালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে Rigor mortis, এবং এটি তিন-চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নীচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে Livor mortis; রক্ত জমা হবার কারণে এমন হয়।
- মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী এনজাইম ও ব্যাক্টেরিয়া।দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়।
মস্তিষ্কের কোষ
- সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে।অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে।
*এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
কোরআনে আল্লাহ বলছেন : "প্রতিটি জীব একদিন মৃত্যুর সা্দ্ গ্রহন করবে”
কালেমা
বাংলায়=(লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্)।
আরবি= ( لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ )
*আল্লাহর এবং হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম নিয়ে মৃত্যু হলে কষ্ট কম হয় ।আশুন এই দোয়া সময় মত মনে মনে পড়ি ।
এই প্রত্যাশা রেখে ।
“আল্লাহ হাফেজ”।
আসসালামু আলাইকুম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ