জীবনে সফলতা আসুক তা কে না চান? কিন্তু সফলতা এমনি এমনিই আসে না। অনেক কষ্ট করে অর্জন করতে হয় এই সফলতা। যার ফল সুমিষ্ট তার জন্য কিছুটাতো কষ্ট করতেই হবে। সেই সাথে চলতে হবে বুদ্ধি করে। সফল মানুষদের জীবনী পড়লে তাদের সফলতার পেছনে থাকা কষ্টগুলো পরিলক্ষিত হয়। তারা কিন্তু অনেক আগে থেকেই গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন নিজেকে। প্রায় অধিকাংশই অনেক কম বয়স থেকে শুরু করেন। তাই জীবনকে একটি ভালো ক্যারিয়ার উপহার দিতে চাইলে অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে আপনি হয়তো দেরি করে ফেলবেন। সুতরাং জীবনটা এলোমেলো হয়ে যাওয়ার পূর্বেই গুছিয়ে নিন নিজেকে। ২০ বছর বয়সের পর থেকেই নিমোক্ত ৬ টি কাজ হোক আপনার সফলতা অর্জনের হাতিয়ার।
(i) পড়ালেখা একেবারেই শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না
প্রায় অধিকাংশই ভেবে থাকেন- আগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করি। তারপর কাজে যোগ দিব। কিন্তু ইদানীং এই পদ্ধতিটি একেবারেই কার্যকর কিছু নয়। কারণ এখন প্রায় সব কোম্পানিগুলোতেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক চেয়ে থাকেন। আপনি যদি একেবারে পড়ালেখা শেষ করে তারপর চাকরিতে যোগ দিতে চান তাহলে আপনাকে শুরু করতে হবে এন্ট্রি লেভেল থেকেই। তাই যদি আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি কোন পার্ট টাইম জব করেন কিংবা ঘরে বসে কিছু করতে পারেন তাহলে পড়ালেখা শেষ করে আপনার রিজুমিতে অভিজ্ঞতার একটি লেবেল যোগ করতে পারবেন।
(ii) পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করুন নিজের দক্ষতা বাড়াতে
পড়ালেখার পাশাপাশি যদি আপনি জব করতে আগ্রহী না হন তবে এমন কিছু কাজ করুন যা আপনার কোনো একটি সাইডের ভালো দক্ষতা বাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ-আপনি যদি নিজের ব্যবসা খুলতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করুন এবং অল্প কিছু করে হলেও পুঁজির ব্যাপারে ভাবতে থাকুন।
(iii) কিছু কোর্স করে নিন-যেদিকে আপনার দক্ষতা অর্জনের প্রবল ইচ্ছা সে ব্যাপারে
আপনি যে পথে নিজের ক্যারিয়ার গড়াতে ইচ্ছুক পড়ালেখার পাশাপাশি সে সম্পর্কিত কিছু কোর্স করুন। অল্প বয়সেই এই কাজটি করা অনেক ভালো। এর কারণ পরবর্তীতে হয়তো আপনার তেমন সময় নাও হয়ে উঠতে পারে কিংবা পরে নানা চাপে সেই মানসিকতাও থাকবে না। তাই বয়স বিশের পর থেকেই আপনি এই কাজটির প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দিন।
(iv) আলসেমি না করে সময় কাজে লাগান
"আলস্য ভয়ানক ব্যাধি"-এটা জানা সত্ত্বেও ছাত্রজীবনে আলসেমি প্রায় সকলেই করে থাকেন। যাই হোক, এটি নতুন কিছু নয়। চেষ্টা করুন এই আলসেমিটাকে কিছুটা কমিয়ে কাজের দিকে মনোযোগী হওয়ার। আলসেমি করে আপনি যতটুকু সময় পার করেন ঠিক ততটুকু সম্য় যদি আপনি ক্যারিয়ার গঠন ভিত্তিক কোনো জ্ঞান অর্জন কিংবা কাজ করতে পারেন। তাহলে উন্নতি নিজেরই হবে।
(v) বন্ধুরা মিলে একত্রিত হয়ে গঠনমূলক কাজে অংশ নিন
অনেকেই আছেন যারা পড়ালেখার পাশাপাশি কয়েকজন বন্ধু মিলে ছোটখাটো কিছু কাজ করতে থাকেন। একা একা সম্ভব না হলে বন্ধুদের সাথে আপনিও এই জিনিসটিকরতে পারেন। বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে অল্প অল্প করে কিছু পুঁজি দিয়ে সেটা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। অথবা নিজেরা যে যে কাজগুলোতে দক্ষ সেসব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ছোট ছোট কাজগুলো করে দেওয়ার প্রোজেক্ট আপনারা হাতে নিতে পারেন। বর্তমানে এই সুবিধা দিয়ে থাকে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে বাংলাদেশে। দরকার শুধু আপনার প্রবল ইচ্ছা আর বুদ্ধি খাটানোর। তবে তার আগে ব্যবসা আইডিয়া এবং মার্কেটিং আইডিয়া জেনে নেয়া ভাল।
(vi) একেবারে রোবট হয়ে যাবেন না জীবনকেও উপভোগ করুন
শেষসময়ে এসে অনেকেরই মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে-এতোসব কথা বলে ছাত্রজীবনের মজাটাই নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। ভেবে দেখুনতো আসলে কি তাই! প্রতিদিন অনেক কাজ করে বেশ কঠিন একটি রুটিন তৈরি করে আপনাকে চলতে বলা হচ্ছে না। নিজের জীবনকে আপনি উপভোগ করুন ঠিকই কিন্তু পাশাপাশি বাড়তি কিছু সময় বের করে এইসব ব্যাপার নিয়ে ভাবুন। কারণ জীবনটা একান্তই আপনার। আমিতো কেবল একজন পথ প্রদর্শক।
আমি রাকিব শাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।