আমি কাজী নজরুল ইসলাম বলছি....চলুন আমার ..জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘুরে আসি..
আমার জন্ম অধুনা ভারতবর্ষের, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের,বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে..
২৫ শে মে,১৮৯৯ সালে
আমার জন্ম স্থানটির মানচিত্র নিম্নরূপ
এটা বর্ধমান জেলা
p লেখা জায়গাটিই হলো চুরুলিয়া
আমার বাড়ি দেখতে চান....যেখানে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি...
তাহলে দেখুন নিচেই আছে আমার বাড়ি..
এটা এখনকার ছবি....এটা ভারত সরকারের সংরক্ষিত এলাকা
এবার দেখুন তো আমাকে চিনতে পারবেন কিনা.....
আমাকে তখনো কেও নজরুল ইসলাম বলে চেনেনা...চেনে দুখু মিয়া বলে...আমার তখনকার বাডি...
আমি তখন লেটো দলে গান গেয়ে বেড়ায়....
আমার পিতামহ কাজী আমিনউল্লাহ
পিতা ফকির আহমদ
মাতা জাহেদা খাতুন
আমি পিতা মাতার ষষ্ঠ সন্তান
আমি দশম শ্রেণীতে পড়তে পড়তে ব্রিটিশ অধিনস্ত ভারতীয় সেনা বিভাগে যোগ দিই...
আমার সাহসিকতা এবং নিজ যোগ্যতায় আমি হাবিলদার পদে উন্নিত হই...
আমি তখন যুবক ২১বছর বয়স...সৈনিকের পোশাকে (হাবিলদার)আমি
দেখুনতো আমাকে চিনতে পারেন কিনা....
আমার(কাজী নজরুল ইসলাম) ছোট পরিবার দেখুন
কি চিনতে পারলেন.....?
আমি আমার ছেলে বুলবুলকে হাতে নিয়ে
আমার ডানদিকে দাঁড়িয়েবুলবুলের নানি...
আমার ডানদিকে স্ত্রী পামেলা বসে আছেন.
আমার বাঁদিক বসে আছেনগিরিবালা দেবী..
আমার অন্যছবি......
এখানে আমি,স্ত্রী পামেলা ,দুই পুত্র সব্যসাচী এবং অনিরুদ্ধ
আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমি....এবং আমার দুর্লভ ছবি
আমি আমার চুরুলিয়ার বসাভূমিতে পরিবার পরিজনদের মাঝে...
দেখবেন তবে দেখুন......
আমার নিজস্ব পরিবারের সঙ্গে একান্তে আমি
আমার কবিতা,আমার গান..আমাকে (কাজী নজরুল ইসলামকে)কেমন গেয়ে শোনাচ্ছে দেখুন
আমি আমার কলকাতার বাসভূমিতে...কেমন হাসিখুশি..খোসমেজাজে বসে আছি দেখুন
আমাকে আলিউর রহমান কেমন গান শোনাচ্ছে দেখুন
আমি বাঁশি বাজাতে পারতাম...দেখুন
আমি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতাম
আমার হাতের লেখা দেখবেন...আমার সাথে আমার হাতের লেখা দেখুন
আমি রাজশাহি মুসলিম ক্লাবে...
সদস্যরা কেমন ঘিরে আছে দেখুন
আমার দেখুন আমাকে ...বিদ্রহের ভূমিকায়..কবিতা পাঠ করছি
"আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধবনিবে না,
অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না"
আমাকে 'একুশে' মেডেল পরিয়ে দিচ্ছেন...
'গাহি সাম্যের গান--
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাহি, নহে কিছু মহীয়ান!"
আমি (কাজী নজরুল ইসলাম)বৃদ্ধ হয়েছি...দেখুন আমাকে কেমন লাগছে....দেখতে
আমাকে ২৪শে মে ১৯৭২ সালে ঢাকায় নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমন
বৃদ্ধ বয়সে আমার নাতি নাতনিদের সঙ্গে আমি
আমার (কাজী নজরুল ইসলামের)কব্যগ্রন্থ গুলি:-
অগ্নিবিণা(১৯২২),দোলন চাঁপা (১৯২৩),বিশের বাঁশি(১৯২৪),চিত্তনামা(১৯২৫),সাম্যবাদী(১৯২৫),সর্বহারা(১৯২৬),ঝিঙেফুল(১৯২৭),
ফণিমনসা(১৯২৭),সিন্ধুহিল্লোল(১৯২৭),সঞ্চিতা(১৯২৮),জিঞ্জীর(১৯২৮),সন্ধ্যা(১৯২৯),চক্রবাত১(১৯২৯),প্রলয় শিখা(১৯৩০),চন্দ্রবিন্দু(১৯৩০),
নতুন চাঁদ(১৯৪৫),মরু ভাষ্কর(১৯৫৭),সঞ্চয়ন(১৯৫৫),শেষ সওগাত(১৯৫৮),ঝড়(১৯৬০)
আমার (কাজী নজরুল ইসলামের)লেখা গল্প গুলি:-
ব্যাথার দান,রিক্তের বেদনা
আমার (কাজী নজরুল ইসলামের)লেখা নাটকের নাম:-
মৃত্যু ক্ষুধা
আমি (কাজী নজরুল ইসলাম)যে যে পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম:-
লাঙ্গল,ধূমকেতু,নবযুগ,মোসলেম ভারত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর আমার স্বকন্ঠে রবীন্দ্রবন্দনা 'রবিহারা' কবিতা শুনুন এখান থেকে বিকল্প লিঙ্ক এখানে
আমি একটি চলচ্ছবি পরিচালনা,অভিনয় করেছিলাম ভগবান নারদের ভূমিকায়..এখান থেকে দেখুন বিকল্প লিঙ্ক এখানে
আমাকে দেখুন ,আমি রোগশয্যায়...
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন...বঙ্গবন্ধু
আমার সন্মানে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে দেখুন....
ভারত,পাকিস্তান+বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
আমি শেষ বারের মত চোখ বন্ধ করি.. ২৯আগস্ট,১৯৭৬সালে
আমার শেষযাত্রায়...
বাংলাদেশের সমস্ত জনতা...
ঢাকার রাজপথে কেমন শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসেছে ...কেউ বাদ নেই
আমি আমার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করেছি....
আপনি কি জানতে চান?....তাহলে আমার কবিতা পড়ুন
"মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই,
যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই।।"
আমার শেষ ইচ্ছা বাংলাদেশ সরকার পূরণ করেছেন...আমি বাংলাদেশের জাতীয় কবি...ভারতের জনপ্রিয় কবি..সকলের বিদ্রোহী কবি....
দেখুন আমি যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মসজিদের পাশে
বর্তমান ছবি দেখুন
উপর থেকে দেখুন
ধার থেকে দেখুন
আমি (কাজী নজরুল ইসলাম)এখানে আমার জীবনের এক ঝলক দিলাম...
দুর্লভ কিছু মুর্হূত মাএ...সম্পূর্ন জীবনী নয়...
শেষ কালে বলতে চাই...
গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ ।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।-
***********************************************
***********************************************
আমি কলকাতা বলছি,
আমি এই টিউনটি জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত বাঙালী জাতিকে ও বিশ্বকে উৎসর্গ করলাম.....
সবাইকে, সমস্ত বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে মন্তব্য করার আহ্বান জানালাম......
আমি কলকাতা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 534 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ । নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।- ---ফেসবুকে আমি http://www.facebook.com/pages/Kolkata-India/100002338894158 আমার ব্লক http://kolkata12345.blogspot.com/
অসাধারণ সব টিউন উপহার দিচ্ছেন আপনি আমাদের… অনেক অনেক ধন্যবাদ। 😆