A B C D
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
... ..... ....... ........ ..... ...... ......... ........ .... .... ....... ..... .... ..... ....... ....... .... ......... ..... ........ ....... ... ..... ..... ...
............(১২ ডট)
......(৬ ডট)
**
**
**
কি কেমন লাগলো....নামকরন দেখে মনে করেছেন যে আমি পাগল...ঠিক বললাম না?
হ্যাঁ আমি পাগল..তাহলে আপনাদের আমি কি বলবো??
আমি লুই ব্রেইল বলছি...এই টিউনটি বিশ্ব দৃশ্য দিবসকে (১৩ই অক্টোবর ২০১১) উৎসর্গ করলাম......
আমার জন্ম ১৮০৯ সালে ৪ই জানুয়ারি....কুপভেরি নামক স্হানে প্যারিসে...
আমি ছোটবেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ি...এবং দৃষ্টি শক্তি হারায়..
আমার সমস্ত জীবনই দুর্বিশহ...ছোটবেলায় আমি ছিলাম দুরন্ত...
আমাকে আমার পিতা প্রতিবন্ধীদের স্কুল ভর্তি করেন
তখন থেকেই আমার (অন্ধদের পড়াশুনার)পড়াশুনার ব্যপারে আগ্রহ তৈরী হয়...
কিন্তু প্রশ্ন জাগে কিভাবে..?
প্রতি দিন এই প্রশ্ন জাগে আমার মনে...একদিন আমি এই প্রশ্নের উওর আমি খুঁজেপাই..
সেই দিনটি হলো ১৮২১ সালের কথা,চার্লিজ বার্বার ছিলেন সেই সময়ের ফ্রান্সের সৈন্যবাহিনীর ক্যাপ্টেন..
তিনি 'নাইট রাইটিং' নামে একটি গোপন কোড আবিষ্কার করেন...সেনাবাহীনির জন্য...
এই কোডটির বিশেষত্ব হলো ১২টি ডটের বিনিময়ে গোপন পত্রালাপ...
আর এরই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমি ৬টি ডটের চিন্তাভাবনা নিয়ে শুরু করি অক্ষরের রূপদান...
যা পরবর্তী কালে লুই ব্রেইল পদ্ধতি নামে পরিচিত হয়..
এবার আমরা দেখবো ছয়টি বিন্দুর মহিমা:-
নিচের ছবিটি দেখুন তাহলেই বুঝতে পরবেন বিন্দুর (ডট)রহস্য...
কি কিছু বুঝতে পারলেন...ইংরাজীর প্রতিটি অক্ষরকে কিভাবে প্রকাশ করা হয়...
বড় লাল বিন্দু গুলিই বাস্তব.... মানে ওই গুলিই বিশেষ কাগজে মুদ্রিত হয়(খোদাই করা হয়)..
আর ছোট বিন্দুগুলি বিশেষ বিশেষ অক্ষরের ক্ষেত্রে কাল্পনিক...অপনাদের বোঝার জন্যই তা দেওয়া হলো
আপনার কি প্রশ্ন জাগেনা এই ডট গুলি কিভাবে প্রিন্ট(এখানে খোদাই বলতে পারেন)করা হয়...?
তাহলে উওর দিই প্রথম দিকে এই শব্দ গুলি হাতে করে খোদাই করা হতো ব্রেইল ফ্রেম ও স্টালাসের সাহায্যে বিশেষ কাগজে বা শক্ত পিচবোর্ড যাতে স্পর্শ করেই অনুভব করা যায়..
পরবর্তী কালে ব্রেইল টাইপ রাইটার উদ্ভব হয়...এটি দেখতে কেমন তাহলে নিচে দেখুন...
ডান ও বাঁ হাতের তিনটি আঙ্গুলে মোট ছয়টি ডটের ছিহ্ন থাকে...এবং মাঝের বড় সুইজ টি হলো স্পেস দেওয়ার জন্য..
কিন্তু বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই ব্রেইল পদ্ধতি কম্পিউটার ভিত্তিক হয়েছে..দেখতে চান ব্রেইল কম্পিউটার প্রিন্টার..দেখুন তবে
আমি এই ভাবেই পড়াশুনা করতাম...হাতের আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে....
১৮৫২ সালে ৬ই জানুয়ারী শেষ বারের মত আমার হৃৎপিণ্ড ধক ধক করে...তখন আমার বয়স মাত্র ৪৩ বছর...
দৃষ্টি হীন প্রতিবন্দীরা বর্তমানে যে সব যন্ত্রপাতি বা উপকরণ ব্যবহার করেন তার একটি তালিকা...
১/ব্রেইল টাইপ রাইটার,২/ব্রেইল ফ্রেইম,৩/আবাকাস ক্যলকুলেটার(স্পর্শ দ্বারা নির্দেশিত হিসাব যন্ত্র)
৪/কথাবলা ঘড়ি এবং আরোও অনেক রকম পদ্ধতি
বর্তমানে দৃষ্টি হীন প্রতিবন্ধীরা কথাবলা সফ্টওয়ার ব্যবহার করে কম্পিউটারের টেক্স বুঝতে পারেন...
***********************
বিশ্বের প্রথম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন হয় প্যারিসে....
এশিয়া উপমহাদেশে প্রথম দৃষ্টি হীন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতে খ্রীষ্টান মিশনারির প্রচেষ্টায় ১৮৮৪ সালে অমৃতসরে..ভারতে..
তারপর ১৮৯৪ সালে কলকাতায় লাল বিহারী শাহা একটি দৃষ্টি হীন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করেন..
এখানেই বাংলা ভাষায় প্রথম ব্রেইল পদ্ধতি চালু হয়...
এরপর বাংলাদেশের কথায় আসি...১৯৫৭ সালে ঢাকার তেজগঞ্জ অঞ্চলে দুই জন মাষ্টার মশাই নিয়ে চালুহয় দৃষ্টি হীন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ...
নাম রোটারি স্কুল ফর ব্লাইন্ড.....
১৯৫৮ সালে আর একটি দৃষ্টি হীন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকার মণিপুরি অঞ্চলে....
সেখানে তখন প্রধান শিক্ষক ছিলেন ভারত থেকে আসা এক জন দৃষ্টি হীন প্রতিবন্ধী........
ব্রেইল পদ্ধতিতে পুস্তক ছাপার ব্যয় ভার প্রচুর...
বর্তমানে এই জন্য অনেক মানবাধিকার সংগঠন এগিয়ে এসছেন....
আপনি কি এর মধ্যে সামিল হতে চান...?
তহলে আপনার নিকটবর্তী কোন মানবাধিকার সংগঠনে যতটুকু আপনার সামর্থ সাহায্য করুন...
সমাজের কোন একটি স্তরকে পিছনে ফেলে সেই সমাজ এগিয়ে যেতে পারেনা..সকলকে নিয়েই সমাজ...
আমি কলকাতা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 534 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ । নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।- ---ফেসবুকে আমি http://www.facebook.com/pages/Kolkata-India/100002338894158 আমার ব্লক http://kolkata12345.blogspot.com/
টিউনটি খুব ভাল হয়েছে। ব্রেইল ভাষা সম্পর্কে আগে জানতাম তবে বিস্তারিত জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আরও ধন্যবাদ কমেন্ট উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য।