রাজধানী ঢাকার ধোলাইখাল। অটোমোবাইলের অঘোষিত ‘লোকাল’ সাম্রাজ্য। অটোমোবাইলের এহেন কোন যন্ত্রাংশ নেই যা পাওয়া দু:স্কর এখানে। কেউ কেই বলে থাকেন চোরাই পণ্যের আখড়াও নাকি এটি। তবে যাই হোক, কয়েকশত দোকান আর ‘মিনি’ কারখানা নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি অটোমোবাইল প্রযুক্তিভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি কাম মার্কেট। ছোট ছোট কারখানাগুলোতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে অটোমোবাইলের নানাসব নামিদামি যন্ত্রাংশ। কী নেই এখানে? বিদেশ থেকে আমদানী করা যন্ত্রাংশগুলোর তুলনায় কোনভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না দেশীয় উৎপাদিত এসব যন্ত্রাংশগুলোকে। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলে থাকেন, পুরো গাড়িই নাকি এখন তৈরি করা সম্ভব ঢাকার ‘ধোলাইখালে’। প্রশ্ন হচ্ছে কারা এখানে কাজ করছেন? তাদের যোগ্যতাই বা কী ?
এ প্রশ্নের উত্তর হিসাবে যা পাওয়া যাবে তাতে কিন্তু অনেকেরই চুক্ষ চড়ক হবার যোগাড়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এদের বেশিরভাগেরই নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এমনকি যারা এসব কর্মীদেরকে হাতে কলমে কাজ শেখাচ্ছেন তাদেরও নেই কোন ডিগ্রি বা প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান। শুধুমাত্র নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা আর সৃষ্টিশীলতা কে পূঁজি করেই এখানকার কর্মীরা তৈরি করে চলেছেন উন্নত প্রযুক্তির গাড়ীর যন্ত্রাংশ। আশ্চর্য্য হওয়ার মত ব্যাপার এই যে, এদেশের বহু গাড়ীতেই উৎপাদিত এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে।
সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেলে হয়তোবা আরো বহুদুর এগুতে পারতো এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে যদি প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায় তবে অটোমোবাইল শিল্পে রীতিমত বিল্পব ঘটাতেও হয়তোবা বেশি সময় লাগবে না ‘ধোলাইখালের’।
আমি দুরন্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রযুক্তিতেই মুক্তি
আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন ঠিকই ধোলাইখাল তার উপযুক্ত সম্মান পাবে। এরকম একটি চমৎকার লেখার জন্য লেখক কে অভিনন্দন জানাই। এ ধরনের লেখা সত্যিই আরো প্রকাশিত হোক টেকটিউনস এ। দুরন্ত আপনি এগিয়ে চলুন।