আস সালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আপনারা ভাল থাকলেই তো আমাদের জন্য ভাল। কারণ আমাদের টিউন তো আপনারাই পড়েন। যদি আপনারা সুস্থ না থাকেন তাহলে আর কে পড়বে। দেখছেন আমি কত বড় স্বার্থপর মহৎ মানুষ? আপনারা কি কখনো কেউ জেগে স্বপ্ন দেখতে চান। জেগে জেগে যেটা দেখা হয় সেটাকে অনেকেই স্বপ্ন বললেও আমি সেটাকে সমর্থন করি না। জেগে জেগে যেটা দেখা হয় সেটা হচ্ছে আশা, চাওয়া, ইচ্ছা, আকাংখা ইত্যাদি যা মনে করেন। আসলে সত্যিকার অর্থে কেউ জেগে জেগে সপ্ন দেখতে পারে না। যদি কেউ দেখে তবে সেটাকে বলা হয় ভ্রম। আচ্ছা যাইহোক, কিন্তু এখন একমাত্র টেকনোলজিই আপনাকে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম। শুধু তাই নয়। আপনি আপনার স্বপ্নকে নিজের মত করে কন্ট্রোলও করতে পারবেন। আমি কি বলতে চাচ্ছি সেটা আশা করি অনেকেই হয়ত সেটা অলরেডি বুঝে ফেলেছেন। আমি বলতে চাচ্ছি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কথা। যার মাধ্যমে আপনি স্বপ্নের জগতে হারিয়ে যেতে পারেন। আপনার নিজেকে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। গেইমস খেলে ইচ্ছে মত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারেন। এসবই অবাস্তব সত্য। আর এটাকেই আমি বলেছি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা।
আচ্ছা যাই হোক কথা হচ্ছে কথা তা নয় আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি এইচটিসি এর একটি মহৎ ঘোষনার কথা।
উপরে তো বললাম ই যে, এটা স্বপ্নের দুনিয়ায় যাওয়ার একটা পথ। আপনার মনে হবে সবকিছুই আপনার সামনে ঘটতেছে। কিন্তু সবকিছুই অবাস্তব। আপনি মনে করেন একটা মোভি দেখতেছেন। আপনার মনে হবে আপনি নিজেও ঐ মোভির একটা অংশ। আপনি মোভির নায়ক এবং ভিলেনেকে খুবই কাছ থেকে দেখতেছেন। ভুতের মোভি দেখলে তো সত্যিই ভয় পেয়ে যেতে পারেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে মানুষ কিভাবে প্রবেশ করে তা আপনি নিচের ছবিটি দেখলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও হয়ত আরও কোনো মাধ্যম থাকতে পারে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিষয়টা। এত প্যাচ মোচর দিয়ে না বুঝিয়ে সরাসরি আপনাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। লিখলে তো অনেক বড় বড় ইতিহাসও লিখা যাবে তাই না? আচ্ছা যাইহোক আজকে যে বিষয়ে কথা বলার জন্য টিউন করেছি চলুন সেই বিষয়েই চলে যাই।
বর্তমানে এইচটিসি গুগলের পিক্সেল স্মার্টফোন বিজনেসে ভাইভ হেডসেট একটা চুক্তি করেছে এটা মনে হয় আমরা সবাই জানি। এটা আরেকটা রিয়েলিটি। যাইহোক সেটা টপিক্স না। টপিক্স অন্যকিছু। দেখা যাচ্ছে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ঠিক যতটা মানুষের কেনার কথা ছিল ঠিক ততটা কিনছে না। মানে তাদের টার্গেট যতটা ছিল ততটা বিক্রি হচ্ছে না। তাই বিক্রিটা বাড়ানোর জন্য তারা একটা প্রমোশনের ঘোষনা দিয়েছে। যদিও তাদের এই উদ্যোগ টা অনেক মহৎ কিন্তু তাদের লাভও কিন্তু এতে রয়েছে। যাইহোক লাভ তো হবেই সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সাধারণত এইচটিসি একটা এপ্স থেকে যে রেভিনিউ হতো তার ৩০পারসেন্ট তারা নিজেরা রাখতো আর বাকি ৭০পারসেন্ট এপ্স ডেভেলপারদের দিতো। কিন্তু হঠাত করেই এইচটিসি ঘোষনা দিয়েছে যে, তারা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যা ইনকাম করবে তার ১০০ পারসেন্টই তাদের ডেভেলপারদেরকে দিয়ে দিবে।
ডেভেলপারদের জন্য এই অফার শুরু হবে অক্টোবরের ৪র্থ সপ্তাহ থেকে আর চলবে ৩১ এ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটা বলা কঠিন যে, তারা কত রেভিনিউ তৈরি করতে পারবে। তবে এটা বলা যায় তাদের মাসে প্রচুর পরিমান রেভিনিউ আসে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একজন ডেভেলপাররা যে পরিমাণ পরিশ্রম করে তাদের সেই পরিমাণ পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। মানে কষ্টের অনুপাতে হয়ত সেটা তারা পায় না। এমনিতে তাদের পারিশ্রমিক অনেক এরপরো। তাই এইচটিসি এর এই ঘোষনা তাদের মনে একটু হলেও প্রেরণা যোগাবে। এইচটিসি এর উদ্দেশ্য শুধু ডেভেলপারদের খুশি করা নয়। বরং তার এই ঘোষনার ফলে তাদের ব্যবসা আরও জমজমাট হবে। কেননা আমার মত হাজারও পাবলিক আছে যারা এই খবরটা মানুষের কাছে পৌছে দিবে। এতে তাদের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে আর বিক্রয় আগের থেকেও অনেক বেশি বাড়বে।
এইচটিসি এর ভাইভপোর্ট ভিআর এর রিকার্ড স্টেইবার ভেঞ্চার বিটে এক বিবৃতে বলেন, " এই ছুটির দিন ডেভেলপারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেসময়ে আমরা তাদেরকে তাদের যথার্থ মর্যাদা দান করছি। "
মানে ডেভেলপারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দাম কিছুটা হলেও শোধ করার চেষ্টা করতেছে এইচটিসি। এই ভাইভ হেডসেট ই গত বছর এইচটিসি এর ব্যবসাকে অনেক উজ্জ্বল করেছে। তারা তাদের এই হেডসেট থেকে প্রচুর পরিমানে রেভিনিউ পেয়েছে। আর বর্তমানেও তাদের সেই বিক্রয় অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তাদের টার্গেট আরও বেশি। কারণ এখনো প্লেস্টেশন ভিআর এবং সনি পিএস ফোর ব্র্যান্ড বেশি পরিচিত গ্যামার পাবলিকদের কাছে। তাই তারা চাচ্ছে সেই স্থানটা দখল করতে।
এইচটিসি এছাড়াও প্রতিঘন্টায় রেভিনিউ শেয়ার করে যাচ্ছে ভিআর আর্কেড অপারেটরদের সাথে, এখন তাদেরকে ৫০ পারসেন্ট এর জায়গায় ৭০ পারসেন্ট রেভিনিউ দিচ্ছে।
তাইওয়ানের একটি ফার্ম ভাইভপোর্ট সিন্স এস ডিকে ডেভেলপাররা এপ্স এবং গেমস এর মাধ্যমে ক্রেতাদের বিপথে পরিচালিত করার মত কিছু ইফেক্ট তৈরি করেছিল,
ডেভোলপাররা ভিআর প্রিভিউও তৈরি করতে পারে। ভাইভ হেডসেট দিয়ে মোভি দেখলে মনে হবে এটা একটা গেইমস।
এইচটিসি সর্বশেষ একটা সার্ভিস দেয়া শুরু করেছে যেটার মাসিক চার্জ ৬.৯৯ডলার,যার মাধ্যমে এই সতন্ত্র হেডসেট পিসির পরিবর্তে ক্লাউড ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে। তবে এটা বর্তমানে শুধু চিনে চালু আছে। এখন এই সার্ভিস এইচটিকে দিবে অতিরিক্ত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
যাইহোক আজকের মত আমার বিদায় নেয়ার সময় মনে হয় হয়ে গেছে। অনেক কথাই বললাম। আর আপনাদের ছাড়া আর কার সাথে কথা বলবো বলুন। তাই যদি ভাল লেগে থাকে আমার এই টিউন তাহলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি মনে হয় এটা শেয়ার করলে অন্যরাও এই প্রমোশন সম্পর্কে জানতে পারবে তাহলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করুন।
আজকে মতো বিদায়।
আল্লাহ হাফিজ।
আমি মোঃ আশিকুর রহমান সরল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 102 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী।কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি।পৃথিবীকে নতুন কিছু করে দেখাতে চাই। My Website
মাত্র ৫০ টাকায় পাচ্ছেন ১ জিবি হোস্টিং ! https://secure.hostcart.net/aff.php?aff=1