১. বয়স-- পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৭ বছর বয়স, এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স থেকে ৫৭ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২. শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ হতে হবে।
৩. শারীরিক ওজনঃ- মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি বা এর বেশি হতে হবে। তবে, উচ্চতা অনযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ বডি-মাস-ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। তবে প্লাটিল্যাট দিতে হলে ওজন কমপক্ষে ৫৫ কেজি হতে হবে।
৪. রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
৫. উচ্চ রক্তচাপ(High Blood Pressure) এর রোগীদের ক্ষেত্রে- যদি প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে এবং এর জন্য কোন প্রকার ঔষধ সেবন না করিলে রক্তদান করা যাবে।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ অ্যাজমা, হাঁপানি যাদের আছে যাদের এবং নিয়মিত ঔষধ ও ইনহেলার গ্রহণ করলে রক্ত দিতে পারবে না।
৭. মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর-অন্তর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর অন্তর রক্ত-দান করা যাবে। খুব বেশি জরুরি না হলে পুরুষরা ৪ মাস অন্তর অন্তর রক্তদান করা উত্তম।
৮. রক্তের বিভিন্ন উপাদানের ক্ষেত্রে-
*Whole Blood- ৩ মাস পরপর (পুরুষ) এবং ৪ মাস পরপর (নারী)
*Platelets- ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর
*Plasma- ১ মাস অন্তর অন্তর
*Double Red Cells- ৪ মাস অন্তর অন্তর
৯. ৬ মাসের মধ্যে শরিরে কোন ট্যাটু না আকঁলে।
১০. হার্ট এবং কিডনী জনিত কোন সমস্যা থাকলে রক্তদান করতে পারবেনা।
১১. শরিরে আয়রনের ঘাটতি থাকিলে রক্তদান করা যাবেনা।
১২. সিরিঞ্জ ব্যবহার করে কোন প্রকার নেশাদ্রব্য গ্রহণ করিলে(মাদকাসক্ত হলে) রক্ত দিতে পারবেনা।
১৩. রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস, এইডস, চর্মরোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।
১৪. মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মেয়েলি সমস্যা (মাসিক) চলছে না, ও এই মেয়লি সমস্যা সুস্থ্য হবার পর কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর রক্তদান করা যাবে।
১৫. মায়েদের ক্ষেত্রে- শিশু বুকের দুধ গ্রহণ করা অবস্থায় রক্তদান করা যাবেনা। শিশু জন্মের ১৫ মাস পর রক্তদান করতে পারবে, যদি বুকের দুধ না খায়। কোন কারনে গর্ভপাত হলে কমপক্ষে ৬ মাস পর রক্তদান করা যাবে।
১৬. কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ খাওয়ার ৭ থেকে ৩০ দিন পর রক্তদান করা যাবে। নরমাল এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের ৭ দিন পর রক্তদান করা যায়। তবে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক রয়েছে যেগুলো সেবন করলে কমপক্ষে ৩০ দিন পর রক্তদান করতে হয়। এজন্যে ডাক্তারের সাথে আলাপ করে রক্তদান করা উচিত।
১৭. কোন প্রকার টিকা(ভ্যাকসিন) গ্রহণ করলে কমপক্ষে ২৮ দিন পর রক্তদান করা যাবে। তবে কিছু টিকা রয়েছে, যেগুলো গ্রহণ করলে কমপক্ষে ৩ মাস পর রক্তদান করা যাবে। এজন্যে ডাক্তারের সাথে আলাপ করে রক্তদান করা উচিত।
১৮. জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে কমপক্ষে ১ বছর পর রক্তদান করা যাবে।
১৯. ছোট খাটো অপারেশান হলে ৩ থেকে ৬ মাস পর রক্তদান করা যাবে। মেজর অপারেশান অথবা কোন কারনে রক্তগ্রহণ করলে কমপক্ষে ১ বছর পর রক্তদান করা উচিত।
২০. দাঁত পেলে দিলে কমপক্ষে ১ মাস পর এবং দাঁতের অন্য কোন চিকিৎসা নিলে কমপক্ষে ৩ দিন পর রক্তদান করা যাবে।
২১. হেপাটাইটিস বি, সি আক্রান্ত হলে কখনো রক্তদান করতে পারবেনা।
২২. হেপাটাইটিস এ/হেপাটাইটিস-ই সুস্থ হওয়ার ৬ মাস পর রক্ত-দান করা যাবে।
২৩. যক্ষ্মা হলে পূর্ণমাত্রার ওষুধ সেবনের ২ বছর পর রক্ত-দান করা যাবে।
২৪. ডায়বেটিকস রোগীরা রক্তদান না করাই উত্তম। তবে কোন প্রকার ঔষধ গ্রহণ না করা অবস্থায়, যদি ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রনে থাকে এবং অন্য কোন রক্তদাতা খুঁজে না পেলে তখন রক্ত দেয়া যাবে।
২৫. জ্বর-সর্দি হলে সুস্থ্য হওয়ার ৭ দিন পর রক্তদান করা যাবে।
২৬. যে গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হয়, সেই গ্রুপধারী ব্যক্তি থেকেই ঐ রক্ত নিতে হবে।
২৭. ধূমপায়ী ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবে। তবে যেহেতু আগে থেকেই জেনে যাবে সে আজ রক্ত দিবে, ওনার উচিত রক্তদান পর্যন্ত আর ধূমপান না করা। সর্বনিম্ন ১ ঘন্টা পূর্ব থেকে পরিহার করা উচিত।
২৮. রক্তদানের পূর্বে হালকা খাবার খাওয়া উত্তম, ভারী খাবার খেয়ে রক্তদেয়ার ফলে অনেকেই বমি করে।
আমার এই Tricks Bangla সাইটিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
আশা করি সবাই সহযোগিতা করবেন।আশা করি আপনারা আমার সাইটে এসে টিউন করবেন।
আমি মোঃ নুরুল আমিন। SACMO, Unique Digital Hospital, Tangail। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।