আমরা এখন পৌঁছেছি তথ্য প্রযুক্তির এক চরম উন্নতির যুগে। যেখানে প্রতিনিয়তই কিছু কিছু না কিছু নতুন প্রযুক্তির সাক্ষাত মেলে আমাদের সাথে (যদিও আমরা কিছুটা পিছিয়ে)। তাই এ যুগের সাথে তাল-মিলিয়ে চলতে উন্নয়নশীল দেশের কিছুটা ধাক্কার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আর দেশ যদি তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত হয় তবে এ বিশ্বে এখন সেটিই উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে প্রযুক্তি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ১০০ বছর পর তথ্য থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয় উঠবে প্রযুক্তি। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কতটূকু তাল মেলাতে পারছি এ যুগের সাথে?
যদি প্রশ্নটা এমন হয় যে, বর্তমানে আমরা কেমন অবস্থানে আছি? তবে উত্তরটা হবেঃ হ্যাঁ, মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছি। কারণ বর্তমানে বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের বাংলাদেশেও বিভিন্ন ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপ গড়ে উঠছে। যা সত্যিই আশার বাণী শোনায়। এবারে বাংলাদেশে সেরা স্টার্টআপে পুরস্কার পেয়েছেঃ Sheba.xyz প্রতিষ্ঠানটি। একটি ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এমন আরো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে আমাদের এই ছোট্ট দেশে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
তবে যদি আমরা বর্তমানের সাপেক্ষে একটু ভবিষ্যতের কল্পনা করি, তবে একটু মর্মাহত হতে হয়। আগেই বলেছি, বিশ্ব এমন দিকে এগোচ্ছে যেখানে তথ্য থেকে প্রযুক্তির গুরুত্ব বেড়ে যাবে। ভবিষ্যতের কিছু প্রযুক্তির নাম দেখে নিই। যা বর্তমানেও রয়েছে তবে ভবিষ্যতে এর ব্যবহার ব্যাপক হয়ে উঠবে।
তালিকা আরো লম্বা হবে। উপরের সবগুলো প্রযুক্তিই বর্তমানে রয়েছে এবং মানুষ ব্যবহারও করছে। তবে এগুলো হলো ভবিষ্যতের প্রযুক্তি। ভবিষ্যতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বর্তমান থেকে এসব প্রযুক্তির কিছুটা হলেও চর্চা থাকা দরকার। কিছু স্টার্টআপ গড়ে তোলা দরকার এসব প্রযুক্তি উপর। আপনাকে একটু পরিষ্কার ধারণ দিয়ে দিই কিভাবে এসব প্রযুক্তিই হবে ভবিষ্যতের ভিত্তি।
আমরা সকলেই ফেসবুক, গুগল, অ্যাাপেল ও মাইক্রোসফটের পণ্য ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি একটু প্রযুক্তি প্রেমিক হয়ে থাকেন তবে লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে এরা প্রত্যেকেই উপরোক্ত প্রযুক্তিগুলোর প্রতি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফেসবুক ও গুগলের VR Headset, মাইক্রোসফট ও গুগলের Hololens ও Google Glass, গুগলের চালকবিহীন গাড়ি, গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যাাপেলের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Google Assistant, Cortana and Siri)। এসব প্রযুক্তির দিকে টেক-জায়ান্টদের জোঁক বেশি। কারণ এগুলোই ভবিষ্যত শাসন করবে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা বুঝতে পেরে সকলের প্রিয় মার্ক জাকারবার্গ তার নিজের বাড়িতে Jarvis তৈরি করেছে। যা সত্যিই আমাদের দেখায় কেমন হতে পারে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
একটা কথা বলা হয় যে, গুগল ফেসবুক, মাইক্রোসফট, অ্যাপেল এরা এ শতক পুরোটা জুড়ে রাজত্ব করবে। তার কারণ শুধু ফেসবুক নয়, গুগল সার্চ ইঞ্জিন নয়, অ্যাপেলের ম্যাক কিংবা আইফোন নয়, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ নয়। এর মূল কারণ তারা তাদের দূরদর্শিতার সাথে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য বর্তমান থেকেই কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা এগিয়ে চলছি বর্তমানের সাথে। আমাদের দেশেও ড্রোন, রোবোটিকস নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা বরাবরের মতই আমাদের আশার বাণী শোনায়। তবে আমাদের দেশে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান দরকার যেখানে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হবে। তাতে আমরা Leap Frog -এ অর্থাৎ ব্যাঙের মত লাফ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারব। কারণ বর্তমানে এগিয়ে যেতে হলে দরকার দূরদর্শী পরিকল্পনা আর নতুন চিন্তা-ভাবনা।
আমার ব্লগঃ Bipul Hf - Be Simple, Make Simple
আমি মোঃ শহিদুজ্জামান বিপুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Life has a more short time for good working. But everyone should be conscious about this time. I am running behind for finding the perfect time. What would you do? Don't waste this valuable time :)
আমাদের দেশে স্টার্টআপ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সব নামের স্টার্টআপ কাজে না। বিশ্বের সাথে পাল্লা দেবার মত কোন স্টার্টআপ না। এরা কোন রকম একটা আইডিয়া পেলেই মনে করে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা তাকে টাকা দেবার জন্য বসে আছে।
অন্ত্যত একটা স্টার্টআপের নাম বলেন আমাদের দেশের যারা বিশ্বের মানের স্টার্টআপ তৈরিতে কাজ করেছে।