প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, I am not a professional Designer। আমি শুধুমাত্র একজন নবীন কারিগর। যে একটু-আধটু ডিজাইনিং করে, শখের বসে। আমরা অনেকেই আছি যারা ডিজাইনিং-এ খুবই দক্ষ। অত্যন্ত চমৎকার, মনোমুগ্ধকর ডিজাইনিং করে। যা দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই শুরু করছি আজকের মজাদার রেসিপিঃ ডিজাইনিং।
মজাদার সত্যিই। কোডিং আর ডিজাইনিং এই দুইটা জিনিসের মধ্যে যে আনন্দ খুঁজে নিতে পারবে তার জন্য লাইফ সেট। সরাসরি মূল বিষয়ে প্রবেশের পূর্বে একটু আলোচনা করিঃ CODING vs DESIGNING। কোনটি আপনি করবেন? বা কোনটির চাহিদা বেশি?
আসলে এই ব্যাপারটা সবার মধ্যেই কম-বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে আমার একান্ত নিজের মতামত হল যেইটাতে মনে করেন আপনি দক্ষ আপনার জন্য সেই পথই সেরা। একটা মজার ব্যাপার কি, একটা কোম্পানিতে যেমন ডিজাইনারের দাম আছে সমানুপাতিক হারে প্রোগ্রামারেরও দাম রয়েছে। কেননা একজন আরেকজনকে ছাড়া প্রায় অচল। একটা উদাহরণঃ ধরুন আপনি একটি কোম্পানিতে প্রোগ্রামিং করেন। আপনার কাজ কোডিং করা। এখন অফিসের ওয়েবসাইটে কোথায় মেনু বাটন হবে। বাটনে কি কালার হবে। স্ক্রল করলে কেমন ইফেক্ট দিলে সুন্দর দেখাবে তা শুধুমাত্র একজন ডিজাইনার খুবই চমৎকারভাবে সাজিয়ে দিতে পারবেন। অতঃপর প্রোগ্রামার কোড লিখবেন। তাই বলব যেইটাতে আপনি নিজেই নিজেকে দক্ষ মনে করবেন সেইটাই আপনার পেশা। সন্দেহাতীত!
ব্যাস! এখন শুরু করি ডিজাইনিং কোথা হতে শুরু করবেন? আমি বলব না যে, আপনি পুকুরে সাঁতার না শিখেই নদীতে নেমে যান। এর অর্থ সহজ হতে ক্রমাগত কঠিন তথা কঠিনতর কর্মের দিকে এগিয়ে চলাই মানবজীবনের প্রাকৃতিক নিয়ম।
আমি আজ একটা সহজ, সকলের পরিচিত সফটওয়্যার নিয়ে কথা বলব। MICROSOFT PowerPoint। হ্যাঁ, এইটা Beginner-দের জন্য খুবই সহকারী। এক্কেবারে মাইক্রোসফটের কর্টানার মত। যদি উইন্ডোজের বিল্ট-ইন Paint হতে শুরু করা যায় তবে আরো ভালো।
মাইক্রোসফটের পাওয়ারপয়েন্টের ফিচারগুলো অত্যন্ত উপকারী। শুধুমাত্র এর সঠিক ব্যবহার করা জানতে হবে। আপনি যদি মনে করেন ডিজাইনিং-এর জন্য আপনার প্রতিভা থাকা প্রয়োজন তবে বলব আসলে আপনি ভুল পথে হাঁটছেন। ডিজাইনিং-এ প্রতিভা থাকলে তো সেইটা আপনার এক্সট্রা ফিচার। তবে অনুশীলন থাকাটা সবস্থানেই আবশ্যক। কেননা,
Practice Makes A Man Perfect
আপনি আমার কথা বিশ্বাস করুন, আপনি যদি কোনদিন ডিজাইনিং না করে থাকেন তবে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে পাওয়ারপয়েন্টটা ইনস্টল করে এখনই একটা বৃত্ত বা চতুর্ভুজ এঁকে মনমত নকশা করুন। যা মনে আসে। খারাপ হোক, খারাপ হতে হতেই ভালো হবে। তবে চালিয়ে যান। এরপর নিয়মিত অনুশীলনের ঠিক ২ মাস পর আজকের দিনটার ডিজাইনিং ও ২ মাস পরের ডিজাইনিং লক্ষ করুন। নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন।
তবে ডিজাইনিং-এর ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার অর্থাৎ Color Combination-এর দিকে লক্ষ রাখুন। আপনার কালার যত ব্রাইট, যত ম্যাচ করবে ডিজাইনিং তত সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই নিয়মিত ডিজাইন করুন অপরের ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখুন। আর যিনি ভালো ডিজাইন করেন তাদের কারো সাথে পরিচিত থাকলে আপনি তাদের সাহায্য চাইতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আপনাকে ধীরে ধীরে এগুলোই ভালো ডিজাইনার হতে সাহায্য করবে।
আপনার পাওয়ারপয়েন্ট শেখা হয়ে গেল আপনি ফটোশপ, ইলাস্ট্রটর, মায়া ইত্যাদি প্রফেশনাল সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ডিজাইনিং জ্ঞান আরো প্রসারিত করতে পারেন। আমাদের টেকটিউনসেও গ্রাফিকস ডিজাইনিং-এর চেইন টিউন করা হয়েছে। আজ এই পর্যন্তই। আশা করি, ডিজাইনিং-এর প্রতি একটু হলেও আগ্রহ জন্মেছে।
নিচে কয়েকটি পাওয়ারপয়েন্ট অনলাইন কোর্সের লিঙ্ক দেওয়া হলঃ
আমি মোঃ শহিদুজ্জামান বিপুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Life has a more short time for good working. But everyone should be conscious about this time. I am running behind for finding the perfect time. What would you do? Don't waste this valuable time :)
vlo laglo