আমি আপাদত ডিজিটাল শব্দটি নিয়ে মতানৈক্যে যেতে চাচ্ছি না! এই বিষয়ে যে, কতুটুকু ডিজিটাল হয়েছি আমরা, আমি কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে চাই, অন্তত রাজনৈতিক পরিচয় না ভাংগিয়ে সবাই গৌরবের সাথে বলতে পারেন আমাদের দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ,
আর এই আরটিকেল বা টিউন এ আমি শুধু একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলব তা হল বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি), এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে Bangladesh Open University Act,1992 এই আইনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে, যদিও এটার ইতিহাস ১৯৫৬ সাল থেকে সুদূর বর্তমান পর্যন্ত এখনো কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। ১৯৫৬ সালে এটার উদ্যোগ খুবই প্রশংসার দাবি রাখে এবং বাস্তবায়িতও হয়েছিল।
আমাদের অনেকের হয়ত এমনো ধারণা আছে যে, যারা খারাপ স্টুডেন্টস, রেগুলার সিস্টেমে ভাল করতে পারেনি তারাই এখানে ভর্তি হয়, অথবা যাদের শুধু কিছু সার্টিফিকেট দরকার তারা কোনরকমভাবে একটা সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্যি ভর্তি হয়! আসলে এটাকে ধারণা বললে ভুল হবে এটাই বাস্তবতা!!! ১৯৬২ সালে ২০০ রেডিও রিসিবার দিয়ে যাত্রা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে প্রযুক্তির ধারেকাছেও আছে বলে মনে হয়না।
এটা যেহেতু একটি দূরশিক্ষা কেন্দ্র, তাই এই শিক্ষা যুগের সাথে আধুনা না করলে এই শিক্ষার কোন গুরুত্ব থাকেনা, এই উদ্যোগ যখন প্রথম বাস্তবায়িত হয়েছিল তখন দেশে টিভি চ্যানেল ছিল মাত্র একটি। কিন্তু এই যুগে ইন্টারনেট তথ্য অ যোগাযোগের বড় বিপ্লব সাধিত হয়েছে কিন্তু কিন্তু উন্নতি হয়নি এসব তদানিন্তন আধুনিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে।
পাশবর্তী দেশ ভারতেও অনেক চ্যানেল আছে শুধু দূর শিক্ষার উপর, হয়ত বাংলাদেশের জন্য দূরশিক্ষার উপর একটাও চ্যানেল দেওয়া সম্ভব হবেনা! অন্তত যদি দূরশিক্ষায় ইন্টারনেটভিত্তিক হয়, তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্র ব্যাপক উন্নতি করতে পারব আমি আশাবাদী।
এখন আমি আপনাদের কাছে বাংলাদেশ উপেন ইউনিভার্সিটি কেমন হলে আধুনিক, গ্রহযোগ্য এবং বিশ্বকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে দেখানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করব,
১, অনলাইনে সল্প খরচে যোগ্যতার ভিত্তিতে অপেন এডমিশন সিস্টেম রাখা,
২, প্রায় সকল সাবজেক্ট তালিকা ভুক্ত করা।
৩, প্রতিদিন বিত্তিক প্রত্যেক বিষয়ের উপর পাঠদান,
৪, প্রত্যেক বিষয়ের উপর অন্ততপক্ষে একজন পার্মানেন্ট কোর্স ইন্সট্রক্টর এবং লেকচারার রাখা। (সরকারি ভাবে বিভিন্ন ইউনিভারসিটির টিচার্সদের সম্পৃক্ত করা)
৫, বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া,
৬, দুই ভাবে পরীক্ষা পদ্ধতি রাখা, অনলাইন ভিত্তিক ও সনাতন। সনাতন সিস্টেম বলতে, এই প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টসদের সাধারণ স্কুল কলেজের সাথে পাবলিক পরীক্ষায় সুযোগ দেয়া এবং বৈষুম্য পরিহার করা।
৭, প্রত্যেক দিনের লেকছার ইউটিউবে ও প্রতিষ্ঠানের সাইয়ে আপডেট করা।(একবার আপডেট করে দিলে অনেক সাব্জেক্টে রেগুলার আপডেতের দরকারও হয়না, যেসকল সাবজেক্ট আপডেট দরকার সেগুলো আপডেট করা)
৮, এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে লেকচার আপলোড করার সুযোগ থাকতে হবে, নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেকচার আপলোড করার আহবান করা হবে।এই সাইটের সকল নিবন্ধিত ইউজার লেকচার আপলোডের অধিকার রাখবে।
৯, নির্দিষ্ট কমিটি থাকবে যারা এই লেকচার গুলো থেকে কন্টেনট যোগ বিয়োগ করতে পারবেন। যাদের কন্টেন্ট নেয়া হবে তাদের কে পুরুস্কার বা সম্মানির ব্যবস্থা করতে হবে।
১০, বিদেশি স্টুডেন্টসদের পি লেনদেনের জন্য মাস্টার কার্ড বা আন্তঃজাতিক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করা।
১১, বিভিন্ন সল্প সময়ের কোর্স রাখা, কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া এবং প্রযুক্তিগত সল্প দৈঘ্যের কোর্স পরিচালিত করা।
১২, (ফ্রি ভার্সনকোর্স) বিনা খরচে একটা কোর্স এমনভাবে রাখা যেখানে পৃথিবীর যেকোন ব্যক্তি যেকোন বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
১৩, অনলাইন ভিত্তিক ২৪ ঘন্টা টেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা।
১৪, সকল বিষয়ে আন্তঃজাতিক সিলিবাস ও কারিকুলাম বজায় রাখা। বিভিন্ন আন্তঃজাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে বিভিন্ন শিক্ষাভিত্তিক চুক্তি স্বাক্ষর অ বাস্তবায়ন করা।
এই শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করলে কি কি পয়দা হবে?
১, দেশের আনাছে কানাছে থাকা টেলেন্টরা স্বীকৃতি পাবে, গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার বাহিরে এসে, সকলের জন্য শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করা।
২, যারা কোন পেশার সাথে আছেন তারা দূরশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।
৩, প্রযুক্তির অহেতুক ব্যবহার কে গ্রহনযোগ্য ও শিক্ষামূলক ব্যবহার্যে কনভার্ট করতে পারবে।
৪, নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জনের সুজোগ সৃষ্টি হবে।
৫, শিক্ষা আর প্রযুক্তি একসূত্রে গাথা হলে দেশটা সত্যিই ডিজিটাল হতে পারবে।
৬, সল্প দৈঘ্যের প্রফেশনাল কোর্সগুলো করলে অনেকেই স্বাবলম্বী হতে পারবে।
৭, বিদেশি স্টুডেন্টসদের সুযোগ দিয়ে সুনাম কুড়াতে পারবে।
৮, উচ্চশিক্ষায় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানসমূহের রমরমা ব্যবসা কিছুটা দূর করতে সাহায্য করবে।
উপরক্তো প্রজেক্ট সম্পূর্ণ আমার কল্পিত, আমি আশা করব এই টিউন যারা পরবেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত সরকারি প্রযুক্ত ও শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত আছেন, তাদের কাছে আমার রিকোয়েস্ট অন্তত একবার ভাব্বেন এইধরনের একটা শিক্ষাব্যবস্থা থাকলে কেমন হয়। আমার কল্পিত এই প্রজেক্টির জন্য সরকারে হয়ত বিশাল বাজেটের দরকার হবে বলে মনে হয়না, একটু শিক্ষাব্যবস্থায় যারা আছেন তারা একটু অন্য চিন্তা করলে আমরা একটা অন্যরকম ডিজিটাল বাংলাদেশ পেতে পারি।
আপনারা যারা কষ্ট করে এতক্ষন পড়লেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ কষ্ট করে পড়ার জন্য, ভাল লাগলে শেয়ার করবেন, আর কোন পয়েন্ট এড করা গেলে অবশ্যই টিউমেন্ট এ আলাপ করবেন। ধন্যবাদ
আমি নাছের মিয়াজী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 38 টি টিউন ও 302 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আইনের মানুষ, প্রযুক্তির মানুষ, ইসলাম কে ভালোবাসি।
Facebook এ বসে শুধু সময় নষ্ট করবেন? নাকি আপনার Facebook ও Twitter একাউন্টের মাধ্যমে কিছু Euro কামাবেন? হ্যাঁ. এখন আপনি চাইলে আপনার Facebook এবং Twitter একাউন্টের মাধ্যমে কিছু Euro কামাতে পারবেন। আপনাকে আজ এমন একটি সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যার মাধ্যমে আপনি এই ইউরো কামাতে পারবেন। সাইটটির নাম হচ্ছে Fanslave. শুধুমাত্র Like & Follow এর মাধ্যমেই আপনি দিনে ২০ মিনিটের চেয়ে কম কাজ করে 0.50 ইউরো আয় করতে পারবেন। http://www.fanslave.net/ref.php?ref=1398916